ওয়ার ক্রাইমস ফাইল- এর পরিচালক নন বার্গম্যান!
বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধ ও যুদ্ধাপরাধ নিয়ে নির্মিত তথ্যচিত্রের মধ্যে অন্যতম “ওয়ার ক্রাইমস ফাইল”। এমনকী বাংলাদেশের যুদ্ধাপরাধ ইস্যুতে এটাই প্রথম আন্তর্জাতিক পুরস্কারপ্রাপ্ত তথ্যচিত্র। ১৯৯৫ সালে তথ্যচিত্রটি নির্মাণ করে অালোচনায় অাসেন বাংলাদেশে বসবাসকারী ব্রিটিশ নাগরিক ডেভিড বার্গম্যান। বেশ কয়েকটি অনলাইন সূত্রে উল্লেখ অাছে ডেভিড বার্গম্যান ওই তথ্যচিত্রের পরিচালক। বাংলা ট্রিবিউনের অনুসন্ধানে দেখা গেছে “ওয়ার ক্রাইমস ফাইল” তথ্যচিত্রের পরিচালক ছিলেন হাওয়ার্ড ব্র্যাডবার্ন। তথ্যচিত্রটিতে একজন প্রতিবেদক হিসেবেই কাজ করেছেন বার্গম্যান।
ডেভিড বার্গম্যান পরিচালক নাকি প্রতিবেদক? এমন প্রশ্নের জন্ম দেয় বার্গম্যানের ব্যক্তিগত ব্লগ প্রোফাইলের পরিচিতি অংশ। সেখানে এই তথ্যচিত্রের সঙ্গে তিনি ‘যুক্ত‘ ছিলেন বলে উল্লেখ করেছেন। প্রোফাইলে এ সম্পর্কে তিনি উল্লেখ করেছেন, “১৯৯৫ সালে রয়্যাল টেলিভিশন সোসাইটি অ্যাওয়ার্ড বিজয়ী চ্যানেল ফোর-এর প্রামাণ্যচিত্র ‘ওয়ার ক্রাইমস ফাইল‘ নির্মাণে আমি যুক্ত ছিলাম। তথ্যচিত্রটি ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে অভিযুক্ত তিনজন মানুষকে নিয়ে এটি নির্মিত।” (“In 1995, I was involved in making the Royal Television Society award winning Channel Four documentary, the ‘War Crimes File’, a film about war crimes allegedly committed by three men during the 1971 War of Independence।”)
ওয়ার ক্রাইমস ফাইল
১৯৭১ সালে যুদ্ধাপরাধের সঙ্গে যারা জড়িত ছিলেন তাদের অনেকেই অবস্থান করছিলেন যুক্তরাজ্যে। বিষয়টি নিয়ে লন্ডনভিত্তিক চ্যানেল ফোর এবং টোয়েন্টি টোয়েন্টি টেলিভিশনের সহযোগিতায় নির্মাণ করা হয় “ওয়ার ক্রাইমস ফাইল”। যুদ্ধাপরাধে অভিযুক্ত চৌধুরী মুঈনুদ্দীনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করে নির্মিত এই তথ্যচিত্র চ্যানেল ফোরে ১৯৯৫ সালের ৩ মে প্রচারিত হয়।
ওই সময়ে শহীদ জননী জাহানারা ইমামের নেতৃত্বে বাংলাদেশের জনগণ যুদ্ধাপরাধ বিষয়ে সোচ্চার হচ্ছিলেন। ধারণা করা হয় এজন্যই মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তির কাছে “ওয়ার ক্রাইমস ফাইল” অন্যরকম অনুভূতির জন্ম দেয়। তখনই অালোচনায় অাসেন ডেভিড বার্গম্যান। তথ্যচিত্রটি নির্মাণের জন্য তিনি বাংলাদেশে এসেছিলেন। গবেষণা কাজে ওই সময় দেশের কিছু তরুণ সাংবাদিকদের সহযোগিতাও নিয়েছিলেন তিনি।
তথ্য-উপাত্তে পরিচালক বার্গম্যান
মুক্তিযুদ্ধের অনলাইন অার্কাইভ জেনোসাইড বাংলাদেশ ওয়েবসাইটে (http://www.genocidebangladesh.org/?p=542) এই তথ্যচিত্রের পরিচিতিতে বার্গম্যানকে পরিচালক হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
এমন তথ্যবিভ্রাট প্রসঙ্গে বার্গম্যান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, “আপনারা genocidebangladesh.org ওয়েবসাইট কর্তৃপক্ষকে প্রশ্ন করতে পারেন। এ তথ্য কেন তারা প্রকাশ করলো। আমি কোথাও বলিনি ওই তথ্যচিত্রের পরিচালক অামি ছিলাম। যদিও এ তথ্যচিত্রের দৃশ্যধারণ ও সম্পাদনায় হাওয়ার্ডের ভূমিকা ছিল খুবই গুরুত্বপূর্ণ, তিনি কিন্তু এর গবেষণা, অনুসন্ধান, নির্মাণ ও প্রচারে যুক্ত ছিলেন না। হতে পারে এ কারণেই এ তথ্যচিত্রের সঙ্গে তার যোগাযোগটা অতটা পরিচিতি পায়নি। আর তাই এটা দুঃখজনক; কেননা তার ভূমিকা ছিল সত্যিই গুরুত্বপূর্ণ।
একটু বিস্তারিত পড়েন বাংলা ট্রিবিউনে গিয়ে।
Essential finding for the researcher. this is shame full that most of the researcher doesn't do the research and just use the information from the their intuition. Burgman did the research on the war crime and he was the most important contributor of this documentary. Even in his blog he told that he was in that project, your finding also says the same thing. He is honest but the who get money for research but don't give any effort, problem is on that side.
জানলাম
মন্তব্য করুন