ইউজার লগইন

শাহরিন রহমান'এর ব্লগ

অজানা পরিচয়ে

“বেবুন পিঠা খাবি?”
“না”
“সিংগারা খাবি?”
“না।”
“আচার খাবি?”
“বলছি তো, খাবো না!!! আর আমাকে বেবুন বেবুন করছেন কেন? আমার নাম বেবুন না।”
“বাবা রাগ করছস? তোর বাপের উপর রাগ করছস?। কতদিন বাদ তোরে দেখতাছি।”

আমি লোকটার চোখে দিকে তাকালাম। তাতে পানি এসে গেছে। বুঝতে পারছি না কি করবো। আমি নিশাদের বাড়ির প্রাচীরে বসে আছি, নিশা জানলার কাছে এলেই গান ধরবো। এই উটকো ঝামেলার জন্য পারছি না। মাথা ঘুরিয়ে নিশার জানালার দিকে তাকালাম। মেয়েটা চলে এসেছে। আমি গলা ঝেড়ে গান শুরু করলাম, “মাই নেম ইস শিলাআআআ”...”বেবুন, জানিস তোরে আমি কত খুজছি। কোনঠেও পাই নাই।”
মেজাজ চড়ে গেল। নিশা দেখছে তাই আবার চেষ্টা করলাম, “শিলা কি জাবানীইইই...” “ তোর জইন্য আমার অনেক মন পুড়ায় বাপ।”
“তেরে পাস না আউউউউউ...” “পান খাবি বাপ? খয়ের দিয়া পানা বানাই দি?”
“বললাম তো পান খাবো না!!! কথা কানে যায় না???”
দড়াম করে নিশার জানালা লাগানোর শব্দ পাওয়া গেল। মাথায় আগুন ধরে গেছে। প্রাচীর থেকে লাফ দিয়ে নামলাম।
লোকটা রাস্তায় বসে কাঁদছে। সাদা টুপি মাথা থেকে পড়ে গেছে, ধুলো লাগছে সাদা পাঞ্জাবীতে । শুভ্র দাড়ি বেয়ে টুপ টুপ করে চোখের পানি পড়ছে।

কিশোরী, তরুণী ও নারীকে বলছি- সতর্কতা ২

যারা পর্ব ১ পড়েন নি, তারা সেটা পড়ে এসে তারপর এই পর্ব পড়লে আপনার সুবিধা হবে। বাইরের বিপদ জানার সাথে সাথে নিজের অভ্যন্তরের বিপদ জানাটা সমান গুরুত্বপূর্ণ।
আজকে সামাজিক কারণে কিছু সমস্যা/ বিপদগুলো নিয়ে বলবো। আশা করছি তথ্যগুলো সাহায্যকর হবে।

বিয়ের পাত্রের খোজখবর- বিষয়টা বিস্ময়কর হলেও সত্যি যে অনেক সময় পাত্র বা তার পরিবারের প্রদর্শিত তথ্যের উপর ভিত্তি করে, পাত্র সম্পর্কে ঠিকঠাক খোজখবর না নিয়েই পিতা-মাতা মেয়ের বিয়ে দিয়ে দেন। ফলাফল স্বরূপ বিয়ের পর জানা যায়-

-পাত্র মাদকাসত্ত
-পাত্র একজন বিশিষ্ট বেকার এবং এখন যৌতুক চায় নিজে দাঁড়ানোর জন্য
-পাত্রের কোন বিশেষ শারীরিক রোগ আছে যা সন্তান ধারণে বাধা স্বরূপ
-পাত্র মানসিক রোগী
-পাত্রের প্রথম স্ত্রী আছে, যার সাথে এখনো তালাক হয়নি
-পাত্র মানবী-বাণিজ্যের সাথে যুক্ত (বিয়ে করে রংমহলে বিক্রি করে দেওয়া)
-পাত্র অন্যান্য মারাত্বক অপরাধ চক্রের সাথে যুক্ত

কিশোরী, তরুনী ও নারীদের বলছি- সতর্কতা ১

হ্যা মানবী, আপনাকেই বলছি। আপনার কিছু সহজাত প্রবৃত্তি আছে যা জানা থাকলে আপনি নিজের সুরক্ষার ব্যাপারে সতর্ক থাকতে পারবেন। সুরক্ষা মানসিক পার্থিব বা উভয়েরই গুরুত্বপূর্ণ। আশা করছি অযথা সমস্যা/বিপদ এড়াতে তথ্যগুলি আপনাকে সাহায্য করব।

প্রশংসা- আপনি না চাইলেও যা আপনার মন স্পর্শ করে তা হচ্ছে প্রশংসা। সচেতন অবচেতন দুইভাবেই প্রশংসা আপনাকে প্রভাবিত করে। রেগে গেলেও ভেতরের অপর মন আপনাকে প্রশংসাকারীকে ভালো লাগাতে শেখায়।
যদি দেখেন কোন সদ্য পরিচিত বা অল্প পরিচিত মানব নিয়মিতভাবে বা প্রায়ই আপনার প্রশংসা করে যাচ্ছে (রূপ, যোগ্যতা, মেধা ইত্যাদি), সেই ব্যাক্তির সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দেওয়া সবচেয়ে ভালো সিন্ধান্ত । কেননা খুব দ্রুতই সে আপনার মনে প্রভাব ফেলতে সক্ষম হবে, আপনার মানসিক বা অন্য কোনো ধরণের ক্ষতি করার সুযোগ তার তৈরী হয়ে যাবে।
অনেক ক্ষেত্রেই নারীরা প্রশংসাকারীর উপর মানসিকভাবে নির্ভরশীল হয়ে পড়েন। খুব কম নারীই পাওয়া যাবে যারা রূপের প্রশংসায় মনে মনে খুশী হয়না, যার আধিক্য বিপদও ডেকে আনে।

টুনির কাছে টোনার চিঠি

ওহে আমার টুনটনি বউ,

আমায় কথায় কথায় এত বকিও না। তোমার সুমধুর কন্ঠ হইতে রোজ যে ভৈরবী রাগ আমার প্রতি ঝরিয়া পড়ে তাহা আমার হার্টের জন্য বেশি সুখকর নহে। ডাক্তার টিয়া ভাই বলিয়াছেন আমায় শব্দ হইতে দূরে থাকিতে। টিয়া ভাইয়ের বউটা কি চুপচাপ! খুবই ভালো লাগলো। মেয়েরা এত চুপচাপ হয় ভাবাই যায় না।

বউ আমার, তোমার খোটা খাইতে খাইতে আমার স্নায়ুগুলি দূর্বল হইয়া গিয়াছে। বিশ্বাস না হইলে টিয়া ভাইয়ের বউকে জিজ্ঞাস করিয়া দেখ।

কথায় কথায় তুমি বলিয়া ওঠ আমায় বিয়া করিয়া নাকি তোমার কপাল পুড়িয়াছে। তাহলে টিয়া ভাইয়ের বউয়ের কথা শুনিয়া তুমি এত জ্বলিয়া উঠিয়াছো কেন? তোমার অকর্মণ্য বরকে কেউ কাড়িয়া লইলে তো তোমার বাঁচিয়া যাইবার কথা।

পরিশেষে বলিতে চাই, তোমায় ভালোবাসি। মিলমিশ করিয়া চল আগের খুনসুটি দিনগুলিতে ফিরিয়া যাই। ছানাগুলি কাহার দোষে পড়িয়া যাইতে যাইতে বাঁচিয়াছে এই লইয়া ঝগড়া না করিয়া চল দুইজনই সাবধান হইয়া তাহাদের উড়াইতে শিখাই। পাতার ছায়ায় বসিয়া গান গাওয়া, বালুতে রোদ পোহানোর মত কত সুন্দর স্মৃতিই না আমাদের রহিয়াছে।

বউ, তুমি কি আমার সাথে সেই দিন গুলিতে ফিরিয়া যাইবে?

ইতি
তোমার টোনা বর

প্রেমিকের কাছে প্রেমিকার চিঠি

প্রিয়তম কুদ্দুস,

তোমার পরিবার হইতে আমাদের বাড়ি বিবাহের প্রস্তাব আসিয়াছিল। আমার আনন্দরাশি বিকাশিত হইবার পূর্বেই তাহারা জানিতে চাহিলো আমার সুখের জন্য খুশী হইয়া আমার পিতা তোমাদের কি দিবার চান। আমার পিতা জানাইলো “দু’আ”। তাহারা আমোদ পাইলো বলিয়া বোধ হয়। তাহারা আরো জানাইলো যে বাড়ীর বউয়ের বাহিরে চাকরী করা তাহাদের রীতিতে নাই। ভালো মেয়েরা চাকরী করে না। আমার গায়ের রঙ কালো বলিয়া তাহাদের চোখে বেদনার আভাস দেখিতে পাইলাম।

প্রিয় কুদ্দুস, তোমার পিতা মাতাকে এত বেদনা পাইতে মানা করিয়া দিও। বলিয়া দিও আমাকে তুমি বিবাহ করিতেছ না। ইহাতে তুমি ও তাহারা উভয়ই সুখী হইবে।

শীত বার্তা ২

খেয়াল করে দেখলাম শীতের কাপড় সংগ্রহ ও বিতরণ প্রক্রিয়াটা বিষদভাবে লেখা তেমনভাবে কোথাও খুজে পাওয়া যাচ্ছে না। অথচ ব্যাপারটা জানলে অনেকেই নিজেরা কাপড় সংগ্রহ করে বিতরণ করতে পারেন। আমি সংগ্রহ প্রক্রিয়া জানি। বিতরণের জন্য পরিচিত মানুষ খুজে বের করতে হয়। আমি সংগ্রহ প্রক্রিয়াটা বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে বিষদভাবে জানাচ্ছি। বিতরণ প্রক্রিয়া জন জনে আলাদা হতে পারে।

সবচেয়ে ভালো হয় ব্যাপারটা দুই ভাগে ভাগ করলে।

১। সংগ্রহকারীরা এবং ২। বিতরণকারীরা।

সংগ্রহকারীরা যা করতে পারেন

ধাপ ১ (চিঠি লেখা)-
*এলাকাবাসীদের উদ্দেশ্যে একটা ছোট্ট চিঠি লিখুন যেখানে সংক্ষেপে লেখা থাকবে আপনারা এই এলাকাবাসী, আপনারা বন্ধুরা শীতের কাপড় সংগ্রহ করছেন, বিতরণের জায়গার নাম, কাদের বিতরণ করা হচ্ছে।

*তাৎক্ষণিকভাবে তাদের কাছে কাপড় না থাকলে তারা যে কোন পরিমাণ টাকা দিয়ে অংশ নিতে পারেন সেটাও জানিয়ে দিন।

*চিঠির শেষে একটি ভালো কাজে অংশ নেওয়ার জন্য তাদের শুভেচ্ছা দিয়ে, ধণ্যবাদ দিয়ে চিঠি শেষ করুন।

*চিঠি প্রিন্ট করুন এবং প্রাথমিকভাবে ২০ কপি ফটোকপি করতে পারেন।

মনে রাখা দরকারঃ

শীত বার্তা-১

শীত এসে যাচ্ছে। অনেকেই শীতে কষ্ট পাওয়া মানুষের কথা মনে করে সমব্যাথী হন। এই সুন্দর মনের মানুষদের জন্য একটা সুখবর হচ্ছে, আপনারা চাইলেই এখন এই শীতে কিছু মানুষের কষ্ট লাঘবের ব্যবস্থা করতে পারেন। সহজ পদ্ধতিটা হল-

১। নিজের পুরানো শীতের কাপড় খুজে বের করুন।
২। সম্ভব হলে বন্ধুদের নিজের ব্যবহৃত/অব্যবহৃত পুরানো শীতের কাপড় আনতে বলুন।
৩। কাপড়টি/গুলি একসাথে (চাইলে আলাদাও পাঠাতে পারেন) কাছের কোন কুরিয়ার
সার্ভিস-এ নিয়ে যান।
৪। এস.এ. পরিবহন, কলিতলা ব্রাঞ্চ, দিনাজপুর। প্রাপক ইমন। মোবাইল ০১৮১৮২১৪৭৮৭ এই ঠিকানায় পাঠিয়ে দিন কাপড়গুলো।
 যারা সত্যি কাপড় পাঠাতে চান, তারা কাপড় যোগাড়-এর পর এই ইমেইল-এ যোগাযোগ করে (কাপড় পাঠাতে আগ্রহী জানিয়ে) তারপর পাঠান। shahreen.rahman4@gmail.com

(অনুগ্রহ করে টাকা পাঠাবেন না। চাইলে পুরানো কম্বল, শাল যেকোন শীতের কাপড় কিনে দিতে পারেন।)

কাপড়গুলি দিনাজপুরে ইমন নামের একটা ভাইয়ার কাছে পৌছে যাবে। এস.এ. পরিবহন তার বাসার বেশ কাছে, তাই ভাইয়া সেখান থেকে কাপড় নিতে পারবেন। তিনি শীতের কাপড়গুলি কিছু এতিমখানায় বিলি করবেন।

যত তাড়াতারি সম্ভব আজই রক্ত দিয়ে আসুন

মেয়েটির নাম ইস্মাত আরা। আজই তার রক্ত লাগবে A+ । রক্ত দেওয়ার ঠিকানা বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট ব্লাড ব্যাংক, ৭/৫ আউরঙ্গজেব রোড, মোহম্মদপুর ডাকা। মেয়েটি কিছুটা ভালো বোধ করায় রাজশাহীতে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। গতকাল অবস্থা খারাপ হয়ে যাওয়ায় কোমো দেওয়া হয়েছে। রাজশাহীতে শ্বেত কণিকা আলাদা করার পদ্ধতি সহজলভ্য না বলে আপনাদের এই ঠিকানায় রক্ত দিতে অনুরোধ করছি। আজ রাতেই রক্তটা তার কাছে পৌছাতে হবে।

৫ ব্যাগ A+ রক্ত প্রয়োজন (অন্তত একদিন বাঁচিয়ে রাখি তাকে)

আমার বন্ধু, কাছের দূরের, পরিচিত, অপরিচিত সবাইকে বলছি, রাজশাহী কলেজের ২১ বছর বয়েসী ম্যানেজমেন্ট বিভাগের শিক্ষার্থী ইসমত আরা সরকার (ডাকনাম রিংকী)-এর ব্লাড ক্যান্সার ধরা পড়ায় তাকে রোজ ৫ ব্যাগ A+রক্ত দিতে হচ্ছে। ঢাকার গ্রীণ ভিউ ক্লিনিকে ৩০৭ নম্বর কেবিনে তাকে ভর্তি করা হয়েছে। (হাসপাতালের ঠিকানাঃ ২৫/৩ গ্রীণরোড, ঢাকা)।

আজকের (১৫ই জুন,২০১২) ৫ ব্যাগ রক্ত যোগাড় করা গেছে। আগামীকাল কি হবে জানি না। আপনাদের পরিচিত কারো বা আপনার রক্তের গ্রুপ A+ হলে রক্ত দিয়ে আসুন উপরে লেখা ঠিকানায়। অর্থ দিয়ে এগিয়ে আসতে চাইলে, উপরে লেখা ঠিকানায় সরাসরি গিয়ে মেয়ের ভাই বা মায়ের হাতে টাকা দিয়ে আসতে পারেন। (সংগত কারণে বাবার হাতে টাকা দিতে নিষেধ করা হচ্ছে) অথবা ডাচ বাংলা ব্যাংকের যে কোন শাখায় টাকা পাঠাতে পারেন। Account name: Md. Helauzzaman Sarkar , Account number 135.101.15313
অথবা ০১৮৩৯৪৯১৪৫৩ নম্বরে অন্তত ১০ টাকা ফেক্সিলোড করে দিতে পারেন।

এই মুহূর্তে সবচেয়ে জরুরী কাজ হচ্ছে রক্ত দেওয়ার মানুষ খুজে বের করা।

ছোটদের নতুন পৃথিবী

ধরে নাও আজ পালটে গেল
এই পৃথিবীর নিয়ম,
ছোটদের আর মারছে না কেউ
বকছে না কেউ তেমন।
শিখছে ওরা হাতের শিল্প
প্রযুক্তি আর কাজ,
করছে যে আয় নিজের মত
হচ্ছে না আর ভার।
পড়ছে এখন নিজের টাকায়
দিচ্ছে না কেউ চাপ,
গবেষণায় শিক্ষা জ্ঞানে
পেরোচ্ছে তার ধাপ।
খুলছে অনেক বাচ্চা চালিত
সাহায্য কমিটি,
বাচ্চা সবাই ভাবনা করে
বানাচ্ছে সমিতি।
শিখছে নিতে দায়িত্ব ভার
বাড়ছে বুদ্ধিবৃত্তি,
দক্ষতা আর কর্মজ্ঞানে
হচ্ছে নতুন সৃষ্টি।
ছোটদের এই মজার জগৎ
কল্পনার এক মূর্তি,
তবুও যদি বাস্তবে আজ
ঘটতো এসব সত্যি?!!

বন্ধুদের জন্য ভালোবাসা

আমার নতুন বন্ধুরা,