ইউজার লগইন

কিশোরী, তরুণী ও নারীকে বলছি- সতর্কতা ২

যারা পর্ব ১ পড়েন নি, তারা সেটা পড়ে এসে তারপর এই পর্ব পড়লে আপনার সুবিধা হবে। বাইরের বিপদ জানার সাথে সাথে নিজের অভ্যন্তরের বিপদ জানাটা সমান গুরুত্বপূর্ণ।
আজকে সামাজিক কারণে কিছু সমস্যা/ বিপদগুলো নিয়ে বলবো। আশা করছি তথ্যগুলো সাহায্যকর হবে।

বিয়ের পাত্রের খোজখবর- বিষয়টা বিস্ময়কর হলেও সত্যি যে অনেক সময় পাত্র বা তার পরিবারের প্রদর্শিত তথ্যের উপর ভিত্তি করে, পাত্র সম্পর্কে ঠিকঠাক খোজখবর না নিয়েই পিতা-মাতা মেয়ের বিয়ে দিয়ে দেন। ফলাফল স্বরূপ বিয়ের পর জানা যায়-

-পাত্র মাদকাসত্ত
-পাত্র একজন বিশিষ্ট বেকার এবং এখন যৌতুক চায় নিজে দাঁড়ানোর জন্য
-পাত্রের কোন বিশেষ শারীরিক রোগ আছে যা সন্তান ধারণে বাধা স্বরূপ
-পাত্র মানসিক রোগী
-পাত্রের প্রথম স্ত্রী আছে, যার সাথে এখনো তালাক হয়নি
-পাত্র মানবী-বাণিজ্যের সাথে যুক্ত (বিয়ে করে রংমহলে বিক্রি করে দেওয়া)
-পাত্র অন্যান্য মারাত্বক অপরাধ চক্রের সাথে যুক্ত

ওদের বিয়ে-পরবর্তি জানা জীবনের কথা বলে আপনাদের ভয় পাওয়াতে চাইছি না। তাই সতর্ক থাকার স্বার্থে বলবো,আপনার বিয়ের কথা চললে আপনার মা-বাবাকে উপরোক্ত বিষয়ে খোজ নিতে বলুন। মা-বাবার সহযোগীতা না পেলে ভাই বা বন্ধুকে খোজ নিতে বলুন। তথ্যের উৎস হতে পারে- তার বর্তমান এবং পূর্বের কর্মস্থল এবং রেকর্ড, বর্তমান কোম্পানীগুলো তাদের কর্মচারীদের অনেক তথ্যই সংগ্রহে রাখে নিরাপত্তার খাতিরে। বন্ধুদের সাথে কথা বললে তথ্য যোগাড়ের আরো অনেক উপায় বের হয়ে আসবে।

চাকরীক্ষেত্র – মানব-মানবীদের কার্যস্থান বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এক হওয়ায় কিছু তথ্য জেনে রাখলে আপনার ঠান্ডা মাথায় সঠিক সিন্ধান্ত নিতে সুবিধা হবে।

-সহজে গায়ে পড়ে কেউ চাকরী নেওয়ার আমন্ত্রণ জানায় না। জানালে বুঝতে হবে তাতে সমস্যা আছে।
-আপনি যে কোম্পানীর বিজ্ঞাপন দেখে চাকরী পাওয়ার প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন, সে সম্পর্কে গুগল সার্চ ইঞ্জিনে একটু দেখে নিন আওদো এমন কোন কোম্পানী আছে কিনা। (কোম্পানী “ভূয়া” বা রেজিস্টার্ড কিনা এটা জানার উপায় আমি এখনো জানি না। কেউ জানলে এখানে জানাতে পারেন, কৃতজ্ঞ থাকবো)
-কিছু ক্ষেত্রে উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা সুযোগ পেলে স্পর্শ করতে পারে, স্পর্শজনিত কথা বলতে পারে, এমনকি বিছানা-প্রস্তাবও দিতে পারে প্রমোশনের কথা বলে।

বিষয়টা অনেকটা বাচ্চা মেয়েদের ললিপপ দিয়ে ভোলানোর চেষ্টার মত। এদের এড়িয়ে চলুন। এড়ানো সম্ভব না হলে বিনয়ের সাথে ব্যক্তিত্যে কিছুটা কাঠিন্য আনুন তাকে অনুৎসাহিত করার জন্য, খারাপ আচরণ নয়। তাতে কাজ না হলে আপনার কাছের কারো সাথে বিষয়টা নিয়ে আলোচনা করে দেখতে পারেন যে কি করা যায়।
আশা করা যায়, আলোচনা করে একটা ভালো সমাধান বেরিয়ে আসবে। সমস্যার কাছে হেরে যেতে হয়না, সমাধান খুজে বের করতে হয়।

বন্ধুর বাসা- বিশেষ করে আপনি যদি কিশোরী বা তরুণী হন এবং বন্ধুত্বের সূত্র ধরে কম বয়স্ক বন্ধু বা বান্ধবীর বাসায় নিমন্ত্রণ পেয়ে থাকেন (জন্মদিন, সারপ্রাইজ পার্টি বা যেকোন সেমিব্রেশন), তাহলে আপনাকে বলে রাখা ভালো যে কিছু ঘটনা আছে যেখানে নিমন্ত্রণে গিয়ে আবিষ্কার করা হয় মানবী হয়তো আপনি একা অথবা আপনার সাথে বান্ধবীটি শুধু। বাকীরা সবাই মানব এবং তাদের সংখ্যাই বেশী। বড় কেউ বাড়িতে নেই।
আরো স্পষ্ট করার জন্য বলছি, বাড়ীতে ডেকে এনে বান্ধবীর খাবারে অচেতন করার ঔষধ মেশানোর ঘটনা কিন্তু নতুন না। বাকীটা আর না বললাম।
তাই সবচেয়ে ভালো উপায় হচ্ছে, কোথায় যাচ্ছেন সে সম্পর্কে বাবা মাকে সম্পূর্ণ ধারণা দিয়ে রাখা। প্রয়োজনে সেই বন্ধুর ফোন নম্বর এবং ঠিকানা আপনার মা বাবাকে দিয়ে রাখুন, যেনো আপনার কোন বিপদে তারা সাহায্য করতে পারেন।
এছাড়া স্মার্ট ফোনে শুনেছি কিছু সফটওয়্যারের মাধ্যমে সংস্পর্শে থাকা যায়। পরিবারের কারো সাথে নিমন্ত্রণে গিয়ে সেভাবে সংস্পর্শে থাকতে পারেন।

আরো কিছু তথ্য আছে যা পরবর্তী পর্বে জানাচ্ছি। ততক্ষণ পর্যন্ত ভালো থাকুন। নিরাপদ থাকুন।

পোস্টটি ১০ জন ব্লগার পছন্দ করেছেন

নীড় _হারা_পাখি's picture


বেশ ভাল লাগল। তবে শেষ অপশন টা কিন্তু খুবই একটা জরুরি বিষয়। আসলে এই ক্ষেত্র গুলোতে তাড়াহুড়ো করা মোটেও ঠিক না । সময় নিয়ে না জানিয়ে খোঁজ খবর নেয়া উচিত। কারন জানিয়ে গেলে সমস্যা হলো সব জায়গায় নিজের লোক সেটিং দেয়া থাকে। কখন যাবেন সময় ক্ষন বা কি এসব বেপারে আগে থেকে না জানিয়ে খবর নেয়া টা ভাল। আর এসব বেপার গুলোতে আত্বীয় স্বজন যতই ভাল বলুক ভাল করে নিজের খোঁজ খবর নেয়া টা জরুরি। অনেক সময় উড়ো কথাও সত্য হয়। ধন্যবাদ আপা। লেখাটার জন্য।

শাহরিন রহমান's picture


অাপনি ঠিক বলেছেন। না জানিয়ে তথ্য নিতে যাওয়া উচিত।

সবচেয়ে ভালো হয় পরিবার থেকে এ উদ্যোগটা এলে। পরিবারের কয়েকজন মানুষ একসাথে বসে চিন্তা করলে খোজ নেওয়ার নানা উপায় বের হয়ে আসবে।

তানবীরা's picture


পড়ছি। তুমি কি অনেক তাড়াহুড়ো করে লিখছো? আর একটু গুছিয়ে লিখলে পড়তে আরো আরাম হবে। এধরনের লেখার জন্যে এটা জরুরী বটে

শাহরিন রহমান's picture


ঠিক আছে। ধীরে সুস্থে লিখবো। Smile

মডারেটর's picture


গ. "আমরা বন্ধু" তে শুধু নতুন লেখাই প্রকাশিত হবে। পুরনো লেখা রিপোস্ট করা যাবে না। অন্য কোনো কম্যুনিটি ব্লগে প্রকাশিত লেখা এবিতে প্রকাশ নিষিদ্ধ। এবিতে প্রকাশিত কোন লেখা ২৪ ঘন্টার মধ্যে অন্য কোনো কমিউনিটি ব্লগে প্রকাশ করা যাবে না। ব্যক্তিগত ব্লগ এবং পত্রিকা এই নিয়মের আওতার বাইরে।

ব্লগ নীতিমালাঃ http://www.amrabondhu.com/nitimala

নীতিমালা মেনে ব্লগে লেখালেখি করার অনুরোধ রইলো। লেখাটি ব্লগের প্রথম পাতা থেকে সরিয়ে নেয়া হইলো!

শাহরিন রহমান's picture


ঠিক আছে। খেয়াল রাখা হবে।

মন্তব্য করুন

(আপনার প্রদান কৃত তথ্য কখনোই প্রকাশ করা হবেনা অথবা অন্য কোন মাধ্যমে শেয়ার করা হবেনা।)
ইমোটিকন
:):D:bigsmile:;):p:O:|:(:~:((8):steve:J):glasses::party::love:
  • Web page addresses and e-mail addresses turn into links automatically.
  • Allowed HTML tags: <a> <em> <strong> <cite> <code> <ul> <ol> <li> <dl> <dt> <dd> <img> <b> <u> <i> <br /> <p> <blockquote>
  • Lines and paragraphs break automatically.
  • Textual smileys will be replaced with graphical ones.

পোস্ট সাজাতে বাড়তি সুবিধাদি - ফর্মেটিং অপশন।

CAPTCHA
This question is for testing whether you are a human visitor and to prevent automated spam submissions.

বন্ধুর কথা

শাহরিন রহমান's picture

নিজের সম্পর্কে

আমার লেখার জগতটাকে খিচুড়ি বলা যেতে পারে। কবিতা, গান আর নিজস্ব কিছু চিন্তাভাবনা + ভালোবাসার মেশেলে একটা অনুভুতিময় জগৎ। প্রিয় পাঠক, আমার খিচুড়ি Type লেখার জগতে আপনাকে সুস্বাগতম।