সর্বনাশ, জহির রায়হান ইসলাম-বিদ্বেষী!!
মাদ্রাসা শিক্ষার সেকাল এবং একাল
"হেফাজতের মূল আস্তানা হাটহাজারী মাদ্রাসায় ভর্তির সময় সব ছাত্রকে উর্দুতে লেখা একটি হলফনামায় সই করতে হয়। মাদ্রাসাশিক্ষার্থীরা কতটা দাসত্বশৃঙ্খলে আবদ্ধ তা বুঝতে এ হলফনামাই যথেষ্ট। এতে ছাত্ররা শপথ নেয়,কোনো ধরনের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে অংশ নিবে না,কোনো ছাত্র সংগঠনে যুক্ত হবে না,অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানের প্রকাশিত সংবাদপত্র,সাময়িকী ও বই পড়বে না,অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানে কোনো পরীক্ষা দেবে না, টেলিভিশন দেখবে না,খেলাধূলাসহ যে কোনো ধরনের পাঠ্যবহির্ভূত কাজে (এক্সট্রা কারিকুলার) অংশ নেবে না, মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের যেকোনো শাস্তি মাথা পেতে নেবে ইত্যাদি!” দেশের সব কওমি মাদ্রাসায় একই ব্যবস্থা চালু আছে বলে জানিয়েছেন হ্যাম্পটন ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক মুমতাজ আহমদ।"
(মাদ্রাসায় দাসত্বের অবসান হোক, মুজতবা হাকিম প্লেটো, মে ১১, ২০১৩)
বাংলাদেশে যে এত এত কওমী মাদ্রাসা, ফোরকানিয়া মাদ্রাসা এইসব আছে, এদের মাতৃভাষা কি? দেখা যাচ্ছে, এইসব মাদ্রাসার একটা অফিসিয়াল ভাষা আছে, যে ভাষাকে আমরা শুধু রাষ্ট্রভাষা হিসেবে মেনে না নিয়ে সেই '৫২-তেই রক্ত ঝরিয়েছিলাম। মাদ্রাসার ছাত্রদের বিজাতীয় পদ্ধতিতে মগজ ধোলাইয়ের জন্য হেফাজতে ইসলামের নেতা আহমেদ শফির হাটহাজারীর মাদ্রাসা সেই ভাষাকেই গ্রহণ করেছে। আর যেভাবে ব্রেন ধোলাই (ওয়াস) হচ্ছে, তাতে করে যে কী চিড়িয়ার জন্ম হবে, তা ১৯৫৬ সালেই ছাত্রাবস্থায় আমাদের আত্মানুসন্ধানী সাহিত্যিক চলচ্চিত্রকর শ্রদ্ধেয় জহির রায়হানই চমৎকারভাবে বলে গেছেন:
এখন যেখানে আছি সেটা একটা মস্তবড় বাড়ী। ছোট বড় মাঝারি মিলিয়ে এ বাড়ীতে সর্বমোট উনপঞ্চাশটে কামরা। এরই এক কোণে, পাশাপাশি তিনটে অন্ধকার কামরায় আমরা থাকি। বাবা, ম্যা, ছোট ভাই বোনেরা আর আমি। বাকি কামরাগুলোতে ছাত্ররা থাকে। মাদ্রাসার ছাত্র। এখানকার একটা নামকরা মাদ্রাসারই এটা হোস্টেল কিনা, তাই। জন্মের পর থেকে চারপাশে শুধু গোল টুপি আর লম্বা জোব্বাই দেখে আসছি আমি। যেদিকে তাকাই গোল টুপি। গোল টুপি আর লম্বা জোব্বা। যত দেখছি তত যেন নতুনভাবে আবিষ্কার করছি এদের। এদের চলন, বলন, কথন। এদের ধর্ম্ম শিক্ষা, রীতিনীতি, সময়ের বিবর্তন দিনের আলোর মত স্পষ্ট হয়ে ধরা দিচ্ছে আমার চোখে। মাঝে মাঝে মনে হয় আমি নিজেকে যতটুকু জানি তার'চে আরো ভাল করে জানি এদের। আর তাই, হয়তো তাই - এদের আমি দু'চোখে দেখতে পারি না।
গোল টুপি, লম্বা জোব্বা, একগাল দাঁড়ি, যে লোকটা আমার পাশের ঘরে থাকে, তাকে আমি দেখছি আজ চার বছর ধরে। দেখছি না যেন, গভীর সমুদ্র থেকে মুক্তোয় ভরা ঝিনুক আবিষ্কার করছি।
প্রথম আর পাঁচজনের মতই তাকে মনে হয়েছিলো আমার। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়েন, রোজা রাখেন, কোরাণ তেলাওয়াত কোনদিন বাদ যায় না তার।
সূর্য ওঠার অনেক আগে ঘুম থেকে ওঠেন। বেলা দশটা বাজতে না বাজতে গোসল সেরে খেয়ে দেয়ে দু'তিনটা কেতাব বগলে নিয়ে মাদ্রাসার দিকে ছোটেন। বিকেলে মাদ্রাসা ছুটি হয়ে গেলে, হোস্টেলে ফিরে চুপচাপ বসে বসে তছবি পড়েন।
তারপর কখন রাত নেবে আসে পৃথিবীর বুকে। আকাশে তারারা একটা দুটো করে জ্বলতে শুরু করে। নামাজ পড়া শেষ করে ভদ্রলোক আবার কেতাব নিয়ে বসেন পড়ার টেবিলে। ঢুলে ঢুলে কোরাণ আর হাদিশ মুখস্ত করেন। তারপর মাঝরাতে এশার নামাজান্তে বার কয়েক কলেমা দরুদ পড়ে বিছানায় এলিয়ে পড়েন।
এমনি করে দিন যায় তার। রাত কাটে। দিনে রাত্রে এই তার ছককাটা জীবন। ভদ্দরলোক খেলাধূলা করেন না, কারণ খেলাধূলা করতে হলে হাঁটুর ওপর কাপড় তুলতে হয়। আর, হাঁটুর ওপর কাপড় তোলা শরিয়তমতে নাজায়েজ। ভদ্দরলোক সিনেমা দেখেন না, কারণ সিনেমা দেখা আঃর বেশ্যা বাড়ীতে যাওয়া একই কথা। ভদ্দরলোক গান বাজনা শোনেন না, কারণ, ওসব শুনলে মরবার পর হাবিয়া দোখখে জ্বলতে হবে। ভদ্দরলোক বিড়ি সিগারেট খান না, কারণ, তাহলে খোদার ফেরেশতারা তাকে বয়কট করবে।
ভদ্দর লোক কিছুই করেন না শুধু তবছি গোনেন, নামাজ পড়েন। কেতাবের উপর চোখ বুলোন। আঃর ঘুমোন।
সত্যি, মাঝে মাঝে ভদ্দরলোকের জন্য বড় মায়া হয় আমার। দুঃখ হয়, ক্ষোভ হয়। মায়া হয় তখন যখন দেখি, মাথায় গোল টুপি চড়িয়ে, লুঙ্গি পরে আর জোব্বা গায়ে দিয়ে; নিরীহ গোবেচারার মত; কেতাব বগলে লোকটা মাদ্রাসার দিকে ছুটে এগোচ্ছে। দুঃখ হয় তখন, যখন দেখি পৃথিবীর রূপ-রস-গন্ধ, হাসি-আনন্দ-উৎসব সব কিছু থেকে দূরে, ঘরের কোণে বসে লোকটা একা একা তবছি গুনছে। আর ক্ষোভ হয় তখন যখন দেখি লোকটা তার এই তিলে তিলে আত্মাহুত হবার পথে অন্য লোককে আহবান করছে।
আমার এক বন্ধুর মতে এ ধরণের লোকগুলো মোটেই এ যুগের নয়। সত্যি করে বলতে কই, দশম থেকে চতুর্দশ শতাব্দীতে পৃথিবীতে আসবার কথা ছিল তাদের। কিন্তু প্রাকৃতিক দুর্যোগেই হোক কিংবা যে কোন কারণেই হোক তাদের এ পৃথিবীতে আসতে বেশ কয়েক শতাব্দী বিলম্ব হয়ে গেছে। তাই আজকের যুগে জন্মগ্রহণ করেও এ যুগের সাথে তারা নিজেদের খাপ খাইয়ে নিতে পারছে না। বিজ্ঞানকে তারা অবজ্ঞা করছে। দর্শনকে করছে অস্বীকার। যুক্তিতর্ক মানতে তারা কোন সময়েই প্রস্তুত হয়। অন্ধ ভক্তির দর্শনে সকল যুক্তিকে নস্যাৎ করার জন্যে এরা সব সময় খড়গ হস্ত। বৈজ্ঞানিক ও সুচিন্তিত যুক্তিতর্ক নিয়ে যদি কেউ এদের সম্মুখীন হয় - তাহলে ভয়ে এদের বাকরুদ্ধ হয়, বুক দুরু দুরু করে, নাভিশ্বাস উঠে। তখন দিক বিদিক জ্ঞানশূন্য হয়ে এরা চিৎকার করে বলে উঠে, 'আমরা যা বলছি তা বিনা যুক্তিতেই বিশ্বাস করো। কেননা বিশ্বাসে মিলায় বস্তু, তর্কে বহুদূর।'
এরপরেও যদি কেউ যুক্তি যুদ্ধ চালাতে তৎপর হন, তাহলে আঃর রক্ষে নেই। এরা এদের অন্ধভক্তদের আপনার পিছনে লেলিয়ে দেবে। আঃর তারা আপনাকে শুধুমাত্র জাহান্নামে যাও বলে ক্ষ্যান্ত থাকবে না। আপনার ধড় থেকে প্রাণটাকে বিচ্ছিন্ন করে তবে তৃপ্ত হবে।
এদের আমি ভালভাবেই জানি।
আমার চারপাশে বাতাসের মত বিরাজ করে এরা। আঠার মতো সেঁটে আছে আমার দৈনন্দিন জীবনের সাথে। কবে যে এদের হাত থেকে নাজাত পাবো তাই ভাবি মনে মনে।
[অংশবিশেষ, 'অপ্রকাশিত অসম্পূর্ণ গদ্য। জহির রায়হান চলচ্চিত্র সংসদ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক জহির রায়হানের অন্তর্ধানের ২০ বছর পূর্তি উপলক্ষে প্রকাশিত স্মরণীকা থেকে প্রাপ্য।
লেখাটি জহির রায়হানের ১৯৫৬ সালের ডায়েরী অনুযায়ী জানুয়ারী ১ হতে ১৯-এর মধ্যে লিখিত। এই সময়ে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বাংলা স্নাতক (সন্মান) ৩য় বর্ষের ছাত্র ছিলেন।]
তখনও মাদ্রাসা ছাত্র! তখনও মস্তক হারানোর ভয়!!!আমরা কি আদৌ ঐ অবস্থা থেকে মুক্তি পেয়েছি?
চার বছর ধরে তাঁদেরকে দেখছেন, তাহলে তো অনেক সময় ! ওয়ান, টু, থ্রি, ফোর !
মানে চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্র ! অনেক কিছুই বোঝেন।
আর নাজাত পাইতে হলে তো- সূর্য ওঠার অনেক আগে উঠে নামাজ পড়তে হবে, কুরআন পড়তে হবে, তছবি পড়তে হবে, বিড়ি সিগারেট খাওয়া যাবেনা, সিনেমা দেখা যাবে না, বিনা যুক্তিতে'ই আল্লাহ কে বিশ্বাস করতে হবে, তাহলেই আপনি নাজাত পাবেন।
আমার মনে হয়না, আপনি এই সব পারবেন। সত্যি আপনার জন্য বড় মায়া হয় !
(লেখাটা যার মন্তব্যটি তার)
জ্বী, আল্লাহ আপনাকে চোখ দিয়েছে, বুদ্ধি দিয়েছে, বোধ দিয়েছে। সেগুলোকে কাজে লাগাবার চেষ্টা করুন। অন্ধ হলে জঙ্গী হবার সম্ভাবনা থাকে। শুধু থাকে না জঙ্গী মুসলমানের জন্মটাও মাদ্রাসা কেন্দ্রিক। এরা মানুষের সমাজে বাসের অযোগ্য বলে পাহাড়-জঙ্গলে পালিয়ে পালিয়ে বেড়ায়। সত্যিকারের মুসলমান হওয়া এদের কাছে সম্ভব নয়। তার প্রমাণ সব জায়গায় এরা দিয়ে যাচ্ছে এবং দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে সব জায়গায়। অশান্তি ছড়াচ্ছে মানব সভ্যতায়। এরা মুসলমান হওয়া দূরে থাক। মানুষ পদবাচ্য কী না সেটাই প্রশ্ন।
(লেখাটি যার মন্তব্যটি তার)
যেখানে শুধু অন্ধের বাস,
চোখে দেখাটা'ই সেখানে শর্বনাশ!!
জহির রায়হানের লেখাটা আপনার পক্ষের দলিল হিসাবে উপস্থাপন করেছেন, এখনি সেটা আপনার বিপক্ষে চলে যাবে। এই জন্য কিছু লিখলে খুব সতর্ক অবলম্বন করা প্রয়োজন। আপনার উপস্থাপিত লেখার সাথে মন্তব্যের কোন মিল নেয়। মাদ্রাসাই জঙ্গীর জন্ম হয় " লেখার কোথাও এর উল্লেখ নাই। অন্ধ কে? চোখ থাকলে লেখাটা ভাল করে পড়ে নিবেন। তাহলেই মাদ্রাসার আদর্শ পেয়ে যাবেন। সাবধান! ডানে, বায়ে যাবেননা। নিজের মনগড়া মন্তব্য তৈরি করবেননা। মাদ্রাসাই জঙ্গী প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়না, সেখানে জাতির বাবাদের জানাজা নামাজের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। বুজেছেন!? আপনাদের তো জানাজা প্রয়োজন নেয়, তাই এতো বিরোধ।
আমি পাকা নিয়্যাত করেছি আমার সন্তানকে মাদ্রাসাই পড়াব। তাহলে সে নামাজ পড়বে, কুরআন পড়বে, হাদীস পড়বে, বিড়ি সিগারেট খাবে না, গান-বাজনা শুনবে না, সিনেমা দেখবে না,,,,,,,,,,,,,,,,,,,। শুধু আমি নই, আমার মত অনেকই নিয়্যাত করেছেন। আপনাদের স্থান শুধু এই ব্লগে। সাহস থাকে গ্রাম-গঞ্জ এসে একটা সেমিনার করুন, বক্তৃতা দিন। দর্শকের পায়ে একটাও জুতা থাকবে না ! বুঝতে পাচ্ছেন জুতা গুলো কথায় যাবে?
এহসান সাহেব, আপনি তাইলে আবার আইছেন ঘুইরা। তাইলে, আরাম কইরা বসেন। কথা শুনেন। আপনি যে এত আন্ধা এবং এত অবুঝ সেইটা বুঝি নাই। আল্লাহ আপনারে আরেকটু জ্ঞান-বুদ্ধি দিক। অবশ্য আপনের অন্তর যদি কহ্হর দিয়া মোড়া থাকে, তবে তো ভাল কোন কিছু আপনার অন্তরে প্রবেশ করিবে না।
জহির রায়হানের উপরে দেয় লেখাটাতে সুস্পষ্টভাবে যা বলা হয়েছে, তা নীচে আবার আপনার জ্ঞানের আলোর জন্য তুলিয়া ধরিলাম। দুঃখ যে, আপনে জহির রায়হানের লেখার মাজেজাটুকু বুঝিতে একবারে বুজদিল হইলেন। যাক্, নীচের লেখার মাজেজা উপলবব্ধি করিতে না পারিলে আমাকে আবার বলিবেন।
- বুঝতেই পারছেন, 'বৈজ্ঞানিক ও সুচিন্তিত যুক্তিতর্ক'-কে যারা ভয় পায় এবং উত্তর দিতে ব্যর্থ হয়, তারাই অন্ধ এবং অন্ধত্বের ফলশ্রুতিতে সহজেই জঙ্গী হইয়া উঠে। এইটা এত ভাঙ্গিয়া বলার কী দরকার! উপরের অর্থ যদি অন্তর দিয়া বুঝিতে পারেন, তবে মাদ্রাসা শিক্ষা যে জঙ্গী ছাত্রশিবির এবং জেএমবি এসব তৈরি করে, সেটা কি এখনো আমাদের অজানা? কারা সে সময়ে হাতে শিকল এবং তলোয়ার লইয়া ঢাকার রাস্তায় মিছিল করিয়া বলিয়াছিল, "আমরা হবো তালেবান/ বাংলা হবে আফগান/" কি ভাইজান, চুপ কইরা আছেন না কি?
উপরে জহির রায়হানের লেখা ছাড়া ভুমিকায় আরেকটা গবেষণাধর্মী লেখা থেকে উদ্ধৃত করিয়াছি। সেটা কি আপনার চক্ষুখানি এড়াইয়া গিয়াছে? না কি চক্ষু থাকিতেও আন্ধা হইয়া গিয়াছেন?
- অন্য কোন সংবাদপত্র, বই, সাময়িকী না পড়িলে যে কেউ অন্ধত্ব বরণ করিবে, তা বলাই ভাল। মাদ্রাসা ছাত্ররা যতই বহির্বিশ্বের জ্ঞান অর্জন করিবে, ততই জঙ্গী হওয়া থেকে দূরে থাকিবে।
জানিয়া অতিশয় খুশি হইয়াছি, আপনি আপনার সন্তানকে মাদ্রাসায় পড়াইবেন। অতিশয় উত্তম কথা। কিন্তু ভাইজান, আপনার সন্তানের বয়স কত? আমি জানি না। সে যদি অল্প বয়সের হইয়া থাকে, তবে সে তার জন্য অতি সুবর্ণ সুযোগ রহিয়াছে। অতদিনে ইনশাল্লাহ্ মাদ্রাসা শিক্ষার সংস্কার হইয়া যাইবে। ছাত্ররা বাংলা সাহিত্য পড়িবে, বিজ্ঞান পড়িবে, ডারউইনের প্রকৃতির বিবর্তনবাদ হইতেও জ্ঞান আহরণ করিবেন। যেহেতু মাদ্রাসায় ধর্মীয় শিক্ষা দেয়া হয়, সেহেতু অন্য ধর্মগুলো (হিন্দু, বৌদ্ধ, খৃষ্টান, ইহুদী) সম্পর্কেও জ্ঞান আহরণ করিবে। ভাইজান সবসময় পোলাও কর্ম কি খাওয়া যায়? তার সাথে শাক-সব্জি, মাছ-ভাত, পাস্তা-পিৎজা খাইলে শরীর কোন খাবার কেমন ভাল, শরীরের জন্য কতটুকু উপকারী তা বুঝিতে পারিবে। সবসময় পোলাও-কোর্মা খাইলে কি অন্য খাবারগুলোর মাজেজা বুঝিতে পারিবেন? সুতরাং কোন ধর্ম কতটুকু সত্য এবং ভাল, তা বুঝিতে হইলে অন্য ধর্ম সম্পর্কেও অধ্যয়ন করিতে হইবে। না হইলে হিন্দুরা কিভাবে বুঝিবে, তার ধর্ম সত্য না ইসলাম সত্য? মুসলামানরা কিভাবে উপলব্ধি করিবে ইসলাম সর্বশ্রেষ্ঠ ধর্ম? আর পড়াশুনা না করিলে কিভাবে গবেষণায় প্রমাণ হইবে শুওয়ের মাংস হারাম? বিধর্মীরা তো শুওয়ের মাংস খাইয়া বেশ ভালই দিব্যি নির্বিঘ্নে সময় কাটাইতেছে, তাদের জীবনে দারুণ উন্নতি করিয়াছে। তবে এই মাংস হারাম হইবে কেন? কুরআন বা হাদিস কি তার কারণ দেখাইতে পারিয়াছে?
শুনিতেছে, বর্তমান বাংলাদেশ সরকার চাহিতেছেন, মাদ্রাসায় বাংলাদেশের পতাকা নিয়মিত উত্তোলন করা হোক। এবং মাদ্রাসার ছাত্ররা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা জাতীয় সঙ্গীত সম্মানের সহিত গায়। সরকারের তরফ থেকে বেশ ভাল সিদ্ধান্ত। জানিয়া প্রীত হইলাম।
আপনি সিগারেট খান না। ভাল কথা। আমিও খাই না। সিগারেট খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ভীষণ ক্ষতিকর। কিন্তু সাম্প্রতিককালে গবেষকরা বলিতেছেন চিনি বা মিষ্টিও সিগারেটের নিকোটিনের মতই সমান ক্ষতিকর! আবার হাদিসে নাকি বলিয়াছে, খাওয়ার পর মিষ্টি খাওয়া রাসূলের সুন্নত। সুতরাং তাই যদি হয়, তবে মিষ্টিটা পরিমাণে কতটুকু খাইলে রাসূলের সুন্নত আদায় করা যাইবে, তাও গবেষণা প্রমাণ করিবে।
জ্বী, আমাদের স্থান ব্লগে কথাটা সত্য। আমরা চাইছি, পুরো বাংলাদেশটায় কম্পিউটার ছড়িয়ে পড়ুক। মাদ্রাসার ছাত্ররাও কম্পিউটারের ব্যবহার শিখিয়া ব্লগে আপনার মত আমাদের সাথে যোগাযোগ করিতে সক্ষম হোক। আর আপনিই বা ব্লগে সময় নষ্ট করতেছেন কেন? সাহস করিয়া গ্রামে গিয়া আল্টিমেট মেশিন ম্যান দেইল্যা রাজাকার সাঈদীর (যিনি এখন নিজামী, গোলামীর মত খোয়াড়ে দিন গুজরান করিতেছেন) মত গ্রামে গ্রামে ওয়াজ মাহফিল করুন। তবে সাবধান, ডানে বামে যাইয়া ইংরেজি, উর্দুতে বয়ান করিবেন না। আপনেরে হুশিয়ার কইরা দেওয়া হইতেছে। নাইলে গাঁ-গেরামের মানুষের পায়ের জুতায় মালা তৈরি করিলে তাহা কাহাকে পরানো হইবে, ভাবিয়া দেখুন একবার!!!
- জহির রায়হানের লেখাটাতে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের জঙ্গীত্ব আছে কী না, উপরের লেখাটা অন্তর চক্ষু মেইলা একটু পড়ার চেষ্টা করেন। খুবই তো কইলেন, ডান বাম না করতে, তাইলে এবার আপনি আর কইরেন না। স্বীকার যান, মুমিন মুসলমানের মত। না হইলে নিজের বেদ্বাতি কাজের জন্য জাহান্নাম কবুল করেন।
মন্তব্য করুন