ক্লিপ্টোম্যানিয়াকের ঘাম
সুলেমান বৈসা বৈসা মজাটা দেখতাছে। লোকটা বেশ অনেক্ষন হৈছে ঢুকছে দোকানে, কিন্তু উল্টাপাল্টা করছে বলতে গেলে খুবই কম, তাই ধরাটা সহজ হবেনা। কিন্তু সুলেমানের এত বছরের সুনামের কাছেই লোকটা ধরা খাইয়া যাবে নিশ্চিৎ।
নয়তো লোকটা মনে হয় পাকা খেলোয়াড়ই ছিলো...
আজকে ইঁন্দুর-বিলাই খেলাটা ভালোই জমবে বুঝা যায়, ভাবে সুলেমান।
১৬ বছর হৈলো সুলেমান স্টেডিয়াম মার্কেটের সেলসম্যানের কাজে আছে, প্রথমে ৪ বছর হাকিম ট্রান্সকম, পরে ঢুকলো মবিন এন্টারপ্রাইয, যেইটা পরে মালিক আর নাম বদলাইয়া উইনিং ইলেকট্রনিক্স হৈলো। ১২ বছর এইটাতেই আছে।
এই ১২ বছর আর হাকিম ট্রান্সকমের ৪ বছরের চাকরীতে, কোনো চোর (শপ লিফ্টার) তার ডিউটির সময় কিছু নিয়া যাইতে পারেনাই। এই ১৬ বছরে অন্তত ১৬ দুগুনে ৩২ বার সে দোকান থেইকা চোরের জিনিষ পকেটে ঢুকানের মূহুর্তে ধরছে।
এইটা সুলেমানের নিজের স্টাইল। দোকানে চোর ঢুইকা ঘুরাঘুরি করলেই টের পায়, কিন্তু শেষমুহূর্তের আগ পর্যন্ত কিছুই করেনা। একদম শেষ মুহূর্তে----------
লোকটা দোকানে ঢুকছে প্রায় ৫/৬ মিনিট হৈয়া গেলো, সন্দেহ করার মত যথেষ্ট সময়, এতক্ষনে সে নির্দিষ্ট কোনো জিনিষে হাত দেয়নাই-----ক্যালকুলেটরও দেখছে আবার ব্লেন্ডারও------লোকটা ঢুকছেও দোকানের ভীড়ের সময়----
সে জানে, এইসব চোর একটা নির্দিষ্ট মাত্রার ভীড় পছন্দ করে, খুব কমওনা, যেনো কাজটা সারতে সুবিধা হয়, আবার বেশিও না, যেনো ক্রেতাদের মাঝে আবার কেউ দেইখা না ফালায়------
যেই মুহূর্তে সুলেমান দোকানের সাম্নে দাড়াইয়া পাশের দোকানের রহমানের সাথে আলাপ করা শুরু করলো, লোকটা টুক কৈরা কিছু একটা পকেটে ঢুকাইয়া নিলো...খুব সম্ভব খুবই কমদামী কলমদানী কাম ক্যালকুলেটের------জিনিষটার দাম নাই, অষুধ কম্পানী গুলা ফ্রিতে দেয়, কিন্তু বেকুব লোকটার জানা নাই, নাইলে লাইনে নতুন, কারন কাছেই জাপান থেইকা ইম্পোর্টেড ক্যালকুলেটরও ছিলো------
সুলেমান যে ইচ্ছা কৈরাই লোকটারে সুযোগ কৈরা দিছে, লোকটা ভুলেও টের পায়নাই...
সেই মুহূর্তে দোকানে ঢুকলো, হাফ রীমড চশমা পড়া গালে মাশা ওয়ালা এক লোক, পেস্ট কালারের শাড়ী পড়া মহিলা নিয়া এক হাফ শার্ট লোক-----আর দোকানে আগের থেইকাই মাইক্রো অভেন দেখতাছিলো এক দাড়ি গোঁফ ছাড়া (মাকুন্দা) এক বুইড়া--
চোরটা দোকান থেইকা বাইর হবার মুহূর্তে খপ কৈরা সুলেমান ধৈরা বসলো তার হাত-------
"ওহে চুর মিয়া, ক্যালকুলেটরের দাম দিবানা? নাকি সেডা তোমার মামুর নামে বাকীতে লেইখা রাখুম??"
এমন ভ্যাবাচ্যাকা খাইলো লোকটা, অবাক হৈয়া গেলো সুলেমান..সে জানে, এরা খুব প্রফেশনাল হয়, এইরকম পরিস্থিতিতে জীবনেও ভ্যাবাচ্যাকা খায়না, দরদর কৈরা ঘামে না, লোকটার ঘামের চোটে তো হাত ধৈরা রাখা যাইতাছেনা ....
সাথে সাথে লোক কিন্তু জড় হৈয়া গেছে। দোকানের সব কাস্টোমার, আশেপাশের দোকানের সেলস ম্যান আর আরো কয়েকজন ক্রেতা আশপাশ থেইকা----------
উৎসাহী স্যালসম্যানেরা তো তখনই ধৈরা মাইর লাগায়।
সুলেমান এমনিতে একটু রৈয়া সৈয়া পিটানির পক্ষে, তার উপর কি একটা যেনো ঘাপলা লাগতাছে----তাই ইতস্তত----
চোরটা ধপ কৈরা বৈসা পড়লো মাটিতে----সবাই গোল হৈয়া দাড়াইয়া----
শুয়োরের মত ঘামতাছে ব্যাডায়---
কয়, এক গ্লাস পানি খেতে পারি?
আহা, আবার শুদ্ধ ভাষায় মাতে, যতসব ভুগিজুগি-----
পেস্ট কালারের শাড়ি পড়া মেয়েটা কয়
পুলিশে দিলেই হয়, এইসব মারামারির কি দরকার? মেয়েটার সাথের লোকটা (নিশ্চিৎ কৈরাই তার স্বামীর অভিনয় করছে, মনে হয় বদ, সুলেমান এইসব টের পায়) সমর্থান জানায়---
আরো কয়েকজন সমর্থন জানায়, আর হৈ হৈ কৈরা উঠে আরো কয়েকজন। সবার গলার উপরে গলা শুনা যায় হাফ রীমড চশমার (গালে মাশাওয়ালা)--------
"হ, খুব ভালো বলছেন, পুলিশের সাথে ওগো সারাজীবন যোগাযোগ, পুলিশে দিলেই তো ওগো শান্তি। যখনই দেখবেন, চুর ধরা পড়ছে, একদল আইসা অতি উৎসাহ নিয়া কয়, মাইরেননা, পুলিশে দ্যান!! ঐ যেইগুলান কয় পুলিশে দিতে, সেইগুলা সবই চুরের দলের লোক"
কাইনা আঙ্গুল দিয়া চশমাটা নাকের উপর ঠিকমত বসাইতে বসাইতে কয় চশমাওয়ালা।
কুঁকড়ে যায় পেস্ট কালারের শাড়ীর সঙ্গী, কিন্তু পেস্ট কালার ফোঁস কৈরা উঠে, "কি বলতে চান আপনি?"
সুলেমান তাড়াতাড়ি ঝগড়া থামাইয়া দিয়া চুরের দিকে মনোযোগ দেয়-----
মাথা নীচু কৈরা বৈসা আছে, মুখ তুলতেই দেখা গেলো চোখ দিয়া টপ টপ কৈরা পানি পড়তাছে, সাম্নে চুরি করা ক্যালকুলেটর নিজেই বের কৈরা রাখছে-------
চুরটা.."ভাই, আমি কি একটা কথা বলতে পারবো?"
চুরের এহেন আব্দারে কয়জন হাইসাই মরে, হাফরীমড চশমা কয় "মার হালারে------চুরের আবার কৈফিয়ৎ শুনা লাগবো নাকি?"
লোকটা তবু হাত জোড় কৈরা বলে "প্লীজ, একটু শুনেন ভাই"
চশমাওয়ালা ঠাশ কৈরা লোকের মাথায় একটা গাট্টা লাগাইয়া দেয়, উহ কৈরা উঠে লোকটা ..
বাকীরা থামায়, কেউ কেউ কথা শুনতে আগ্রহী...
চোরটা/লোকটা শুরু করে মাত্র-----
"ভাই আমি অসুস্থ"
চশমাওয়ালা হাসতে হাসতে কয়, কি, মাথায় ঠোকনা দেয়ায় কি ফিট হৈয়া পড়ার ভান লৈবা নাকি?
সুলেমান সন্দেহের দোলাচলে ভুগে। চোর চিনতে তার কখনৈ ভুল হয়না, কিন্তু এইবেলা কেমন সন্দেহ লাগে।
সে টের পায়, চোর চেনায় বা পিডানিতে চশমাওয়ালা তার চাইতেও বেশি অভিজ্ঞ, তাই খেলাটা চশমাওয়ালার হাতে ছাইড়া দেয় আপাতত------
লোকটা আবার বলে, "না ভাই, আমার অন্য অসুখ, আমি একজন ক্লিপ্টোম্যানিয়াক"
সবাই মুখ চাওয়াচাওয়ি করে, জিনিষটা কি রোগ, সেইটা কারো মনে হয় জানা নাই।
পেষ্ট কালারের সাথের জন জানায় হঠাৎ, "এটা হলো চুরী রোগ, কিন্তু চুরীর পিছনে রোগীর কোনো উদ্দেশ্য কাজ করেনা, সে নিজেকে কন্ট্রোল করতে পারেনা, নিজের অজান্তেই চুরী করে বসে, পরে নিজেই অনুতপ্ত হয়, আর চুরীর জিনিষ ব্যবহার বা বিক্রী করেনা"
চোরটা/লোকটা মরমে মৈরা গিয়া যেনো প্রেস্ক্রিপশন বাইর করে, হাতে নেয় সুলেমান-------
ঠা ঠা কৈরা হাইসা উঠে চশমা ওয়ালা, কয়, ভালোই তো সিস্টেম, যেনো জানতোই, আজকা ধরা পড়বো চুরী করতে গিয়া, তাই আইজই পকেটে প্রেক্রিপশন নিয়া বাইর হৈছে, সবই সাজানো
এইবার পেস্ট কালার বাগে পায়,
আপনাদের মত লোকেরা কখনৈ ভালো কিছুই চিনতা করতে পরেন্না, নিজে বদমাইশ হৈলেই কেবল সবাইরে খারাপ ভাবা সম্ভব
জনতা ডাবল মজার আনন্দে দাঁত বাইর কৈরা ফেলছে। আইজকা চুর পিডানো সম্ভব না হৈলেও, চুর ধরা ওয়ালাদের ঝগড়াতো দেখা যাইতাছে বিনামূল্যে---
চশমাওয়ালা গজগজ করে, আরে ধুর, এইসবের মাঝে মাইয়া মানুষ ঢুকে কেন?
খাড়ান, অখনি প্রমান হবে--
সুলেমানরে কয় চশমাওয়ালা, ভাই দেখেন, প্রেসক্রিপশনে ডাক্তারের মোবাইল নাম্বার দেয়া আছেনা? ফুন্দেন, দিয়া রোগীর নাম কৈয়া জিগান, কাহিনি কি?
চশমাওয়ালার বুদ্ধিতে মুগ্ধ হয় সুলেমান, আর আশেপাশের জনতা----
ফুন লাগায় সুলেমান, ফুন দিয়া ডাক্তার রে প্রেস্ক্রিপশন থেইকা নাম দেইখা নিয়া জিগায়, শিহাব উদ্দিন কি আপনার রোগী?
ডাক্তার প্রেসক্রিপশনের রেফারেন্স সিরিয়াল জানতে চায়, ফাইল বের করবে--
কিছু সময় নিয়া ডাক্তার জানায়, শিহাব উদ্দিন তার রোগী, ক্ল্যাপ্টোম্যানিয়া রোগাক্রান্ত, এইসব রোগীরা সামাজিক ভাবে সবসময় হেয় হয়, অনেকেই ভালো ফ্যামিলী থেকে হবার পরও, একটা মানসিক ব্যাধির জন্য নিগৃহীত হইতে থাকে, এদেরকে সামাজিক সহযোগীতা দেয়া উচিৎ করা উচিৎ।
সবাই লোকটার দিকে তাকায়, লজ্বায় মাটির সাথে মিশে যাইতাছে, চোখ থেইকা টপ টপ কৈরা পানি পড়তাছে, ঘামতাছে লোকটা দরদর কৈরা---- মাঝবয়সী লোকটা সমস্ত সম্ভ্রম হারাইয়া মাথা নীচু কৈরা---
পেস্ট কালার বিষ দৃষ্টিতে তাকায় চশমাওয়ালার দিকে...
ততক্ষনে যেনো মজা শেষ হৈয়া যাওয়ায়, অন্য দিকে হাঁটা দেয় চশমাওয়ালা.....
মায়া নিয়ে এগিয়ে গিয়া মধ্যবয়সীর হাত ধরে তুলে মেয়াটা....
মজা শেষ, জনতা ছত্রভঙ্গ হয়...
মগবাজারের এক বাসায়:
আমাদের ক্ল্যাপ্টোম্যানিয়াক বসে আছে, বর্দার আসার অপেক্ষায়। বিশাল ড্রয়িং রুমে জনা ১০/ ১২ লোক, সবাই বর্দার অপেক্ষায়।
বর্দা আসলেন আর ২০ মিনিট পরে। আইসাই ডাকলেন শিহাব রে।
বর্দা শুরু করলেন,
"আমাদের নতুন টেকনিকের প্রথম সফল এক্সপেরিমেন্টের সফল এক্সিকিউশন হৈলো, কি বলো শিহাব?"
বিনয়ী ভঙ্গিতে সম্মতি জানাইলো শিহাব।
"মিতু আর রুবেল ভালোই সাপোর্ট দিছে শুনলাম, গুড, টীম ওয়ার্কে অনেক কিছু করা সম্ভব, জনতার ইউনিটি অনেক ভাবেই দুর্বল কৈরা দেয়া যায়, সঠিক পরিকল্পনা থাকলে"------
যাই হোক, এইবার হুমায়ুন বল্, তোর প্ল্যানিং এ ঠিকঠাক মতই কাজ হৈছে, নাকি কিছু বদলাইতে হবে?
কোনায় বৈসা ছিলো হুমায়ুন, উইঠা আইসা বর্দার সামনে সোফায় বসলো--একমাত্র হুমায়ুনরেই বর্দা তুই কৈরা ডাকে আর হুমায়ুনও বর্দার সামনে সোফায় পাও তুইলা বসলেও কোনো কিছু হয়না---
হুমায়ুন শুরু করলো----
সবাই মুটামুটি ভালোই করছে, কিন্তু কিছু জিনিষে ফাইন টিউনিং দেয়া লাগবে---
যেমন, মিতুর এরকম আকর্ষনীয় কালারের শাড়ী পৈরা দৃষ্টি আকর্ষনের দরকার নাই। সুন্দরীর গায়ের পেস্ট কালার মনে থাকে মানুষের,), ডিস্ট্রাক্ট করার জন্য অন্য কিছু ভাবতে হবে আমাদের, মিতু এই লাইনের পাকনা পাবলিক, সে বোরখা পৈড়া গেলে আরো বেশি জিনিষ আনতে পারতাম, শুধু আমি বেশি কিছু আনতে পারিনাই----
আর ক্ল্যাপ্টোম্যানিয়াক যে হবে, সেও চাইলে একাধিক জিনিষ সটকাইয়া, শেষটার বেলায় ধরাটা খাইলে ভালো হয়, তাইলে বাকী গুলা সরানো যায়, যদিও এইটা নিয়া আরেকটি ভাবতে হবে, ক্ল্যাপ্টোম্যানিয়াক যে সাজবে, তারে সবচাইতে সেইফ রাখতে হবে।
কথার মাঝখানে চশমাটা ঠিক করে নাকের উপর তুইলা নেয় হুমায়ুন কাইনা আঙ্গুল দিয়া।
আর পরিকল্পনাটা ব্যাপক বিস্তৃতি দিতে পারলে, ডাক্তারের বদলে, ডাক্তারের অফিস হৈলে ভালো হয়, একটা মেয়ে ফোন ধরলে বেশি ভালো, ফাইলগুলা সব সাজানো থাকবে, যেমন শিহাব ক্ল্যাপ্টোম্যানিয়াক, হারুন মৃগী ইত্যাদি---
আর শিহাব যেই ভুলটা করছে, সেডা হৈলো, প্রেসক্রিপশনটা দোকানীর হাতেই রাইখা আসতো, আমি নিয়া নিছিলাম ভাগ্যিস।
আর আমার গালের মাশাটাও ঢাকতে হবে অপারেশনের সময়, এইটা মানুষের মনা থাকে, বা বর্ননার সময় চৈলা আসে মাশার কথা, তবে এই চশমার বদলে হাফ রীমড পৈরা যাওনের কথা মনে করানোতে হাসিবরে(পেস্ট কালারের সঙ্গী) ধৈন্যা-----
একটা জিনিষ বড় সুবিধার হৈছে, শিহাবের সারাদিন ধৈরা গরুর মত ঘামার ব্যামো টা-----
ঘর ফাটানো হাসি উঠলো সবার মাঝ থেইকা, শিহাবের গরুর মত ঘামের কথা শুইনা---
উলে ... বিলাই পোস্ট দিছে

পয়লা কমেন্টস কৈরা লই.. পরে পড়মু
একটু ডর খাইছি, পোষ্ট কি বেশি বড় হৈয়া গেলো নাকি?
)
কমেন্টগুলা দেইখা রিপ্লাই করতে মন্চাইতাছে, কিন্তু আজকা আমার নেটের জানি কি হৈছে, গেলো ১০ মিনিটে এই একটা কমেন্টের অপশন খুল্লো-----
যাই হোক, নেট স্পীড আসার লগে লগে সবার সাথে আড্ডানো শুরু করুম------
ধৈন্যা আপাতত দিয়া রাখি সবাইরে------
বিলাই ভাইজান, এককথায় মারহাবা.।.।.।.।.।.।।।
ইয়ো ম্যান, মারহাবায় হাবারে যতখুশি মারুন, বিলাই মারবেন না------
ধণ্যবাদ রাসেল ভ্রাত:----কুরিয়ান দিন কিরাম যায়?
আর কিরাম!!!!!!!!!!!!!!!!
যায় দিন ভালো আসে দিন খারাপ।
প্রতিদিন তিনবেলা ডলার উপ্রে আছি।
আর ভালো লাগে না।সুপারম্যানরে কবে যেন কিছু একটা কইরা বাড়ি যামুগা।

আরে, সুপারভাইজানই মা-বাপ অখন, ওরে না ক্ষেপাইয়া থাকলে এখেরে ভালো হবে ভাইডি--
মারহাবা। চুরি বিদ্যা যে বড় বিদ্যা সেইটা আবারও প্রমাণিত হইল।
আমি আগেও কৈছিলাম, না ধরা পড়ার মত চুরী বিদ্যায় আমার ব্যাপক আগ্রহ--
এই পোলাটার উচিৎ অন্য সবকিছু ছাইড়া গল্প লেখারেই পেশা হিসাবে নিয়া নেওয়া। এই বছরে পড়া সেরা গল্পটা লিখছে এই ছেলে...এই গল্পটা দ্বিতীয় সেরা হইতে গিয়াও হইলো না। কোথায় যেনো মালমশলাতে একটু খামতি পড়ছে। তয় দ্বিতীয় সেরাটা ও লেখবো এই দিব্যিতো দ্যায় নাই।
শাওন আপনের গল্প নিয়মিত পড়তে চাই।
হা হা হা, সব ছাইড়া গল্প লেখলে আর ভাত খাইতে পাওয়া যাবেনা.....
হ, এইরকম উৎসাহ না পাইলে আর গল্প লেখতাম কিনা, তাই জানিনা----এবি হৈলো আমার গল্পের যায়গা, এইজন্যই তো এবি আমার।
অনেক ধন্যবাদ ভাস্করদা------
আশীর্বাদ রাইখেন অলটাইম..
ভাস্কর ভাইয়ের মন্তব্যে সহমত। ভিন্ন ট্র্যাকে লেখা আপনার এক অনন্য বৈশিষ্ট্য। আপনে মুন্সী লোক।
মুন্সী? বংশ টাইটেল? আরে নাহ, আমার বংশ টাইটেল ভেন্ন-----

হয়, বিভিন্ন ট্র্যাকে লেখার একটা ট্রাই করি, এখনো তো শিখতাছি------
আরে ইডাও যদি না জানো, তালি পরে কিরাম করি হবিনে?
অলস মাস্তিস্কো, শয়তানের ল্যাবোরেটরী------
আপনার অলস মাস্তিস্কের সুস্বাস্থ্যপান করছি
ওহে বদ তুমার মাথায় এত আইডিয়া আসে কৈত্থিকা???
বিচ্ছিরী একখান লেখা লেখছো...
আরে ইডাও যদি না জানো, তালি পরে কিরাম করি হবিনে?
অলস মাস্তিস্কো, শয়তানের ল্যাবোরেটরী------
কারবার দেখো, এই কমেন্টে উপরে গেছেগা----আজব নেট।
জটিল...
জটিল, কিন্তু কুটিল নাতো আবার?
এক কথায় মুগ্ধ শাওন। আগেও দেখছি আপনার গল্পগুলো বেশ ভিন্নধর্মী আর মনে রাখার মতো হয়। চমৎকার এই গল্পটা পড়ে এখন আমার নিজেরও গল্প লিখতে বসে যেতে ইচ্ছে করছে
এত বেশি গল্প দেখি আশেপাশে, ডড় লাগে গল্প লেখতেই, সেই ডরেই মনে হয় এখটু আধটু ভ্যারাইটি আসে
--
সেইরাম একটা গল্প.. সেইরাম।



আপনে তো ভাই উস্তাদ মানুষ হইয়া যাইতেছেন দিন দিন।
বুইড়া আঙ্গুলে টিপি।
আমি তো ছুটুবেলার থেইকা উস্তাদ---
অসাধারণ এক কথায় অসাধারন।
.
কাকী, আপনে দুই কথায় অসাধারন কৈছেন, হবেনা, নাম্বার কাটা গেলো----
এইটা যে এরম গল্প হইবো পয়লা বুঝি নাই

এইখানে বিলাই সার্থক
শাওন ফ্যান ক্লাব খুলমু
গল্প পইড়া পুরা পাংখা হইয়া গেলাম। বিলাই পাংখা ক্লাবের আমি মেম্বর হইতে চাই।
হ, এখন এসি ক্লাবের দরকার নাই, আমার বাসায় একটা এসি দিয়া গেলেই ভালো হয়----

আর এইসব এসি ক্লাব, পাঙ্খা কিলাবের বদলে আমাদের জাতির জন্য প্রয়োজন, ইলেক্ট্রিসিটি ক্লাব খুলা-------আমীন।
ইলেকট্রিসিটি কিলাব আমার লাগপে না। আমারে এক্টা এ সি দিলে ব্যাপক খুশী হমু। আখিরাতে তুমি ৭০টা এ সি পাইবা।
আখিরাতে কি ইলেকট্রিসিটি থাকবে?
অসাধারণ
খুব সুন্দর।
টিমওয়ার্কের ব্যাপারটা সন্দেহ করছিলাম। মিলে গেছে।
ভালো লাগলো গল্পটা। তবু মনে হয়েছে চরিত্রগুলোর ডায়লগ প্যাটার্ন নিয়ে আরেকটু কাজ করা যেতো। কোথাও কোথাও একই ডায়লগ প্যাটার্নে কথা বলছে সব শ্রেনীর চরিত্র।
লেখার শুরুতে কিন্তু টীম স্পিরিটের কথা মাথায় ছিলোনা, ছিলো হৈ্তাছে, অতি চালাক হিসেবে সুলেমানের পুরাই বেকুব হওয়াটা দেখানো------
এখদম ঠিক কথা, একই প্যাটার্নের ডায়লগ হৈ্য়া গেছে ,ভালো একটা পয়েন্ট দেখাইলেন নাজু ভাই, থ্যাঙ্কুস, আরো কয়টা চরিত্র আনার ইচ্ছা ছিলো, সেইগুলার কয়টা আউটসাইডার হৈলে টীমওয়ার্ক বিষয়টাও আরো ভালো ভাবে আড়াল করতে পারতাম---------
আস্তে আস্তে এইভাবে শিখতে দ্যান----
অসাধারণ
ধন্যবাদ রুমন
পর পর দুটো সুন্দর গল্প পড়লাম।
অনেক ভালো লিখেছেন।
এখনো সুন্দর নির্ধারন কৈরা উঠতে পারিনাই, উৎসাহ নিয়া লেইখা যাইতাছি আপাতত---
পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ বস।
গল্পটা কয়েক লাইন পরতে না পরতেই ওই ঘর থেইকা বাপজান আমার চিল্লাইতাছে-
এত রাত হইসে এখনও ঘুমাও না কেন? পরতে থাকলাম, আবার চিল্লায়, থামতে পারলাম না। শেষ করলাম।
খুবঅয় ভাল লাগছে।আউগাইয়া যান, আপনার ধরা খাওয়ার চান্স কম...।
http://www.amrabondhu.com/shawon3504/514
এইটা পইড়া দেখো। এই ভদ্রলোক লেখার জাদুকর
আগাইতে আছি, কিন্তু চুরি টীমে আরো লোক দরকার

উৎসাহের জন্য অনেক ধন্যবাদ ভ্রাত----
আর সবদিন তো আর আমার গল্প থাকবোনা, তাই সময় মত ঘুমাইয়েন, নাইলে পরে আব্বায় মারবো---
গল্প পড়ে ভালো লাগছে।
ভালো লাগা জেনে খুশি লাগলো
নেট যা বান্দ্রামি ্করতেছে, আর কারেন্ট যার গুরুজন, এমন হালে ৩বার পোষ্টটা খুলে ৪বারের বার পড়তে পারলাম.। অনেক অনেক দারুন হইছে.।।। আসলেই শাওনের লেখা মারাত্নক.।। পড়ে ভালো লাগছে
কারেন্টের কথা আর বৈলেন না, ইদানিং তো আবার আধা ঘন্টা ১৫ মিনিট, এরকম ছোটো ছোটো স্লটে কারেন্ট যায়, মাঝখানের টাইম যায় কম্পু অন হৈতে হৈতে আর ডিস্ক চেক করতে করতে...হা হা হা..
বুদ্ধি ভালোই তো। কপিরাইট কইরা রাখেন।
কপিরাইট করলে পরে সবাই আমারে জব্বার কাগু ডাকবে---
ব্যাপক!!!
আরে, অনেক দিন পরে, কি খবর বোহেমিয়ান?
শাওনের নতুন গল্প চাই...
চেষ্টায় আছি দাদা....কেমন আছেন?
ভয়াবহ রোগ
আমার নাই, আপনার?
দুর্দান্ত।
ডাক্তারের মোবাইল নাম্বার প্রেসক্রিপশনে থাকে না, থাকলেও সেটা সিরিয়াল লেখে যে অ্যাসইস্ট্যান্ট তার নাম্বার। তাই তখনই কিছুটা আঁচ পাওয়া যায়, ঘটনা কী হবে। সেটা কিন্তু গল্পটা পড়ার আনন্দ বিন্দুমাত্র কমায় না। শাওনের গল্প নিজস্বতায় ভরপুর। খুঁটিনাটিগুলো সংলাপে কাভার করার কায়দাটা দারুণ।
================================================
অন্য কারো গল্প পোস্টে (খুঁজে পাচ্ছি না) কিছুদিন আগে গল্প ডিটেইলসের প্রাসঙ্গিকতা নিয়ে কথা হচ্ছিলো। তার সূত্র ধরে আরেকটু বলি। আমাদের সময় ব্রড কোশ্চেনের রাজত্ব ছিলো বাংলা প্রথম পত্রে। গাইড/নোট বইগুলোতে প্রতিটা গল্পের প্রশ্নোত্তরের প্রথমেই থাকতো গল্প-সংক্ষেপ। পাঁচ পাতার গল্পকে তিন পাতায় আঁটানো। সংলাপগুলোকে পরোক্ষ বাক্যে ঠাসানো, উপমা বর্ণনাবিস্তৃতির কাটছাঁট এসব চলতো। ব্লগে, এমনকি পত্রিকাতেও কিছু গল্প দেখে নোটবইয়ের গল্প-সংক্ষেপের মতো লাগে
ইশ, কমেন্ট আগে দেখিনাই আপু, দু:খিত, স্যরি।
(
প্রেসক্রিপশনের ব্যাপারটা একদম ঠিক আপু, কিন্তু আসর শেষে টীম লীডার যখন ফাইন টিউনিংয়ের কথা বলে, সেই সময়কার জন্য কিছু আইটেম রাখার দরকার ছিলো, সেইজন্য এই কাজটা করতে হৈছে।
আমিও গল্প পড়ার সময় দেখছি, ডায়লগ দিয়ে গল্পটার কিছু অংশ আগাইয়া নেয় লেখক রা, ডায়লগ ছাড়া অনেক সময়ই কেমন ধারা বর্ণনার মত মনে হয়, খুব ভালো লেখা হৈলেও, চেহারা দেইখা ঠিক গল্প মনে হয়না, এইজন্য ডায়লগ আনার চেষ্টা করি, আর গল্প আগাইয়া নিতেও মাঝে মাঝে কাজে দেয়।
আপনি আপু আর গল্প দেন না কেন?
তুমার থিম নিয়া দেখি হুমায়ূন চাচ্চু নাটক বানাইছে।
একটা মানহানির মামলা দাও।

করছে নাকি? আমি মেলা দিন টিভি দেখিনা!!
মনয় ব্যাটা এবিতে অতিথি হৈয়া পোষ্ট পৈড়া যায়!!!
এডারে আর কি কমু!! থাক, কিছু কৈরা খাইতে হবোনা?
মন্তব্য করুন