চোখের ভাষা
সখী ভাবনা কাহারে বলে
সখী যাতনা কাহারে বলে
তোমরা যে বলো দিবস রজনী, ভালোবাসা ভালোবাসা--
সখী ভালোবাসা কারে কয়?
সেকি কেবলই ছলনাময়?
ভড়কে গেলেন নাকি ভাই? না, রবি ঠাকুরের গানের আর কোনো অপ্রকাশিত ভার্শন ছিলোনা, ঐটা আমার মনের কথা কিনা, তাই ঐটুকু কাঁচি চালিয়ে দিলাম।
সেদিন বাসে উঠে লেডিস ছিট ছাড়তে গিয়ে মনে পড়লো, জীবনের লেডিস সীট টার কথা, এখনো খালিই পড়ে রৈলো। যুলফিকার বিয়ে করে এখন ৩ ছেলেমেয়ের বাপ, বড়টা শহরের সেরা স্কুলে ক্লাস টুতে পড়ছে।
হবেনা?
ভার্সিটি পাশ করেই ব্যাটা ড্যাঙ ড্যাঙ করে ক্লাসের এক বান্ধবী বাগিয়ে বিয়েটা সেরে ফেললো সেই তখন তখনই, বলে কিনা তাওয়া গরম থাকতেই রুটি ছেঁকে নেয়া ভালো । আর বিয়েও করলো কাকে? না, সুনন্দাকে। বলি কেন, মুসলমানের ছেলে ব্যাটা তুই, মুসলমান বিয়ে করতে পারলিনা?
ক্লাসের একমাত্র হিন্দু ছেলে হিসেবে সুনন্দার উপর কি আমার অধিকারটাই আগে আসবেনা?
আমি তো পছন্দ করতাম নাসরিন কে, কই, আমি কি গিয়েছিলাম নাকি এগিয়ে?
অবশ্য গেলেই কিবা হতো? একেতো ব্যাপক মুখচোরা আর লাজুক, তার উপর যদি পিতাদেব কোনোদিন কোনোরকমে শুনতে পেতো, আমি মুসলমানের মেয়েকে পছন্দ করেছি, তাহলে জুতোপেটা করে রাস্তায় নামিয়ে দিতো। আমার বাপটা যে কেনো এত চন্ডাল!!
এই বাপ শালার জন্যই তো আজ ৩৮ বছর হলো, অথচ লেডীস সীট টাতে কাউকে বসাতে পারলাম না।
কত শখ ছিলো, মাকে বউমা'র মুখ দেখাবো।
বছর দুই আগে, প্রায় হয়ে এসেছিলো, মেয়ের সবই ঠিক ছিলো, মেয়ের বাপও বড়লোক।
কি কোমল কান্তি মেয়ে, আহা, হাসলে গালে টোলও পড়তো। প্রায় পেকে এসেছিলোতো সম্পর্ক, সেইজন্যই মনে হয় আজও কাকলী'র জন্য বুকের কোনে হালকা চিনচিনটা রয়েই গেছে।
মেয়েটা কেমন ফটাশ ফটাশ করে ইংরেজী বলতো, বাংলাও বলতো কেমন রেডিও জকিদের মত--
যখন বলতো..
য়ামাকে বিয়ে কড়তে চাইলে য়াপনি কি কি কড়তে পাড়বেন?
তখন সুরেশের মত গুরুগম্ভীর ছেলেও ফিক করে না হেসে পারতো না।
অথচ, সেই মেয়েকে নাকি বাপ বাতিল করে দিলো লক্ষী ট্যারা অপরাধে?
এই লক্ষী ট্যারা জিনিষটাতে মনে পরে গেলো আরেক কথা, সে মনে হয় তিন চার বছর আগে, আমার বয়স তখন ৩৪/৩৫। ততদিনে বন্ধু বান্ধব সবার বিয়ে শাদী হয়ে আকার আকৃতিতে অলিম্পিক ব্যাটারী হয়ে আবার দুয়েকটা করে ৫৫৫ পেন্সিল ব্যাটারীও আমদানি করে ফেলেছে, অথচ ব্যাটারী বানানের পুরো প্রক্রিয়াটাই আমি তখনো জানিনা!! শেইম অন মি।
আমি তখন মরিয়া, বাসা থেকে বিয়ে না দিক, অন্তত প্রেম একটা করে বিয়ে করে ফেললে তো আর বাড়ি থেকে ফেলে দিতে পারবেনা?
ভাবি, তখন আসলে মতিভ্রম হয়েছিলো নিশ্চই, নয়তো প্রেম করে বিয়ে করে ঘরে তো ঘরে, বাপের জন্য তো পাড়াতেই ঢুকতে পারতামনা।
কিন্তু তখন আমার অতশত বোঝার সময় নেই। মাথার ঘায়ে কুত্তা পাগল অবস্থা।
প্রেম করা আমাকে দিয়ে কোনো কালেই সম্ভব না, বলেছিলো আমাদের ক্লাসের সুজন, সে এখন নামকরা সিনেমা পরিচালক, ৪ বছর আগেও ছিলো। সুজন ক্যাম্পাসে আর তার পরে কত প্রেম করেছে, তার কি আর হিসেব আছে?
পরে তো সিনেমা পরিচালক হিসেবে যখন বিখ্যাত হলো, তখন তো কত নায়িকার সাথে লটর পটর----ঐসব থাক।
আমি গেলাম সূজনের কাছে, কেমন করে প্রেমের অভিনয় করবো, তাই একটু তালিম নিতে। ভীষন ব্যাস্ত পরিচালক, আউটডোর স্পটের এদিক সেদিক চর্কি পাক খাচ্ছে, আবার আমাকেও সময় দিচ্ছে। আমাকে সবসময় গাধা ছাড়া কিছু না বললেও, আমি কোনো সমস্যা নিয়ে গেলে সে প্রায়ই চেষ্টা করে সমাধান করে দিতে।
আমি আমার দুখের গীত গাই আর তার শ্যুটিং দেখি।
উফ!! সেকি চিন্তা ভাবনা তার, সেকি ডিটেইলিং ম্যুভিতে।
এই এরে ঝাড়ি মারে তো ওরে চাপড় মারে টাইপ অবস্থা।
স্পট নির্বাচনকারীকে ডেকে দেয় ঝাড়ি--
কামরুল সাহেব, আপনের কি আক্কল কোনো কালেই হবে না নাকি?
এতবড় এরিয়াতে একটাও সোজা গাছ নাই? একটা সোজা গাছ ওয়ালা স্পট বাইর করতে পারেন না, পারেন খালি স্পট খোঁজার নামে প্রোডাকশনের টাকায় ঘুইরা বেড়াইতে?
কামরুল সাহেব হন্তদন্ত হয়ে কি খুঁজতে গেলেন জানিনা, কিন্তু আমি সোজা গাছের মাজেজা না জিজ্ঞেস করে পারলাম না।
দোস্ত, গাছের দরকার কি কারনে?
আরে, গাধা নাকি? সিনেমা দেখোস?
আমার সিনেমা দেখার অভ্যাস একটু কম, তবে কয়েকদিন আগেই ছায়াছন্দে শাবানার একটা গান দেখেছিলাম, সেটা বলতেই বললো,
তাইলে?
আমি তো ভাবি, তাইলে কি?
আরে, দেখোস নাই, শাবানা ববিতা ওনারা গান গাওয়ার সময় মাথের উপরের ডাল ধৈরা কোমড়টা একটু সামনের দিকে দিয়া হালকা হালকা দুলে?
তা তো ঠিক, তা তো ঠিক, তবে কিনা---ভাবনার কথাটা খুলে বলেই ফেললাম সূজনরে,
কিন্তু আধুনিক কালে কি আর এমন করে নাচে? দিতি, ইলিয়াস কাঞ্চন রে মনে হয় কোথায় জানি দেখছিলাম, ডান হাত কোমড়ে রেখে বা হাত শরীর থেকে ১২০ ডিগ্রি কোনে রেখে একটু একটু করে ঘুড্ডির কান্নি খাওয়ার মত আগুপিছু করে, গাছ ধরে ঝুল খাওয়া আধুনিক সিনেমায় কি মানাবে?
তুই, এর পরে আর সিনেমা দেখোস নাই?
দেখেছি মনে হয়, শাবনূর দের সিনেমাতেও তো একটু ঝুঁকে দুই কাঁধ দুইদিকে ঝুলিয়ে দুলিয়ে একরকম নৃত্য দেখেছিলাম মনে হয়।
হ্যা, ঐটারে বলে---যাই হোক, ঐ নাম শুইনা তোর দরকার নাই।
কিন্তু গাছ কি কাজে?
লাগে, এখনো নাচে গাছ লাগেরে। আগের মত আর ঝুলে না, দুলেও না, এখন গানে নায়িকা গাছ জড়াইয়া ধৈরা একটা পাও ঘসে, মানে উপরে ওঠা নামা করে।
আমি ভাবলাম, এইটা আবার কেমন নাচ?
যাই হোক, আমি কাজের কথায় গেলাম
দোস্ত, বিয়ে হচ্ছেনা, প্রেম করতে চাই। তোর তো এখন জানা শোনার অভাব নাই। ব্যাবস্থা করে দে না একটা, প্রেম করে বিয়ে করতাম।
বন্ধু অনেক্ষন বোকা - গাধা বাচক অনেক গালাগালির পর সাহাজ্য করতে রাজী হলো--
শোন, মুল ব্যাপারটা হচ্ছে, তোর চোখ।
চোখ?
হ্যা, চোখ। প্রথম প্রেম হয় চোখে। চোখে চোখে দেখা হবে, চোখে কথা হবে, আবার চোখে হাসবি, চোখে ডাকবি।
আমি পুরোপুরি ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে গেলাম। সিনেমার কোনো ট্রিক হলে আমিতো পারবো না, আজকাল নাকি আবার সিনেমাতে অনেক স্পেশাল এফেক্ট দেয়, আবার সিনেমা স্টাইল প্রেমে গানের সাথে আকাশ বাতাসে চাকভুম চাকভুম বাজনাও বাজে, রিয়েল লাইফে সেইসব সম্ভব না।
আমি দিশেহারা চোখে তাকালাম,
দোস্ত, সিনেমা ট্রিক না, রিয়েল লাইফ প্রেম।
আরে, সিনেমা কি রিয়েল লাইফের বাইরে নাকি? কি মনে করস তোরা আমাদের? আমরা কি রিয়েল লাইফ সম্পর্কে জানিনা নাকি? এইযে দেখস, গুন্ডায় গলা চাইপা মানুষ মাইরা ফালাইছে, কিংবা চাক্কু মাইরা নারী ভুড়ি বাইর কৈরা ফালাইছে, সেডি কি আকাশ থেইকা আসে? জীবনে পুলিশের রিমান্ড, ক্রস ফায়ার দেখস নাইতো, শুইনা কিছু বুঝস ও নাই----
আমি থামিয়ে দেই, কোন কথা কোথায় গড়ায়, কে জানে।
দোস্ত, প্রেম কিভাবে করবো, সেইটা জানতে চেয়েছিলাম---
সেইটাইতো কৈতেছিলাম রে গাধা। এখন তোর বিয়ার বয়স পার হৈছে মেলাদিন, তুই তো আর স্কুল কলেজের মাইয়ার সাথে প্রেম করতে পারবিনা।
আমি মুখ ফসকে জিজ্ঞেস করে ফেললাম, কেন দোস্ত?
দোস্ত আমারে পার্ভার্ট সহ আরো নানাবিধ উপাধিত ভুষিত করলো।
তারপর আলটিমেটাম দিলো,
আর যদি কথার মাঝাখানে বাগাড়া দিবি, তাইলে কাউন্সিলিং এইখানেই শেষ।
না দোস্ত, তুই বল--
হুমম, তুই এখন স্কুল কলেজের বা ভার্সিটির মাইয়াদের সাথে প্রেম করতে পারবিনা।
(মনে মনে ভাবলাম, আবার ভার্সিটিও বাদ পড়লো? তাহলে?----আরো একবার ভড়কে গেলাম, সূজন আবার পরকীয়ার কথা বলেনাতো??)
তুই প্রেম করতে পারবি এখন কর্মজীবি মহিলাদের সাথে।
মহিলা শুনে মনটা হালকা খারাপ হলো, কেনো মেয়েদের সাথে প্রেম করতে পারবোনা?
এখন তুই কর্মজীবি মহিলা পাবি কৈ? পাবি পাবলোক প্লেসে, কোনো অফিসে কোনো কাজে গেলে, তোর কলিগ হৈলে, কিংবা বাসে উইঠা। তখন তোকে যেইটা করতে হবে, চোখের খেলা খেলতে হবে, চোখে চোখে কথা বৈলাই প্রেমের খেলায় আগানের নিয়ম।
আমি জিজ্ঞেস করলাম, তোদের সিনেমা লাইনেও কি এইসব নিয়মের প্র্যাকটিস হয়?
আরে, হয়না মানে? তুই সুচিত্রা সেনের চোখের ভাষা দেখছোস কখনো? কি প্রেমময় অভিব্যাক্তি?
সুচিত্রা সেনকে অনেকেই পছন্দ করে, আমিও দুয়েকবার দেখছি অনেক পুরাতন সিনেমাতে।
কিন্তু সত্য কথা বলতে কি, সুচিত্রা সেনকে বেশি আবেগময় মূহুর্তে দেখতে আমার কেমন যেনো প্রতিবন্ধীর মত মনে হয়। মনে হয় একটা চোখের মনি মাঝখানে, আরেকটা সামান্য সাইডে চলে গেছে।
বন্ধুর সামনে অতকিছু বলতে পারলাম না, শুধু বললাম,
সুচিত্রা সেনের চোখের মনিতো কেমন যেনো সিমেট্রিক না...
আরে, সেইটাই তো বিষয়, চরম আবেগে চোখ ওরকম হয়ে যায়, এখন পর্যন্ত সিনেমার ইতিহাসে কেউ সুচিত্রা সেনের মত আবেগ দিতে পারেনাই, অতি আবেগে সবাই সামান্য মাত্রায় লক্ষী ট্যারা হইয়া যায়, তুই ও হতি, যদি আবেগ আসতো তোর।
আমি তো অবাক হয়ে থ মেরে গেলাম। সবারই---??
তুই কোনোদিন প্র্যাক্টিস করে দেখিস আয়নাতে, খুব করুন কোনো কথা মনে করে দেখিস, আয়নাতে তোর চোখও সামান্য ট্যারা দেখাবে।
আমি মনে মনে ভেবে রাখলাম, আজকেই গিয়ে আয়নাতে কোনো করুন কথা মনে করে দেখবো, করুন ঘটনা মনে করা কোনো ব্যাপার হবেনা। সেই সুবিধা করে দিয়েছেন আমার পতৃদেব, ওনার যেকোনো চন্ডালি ঘটনা মনে করলেই চলবে। নাহয় ফুপাতো ছোটো বোনের সামনে ২৭ বছরের ভর যৌবনের সময় জুতা পেটা করার কথাটাই মনে করবোনে---
সে কি গালির বাহার,
শুয়োর, জুতা দিয়া পিটাইয়া আজকে তোর চুল ফালাই দিবো।
কি আনঅথেন্টিক কথা!!
সূজন বলে চলছে এদিকে,
তার আগে তোকে চোখের কিছু ব্যায়াম করতে হবে, এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাক।
কিংবা এদিক তাকানো, সেদিক তাকানো, চোখে হাসা---
চোখে হাসে ক্যামন করে? হাসি মুচকি হয়, অট্ট হয়, ঠাঠানো হয় শুনেছি, চোখেও হয় নাকি?
আরে গাধা, এই কারনেই তোর প্রেম হলোনা, চোখে কথা বলতে না জানলে তুই ক্যামনে প্রেম করবি? আজকালকার ছেলেপিলেদের দেখছোস? ক্যামন ঠারে ঠারে কথা কয়? তুই আমি পাশে বৈসা রৈছি মুরুব্বী মানুষ, অথচ দুই উঠতি যুবক যুবতী এত লোকের মাঝেই কি ইশারা দিলো, দুইজনেই একটু আসি কৈরা উইঠা চৈলা গেলো আর ফেরৎ আসলে পরে দেখা গেলো মেয়ে ঠোঁটে লিপিস্টিক লাগাইতে লাগাইতে আসতাছে----
বাহ, এইসব বেশ টের পায় তো সূজন। এমন চোখ না হলে কি আর ডিরেক্টর হয়?
হুমম, তুই করবি চোখের ব্যায়াম। ডানে দেখবি, বামে দেখবি, চোখ পিট পিট করবি, মিটমিট করবি---
চোখ মারবো দোস্তো? আমি চোখ মারতে পারি-------
ওরে গাধা, এই হৈলো গাধার চোখের ভাষা, চোখের ভাষা মানে কি চোখ মারা নাকিরে?
ভুলেও চোখ মারবিনা, ৩৫ বছরের ধামড়া, তুই ৩০ বছরের কেজো মহিলারে মারবি চোখ? এই বু্দ্ধি নিয়া তোর প্রেম করতে হবেনা, যাহ-----
আমি বহু কষ্টে শান্ত করলাম সূজনকে।
নারে, আমি কি আর তাই করতে যাই নাকি? ওটা তো এমনিতেই বললাম।
হ, হ, তুই তো এম্নিতেই বললি, বেকুব কোথাকার।
তারপর দোস্ত, চোখের ভাষায় কি করবো?
চোখের ভাষায় কথা বলবি, পরে গিয়া চোখের ভাষায় কাছে আসার অনুমতি চাইবি, পরে চোখের ভাষায় কথা বলার অনুমতি চাইবি।
এত কিছু চোখের ভাষায়? আমি তো খেই হারিয়ে ফেললাম।
শোন, কাউরে পছন্দ হৈলে, তার কাছে গিয়া ছোটোখাটো কোনো কথা বলার ট্রাই করবি, যেমন বাস স্ট্যান্ডে দাড়াইয়া আসোছ, লাইনে, বলবি, এই বাসটা প্রতিদিন দেরী করে, এই টাইপ...
এই কথাটা আমার মনে ধরলো, এমন ভাবে তো কথা আগানোই যায়।
তারপর আমার চোখের ব্যায়াম চলেছিলো বেশ কিছুদিন।
এদিক দেখি, সেদিক দেখি। এমন ভাবে সামনে তাকিয়েও পাশের জিনিষ দেখতে পাওয়া যায়, তাইতো বুঝলাম, টার্ম টেষ্ট গুলোতে শিমুল কেমন করে সবসময় ফারিহার পাশে বসে ফারিহার সমান নম্বর তুলতো।
এরপর থেকে কি যে হলো, কখনো চোখ বড় করি তো কখনো কুঁচকে ফেলি।
বেশ মজাতো!!
লিখতে বসলে কেউ চা দিয়ে গেলে, কাগজের দিকে মুখ রেখেই কোনা করে চাই চা আনেওয়ালার দিকে।
শুধু বাপধন একদিন ঝাড়ি দিয়ে বসলো। বাড়ির জমিজমার ব্যাপারে কথা বলতে বলতে চোখের ব্যায়াম করছিলাম বেশ এদিক সেদিক তাকিয়ে। কথা নেই বার্তা নেই,
ওরে শুয়র, বাপের লগে চোখ টাটাস হারামীর ঘরে হারমী?
আমার বাবার মুখ যে কেনো এত খারাপ??
এরপর একদিন এলো আমার চোখের ভাষা যাচাইয়ের সেই পরীক্ষা।
একদিন বাসে বসে আছি। কয়েক স্টেশন পরে এক মহিলা উঠলো বাসে, দেখেই ক্যামন বুঝলাম, হবে!!
আমার কেনো জানি সেদিন মনে হয়েছিলো, আমার শুভদিন!!
মহিলা ঠিক আমার পাশে এসেই দাড়ালো। চোখ তুলে চাইলাম। চোখটাকে একটু বড় বড় করলাম, সেটা ছিলো চোখের ভাষা:
এত সুন্দরী তুমি, তোমাকেও দাড়ইয়ে যেতে হবে? এ কেমন সমাজে বাস করি আমরা?
ওমা!! সেও দেখি কম যায়না, চোখ দুটি নিমীলিত করে চোখের ভাষাতেই জানায়:
দেখুনতো..
বাহ বাহ, একেই বলে মানিক জোড়!!!
এবার মুখেই বললাম,
আপনি দাড়িয়ে না থেকে, আমার সীট টাতে বসতে পারেন।
সেও মুখে জবাব দিলো, যদিও মনে হচ্ছিলো, আমাদের সেদিন, মুখের ভাষা নিতান্তই লৌকিকতা..
নানা, আপনি বসুন।
না, বসে পড়ুন..বলে আমি সীট টা ছেড়ে উঠে দাড়ালাম। সেও বসতে বসতে বললো,
আপনি কি পরের স্টেশনেই নামছেন?
যদিও আমার স্টেশন অনেক দুরে, তবুও বললাম, হ্যা। ঐযে, লৌকিকতা, সবই বাসের বাকী লোকদের ভুল বোঝাবার জন্য। সেও জানে, আমিও।
আমি তার পাশ ঘেষে দাড়িয়ে রৈলাম।
চোখে চোখে কথার সে সূবর্ণ সময়:
চোখে চোখে বললাম,
এতদিন কোথায় ছিলে?
সেও চোখ কুঁচকে শ্রাগ করে বললো,
আহ, জানোনা বুঝি? জানতে না তুমি? তোমারো লাগিয়া পরানে চাহিয়া..
আমি আবার বললাম,
এখন থেকে তাহলে পাশাপাশি পথ চলা?
সে হঠাৎ উঠে দাড়ালো, এবার মুখেই বলে উঠলো:
এই লোফার, উপর থেকে উঁকি দিয়ে বসে থাকা মেয়েদের দিকে তাকিয়ে কি দেখেন?
ওমা ওমা, আমার মাথায় বাজ পড়লো বুঝি!!
এই বুঝি তোর চোখের ভাষা রে শয়তান। ও, মহিলারা তো শয়তান হবে না, হবে শয়তানি বা মহিলা শয়তান। সে যাই হোক, কিন্তু তখন আমার বাসে মার খাবার যোগাড়।
মহিলা বলেই চলছে—
দেখুন, এই লোফারটা কেমন সীট দখল করে টোপ ফেলে বসে ছিলো।
মেয়েদেরকে সীট ছেড়ে দিয়ে গা ঘেঁষে দাড়িয়ে থাকে, আর উপর থেকে উঁকি মেরে মেরে দেখে। এইসব আধবুড়াদের জন্য মেয়েরা আজকাল বাসে উঠতে পারেনা।
বাস ভর্তি হৈ হৈ অবস্থা----
এরপর কি হলো, সেটা খুব বেশি জরুরী না, কিন্তু তারও পরে যেটা হলো, সেটা হচ্ছে, আমার চোখের ভাষা ব্যাবহার করা বন্ধ হয়ে গেলো চিরজীবনের জন্য।
টুটুল ভাই আশেপাশে নাই, তাই প্রথম মন্তব্যটা করে যাই। ছোটগল্প ট্যাগ দিয়ে দিয়েছেন, তাই বলতেও পারছি না; এই গল্প আরো অনেকদূর পর্যন্ত চলা উচিত ছিলো। শাওন ভাই, আপনার লেখা পড়ার সুযোগটাকে সৌভাগ্য হিসেবে নিচ্ছি আজ-কাল। ভালো থাকবেন।
হাহা, পয়লা কমেন্টের জন্য শুভেচ্ছা----
আমি তো আরো রেগুলার আপনার লেখাগুলো পড়ে মুগ্ধ হতে থাকি, এমন ফ্লুয়েন্সিটা আনতেই পারতাছিনা, আপনার মত--
যদিও নেটের স্পীডের জন্য লগিন হওয়া, তার পর কমেন্ট করার জন্য যেই টাইম লাগে, তাতে হয়রান হয়ে গিয়ে আর কমেন্ট করা হয়না, সেইজন্য কিন্তু আবার আপনার লেখাগুলো পড়িনা, সেরম না-----
পাঠ নেয়ার চেষ্টায় আছি আপনার লেখা থেইকা---
অসাধারণ অসাধারণ শাওন ভাই অসাধারণ।
অনেক ধন্যবাদ আশফাকুর র..
আপনাকে আগেও একটা কুশ্চেন করছিলাম মনে হয় খেয়াল করেননি, নামের শেষে "র" দিয়ে কি বুঝায়?
নাচের কাহিনী শুনে তো হেসেই মরে গেলাম, সাথে চোখের ব্যায়াম
আপনের কথার স্টাইল কেমন চেনা লাগে, কেডা আপনে?
আরেকটু হলেই তো দিয়েছিলেন লেখাটা মিস করিয়ে। দারুণ লাগল গো দাদা!!
বলি বিলাইয়ের ছানা-পোনা কবে হবে গো!! কেউ তারে ব্যাটারি বানানো তো শিখাও
হবে হবে সবই হবে শুভ, তয় এডা আমি না, ব্যাটারী বানানের নিয়ম কানুন তো ধর গিয়া------হুমম
ব্যাটারির উপমাটা দারুণ লাগছে।
)
সিনেমার নাচের বর্ণনা আরও সরস হতে পারতো। (সোজা গাছে তাহলে পোল-ড্যান্স চলে?
চোখের ভাষার সংলাপটা স্বগতোক্তির মতো করে চিত্রায়িত হলে নাটক-সিনেমায় বেশ লাগবে।
শাওনের অন্যান্য ছোটগল্পের তুলনায় এটায় কিছু অযত্নের ছাপ রয়ে গেছে। হিন্দু ছেলে বাবার প্রসঙ্গে পিতৃদেব শব্দটা একাধিকবার ব্যবহার করেছে কিন্তু পিসতুতো বোন না বলে ফুপাতো বোন বলছে-- এটা বেশ চোখে লাগছে।
==========================================
কিছুটা অপ্রাসঙ্গিক- দেশে অবিবাহিত পুরুষ সহকর্মীদের বেশীরভাগকে দেখতাম ৩০+বয়সে উচ্চমাধ্যমিকের ধারেপাশের পাত্রী দেখতে বা বিয়ে করতে। এটাকে বলতাম সতেরো-র নামতা সিনড্রোম।
১৭ একে ১৭
১৭ দুগুণে ৩৪
নুশু মেডামের কাছে পোল-ড্যান্স নিয়া বিস্তারিত জানতে চাই। পারলে সচিত্র বর্ণন।
"ফুপাতো বোন" নিয়া আমিও প্রথমে আপনার মত ভাবছিলাম। কিন্তু ভেবে দেখলাম শাওন ই ঠিক। হিন্দুরা নিজেদের মধ্যে বা ঘনিষ্ঠ পরিবেশের বাইরে এই শব্দগুলি ব্যবহার এখন কমই করে। আমার হিন্দু কলিগ আমাদের সাথে কথা বলার সময়, আব্বা, আম্মা, খালা, চাচা এই শব্দগুলিই বলে। তারে কোনোদিন জল বলতে শুনি নাই।
অপ্রাসঙ্গিক:
বাঙালি নারী
কুড়িতে বুড়ি।
দেখেন এইটা শুধু বাঙাল মরদের দোষ না। আল্লায় ঠিক কইরারাখছে জান্নাতে মরদের বয়স হবে ৩৩ আর জেনানার ১৬।
বিষয়ডা তাইলে হৈলো গিয়া শরীয়ত মোতাবেক, না ভাই?
ব্যাটারীর উপমাটা আপু সম্পূর্ন আমার নিজের আবিষ্কার!!!

চোখের বর্ননাটা নিজের আইডিয়াটা না
অযত্ন? হৈতে পারে আপু, তার চাইতেও বড়, এক্সপিরিয়েন্সের অভাব, একেকটা একেকরকম লিখতে গিয়া অনেক কিছুই সময়মত মনে পড়ে না, আর লেখার পরে তাড়াহুড়া কৈরা পোষ্ট কৈরা দেই, পৈড়া দেখা হয়না--এইটা সবসময়ের সমস্যা আমার।
এইযে পিসতুতো বোন, এডা আমি জানি, কিন্তু মনেই ছিলোনা-----অবশ্য বাংলাদেশে মনে হয় অনেকে ডাকে ওমনে, না আপু?
এডা আমি এডিট কৈরা দিবো--
১৭ দুগুনে ৩৪:
আমার নিজের যেইসব জিনিষ অপছন্দ, মনে হয় আমার লেখার ক্যারেক্টার গুলারে সেইসব বৈশিষ্ট্য দেই আমি।
চোখের ব্যায়ামটা মনে হয় নিজের আত্মজীবনী??

পরীক্ষার সময়কারটা সম্পূর্ন নিজের জিনিষ, বাকীগুলা নয়..
ওরে নয় নয় নয়, এমন নয়...তবে যা রটে, তার সবটুকুই তো আশে পাশেই ঘটে!! ঠিক না?
শাওনের গল্প কওনের ধরণ আমার অনেক পছন্দ। তয় নুশেরার মতোন আমারো মনে হয় এই গল্পে কিছু অযত্নের ছাপ রইয়া গেছে যে কোনো কারনেই হোক। আমি একটা কারণরে চিহ্নিত করতে পারছি। অন্যান্য গল্পে তার চরিত্রগুলি যেমন কইরা স্পষ্ট হয় এই গল্পে সেইরম হয় নাই। যেমন গল্পে মূল চরিত্রের বাইরে সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র হইলো সিনেমার পরিচালক বন্ধু...এই চরিত্র যেমনে কইরা প্রেম শিখাইলো সেই জায়গাটা আসলেই মজার লাগছে, অনেক শাওন লাইক স্যাটায়ারিক/সার্কাস্টিক হইছে। কিন্তু চরিত্রটার শুরু শাওনের অন্য গল্পের মতোন রিয়ালিস্টিক লাগে নাই। পেশাগত কারনে তথ্য গুলি জানা থাকাতেই আমার চোখে লাগছে, অন্য পাঠকগো সেইটা হয়তো তেমন লাগবো না এইটাও অবশ্য আমার মনে হইছে। সিনেমার ক্ষেত্রে গান বা নাচের পরিচালক আলাদা হয়। এইটা একটা স্পেশালাইজ্ড জায়গা। মূল পরিচালক হয়তো সারা সিনেমা লইয়া ভাবে কিন্তু গানের কোরিওগ্রাফ-কস্টিউম-আর্ট ডিরেকশন-প্রোডাকশন ডিজাইন এইগুলি ডিরেক্ট করার আলাদা লোক থাকে...সেইখানে ডিরেক্টরের প্রতিপত্তি কম থাকে, তাই সুজনের চরিত্রটা আমার কাছে নাটুকে লাগছে একটু, যেইটারে মেইক বিলিফ লাগে...
তয় হাফিজার ক্রিয়েটিভিটির মতোন গল্প তো আর প্রতিদিন লেখন যায় না...গল্পের বেসিক মজাটা নিতে পারছি...শাওন দিন দিন আমার প্রিয়তর গল্পকার হইয়া উঠতেছে সাম্প্রতিক লেখকগো মধ্যে...
এই গল্পটা দাদা মূলত টানা সঞ্জীব পড়ার একটা আবেশ টাইপ। ঐ স্টাইল কমেডি আনতে চাইয়াও নিজের স্টাইল আইসা পড়ছে।
তবে যেই স্টাইলটা রৈয়া গেছে সেডা ঐযে আপনে বললেন, ক্যারেক্টার গুলা আর স্পষ্ট হয়নাই। এইটাতে মূলত ডায়লগ বা ভাষার স্টাইলে নযর দিছি।
সিনেমা বানানো সম্পর্কেও খুব কম জানি আবার হিন্দু পরিবারের কালচার সম্পর্কেও কম জানি আরকি, সেই জন্য ফ্লগুলা রৈয়া গেছে।
অবশ্য সিনেমায় যেইটা বললেন, সেইটাতে আমি ভাবছিলাম, যে যেই সাইড ই দেখুক, পরিচালক তো নিশ্চই সব সাইডের সমন্বয় করবে, এই জন্য যেইখানে স্যুটিং হবে সেইখানে তার সব ডিপার্টমেন্টের চাহিদা মিটে কিনা, সেইটা সে দেখবে।
কিন্তু আপনের আর নুশেরাপু'র কমেন্ট পৈড়া ফ্ল গুলা ধরতে পারতাছি---
ঠিক করার ট্রাই করুম, এইভাবে উৎসাহ দিয়া যাইয়েন।
ভাল হইছে। পড়তে ভাল লাগছে, এটাই বড় কথা।
আপনার পড়তে ভালো লাগছে জানলেও অনেক ভালো লাগে, অনেক ধন্যবাদ মাসুম ভাই।
অনেক মজা পাইলাম পড়তে। পাবলিকের আলোচনা পইড়া এখটু ভড়কায়া গেছি। নাইলে কইতে চাইছিলাম বিগত পাঁচ দশ বছরে এরম মজার গল্প পড়ি নাই।
ওরে বাবা ৫/ ১০ বছর?

এত প্রশংসা আবার হযম করতে পারুম না রায়হান ভাই...
আমি তো আপনের কথায় ভড়কাইয়া গেছি!!
ভালো লাগছে খুউব। আত্নকাহিনী দারুণ করে লিখছে বিলাই।
আমারে দেইখা ৩৮ বছরের মনে হৈছে তোমার?

ধুর, এই জীবনেই আর রাখার দরকার দেখিনা!!!
তুমি তো নিজের কাহিনী অন্যের উপরে দিয়া চালায়া দেও সেইটা কইলাম আর কি। শুক্কুরবারে ডেটিং কেমন হইলো, কইলা না তো কিছু!
হ হ, দুনিয়ার যত প্রেম কাহিনি লেখুম, সেডির সবই আমার আত্মজীবনী? তাইলে তো আমি ক্যাসানোভা হৈয়া যামু রে---
এইটার উত্তর দাও।ঘটনা সত্য নাকি?
নারে ভাই, সেই কপাল নাকি?
একদম প্রিপারেশন ছিলো যাবো, কিন্তু বাসায় অসুস্থতা, থাকতে হৈলো ইমার্জেন্সি অবস্থার জন্য।
এইজন্য আড্ডাতে যাওয়া হয়নাই, কাউরে জানাইওনাই।
পইড়া আরাম পাইলাম।এর পর থেইকা নূড়ানী চইশমা পইড়া
চুখে খেলা খেলতে হৈবে। 
আরামের জন্যই তো সোয়ান ফোম!!
নূড়ানী চশমিশ ফ্যান কিলাবের মেম্বর হৈয়া গেলে ফ্রীতি চাংগেলাস পাইতে পারেন..
কাল সকালে পড়েছিলাম।ভাল লাগছে।তাই হাজিরা খাতায় সাইন দিয়ে গেলাম।
অফটপিকঃ পরশু সিরাত এসেছিল।কাল সারাদিন একসাথে ঘুরাঘুরি করলাম।
আর আমি কত পরে দিলাম কমেন্টের জবাব, আমার কান মলা...
সিরাতের সাথে দেখা হৈছে? আহা, ছোটো ভাইডা কেমন আছে?আমি তারে আবার ব্যাপক লাইকাই---
সিরাতের সাথে কি আগের থেইকাই পরিচয় ছিলো?
নিজে নিজে কান মলা খেলে হবে না বাবু।
সিরাত ভালোই আছে।সিরাতের সাথে সেদিন পরিচয় হলো।ও আমার রুমমেটের দোস্ত।
ও, সেই কাহিনি? আপনের রুমমেইট কি নজরুল নাকি?
না আমার রুমমেটের নাম নকীব।আমার সাথে আসছে।গত ফেব্রুয়ারী।
নজরুলটা কে? কাহিনী কি?
ঐ, নজরুল নামেও সিরাতের এক ফ্রেন্ড বা ছোটো ভাই আছে কোরিয়াতে, ভাবলাম সেইখানে গেছে, নকীব তো অনেক পরে গেছে মনে হয়, এইজন্য তার কথা শোনা হয়নাই।
বিয়াপক মজা পাইলাম... বিলাই জিন্দাবাদ
একটা ভাবের কমেন্ট দিতে মন্চাইছিলো, কৈতাম, পাঠকই সব, সের লিগা য়াযাদ ভাই জিন্দাবাদ---কিন্তু আমারাবার ভাবের কতাহ আসেনা, তবুও য়াযাদ ভাই জিন্দাবাদ।
তুমি হালায় একটা জিনিস...
জিনিষ কৈতে আবার মাল কও নাইতো? বুইঝো কিন্তু---
আরে নাহ, জিনিষ না, তোমাদের উৎসাহ গুলাই এডি...
মুখের ভাষাই এখনও ঠিকমত শিখতে পারি না । তুমি আবার এখন কইতাছ চোখেরও নাকি ভাষা আছে । আফসুস
আমি কুনসুম কলাম? এডি তো কৈছে সিনেমা ডিরেক্টর----
নাহ, তুমি তো শিশু, ভাষা শেখার আরো টাইম আছে, ঠিক না?
ইখানেও দেহি বিলাই আছে
এপার ওপার কোনো পাড়ে যাইনা, ও, আমি সবখানেতেই আছি!
শাওনের পোস্টগুলা দেখি এখানে আরও ফাটাফাটি!
ফেটেফেটে গেলেতো বস খারাপ হৈলো!!
ভাল হইছে। পড়তে ভাল লাগছে, এটাই বড় কথা। আমি সব সময়ই বিলাইয়ের লেখা ও কমেন্টের ভক্ত। শুধু বিলাই যে ৩৮ সেটা জানতাম না
সুচিত্রা সেন প্রসঙ্গে একমত কিন্তু উত্তম কুমার প্রসংগটা এড়ানোর তীব্র নিন্দা জানাই। বেক্কলের মতো চুল আঁচড়াইয়া পায়জামা পাঞ্জাবী মাইরা সিনেমার মহানায়ক খেতাবী নিয়ে নিলো
আমি ৩৮ হৈলে, আমার কাকী কত?
যাই হোক, আসলে সুচিত্রা উত্তমরে নিয়া বেশি শয়তানি নাই, ওনারা ওনাদের সময়ের চাইতে অনেক স্মার্ট ছিলেন, এইটুকু মানতেই হবে(উত্তর দেরীতে দেয়ার জন্য অনেক দু;খিত)
মন্তব্য করুন