মেহেরজান : আবার খানিকটা চাবানি
মানুষ যখন বাজার থেইকা গরুর মাংশ কিনে, তখন, অনেক দেইখা শুইনা কিনে। সুতরাং মাংস যার যার মন মতই হয়, রান্না কৈরা আরাম কৈরা খায়।কিন্তু কোরবানীর সময় একজনের ঘরে সব রকম মাংশ পরে। সেই সময় নানারকম মাংশের মাঝে, একধরনের মাংশ পরে, যেই গুলার ভিতরে মজা থাকেনা কোনো, কিন্তু চাবাইয়াও ঐটার কিছু করা যায়না। রাবারের মত, চাবাইতেই থাকে, চাবাইতে থাকে, চাবাইতেই থাকে---------
----------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমরা আধুনিক মনস্ক, কোনো কিছু না দেইখা তার সমালোচনা করতে রাজি না। সুতরাং, সমালোচনার জন্য দেইখা আসলাম টাইপ একটা ব্যাপার হৈলো আজকের ডিসক্লেইমার, মুহাহাহা।
প্যারিস হিল্টনরে কেউ চিনতো না, অভিনেত্রী হিসেবে। বাপের মেলা টাকা, হিল্টন গ্রুপের মালিক, সেইডা আলাদা হিসেব। কিন্তু, যখন তার পর্নো ম্যুভি বাইর হৈলো, আর যায় কৈ?
তার পপুলারিটি গজাইলো। এখন অনেকেই চিনে, ম্যুভি করলে কেউ খোঁজ ও করে একটু আধটু।
সেই পর্নো ম্যুভি ভালো না খারাপ বিবেচনা বাদে কথাটা হৈলো, সে পরিচিতি পাইছে। এইরকম পপুলারিটি হাইপ মিডিয়া লাইনে একটা কমন স্টাইল। কোনো ছিনেমা আশানরুপ ভালো বানাইতে না পারলে, সেডা নিয়া খারাপ/ ভালো একটা গুজব ছড়াইয়া দেয়া হয়। খারাপ হৈলে বেশী সুবিধা।
----------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
মেহেরজান সিনেমা তে জয়াবচ্চন আছে। কিন্তু ওনার অভিনয় নাই।
৭১' এ ধর্ষিতা নীলা'র ওয়ার চাইল্ড, ৪০ বছর পর জার্মানী থেইকা আসছে ইন্ডিয়ান ইংলিশ একসেন্ট নিয়া।
গল্পের মাঝখানে পরিচালক ফ্লাশ কৈরা পিছনে যায় মাঝখানে আরেকটা দৃশ্য ঢুকাইয়া দিয়া, এই যুগেও এইরকম বেসিক নিয়া ক্যামনে কাজ চালাই দিলো, সেডাই অবাক ঘটনা।
বেলুচ নায়ক মে তুঝসে পেয়ার করতি হু কৈয়া যেই ঝাঁপটা দিলো, সেইটা মনয় এক শটের বেশি নেয়নাই। এইরকম আনাড়ী ঝাঁপ তো দুষ্টু লোকেরা ভীড় বাসেও দেয়না।
নীলা ধর্ষিতা হৈয়া পাগল প্রায়, কথা উল্টা পাল্টা। অথচ, ওনার একটা হাফস্লীভ বা ফুল স্লীভ ব্লাউজ নাই। সেই ৭১ এ, উনি সদা সর্বদা স্লিভ লেস বেলাউজ পৈড়া আগানে বাগানে ঘুইরা বেড়ায়।
এইরকম কয়েকশ অসঙ্গতি নিয়া একটা ম্যুভি, বাজার চলতি হৈলো শুধুই বিতর্কের কারনে?
তাড়না:
১।
খান সাহেবের একটা মেয়ে থাকে, পাগল। বিয়ে পাগল। শাদী একটা তার করতেই হবে।
একটা ফডু নিয়া ঘুরে। সেইখানে একটা নাইট একটা মাইয়ারে চুমা খাইতাছে। তো, সেইডার পিছনে গল্প হৈলো, যুদ্ধের সময় নাইটরে আঁৎকা কোলে ঘুম পাড়াইছে, সেই নাইট ঘুম থেইকা উইঠা আর মাইয়াটারে পায়না। আন নেসেসারী রোমান্টিসিজমের একটা গাছ পাথর থাকা উচিৎ।
এখন সেই গল্পে উৎসাহিত হৈয়া তার বিয়ে করতে হবে, বিয়ে তাড়িত মেয়ে।
২।
ধর্ষিতা নারী, একদিকে খান সেনা কুপাইতে চায়, অন্য দিকে তার শরীরের দিকে ললুল চেহারা নিয়া তার আশে পাশে ঘুর ঘুর করা সমাজতান্ত্রিক কর্মীরেই বিয়া করতে চায়। যেই মেয়ে বলে, তারে খান সেনারা ধর্ষন করছে, সেইটা সে লুকাইবেনা, সবাইরে বৈলা বেড়াবে, সেই একই মেয়ে নানাজানের উপ্রে গোস্বা করে, ঐ পোলার সাথে বিয়া দিতে রাজী না হওয়ায় --
নানাজান, ওর সাথে বিয়ে না হৈলে আমার কি হবে ভেবে দেখছেন?
সে খান সেনা খুন করতে চায়, ব্যাক্তিগত আক্রোশ থেইকা।
৩।
ছেলে মুক্তি যুদ্ধে যাবে। পুরাই ফারুকীর ভাই বেরাদার গ্রুপ থেইকা উইঠা আসছে।
মা কয়, এই সব কি কস, যুদ্ধে যাবি কেন? সে কয়, যারা নীলাপার এই করছে, তাদের দুই চাইরটারে খুন করতে হবে। সে চায় প্রতিশোধ। রহিম, করিম, যদু, মধু তো গেছে।
মা কয়, তুই কি রহিম, করিমের মত ডানপিটে নাকি?
কিন্তু সিনেমার অল্প গেলেই, সে মেহেরজানরে বিয়া করতে চায়।
মা, আমি আর মরতে চাইনা, আমি মেহেরজানরে বিয়া করতে চাই। এইটা স্বাভাবিক ঘটনা হৈয়া দাড়ায়।
পরবর্তীতে সে একটা পাকিস্থানি সৈন্য ধরে (বেলুচ ওয়াসিম খান মেহেরজানের সাথে প্রেম করার সময়) আর সেইটার উপরে হম্বিতম্বি করে, কারন?
সে মেহেরজানরে বিয়া করতে চায়। বিয়ে তাড়িত আরেক মুক্তি চেতনার মানুষ। এর মাঝে এক মাত্র ভালো কিন্তু ওয়াসিম খান।
৩।
মুক্তিযোদ্ধা ছেলে। খান সাহেবের (ভিক্টর ব্যানার্জী) আতিথেয়তায় মুগ্ধ হয়, আর ঘনিষ্ঠ হবার প্রয়াস পায়।
সেই সময়ে পাগল সালমা ডাইকা বলে, ওরে তার পছন্দ হৈছে, সে শাদী করতে চায়।
উইমা, কি লাজ!!
এর পরে দেখা যায়, সেই পাগলের সাথে, মুক্তিযোদ্ধা বৈসা বৈসা চা-নাস্তা খেলা খেলে, আর দুইজনে কাপবোর্ডের ভিত্রে ঢুকে। সারা হল ভর্তি দর্শক, খুব মজা পায়, হাসলো।
এই পোলাও যুদ্ধ ভুইলা বিয়া তাড়িত। শুধু তাইনা, যুদ্ধের মাঝখানেই নাকি সে বিয়া কৈরা দেশ ছাড়া!!!
পয়জনিং:
আমরা বরাবরই কিছু সুশীল দেখতে পাই। যারা বেনিফিট অভ ডাউট ইস্যুটারে নিজের স্টাইলে বিশাল আকৃতি দিয়া অর্ধেক বুঝাইয়া অর্ধেক ধোঁয়াশা রাইখা আমাদের বেক্কল প্রমান করে।
মাইয়াটা, বেলুচের প্রেমে পৈড়া চিন্তা করে, সে কি দেশের প্রতি বেঈমানী করলো?
কি কঠিন কুশ্চেন বিবেকের কাছে?
উত্তর কিন্তু আছে!
বেলুচ ওয়াসিম খানের কাছেই।
না, মানুষকে বাঁচানো, মানুষকে ভালুবাসা কোনো অন্যায় না।
জাতিগত বিদ্বেষ বাদ দিয়া প্রেম মহান কিনা, আমরা বেক্কল হৈয়া যাই।
মেহেরজান একটা ভালো কাজ করছে-- আহা!
ম্যুভিতে আমরা দেখি, একদল হিংসালোলুপ লোক।
শান্তিবাহিনীর লোক/ খান সেনা/ সমাজতান্ত্রিক কিংবা মুক্তি যোদ্ধা সবাই একই হিংসামূলক মনোভাব নিয়া আইসা খান সাহেবের কাছে আবদার জানায়।
ভিক্টর স্যার কিন্তু কাউরেই রক্তপাতের পার্মিশন দেয়না।
আমরা বুঝি, সবার উপরে মানবতা, জাতীয় চেতনামূলক কোনো স্পিরিট এই সিনেমায় আউট অভ কনটেক্সট। সবাই তাড়িত।
শেষ দিকে, সমাজতান্ত্রীক একজন, আর পাকিস্থানি বাহিনি, একই খুন করার উদ্দেশ্যে প্রস্তুত হয়। খান সাহেবরে খুন করার। পাকিরা আগেই খুন কৈরা লায়, সেডা বিষয় না, কিন্তু আমরা দেখি, সমাজতান্ত্রিক জিঘাংসা আর পাকি জিঘাংসার ফলাফল প্রায় একই।
সুতরাং, আমরা মানবতা চাই।
চটুল:
১।
নীলা সোহেল সাহিবরে "ভাওরা(ম্যান উইথ আউট বলস(এডা ছিলো সাব টাইটেলে))" কৈরা গাইল দেওনের লগে লগে সোহেল সাহিব "কি বলেন এইসব" কৈয়া গায়ে (কান্ধে) হাত দেয়ার লগে লগে নীলাও উত্তেজিত হৈয়া যায়, কয়, দেখি কত্ত বড় গায়ে হাত দিতে পারেন!! তারপর ধৈরা রাইখা "ছাড় আমারে" টাইপ মাখামাখি।
স্ক্রীনের এত্ত সামনে বসার কারনে, দৃশ্যটা বেশি কাছে হৈয়া গেছিলো। ঠিকমত ঠাহর কৈরা উঠতে পারিনাই।
২।
নায়িকা রাইতের বেলায় বেলুচ সৈন্যরে স্বপ্নে দেখে, কোলবালিশ জাবড়াইয়া ধৈরা। স্বপ্নে ঝিলের জলে ঝিলমিল, নায়িকা ব্যপক আধুনিক ড্রেস পৈড়া কোমড় পানিতে, আর নায়ক আড়ংয়ের মডেল হৈয়া নৌকার থেইকা ঝপাৎ কৈরা পনিত, আবার নায়িকা কোলবালিশ নিয়া।
ভাই বেরাদার/ডিজুস:
সালমা খালা শুরু থেইকা শেষ পর্যন্ত ভাই বেরাদার গ্রুপের নাটকের উচ্চারনে কথা কৈছে সেই ৭১ সালে।
মেহেরজান বেশি কথা কৈলেই সেই ভাই বেরাদার উচ্চারন।
নীলা মাতাল আর ভাই বেরাদার উচ্চারনের মিক্সড ভার্শন চালাইছে।
বলদ মুক্তি যোদ্ধা, মেহেরজানরে কয়:
আমি জেনুইনলি তোমারে ভালোবাসি!!!
----------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
সবাই কৈতেছে আসেন বর্জন করি, আর আমরা তো কেন বর্জন করুম? "কি এমন আছে" কৈয়া আরো উত্তেজিত হৈয়া দেইখা এইটার ব্যাবসা তো বাড়াই দিতেছি।
পঁচা শামুক একটা।
আমি কৈ, যদি কেউ দেখতেই চান, দেখবেন না কেন?
কিন্তু দেখুমনা প্রপাগান্ডা কৈরা বিজনেস টা বাড়াইয়া লাভ কি?
তার চাইতে আমরা আসেন বলি, অবশ্যই এই ম্যুভি দেখতে হবে, পাইরেসি কৈরা।
অল্প কিছুদিনের মাঝেই নিশ্চিৎ এইটার পাইরেটেড সিডি আশা করা যায়। আর তখন মন খুশি দেখুম।
পরিচালক সুশীলায়নের নামে কিছু একটা ঢুকাইতে চাইছে, কিন্তু, আমরা ত সুশীল না? সুতরাং টেনশন নাই আশা করা যায়।
নীতিগত ভাবে আমরা পাইরেসি সাপোর্ট করা শুরু করি।
----------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
কৈতেছিলাম কুরবানীর ঈদে পাওয়া গরুর মাংসের কথা, কেউ চাবাইয়া কিছু করতে পারেনা।
এই মেহেরজান হৈলো সেরাম একটা জিনিষ। সবাই ভাবে, আমি দেখি, চাবাইয়া কিছু করতারি কিনা! আইসা চাবাইয়া দেখে, ভিত্রে কিছুই নাই, আবার জিনিষটারও কিছু করা যায়না, থুইয়া যায় প্লেটে। আবার আইসা আরেকজন চাবায়। আবার-------
আমার আগেও কয়জন চাবাইছে, আমিও চাবাইলাম, আমার পরে আর কয়জন চাবায় কে জানে!
তুমিতো মাংস সৌন্দর্য রানতে পারো
হয়, আইও কেন!
মাংসের তুলনা দিলা ক্যা বিলাই? চৈত-বৈশাখ মাসে ভাতের হোটেলে পাইন্যা ডাইলে কচি আমের ফালি দেয়। একজনে চু্ইষা কয়, কী দিলা এইটা আম তো নাই খালি বারা। ওয়েটার মামু কয়, আপনের আগে চাইরজনে চুষছে, বারার আঁশসুদ্ধা সাফ হয়া গেছে
জাইনাশু্ইনা এই বারা চাবাইতে তোমার কেমন লাগছে ভাইবা 'জেনু্ইন' করুণা
অঞ্জু ঘোষ আর রুজিনা যুগের বহুদিন পরে বাংলা ছিনামায় কোলবালিশের প্রত্যাবর্তন ঘটলো মনে হয়
হুমম, মাঝে মাঝে দিল্লির লাড্ডুর কথা বাঙ্গালী মানেই না। যে খাইছে, সে যতবারই কয় মজা না মজা না, ততবারই আমরা ভাবি, দেখিই না-- না জানি কেমন!!??
আমের আঁটির তুলনাটা মাথায় আসেনাই তখন, কিন্তু, মাংসের ঘটনার ডিজগাস্ট টা পুরাটাই সিনেমাটায় আছে বৈলা ঐ টাইপ একটা উপমা মাথায় আসলো আপু।
হুমম, জাইনা শুইনা একটা উপকার হৈছে যে, আমি প্রচুর মনোযোগ দেয়ার স্কোপ পাইছি প্রায়শই, যে, যদি কিছু বাইর করা যায়!!
কিন্তু হায়!!
হাহা, না, এই খানে একটু ডিজিটাল ক্যামেরাগিরি কৈরা স্বপ্নের ভিত্রের দৃশ্যটা স্বপ্নময় করার একটা ট্রাই দিছিলো, আর কোলবালিশাংশটুকুই ছোটৈ, মনে হৈলো পরিচালক দ্বিধায় ছিলো, বিষয়ডা ফুডাইয়া তুলবে কি তুলবেনা।
ওরে! সেরম হৈছে বিলাই।
গানের কথাটা আনতে পারতেন। একটাই গানের দৃশ্যায়ন সেইটা আবার উর্দু/হিন্দীতে গাওয়া (?)
আপেল নিয়া আলমারীর মধ্যে সালমা খালার প্রবেশের দৃশ্যটি নিয়া ব্যাপক পেচাপেচ্চির অবকাশ আছে।
স্লিভলেস ব্লাউজ পরে বাগানে বাগানে ঘুরে বেড়ানো ছিল দেখার মত দৃশ্য। নীলা খালার মুখের মেকআপও ছিল কড়া, ব্লাশন আর আইশ্যাডো মেখে বাংলিশ উচ্চারণে রেপড হওয়ার ঘটণা বর্ণনা করে যে জগাখিঁচুড়ি কাহিনী বানানো হলো তার জন্য পঁচা ডিম নিক্ষেপই ছিল একমাত্র পাওনা।
খানসেনারা গ্রামের ঢুকে পড়েছে কিন্তু মেহেরজান আর ওয়াসিম খান নালায়-মাঠে যে হারে হেঁটে বেড়াইছে সেটা দেইখা পাবলিক যে স্ক্রিণে ইটা মারে নাই এইটাই বেশী।
পাব্লিকে তো মেহেরজান কৈয়া জরায়া ধরা দেইখাই ব্যফুক খুশি
:steve: 
নায়ক নায়িকাকে আবেগ নিয়ে জড়িয়ে ধরবে এমন সুন্দর চিন্তাটাকে আনাড়ি পরিচালক-নায়িকা-নায়ক কি সস্তা বানিয়ে দিলো-দর্শক সে দৃশ্য দেখে হো হা করে হাসলো। এই পরিচালককে আবেগের চতুর আর হাস্যকর দালালই বলা যায়। খোঁজ দ্য সার্চে নায়ক জলিলের মা মারা গেছেন কেমন শোকাবহ একটি ঘটণা সেখানে সেই আনাড়ি পরিচালক দেখালো নায়কের মা.................করে হুঙ্কার দেয়ার মত নিম্নমানের একটা ব্যাপার, সেই হুঙ্কার শুনেও দর্শক হো হো করে হেসেছিল।
প্রেম-মৃত্যু দুটো সংবেদনশীল মুহূর্তের দৃশ্যায়নের এমন সস্তা নিদর্শনের জন্য এই দুটি চলচ্চিত্র স্মৃতিপটে অমলিন থাকবে
বাংলিশ তো না, মনে হৈলো টাল আছিলো আরকি।
এত বেশি অসঙ্গতি সিনেমায়, সব কৈয়াও শেষ করা যায়না।
পরিচালক সবাইরে চৈড়া খাইতে দিছে সেটে বৈসা।
লাস্টে গানের কথাটা আসলেই মনে ছিলোনা, আর ধৈর্য্যও শেষ।
না দেইখ্যা কিছু কৈতে পারুম না। তয়, দেখুম না...
দেখবেন না কেন?
অবশ্যই পাইরেটেড সিডি কিনে দেখে নিয়েন, বিনুদুনের তো একটা বিষয়াছে।
এই সিনেমা ব্যান না, পরিচালকরে ধইরা চটকানো উচিৎ। এর চেয়ে ভাল মন্তব্য আর করতে পারলাম না।
পরিচালকের বাপের পরবর্তী প্রকল্প পদ্মা সেতু। অনেক বড় টাকার প্রকল্প। পরিচারকৈর উচিৎ এখন পদ্মা নদীর মাঝি বানানো।
আসলেই চটকাইতে ইচ্ছা করতাছে
পদ্মা নদীর মাঝি একটা সুন্দর আইডিয়া, এইটার মাঝেও সাহিত্য আছে।
ওরে সেতুর জন্য প্রয়োজনীয় পাথর টানানো হোক মাথায় কৈরা!
আর সময়ডাও গেলো, এর চাইতে আড্ডা দিলে পেচ্ছাপেচ্ছিতে পড়তোনা জনতা
মনে হয় আমার টিকেটের টাকা বাইচ্চা গেল।
১০০ ভাগ বাঁচলো, কেই যদি স্পয়লার চায়, সেডাও দিতে রাজী আছি।
মেহেরজান সিনেমাটা নিয়া এখন পর্যন্ত পড়া সেরা রিভিউ...
ম্যুভিটা দাদা কোনো রেগুলার বিশ্লেষন ধর্মী রিভিউ ও ডিজার্ভ করেনা আসলে।
ছবিটার ব্যাপারে পরিচালকরে এই ম্যাসেজটাই দেয়া যায় যে এটা একটা "ভাওরা" কিসিমের ফিল্ম। নামে তো ফিল্ম বাট "ম্যান উইথ আউট বলস" এর মতই এটার আসল জিনিষটাই মিসিং। খামাখাই পাবলিকের গায়ে (দিলে) হাত দিয়া পাবলিকরে উত্তেজিত করতেছে, কয় দেখি কত্ত ক্রিটিকস্
লিখতে পারেন!!! এখন এই ফিল্মের পাবলিকরে "ধৈরা রাইখা" "ছাড় আমারে" টাইপ অবস্থা।
হাহাহা, এই কমেন্টের সাথে সহমতের উপর একমত। একটা ভাওরা ফিল্ম, অরিজিনাল জিনিষ সবই মিসিং।
আপনের কমেন্ট টা পৈড়া আসলেই ব্যাপক মজা পাইলাম, সঠিক অনুবাদ হৈছে পুরাই।
আমি দেখতে পারতেছিলাম না সময়ের অভাবে। এক্ষণ তো আর দুশকু রইল না!
ভাগ্যিস ২০০ টাকা দামের টিকেট পাই নাই। ৫০ টাকা তো বাচলো
আহা.।
আপেল দৃশ্যটা মাসুম ভাই মিস করছে।তা না হলে আরো ৫০ টাকা উশুল হতো।

১৫০ টাকা টিকেট কেটে যা দেখলাম তারে যে কেন সিনেমা বলতেছে তা ই বুঝলাম না।
আমার ২০০ টেকা বাঁচছে
অফটপিক: বাবা আওয়ামী লীগের নেতা হৈলে কি মজা।।। কি দ্রুত বিখ্যাত হওয়া যায়।
ছবিটা নাকি আমাদের মন্ত্রী আবুল হোসেনের মেয়ের তৈরী। কথাটা কি সত্য। জানলে জানান।
মেহেরজানের পরিচালক রুবাইয়াত হোসেন মন্ত্রী আবুল হোসেনের কন্যা, এটা সকলেরই জানা । আপনি এত লেট কেন ? একটা পোস্টে লিঙ্কও আছে, সেটা খুঁজে দেখতে পারেন ।
দেশের ভাগ্য ভাল বটে! অন্য কেহ এই ছবি বানালে তার খবর ছিল বটে! আল্লাহ মেহেরবান বটে!
আমি ছবি দেখি না অনেক দিন। সময়ের জন্য। ছবি না দেখে আমি বই পত্র পড়ি। ইন্ডিয়াতে গিয়ে ৬ টা হিন্দী ছবি দেখেছিলাম ৬ রাতে - এর পর আর দেখি নাই।
কোন একদিন দেখে নিবো, এনশাল্লাহ
মন্তব্য করুন