অহনার অজানা যাত্রা (দশ)
অহনা রাগ দেখিয়ে ঘুমুতে গেলেও অর্ন হার মানতে রাজি ছিলো না। সে তার ভুল ঠিক করতে বদ্ধপরিকর হয়ে গেলো। হয়তো অর্নের সিক্সথ সেন্স কাজ করছিলো যে এই ঝাল এখানেই থেমে থাকবে না, অন্য অনেক জায়গায় গড়াবে। সারারাত সে অনেক ভাবে অহনাকে বুঝিয়ে মানিয়ে ফেললো। প্রায়ই দেখা যেতো কাল বৈশাখীর মতো ঝড় আসতো সংসারে। কথা নেই বার্তা নেই কোথা থেকে অনেক কালো মেঘ আর জোর দমকা হাওয়া, মনে হতো এই বুঝি সব ওড়ে গেলো। আবার আধ ঘন্টা কিংবা এক ঘন্টা টানা বর্ষন কিংবা ঝড়ের পর, চারধার সব ধোঁয়া পরিস্কার, নিরিবিলি ঝকঝকে রোঁদ। মাঝে মাঝে খটকা লাগতো আসলেই কি ঝড় হয়েছিল। প্রায় দেখা যেতো ঝড় বৃষ্টির পর স্নিগ্ধ রোদেলা পরিবেশে দুজন বেশ হাসিমুখে, পাশাপাশি শুয়ে নানান অর্থহীন গল্প করতে করতে বেশ আনন্দ নিয়ে ঘুমিয়ে পড়েছে। অনেক সময় গল্প করতে করতে রাত অর্ধেক পার হয়ে যেতো। পরদিন অফিস কিন্তু তারপরও বাঁধ না মানা কথার তোড়ে দুজনেই ভেসে যেতো। ঝড় আর রোদের মিশেলে কাটছিলো জীবন।
পরদিন অর্ন অফিস যাওয়ার সময় বারবার অহনাকে তাগাদা দিয়ে গেলো কিছু পছন্দ করে রাখতে সিটি সেন্টারে যেতে। অহনা খুব দ্বিধার সাথে জানতে চাইলো কতো বাজেট। অর্ন হেসে বললো কোন বাজেট নেই, এনি থিং ফর ইউ। তবুও অহনার দ্বিধা যায় না। এখানে এসে টাকা পয়সার ঝামেলার ব্যাপারটা সে ঠিক বুঝতে পারে না। অনেক সময় দেখা যায় প্রতিটি সেন্টের হিসেব অর্নকে করতে হচ্ছে। গাড়ি পার্কিং থেকে একটা কোকের জন্যেও। দু ঘন্টা গাড়ি পার্ক করলে হয়তো পাঁচ ইউরো দিতে হবে। অহনার কাছে ওটা পাঁচ টাকা। কিন্তু অর্ন ভাবছে পাঁচ ইন্টু নব্বই টাকা। শুধু অর্ন না সমস্ত সবাইকেই তাই করতে দেখে কম বেশি। তাছাড়া সংসারে শুধু সে আর অর্ন নয়, বাংলাদেশে অর্নের বাবা – মা পরিবার আছেন। অন্যান্য ছেলেদের মতো তারও দ্বায়িত্ব আছে তাদের প্রতি। নতুন সংসার, বউ আর বাবা মায়ের দ্বায়িত্ব নিয়ে অর্ন মাঝে মাঝে রীতিমতো হিমশিম খায় এটা তার নিজের চোখের দেখা।
এসব কারনে প্রায় স্বল্প পরিচয়ে অর্নের সাথে সংসার করতে এসে অহনা টাকা পয়সার দ্বিধাটা এখনো কাটিয়ে ওঠতে পারেনি। অর্নের কাছে কিছু চেয়ে নিতে কিংবা চাইতে তার খুবই সঙ্কোচ হয়। কোনটা বেশি চাওয়া হয়ে যাবে, অর্ন হয়তো মনে মনে তাহলে অহনাকে অন্যরকম ভাববে সেগুলো নিয়ে সে কুঁকড়ে থাকতো কিছুটা। আসলে দেশেতো তাকে চেয়ে চেয়ে তেমন কিছু পেতে হতো না। চাওয়া ছাড়াই অনেক কিছু পেতো। আর নিজের বাড়িতে কিছু চাইতেও তার তেমন সঙ্কোচ হতো না। টাকা পয়সার এতো কঠিন হিসাব নিকাশ তার কাছে অচেনা। বরং বাবা মায়ের কাছে তার বায়নার শেষ ছিলো না। একটা হাতে না পেতেই আর একটা শুরু হতো। বিদেশে আসা মানেই অহনার ধারনা ছিলো বেশুমার টাকা পয়সা খরচ, দামি ব্র্যান্ডেড জিনিসপত্র। অন্তত ইংরেজি সিনেমা দেখে তার তাই ধারনা হয়েছিলো। তখনো পর্যন্ত সে সিনেমা দেখেই জীবন সম্বন্ধে সম্যক জ্ঞান অর্জন করতো। কিন্তু এটাতো হলো উলটা, গ্যাড়াকল। সিনেমা জাতীয় কিছুই নেই। বরং বজ্রকঠিন নিয়ম কানুন। পার্কিং এর বেশ সমস্যা সিটিতে। কোথাও গাড়ি পার্ক করতে হলে আধ ঘন্টা ঘুরতে হয় নইলে পুলিশ আর টিকিট। সিনেমায় সে কখনোই এসব দেখেনি। সেখানেতো সে দেখেছে যেখানে ইচ্ছে গাড়ি থামালেই হলো। এর থেকেতো বাংলাদেশই ভালো ছিলো।
সিটিতে যেয়ে সে বেশ কিছু দোকান পাট ঘুরে মোটামুটি একটা কিছু পছন্দ করে বাড়ি ফিরে এলো। বাড়ি ফিরতেই আবার স্বামীর ফোন, গিফট পছন্দ করা হয়েছে কি না জানতে চেয়ে। সে জানালো করে এসেছে। তারপর আস্তে সুস্থে সে রেডি হয়ে অর্নের জন্যে অপেক্ষা করতে লাগলো। অর্ন সুন্দর দেখে বাইশটা বিরাট গোলাপ নিয়ে এলো তারজন্যে। তারপর দুজনে একসাথে আবার সিটিতে গেলো। অহনা পছন্দ করেছিলো সাদা পাথরের একটা দুল, পঞ্চাশ ইউরো দামের, তাই দেখে অর্ন বেশ হাসলো। সে বুঝতে পেরেছিলো হয়তো এর পিছনের কারন। তারপর বললো, আচ্ছা চলো আর একটা দোকানে যাই, আরো একটু দেখি। তারপর দুজনে গেলো বাইয়েনক্রোফে। সেখানে শুধু দামি ব্র্যান্ডের জিনিস বিক্রি হয়। অনেক দেখে টেখে অর্ন নিজেই অহনাকে মোনেটের গলার আর কানের একটা সেট কিনে দিলো। অহনার নিঃশ্বাস বন্ধ হবার উপক্রম দাম দেখে। সে তার নিজের চোখকে বিশ্বাস করতে পারছিলো না, কিন্তু বুঝতে পারছিলো আজ অর্ন প্রস্তূত হয়েই তাকে নিয়ে শপিং এ এসেছে। এমনকি তারা যখন বিল পরিশোধ করতে কাউন্টারে গেলো তখন সেলস ও্যমান ভদ্রমহিলা তাদেরকে জিজ্ঞেসই করে ফেললেন, তারা কি ভারত থেকে বেড়াতে আসা ট্যুরিষ্ট কি না, যারা এতো দামি কিছু কিনছেন।
উপহার পেয়ে অহনা প্রায় বাক্যহারা। প্রায়ই বিভিন্ন দোকান থেকে শপিং গাইড গুলো সব বাড়ির লেটার বক্সে ফেলে দিয়ে যায়। সে পাতা উল্টায় দেখে, এখানে দাগায়, সেখানে দাগায়। একটা জিনিস অহনার কাছে পরিস্কার হলো, এগুলো অর্ন তাহলে লক্ষ্য করে কিন্তু কিছু বলে না। বঊযে তার কাছে মুখ ফুটে চাইতে পারে না কিন্তু দেখে দেখে চোখের আশ মিটায় সেটা তার জানা ছিলো। দোকান থেকে বের হয়ে অর্ন বললো, পরে আবার এসে তুমি এর সাথে মিলিয়ে আংটি আর ব্রেসলেট কিনে নিও, একটা সুন্দর সেট হয়ে যাবে তোমার। আর ঐ দুলটা কি সত্যিই তোমার পছন্দ ছিলো নাকি? তাহলে তুমি ওটা অন্য সময় কিনে নিও। সে নিঃশ্বাস বন্ধ করে কথা শুনছিলো, বলে কি এই ছেলে, তার মাথার ঠিক আছেতো? বলবে না বলবে না করেও সে বলে ফেললো, এতো টাকা হঠাৎ এভাবে খরচ করে দিলে যে? অর্ন হাসতে হাসতে উত্তর দিলো, তোমাকে কখনোতো ভালো কিছু কিনে দেয়া হয়নি, এতোদিন হলো তুমি এলে এখানে। এ উপলক্ষ্যে দিলাম। দিতেতো ইচ্ছে করে সব সময়, হয়ে ওঠে না। চলো এবার যাই খেতে। তারপর তারা একসাথে ইটালিয়ান এক রেষ্টুরেন্টে খেতে গেলো। বহুদিন পর তারা এ উপলক্ষ্যে বাইরে খেতে গেলো অহনার পছন্দের খাবার। অনেক মূল্য দিয়ে প্রতিটি জিনিস পেতে হতো বলে প্রতিটি জিনিসই ছিলো তখন অমূল্য। খুব সহজে জীবনে কিছু পেয়ে যাওয়াও বোধ হয় ঠিক না, তাতে জীবন তার আকর্ষন হারিয়ে ফেলে।
তানবীরা
১৩.০১.২০১১
নোট নিতেছি, সময়মতো উপদেশ বর্ষামু
টাইপ করতে তাড়াহুড়া করছো বুঝা যায়। সিক্সথ হইছে সিক্স
হ... কুনুমতেই কিসু না পাইলে হেইডাই মোগো সান্ত্বনা
১. বহুদিন পর আমার দোস্ত নুরুজ্জামানের কথা মনে পড়ল। আগে সচলে এরকম ঝড়ের বেগে টাইপ করা পোষ্ট দিলে একটা মেইল আসতো, এতো তাড়াহুড়া করে টাইপ করেছিস।
তবে টাইপে মনোযোগ দিতে পারি না। মেয়ে সমানে কার্টুন চালায় অনেক ভলিউম দিয়ে আর মেয়ের বাবা গান প্র্যাক্টিস করে। (
২. দুস্তাইন তোমার কথাতো ঠিক বটেই। কিন্তু যেসব জিনিস সহজ এ পেয়েছি তার কি মূল্য আমাদের কাছে আছে? ধরো আমরা যারা মোটামুটি স্টুডেন্ট ভালো ছিলাম, তারা কি ফেল্টুদের যন্ত্রনা কখনো অনুভব করেছি? নাকি পড়াশোনা করা বা ভালো রেজাল্ট করাটাকে একটা গুরুত্ব দিয়েছি?
উপদেশের আসায় আছি।
একটু ভাব নেয়ার জন্য উপদেশের গপ ছাড়লাম দুস্তাইন। আমার দৌড় বানান দেখা পর্যন্ত। আগেও বলছি, আবার বলি, পর্যবেক্ষণশক্তি আর মন-পড়ার ক্ষমতায় তুমি অদ্বিতীয়। অতি অবশ্যই এখানে দিনলিপি, স্মৃতিচারণ ইত্যাকার ট্যাগ মুছে ধারাবাহিক উপন্যাস হিসেবে দেখাবে। আর সামনের বছর বইমেলায় উপন্যাস হিসেবে ছাপতে দেবে। কথা ফাইনাল।
হাহাহাহাহা
তুমি আমাকে যেমন করে দেখে ফেলো সই, আর দু একজন এমন করে আমাকে দেখে। বাকি সব দেখা থাকে ভুল আর সমালোচনায় ভরপুর।
ভালোবাসা তোমার জন্যে।
উপন্যাস ট্যাগ করতে করতে একটা জিনিস ভাবলাম, ট্যাগিংটা যদি আগেই খেয়াল করতাম আর আরো ইমপার্সোনাল হয়ে লেখাটা লিখতে পারতাম তাহলে হয়তো আরো কিছু উপাদান যোগ হতে পারতো লেখাটায়। ব্লগেতো ওয়ানটু ওয়ান ব্যাপার।
যাকগে, বই হিসেবে কখনো বের হলে, পাঠকের সাথে ব্লগারের একটা দূরত্ব থাকবে। তখন আরো বিস্তারিত হবে বর্ননা। তাহলে যারা পয়সা দিয়ে বই কিনবেন তারাও ঠকবেন না
আঙুর ফল টক
কে বলেছে?
সব আঙুর টক না, খেয়ে দেখো
অর্ন'র বাইশটা গোলাপ নিয়ে আসা দেখেতো আমার সাথীর জন্য ২২ গোলাপ'র কথা মনে পড়ে গেল।
যাক, এইপর্বও দারুণ হয়েছে। আপনার লেখাগুলো এত সলিড হয় যে, কোনো খুঁত-টুত ধরে একটা আলোচনা দিবো, সেটার সুযোগ পাই না।
আর এই প্রথম অহনা একটা পুরা পর্ব হাসিখুশি মুডে কাটায় দিলো দেখে ভালো লাগসে। মানুষের জীবন সবসময় ইরাম হওয়া উচিত।
মেসবাহভাইর ২২টা ইয়ের কথা ভুললে চলবে না
মাসুম ভাইয়ের গল্প দেখেতো চমকে প্রায় চেয়ার থেকে পড়ে যাচ্ছিলাম
কেন পইড়া গেছিলা?
এত্তো খারাপ গল্প পড়ছো বইলা? ঠিকাছে আর গল্প লেখুম না।
কেনো পইড়া গেছলাম সেইটা আপনে বুঝবেন নাগো দুলাভাই (
যা উচিত তাই কি হয় নাকি?
ধন্যবাদ
হৈলে তো আর 'উচিত' শব্দটা এখানে চলতো না।
অহনার প্রথম থেকে আসেন, মেয়েটির পরিবারের বর্ণনা পড়লে বোঝা যায়, সে উচ্চবিত্ত ও ইনফ্লুয়েনশিয়াল পরিবারের মেয়ে। পাশাপাশি আরো দেখা যায়, তার পরিবারের মুরুব্বীরা পরিবারটি যাতে আরো অনেক বছর টিকে থাকে, সেজন্য কিছু অলিখিত কায়দাও তৈরী করে রেখেছেন। অর্থাৎ অহনার পারিবারিক পদবীটি বনেদিয়ানার দাবিদার।
লেখার একটি শক্তিশালী দিক হচ্ছে, লেখিকার তীক্ষ্ণ পর্যবেক্ষণ শক্তি। অহনা যখন বিয়ের সময় 'কবুল' শব্দটি উচ্চারণ করে, তখন পাঠকের সত্যি মনে হয় আশেপাশেই কোথাও একটি বিয়ে হচ্ছে।
এই যে নিজের সঙ্গে পাঠককে সংশ্লিষ্ট করে নেয়ার চেষ্টা, সেটাকে আমি লেখার কৃতিত্ব হিসেবেই উল্লেখ করতে চাই। আমার বিচারে এটা আকর্ষণীক্ষমতাসম্পন্ন একটা ভালো লেখা। অহনার অজানা যাত্রা
দ্বিতীয় পর্বে অহনা সম্পর্কে পাঠকের ধারণা আরো পরিস্কার হয়। মেয়েটি তার নিজের ভিসায় বেনেলাক্স লেখা দেখে বিচলিত হলে আমরা বুঝতে পারি, সে অনেক অজ্ঞান একটা অবস্থা থেকে উঠে আসছে। পরবর্তীতে সাইকেল চালানো শেখার পর থেকে আমরা যে অহনার দেখা পাবো, সে এখনকার মতো আনস্মার্ট মেয়ে না। অহনার অজানা যাত্রা (দুই)
তৃতীয় পর্বে গল্পের নায়কের আগমন ঘটেছে। এবং সে আগমনকে এ ধরনের লেখার ক্ষেত্রে নায়কোচিত'ই বলা যায়। যদিও এ আগমনকে সিনেমায় নায়কের আগমনের সঙ্গে তুলনা করলে বিপাকে পড়তে হবে, তবে পাঠকের জায়গা থেকে আমি বলবো ভালো লেগেছে।
অহনার অজানা যাত্রা (তিন)
চতুর্থ পর্বটা মুগ্ধ হয়ে পড়তে হয়। অর্ন যদিও তার রুক্ষ আচরণ চালিয়েই যাচ্ছে, তবে অহনাও দিনে দিনে মারাত্মকভাবে গড়ে উঠছে। শেষের প্যরায় তো মুক্তগদ্যের চরম উৎকর্ষ দৃশ্যমান।
অহনার অজানা যাত্রা (চার)
পঞ্চম পর্বের দ্বিতীয় প্যরা থেকে ডাচ জীবন যাত্রার বর্ণনা শুরু। লেখাটার আরেকটি শক্তিশালী দিক। পাঁচটি শব্দের দ্বারা নেদারল্যন্ডকে বর্ণনা করতে হলে যে বলতে হবে, সাইকেল, উইন্ডমিল, দুধ-পনির, খাল-বিল আর টিউলিপ; তা আমরা এই পর্ব থেকেই জানতে পারি।
শেষের প্যরার শেষ লাইনে চাইলে একটা রূপক খুঁজে বের করা যায়,
এটাকে আমার খুবই কোর একটা লাইন মনে হয়েছে। মজার বিষয় হচ্ছে, লেখিকা এ ধারাবাহিকটি লিখতে লিখতে একটা সময় দীর্ঘ বিরতিতে যাওয়ার কারণে লেখার মূল উদ্দেশ্যকে হারিয়ে ফেলার কথা স্বীকার করেছিলেন একবার। বিরতির আগের আর পরের পর্বগুলোর মধ্যে লিংকিংএর জন্য একটা উদ্দেশ্য থাকা কিন্তু খুবই জরুরি। অহনার অজানা যাত্রা (পাঁচ)
বনেদি পরিবারের যে মেয়েটি ঢাকা থেকে এসেছিলো সম্পূর্ণ নতুন এক দুনিয়ায়, তাকে আমরা এখন দেখবো সে নেদারল্যন্ডের বাংলাদেশি (বলা ভালো বাঙালি) কমিউনিটির ব্যপারে বেশ কিছুটা ধারণা অর্জন করেছে।
যদিও এ ধরনের বিবরণ আরো বিশদ হওয়ার দাবি রাখে তবুও এটি না বললে অন্যায় হবে যে, সমসাময়িক অবস্থার চিত্রায়ন এই লেখার আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্দেশ্য। এবং সেটা লেখাটির মধ্যে সফলভাবেই ফুটে উঠেছে। অহনার অজানা যাত্রা (ছয়)
সপ্তম পর্বটি খুবই ঘটনাবহুল একটি পর্ব। অহনার অর্ন'র প্রতি কিছুটা অপরিপক্ব মনোভাবের দেখা পাওয়া যায়, যা পরবর্তীতে গিয়ে ভিন্নরকম দেখা যায়। এখান থেকে নায়িকার অস্থিরতাবহুল মনটির দেখা মেলে।
মনে রাখতে হবে, এই ধরনের লেখাগুলোয় কেন্দ্রীয় চরিত্রের কাছ থেকে এ আচরণ কিন্তু অপ্রত্যাশিত নয়। বিখ্যাত বিখ্যাত লেখকেরা ভিন্ন ভিন্ন প্রেক্ষাপটে মানুষের মনের গতিবিধি আঁকার চেষ্টা করেছেন। তার মধ্যে এ ধরনটিরও দেখা মেলে। অহনার অজানা যাত্রা (সাত)
অষ্টম পর্বে এসে পড়লেও অর্ন'র চরিত্র কিন্তু এখনো ধোঁয়াশাচ্ছন্ন। সে এখনো অহনার প্রতি আগের মতোই নিষ্ঠুর। এবং নিজের পূর্বতন একরোখা ও অনাবিস্কৃত অবস্থান নিয়েই বেঁচে আছে লেখিকার কৃপায়।
তবে এই পর্বে টানাপোড়েনের চিত্র উঠে এসেছে দারুণভাবে। পূর্বের একটি কথা এখানেও খাটে, সেটা হচ্ছে লেখাটার এ বিষয়গুলো বিস্তারিত ও একাধিক দৃশ্যায়নের দাবি রাখে। বিশেষত ধারাবাহিকের অপেক্ষাকৃত বৃহৎ পরিসরে তো আরো বেশি।
এটি এ লেখার সীমাবদ্ধতা, এমন বলছি না; পাঠক হিসেবে লেখার ভেতরে যে অভাবটুকু বোধ করেছি, সেটি জানাচ্ছি। অহনার অজানা যাত্রা (আট)
নাইনে উঠে দেখা যাচ্ছে লেখাটা বেশ লাইনে চলে এসেছে। মানে অহনা-অর্ন দ্বৈরথটা আস্তে আস্তে একটা শেপ পাওয়া শুরু করছে। আফটার অল, এত বড় একটা লেখা থেকে কোনো একটা কাহিনীকে একদিন তো অবশ্যই বের হয়ে আসতে হবে।
লেখিকার পর্যবেক্ষণ শক্তি ও সমসাময়িক পরিস্থিতি দৃশ্যায়নের শক্তির কথা আগেই বলেছি, এই লেখাটার আরেকটা শক্তিশালী দিক হচ্ছে, নেদারল্যন্ডে বাসকারী বাঙালিদের অর্থনৈতিক অবস্থার চিত্র। যেটা খুব চমৎকারভাবে উঠে এসেছে। অহনার অজানা যাত্রা (নয়)
দশম পর্বটা সহজ পর্ব নয়। প্রথমে বলে নিই অহনা'র প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত যে বিষয়গুলো একই রকম রয়েছে, তার মধ্যে ওর ইউরো-টাকার ভেদাভেদহীন মনোভাব একটি। নেদারল্যন্ডে এসেও অহনা যে টাকা আর ইউরো কিংবা স্থানীয় মুদ্রার (গিল্ডার) মধ্যে বিভেদ খুঁজে পায় না, তা মূলত ওর ছোটকাল থেকে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির মধ্যে বড় হওয়ার কারণেই। অহনা'র ব্যক্তিস্বত্তাটি আসলে এখনো আরো অনেক বিস্তারিত বর্ণনার দাবি রাখে, সেটা এখান থেকেই বোঝা যায়। নাহলে অহনার এ ব্যপারটিকে পাঠক লেখিকার বৈশিষ্ট্য বলে ভাবতে পারে। নিচের চিলতে অংশটুকু প্রাসঙ্গিক, আগেও একবার অহনা আড়াইশ' ইউরোকে আড়াইশ' টাকার চেয়ে বেশি মর্যাদা দিতে চায় নি।
লেখাটায় এতদিনে একটা ম্যসিভ টার্ন এসেছে। টানা প্রথম থেকে পড়ে আসলে পাঠক এখানে একটা ধাক্কা খাবে। এই পর্বের অর্ন আগের পর্বগুলো থেকে ভীষণই ভিন্ন। সে তার নবপরিণীতা স্ত্রী'র (এক বছরের একটু বেশি সময় ধরে বিবাহিত) প্রতি অনেক বেশি মনোযোগী। বিষয়টি কিন্তু পাঠকের সামনে নতুন ভাবনার বিষয়বস্তু নিয়ে আসে, এ লেখার গতি তবে কোনদিকে?
লেখাটা অসাধারণ হচ্ছে। ব্লগে আমার প্রিয় সিরিজ এটাই। আমি নিজে আসলে আনন্দলাভের জন্য লেখা-লেখির অপচেষ্টা চালাই, ব্লগে বসে থাকি। এর মধ্যে যদি এ ধরনের দুর্দান্ত ধারাবাহিক নগদ-নগদ পড়া এবং এর সঙ্গে সম্পৃক্ত সবার মানসিক প্রতিক্রিয়া জানার এমন আনন্দময় সুযোগ পাই, তাহলে তো বলা যায় সোনায় সোহাগা পরিস্থিতি। এই সিরিজটা পড়তে গিয়ে আমার আসলে তেমনটিই হয়েছে। অনেক ধন্যবাদ তানবীরা'পু।
মীর একটা জিনিষ। য়া যোগ কইরাও পড়া যায়।
প্রথমেই, লেখিকা বলে আমাকে মুরুব্বী প্রমান করার চেষ্টায় মীরকে “পোবল দিক্কার”।
অহনা লেখার পিছনে এবি’র পরিবেশটাও খানিকটা দায়ী। আমি অনেক সময়ই অনেক আঁকিবুকি কেটেছি লেখার খাতায় যেগুলো কোনদিনও কোথাও দেবার সাহস পাইনি। এখন অবশ্য দেখলে নিজেরই হাসি পায়। বেশির ভাগ লেখাই পরে পড়লে, মনে হয় কোন পাগলামি মাথায় ভর করেছিলো, কি লিখেছিলাম, ভাগ্যিস দেইনি কোথাও। লিখে সাথে সাথে না পোষ্ট করলে সাধারনত সে লেখা আমার চির অপ্রকাশিতের খাতায় জমা হয়ে যায়। এবির পেচ্ছাপেচ্ছি পোষ্টগুলো এবির আবহাওয়াতে একটা নিজের বাড়িঘর, বন্ধুভাব পরিবেশ রাখে, যেটা আমার মতো গোবেচারা ব্লগারের জন্য স্বস্তিদায়ক। অনেকটা ডায়রী লেখার মতো লিখি এখানে আমি। আর একটা জিনিস এবির না বললেই, বেনামে আক্রমন এখানে নেই বললেই চলে।
অহনা যদি কোনদিন কিছু হিসেবে দাঁড়ায় তা দাঁড়াবে এবি’র এই পরিবেশ আর মীর ও নুশেরার জন্যে। উৎসাহ অনেকেই দিয়েছেন তাদের সবার প্রতি কৃতজ্ঞ। কিন্তু বিশেষভাবে এ দুজনের নাম না বললেই নয়। একজন ব্লগে সব সময় মন্তব্যে সাহস জুগিয়েছেন, এগিয়ে যাওয়ার জন্যে আর একজনের নিরন্তর তাগাদার কারণে বন্ধ সিরিজ আবার আলোর মুখ দেখেছে।
এবার বিশ্লেষকের জবাবে, নায়িকা হলেই সদগুন সম্পন্ন হতে হবে, এটা কেনো? বাজিগর দেখেন নাই? শাহরুখতো নায়ক। আমার নায়িকার কাছে তাই পার্ফেক্ট কিছু আশা করা ভুল হবে। আমার নায়িকার জীবন ভুল ভ্রান্তিতে ভরা। সে তার দশটা ভুল থেকে একটা শিক্ষা নিয়ে সামনে আগায়। একবার আগালে, পাঁচবার পিছায়। সাধারণের চেয়েও সাধারণ। পোষ্টের ভুল বানানের মতোই তার জীবন।
বিষন্ন কোন মুহূর্তে
অনুভূতিতে অহনার জন্ম। এই কাহিনীর গতি প্রকৃতি কি হবে আমি জানি না। কোন বিরাট ডায়াগ্রাম মাথায় রেখে এই লেখা আমি শুরু করিনি। বিদেশের পরিবেশ খুব বিচিত্র। বাংলাদেশি, প্যালেষ্টাইনি, পাকিস্তানি, ভারতীয়, তুর্কি অনেক অহনাই বাইরে থাকেন। অনেকভাবে তাদের জীবন সংগ্রাম চালান। প্রত্যেক অহনার জীবনই এক একটা উপন্যাস। অহনার পরের পর্ব কি হবে আমি জানি না। প্রত্যেক পর্ব পাঠকের জন্য যেমন নতুন আমার জন্যেও তাই। তাই মীরের বিশ্লেষনে আমি ভীত, পাঠকের প্রত্যাশা পূরন করতে পারবো কি না আমি জানি না। লেখা ভর্তি সীমাবদ্ধতা তাই অস্বাভাবিক নয়, প্রচন্ড স্বাভাবিক। যখন যেটা মনে পড়বে লিখে ফেলবো সেটাই আপাতত ভেবে রেখেছি। বন্ধুরা সাহায্য করবে কথা দিয়েছে তাদের আশায়।
পরিশেষে এতো বড় বিশ্লেষনধর্মী মন্তব্য লিখে আমাকে ভয় দেখানোর জন্য মীরের প্রতি অশেষ কৃতজ্ঞতা। ধইন্যাপাতাও নিতে পারেন, আপনার দেয়া ধইন্যাপাতা দিয়ে আমার ডীপফ্রিজ ভর্তি।
ভালো থাকবেন সবাই। যারা আমাকে ভালোবাসেন তারা আর যারা না বাসেন তারাও।
ভালো লাগা রেখে গেলাম।
ধন্যবাদ সকাল
এমন লেখা পড়ে খুব ভালো লাগে বিশেষ করে অনুভূতির ধরা পড়া রূপগুলো আমি উপভোগ করি। ধন্যবাদ ।
আপনি আমার আন্তরিক ধন্যবাদ জানবেন।
মীরে থিসিস পেপার রিভিও দেখে কি মন্তব্য করতে চায়ছিলাম তা ভুলে গেলাম।
তয় একটা জিনিস শিখলাম যেভাবেই হোক বৌয়ের জন্মদিন ভুলা যাবে না। অর্ন বেচারা যেখানে ২২টা গোলাপ দিয়ে পার পেয়ে যেত সেখানে কত গুলা ইউরো পানিতে ফেলাইলো।
ইউরো পানিতে না ফেলার ইচ্ছে থাকলে বিয়ে না করাই ভালো
জাঝা কমেন্ট হৈসে আপু। মধ্যরাতে হাসতে হাসতে পড়ে গেলাম।
যেই দেশে থাকি সেই দেশের কারেন্সী ইউরো না।
সারাজীবন কি ঐখানেই থাকপা নাকি
মীরের কমেন্ট দেখে তাজ্জ্বব বনে গেছি। এভাবে বিশ্লেষণ কি করে সম্ভব!!!
অহনা আর অর্নর ভাব-ভালোবাসা দেখে ভালো লাগছে।
সেটাই। কোথায় ঘি ঢালছে দেখেন
আজ আর কিছু বলার নাই । কোন বিশেষণই ব্যবহার করতে পারছিনা । প্রথম মন্তব্যের সাথে একমত । আজ মীর যে ঝলকানীর সৃষ্টি করেছে, তা নিয়ে আলোচনা হতে পারে । এত সুন্দর গঠনমূলক মন্তব্য ব্লগে হতে পারে তা এখনো আমার বিশ্বাস হচ্ছেনা । তানবীরাকে সুন্দর পোস্টের জন্য ধন্যবাদ ছাড়া আর কি বলব - তবে মীরকে আন্তরিক অভিনন্দন ।
হ্যা, এটা উদাহরন হতে পারে, আমরা সবাই এখান থেকে শিক্ষা নিতে পারি
আমি মীরের সাথে একমত আমি যা কইতে চাইসি আর যা কইতে চাইনাই সব সে বলে দিসে
আমি কাঁকনের সাথে একমত। আমি যা ভেবে লিখি কিংবা লিখি না তাও বলে দিছে সে
আপু এই কথাগুলো বেশী ভালো লেগেছে ।
লিজা, অনেক অনেক ভালোবাসা তোমাকে
ধর্তার্তাসিনা লুক-জন আমারে পচায় ক্যান?
আরে ভাই মীর, এখনই পচানোর হয়েছে কি, বুঝবেন তখন, যখন ঠিক মতন পচানো হবে। অপেক্ষা করুন ।
একবার এক ব্লগীয় আড্ডায় আনিস মাহমুদ ভাই ছিলেন আমার সাথে। সবাই আমার লেগ পুল করছিলো। তখন আমি বল্লাম, আমাকে পঁচানো হচ্ছে। তখন আনিস ভাই বললেন, আপনে পঁচেন ক্যানো?
আনিসভাই ইজ সিম্পলি গ্রেট! আমি খুব আশা করে আছি ওনার লেখা দেখবো এখানে। তুমি একটু বলবে প্লিজ?
ডিউলি নোটেড
মধ্যে কিছু পর্ব মিস গেছে....
এইটা ভালো লাগলো!
একদিন সময় করে সব পর্ব পড়ে ফেলবো!
আপনার নিকটা দেখলেই জিজ্ঞেস করতে ইচ্ছে করে, আরাফাত কেনো শান্ত?
আরাফাত কেনো শান্ত কারন আলী আরাফাত নামের লোকটা আসলেই শান্ত শিষ্ট ভদ্র ছেলে
আপু, কি অবস্থা ? কেমন আছেন ?
অনেকগুলো পর্ব মাঝে মিস হয়ে গেছে, তাই অফটপিক প্রশ্ন
তোমাকে দেখাই যায় না এ বাড়িতে, ঘটনা কি বলোতো?
ভালো আছো? অঃ টঃ উত্তর
ঘটনা আর কি ! চাকরিতে ঢোকার পর কামলাগিরি করতে করতে আমার জীবন থেকে তারুণ্যের সকল উল্লাস ডেডবডি হইয়া গেছে , দিনে দিনে একটি আনন্দশূন্য মানুষে পরিণত করতেছে --- সকালে সাড়ে সাতটায় বের হই, সন্ধ্যায় সাতটায় ঢুকি আবার বাসায় , ঢুকেই ঘুমায় পড়ি
হুমম, পরিশ্রম করে শরীর শক্ত হওয়ার জন্যে সময়ের দরকার। এরকম বেশি দিন চললে কিন্তু দ্রুত ক্লান্ত হয়ে যাবে, বিষন্নতা ভর করবে। ব্যায়াম করো লিষ্ট।
আজ অনেক দিন পর আসলাম .।মীর ভাই কে সত্যি অনেক অনেক ধন্যবাদ এই রকম কমেন্ট করার জন্য।।খুব সুন্দর করে বর্ননা করেছেন.। আর তানবীরা আপুর লেখাও খুব মিস করি .। অনেক দিন পর পর লেখা আসে। তার পরেও ভাল লাগে।
খুব ভাল লাগল। অনেক টা এই কমেন্ট এর মতই। ভাল থাক আপা। আরো সুন্দর লেখা দাও।
অহনা খুশি, জনগণও খুশি
এই সিরিজটা পড়তে পড়তে মাঝে মাঝে মনে হয় অর্ণ এত কাঠখোট্টা রোবোট কেন, আবার মনে হয় অহনা টাকা পয়সার ব্যাপারে এত অবুঝ কেন ... লেখিকার সার্থকতা ....
নীড় হারা আর নড়বড়েকে অসংখ্য ধন্যবাদ কষ্ট করে পড়ার জন্যে
অহনা খুশি, জনগণও খুশি
অর্ণ দুলাভাই লোকটা তো সুইট আছে তো!দেখা হলে আমার হয়ে সালাম দিয়েন।
গল্পের নায়ক কাম ভিলেনকে সালাম পৌঁছানোর তরিকা কি
যদি আপনার সাথে কোনদিন দেখা হয় আরকি!
তাতাপু কিরাম আছেন?
ভালো না। টনসিল ফুলে নারকেল হয়ে আছে।
তুমি কিরাম আছো বলো?
বুড়া হইছি তো্ শীতে কাবু হয়ে গেলাম। আপনারে তো দেখি না। গভীর রাতে যখন আসেন, তখন তো ঘুমাতে যাই।
নারিকেল দিয়া ভাপা পিঠা বানান তাতাপু।
ভাপা পিঠা বানাতে পারি না জয়ি ।
ঠান্ডা অনেক শোয়া থেকে উঠতে ইচ্ছে করে না বলে তোমাদের সাথে তেমন দেখা হয় না (
এবির সবচাইতে বড় পাওয়া হইছে মীর ... এইটা আবার প্রমান হইলো
এইপর্বটায় এসে অর্ণর সীমাবদ্ধতা গুলোর জন্য কষ্ট লাগলো। তার হয়তো অনেক কিছু করতে ইচ্ছা করে... কিন্তু অর্থনৈতিক টানাপোড়নে জীবনের জীবনটা একেবারে চুপসে যায়। হয়তো অর্ণের অনেক স্বচ্ছলতা আসবে এক সময় কিন্তু এই সময়টা তখন থাকবে না ...
অর্ণের জন্য মায়া
ব্যাটা মাইনষের ব্যাটা মাইনষের জন্য মায়া লাগা খুবই স্বাভাবিক
হ।তবে অর্ণ দুলাভাইরে আমার সুইট লাগছে।
কী-বোর্ডের সামান্য খুট-খাটের বিনিময়ে বন্ধুর কাছ থেকে এমন স্বীকৃতি পাওয়া অনন্ত আনন্দের। টুটুল ভাই আমাকে চিরঋণী করলেন।
তুমি দেখি গল্পের নায়ক নায়িকার সাথে আত্মীয়তা পাতাইয়া ফেলতেছো?
তানবীরা আপু নেদারল্যান্ডে থাকেন ? খুবই সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন এখানকার জীবন যাত্রার খুটিনাটি কথাগুলো ।
একটা ছোট্ট অনুরোধ - আগের পর্বগুলির লিংকগুলো যদি পোষ্টের শুরু বা শেষ এ দিতেন তবে আমার মত নতুনদের পড়ার জন্য অনেক সুবিধা হতো।
ভাইয়া, আমার নিকে ক্লিক করেন। দেখবেন আমার সমস্ত পোষ্ট পাচ্ছেন। একটু কষ্ট করেন, প্লিইজ, দেরী করে আমাদেরকে জয়েন করার মাশুল মনে করেন আর কি
পাঠক এইবার মন দিয়া পড়ছে লাগে! অবশ্য পর্বও ভালো হইছে!
অহনাকে নিয়ে বই কি এই বইমেলাতেই আসবে? অপেক্ষায় রইলাম
মন্তব্য করুন