যেমনে গেলো পহেলা বৈশাখ
পাগলা হাওয়ার বাদল-দিনে
পাগল আমার মন জেগে ওঠে
উ লা লা....উ লা লা...উ লা লা এ.....
গানের এহেন দশার জন্য আমি কুনু ভাবেই দায়ি না। এখন এমুন অবস্হা হাইছে যে এই গান মনে করলে একাই উ লা লা...উ লা লা মাথার মধ্যে চলে আসে। তবে গানের এই রুপটা খুব একটা খারাপ লাগেনি আমার কাছে। পহেলা বৈশাখ !! আহা! পহেলা বৈশাখের নাম শুনলেই আমার রাতের ঘুম উড়ে যায়। এক মাস আগে থেকেই আমার মাথার মধ্যে শুধু চলতে থাকে বিভীন্ন প্ল্যান। আর যেতো চিন্তা রাতে বিছানাতে গেলে মনে আসে যে কি রং এর শড়ি পরবো, কানের দুল কিনতে হবে শড়ির সাথে মিলায়ে, চুল বাধব কি ভাবে আরো হাবি জাবি। আমার এতো আয়োজন দেখে মনে হবে যে আমি হয়তো কোন বড় শড় মেলাতে যাব আসলে তা না, আমাদের এইখানে ছোট খাটো একটা অনুষ্ঠান হয় বাংলাদেশ এম্বাসিতে। অনুষ্ঠানে টুক টাক নাচ গান হয় আর এসব নাচ গান করে এখানে পড়তে আসা বাংলাদেশিরা যার বেশির ভাগই AIT ( Asian Institute of Technology) এর ছাত্র-ছাত্রী। আরো থাকে ছোটদের ছড়া বলার প্রতিযোগিতা যেটার জন্য আমার ছোট ভাই-বোন চ্রম খেপা থাকে আমার উপর। কারন আমি এক মাস আগে থেকে ওদের পিছে পড়ে থাকি বাংলা ছড়া মুখস্ত করানর জন্য। আমার ছোট ভাইরে পড়াতে বসলে নিজেরই মাথা নষ্ট হওয়ার অবস্হা হয়। তারে পড়াতে গেলে তার প্রথম কথা " এতো বড় ?? এর থেকে ছোট টা পড়তে দাও" তারপর আমি খুজে টুজে একটা ছোট টা পড়তে দিলে সে বলবে " অর্ধেক পড়ি?" আমি বলি যে ঠিক আছে ৬ লাইন পড় তখন সে বলবে " ৪ লাইন পড়ি?" আমি কই না ৬ লাইন সে কই ৪ লাইন, এইভাবে শুরু হয় আমার রাগ মাথায় উঠা। পরে সে বলে " আচ্ছা ঠিক আছে ৬ লাইন কিন্তু আজ লিখব না " আমি কই কেন লিখবি না কেন? সে বলে " উফ আপু এতো জালাও কেন? আমি না লিখলে তোমার কি সমস্যা? " এই কথার শুনার সাথে সাথে আমার রাগ মাথা থেকে চুলে উইঠা যায় সোজা গিয়া ঠুক্না মারি মাথার উপর আর তখনই সে শুরু করে ভে ভে আর আমি শুরু করি চিল্লান !! পড়া টরা সব লাঠে উঠে, এহেন অবস্হা দেখে শেষে আম্মু আইসা ভাইরে পড়ায় আর আমি পড়াই বোনরে।
এই হইতেছে আমার গত পহেলা বৈশাখ গুলানের কাহিনী কিন্তু এবারের পহেলা বৈশাখ গেছে পুরাই সাদা ভাত। প্রতিবার সকাল সকাল উইঠা যে তাড়াহুড়া করে রেডি হয় অনুষ্ঠানে যাওয়ার জন্য এবার ঘুম থেকেই উঠছি ১১ টার সময়। ঘুম থেকে উইঠাই আম্মুর ঝাড়ি এতো দেরি করে ঘুম থেকে উঠি কেন আর সারা রাইত জাইগা চুরি করতে যায় নাকি? আম্মুরে কেমনে বুঝায় যে রাইতে আমি দুনিয়া উদ্ধার করছি সপ্নের মধ্যে । পরে আম্মুকে হেল্পিং টেল্পিং করে পিসি এর সামনে চেয়ারে বসলাম ( পিসিতে বসলমান কইলে আমার এক ফ্রেন্ড কই যে তুমাগো বাসায় কি চেয়ার নাই নাকি যে পিসি তে বসো )। অনলাইনে আইসা দেখি কেউ নাই, দুর দুরান্তে কাউরে চোখে না দেইখা রাগ উঠার শুরু । ভাবলাম এবি তে মনে হয় পোষ্টের ঝড় দেখব আইসা দেখি উল্টা। মেইলের উত্তর না পেয়ে রাগ আরো বাইড়া গেলো। আম্মু খাইতে ডাকলো গিয়া দেখি পান্তা এর সাথে রুই মাছ ভাজা ( আহারে এম্বাসির ফ্রি খাওন মিস গেলো এইবার )। আধা ঘন্টা পরে দেখি মেইলের উত্তর আসছে "৫ মিনটিস ফিলিজ!" আমি সারাদিন বাসায় বইসা ঝিমতেছি আর সে পহেলা বৈশাখ করে বেড়াইতেছে, দাড়া রে বেটা!! ঝগড়া টগরা কইরা রাগের চটে গিয়া দিলাম ঘুম । ঘুম ভাইঙ্গা দেখি প্রায় ৭ টা বাজে, নিচে আইসা টিভি দেখলাম আর আম্মু সাথে পেংরা পেংরি কইরা গেলাম ঘুমাইতে, মানসের জালায় কি আর ঘুমানর জো আছে?? বেডা বদ সারাদিন পর এখন আইছে রাগ ভাঙ্গাইতে !! দাত মুখ আইটা রাগের ভান বেশিক্ষণ ধরে রাখতে পারলাম না শেষে ভেটকি কিয়া দিলাম আর এই ভেটকি দিতে দিতেই আমার এবারের পহেলা বৈশাখ দোসরা বৈশখ হয়ে গালো...............
আমার গল্প শেষ ....সোনার বাংলাদেশ
পান্তার সাথে রুইমাছ ভাজা--খারাপ না।
শুভ নববর্ষ।
কি কতাম এখানে ইলিশ মাছ ঈদের চাদের মত
তবে রুই মাছ খারাপ না
আপনাকেও শুভ নববর্ষ
একটি সফল পহেলা বৈশাখ উদযাপনে জন্য জাতির পক্ষ থেকে আপনাকে ধন্যবাদ!
জ্বি পোষ্ট না পড়ে শুধু শিরনাম পড়ে মন্তব্য করার জন্য আপনাকেও ধন্যবাদ !
একটি সফল পহেলা বৈশাখ উদযাপনে জন্য জাতির পক্ষ থেকে আপনাকে ধন্যবাদ
আর যাই হোক, রবীন্দ্রসঙ্গীত নিয়া পরীক্ষা নিরীক্ষা করতে দেখলে মেজাজ সিরিয়াস খরাব হইয়া যায়!
পরীক্ষা নিরীক্ষা যারা করছে তাদের গিয়া মাইর দেন
যাক, শেষ পর্যন্ত যে ভেটকি দিতে পারছেন এইটাই বিরাট সাফল্য ..
"একটি সফল পহেলা বৈশাখ উদযাপনে জন্য জাতির পক্ষ থেকে আপনাকে ধন্যবাদ!"
আপনেরও কি শান্তর মত ঝগরাইটা মুডে থাকেন নাকি সব সময় ?
ঝগড়ার মুড দেখলেন কই ,
মানুষজন আজকাল খালি ভুল বোঝে.. বড় দুস্ক পাইলাম মনে (
শান্ত আজ কাজ ঝগড়ার মুডে থাকে সেটা তার পোষ্ট পড়লে বুঝা যায় যে সে দুনিয়ার সব মানুষের উপর খেপা।
আপনি শান্তর মন্তব্য কপি পেষ্ট করলেন দেইখা জিগায়লাম যে আপনিও শন্তর মত খেপে আছেন নাকি ?
দুস্ক পায়েন না গো ফাহমিদা বু
"একটি অসফল পহেলা বৈশাখ উদযাপনে জন্য জাতির পক্ষ থেকে আপনাকে জানানো ধন্যবাদ ফেরত নিলাম!"
ছেড়ে দে শয়তান! আমার পোষ্ট পড়তে পারবি কিন্তু ধন্যবাদ ফেরন নিতে পারবি না!!
ছেড়ে দে শয়তান শুনে ডরায়ছিলাম, ভাবছি এই মনে হয় নায়ক সাব আইলো।
রাগের লগে সমানুপাতিক হারে ভেটকানি দেওয়ায় ঝাতির পক্ষ থেকে আমার অভিনন্দন গ্রহন করেন
ঝাতির পক্ষ থেকে অভিনন্দন গ্রহন করলেম
ভালাই তো ভেটকি মাছ দিয়া পহেলা বৈশাখ উদযাপন করলা। বেডা তো বদ হইলেও সুইট আছে দেখি! বেডা কেডা?
হ ভেটকি দিয়া শেষ করছি পহেলা বৈশাখ
বেডা আবার কেডা
বেডা তুমার বন্ধু লাগে
খ্রাপ না। আমার চেয়ে ভালো কাটসে অন্তত। বিশেষ করে রাগ ভাঙ্গানোর পর্বে।
কেন আপনার দিন কাটছে কেমনে?
উনি বুঝেনই নাই যে আমি সেন্টু খাইছিলাম।
পরে মনের দুঃখে মনেই চেপে ভেটকি দিতে হইসিলো।
আহারে....তাইলে মনে হয় আপনি ভালো মত রাগ দেখাইতে পারেন নাই
সারা বছর তো তাইলে দুঃখ চেপে ভেটকি দিতে হবে আপনার
তবে এইটা খারাপ না দুঃখ কে ভুলে সুখকে আপন করা
সুন্দর দিন কাটাইলা, ঘুমের উপরে কোন ওষুধ নাই
হুম ঘুম দিয়ে দিন শেষ করলাম
রাগ নামানর ভালো ওষুধ
ভালোইতো কাটছে, আমার তো কাটেই নাই
কেন?
পয়লা বৈশাখ চইলা গেলো? কখন গেলো?? কার সাথে গেলো???
কেন আপনারটা যায় নি?
"একটি সফল পহেলা বৈশাখ উদযাপনে জন্য শান্তর পক্ষ থেকে আপনাকে ধন্যবাদ!"
আপনাকেও ধন্যবাদ
পোষ্ট পড়ি নাই এরম কথা তুমি কইতে পারলা!
হ পারছি
মন্তব্য করুন