প্রিয় পাঠক পাঠিকা, আপনাদের সচেতন হওয়া প্রয়োজন।
প্রিয় পাঠক পাঠিকা, অনেক দিন ধরে আপনাদের একটা বিষয়ে সচেতন করব বলে ভাবছি। জরায়ু-মুখ ক্যান্সার নারীদের জন্য একটি ভয়াবহ ব্যাধি এবং জরায়ু-মুখ ক্যান্সার বিশ্বব্যাপী নারীদের মৃত্যুর অন্যতম প্রধান কারণ। বর্তমান বিশ্বে প্রতি দুই মিনিটে একজন নারী জরায়ু-মুখ ক্যান্সারে মৃত্যুবরণ করেন এবং প্রতি বছর অর্ধকোটী নারী নতুন করে আক্রান্ত হন।
বাংলাদেশে প্রতিবছর প্রায় ১৩,০০০ নারী নতুন করে জরায়ু-মুখ ক্যান্সারে আক্রান্ত হন এবং প্রতিবছর মৃত্যুবরণ করেন প্রায় ৬,৬০০ নারী। অর্থাৎ প্রতিদিন গড়ে সারাদেশে ১৮ জন নারী মারা যাচ্ছেন জরায়ু-মুখ ক্যান্সারে। জরায়ু-মুখ ক্যান্সার ১৫- ৪৫ বছর বয়সের নারীদের মধ্যে বেশী দেখা যায়, কিন্তু ক্যান্সারের লক্ষণ প্রকাশের প্রায় ২ থেকে ২০ বছর আগেই একজন নারী এ রোগের ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হন।
তবে একটু সচেতন হলে এ রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব। ১০ বছর বয়সের পর থেকেই জরায়ু-মুখ ক্যান্সার প্রতিরোধক টিকা নেয়া যায়। মোট তিনটি ডোজ টিকা নিতে হয়। প্রথম ডোজের ১ মাস পর দ্বিতীয় ডোজ এবং প্রথম ডোজের ৬ মাস পর তৃতীয় ডোজ টিকা নিতে হয়। টিকা গ্রহণের পাশাপাশি নিয়মিত পরীক্ষা জরায়ু-মুখ ক্যান্সার আক্রমনের হারকে কমিয়ে আনে।
(টিকা। যে কোন ঔষধ ব্যবহারের পূর্বে ঔষধের গায়ে ঔষধদের উপাদন তারিখ ও মেয়াদ দেখে নিন।)
বাংলাদেশে জরায়ু-মুখ ক্যান্সার এর প্রতিষেধক (টিকা) পাওয়া যায়। কিন্তু দাম/মূল্য আমার মনে হয় সাধারন মানুষের নাগালের বাইরে। প্রতি ডোজের মুল্য প্রায় ৫,০০০/= টাকার মত পড়ে। কিন্তু দলগত ভাবে টিকাদান কেন্দ্রে (আজকাল অনেক কেন্দ্রে এ টিকা পাওয়া যায়) গিয়ে রেজিস্টার করে আসলে ৪,০০০/= থেকে ৪,৫০০/= টাকার মধ্যে দেওয়া যেতে পারে বলে আমার বিশ্বাস। অনেকে একসাথে দিলে টিকাদান কেন্দ্র তার লাভ কম রাখতে পারে (আমার জানামতে এ টিকা উৎপাদন প্রতিষ্ঠানও ছাড় দিয়ে থাকে)।
(খুব সহজে হাতের বাহুতে এই টিকা নেয়া যায়)
আমার এ লেখাটা যিনি পড়ছেন, তিনি যদি একজন নারী হয়ে থাকেন, তবে আমি অনুরোধ করব - আজই এ টিকা নিয়ে নিজকে সারা জীবনের জন্য ক্যান্সারকে পরাজিত করে ফেলুন এবং সারাজীবনের জন্য নিরাপদ ও টেনশন মুক্ত রাখুন। যারা ধনী আছেন তাদের প্রতি অনুরোধ, আপনি দিয়ে অন্য আর একজন মা, বোন কিংবা বন্ধুকে সাহায্য করুন। টাকার কথা ভেবে যারা মনঃকস্টে আছেন, তাদের বলি যেকোন এক ঈদে কিছু না নিয়ে কিংবা পিতা, ভাই বোনদের থেকে নিয়ে নিজেই এ টিকা দিয়ে দিন। নিজকে নিরাপদ করে ফেলুন।
আপনি যদি একজন পুরুষ হন তবে মনে রাখুন একজন নারী আমাদের মা, বোন, মেয়ে কিংবা স্ত্রী। আমাদের প্রিয় মা, বোন, মেয়ে কিংবা স্ত্রীকে সুন্দর, সুখি ও সুস্থ্যভাবে রাখা আমাদের দ্বায়িত্ব। বাংলাদেশে নারীদের নানাবিধ স্বাধীনতা নেই, নেই তাদের অর্থনৈতিক স্বাধীনতাও! আজই আপনি দ্বায়িত্ব নিন। সবাইকে নিয়ে যান টিকা কেন্দ্রে। আপনি যদি ধনী হন তা হলে তো কথা নেই! আর যদি আপনার অর্থনেতিক সচলতা না থাকে তবে পরিবারের সবাইকে নিয়ে বসুন, তাদের জানান। নিশ্চয়ই একটা পথ বের হবে। আপনার প্রিয় মুখটি তথা মা, বোন, মেয়ে কিংবা স্ত্রী হবে সুন্দর, সুখি ও সুস্থ্য।
*****
[এটি কোন ঔষধ কোম্পানীর প্রচার নয়, নারী তথা সমাজ সচেতনে আমার ক্ষুদ্র প্রয়াস। ব্লগে যে সকল ভাই বোন আছেন তাদের প্রতি অনুরোধ এলেখাটা কপি/এডিট করে নানা বাংলা ব্লগে/ নানা কাগজে আপনার নামে প্রকাশ করুন। এর কোন কপিরাইট নাই! তবে ২৪ ঘন্টার আগে নয়, আমরা বন্ধু ব্লগের নীতিমালা মেনে চলুন। যত বেশী মানুষ জানবেন ততই মঙ্গল।]
প্রিয় পাঠক পাঠিকা, আপনাদের সচেতন হওয়া প্রয়োজন। এই শিরোনামটা আমার মনপুত হয়নি। যদি কেহ একটা ভাল শিরোনাম দেন তবে খুশি হব। শিরোনাম ভেবে ভেবে জন্য আমার অনেক সময় নস্ট হল।
অনেক মানুষকে সচেতন করতে পারে এই লেখাটি । অসুখ হবার আগে সাবধান হলে ডাক্তারের চেম্বারে বসে মৃত্যু চিন্তা করতে হবেনা ।
আহাদ নুর, আপনাকে ধন্যবাদ। আপনি বাংলা লিখছেন, এটা আমাকে আনন্দিত করে। আপনি একজন ভাল লেখক। প্রান খুলে লিখুন।
আমরা বন্ধু মড়ারেটরদের কাছে অনুরোধ - আহাদ নুরকে এক্সসেস দিন। আমরা একজন ভাল বন্ধু ব্লগার পাব।
বিষয়টা বেশ জরুরী, এর জন্য সচেতন হওয়া প্রয়োজন আপনার-আমার এবং আমাদের।
আমার মতে, শিরোনাম এখানে তেমন বড় ব্যাপার না ভাইটি। শুভেচ্ছা জানবেন।
বাতিঘর, ধন্যবাদ জানবেন। আপনার চার পাশের প্রিয় নারীদের জানান এবং সাহায্য করুন।
প্রয়োজনীয় পোষ্টের জন্য অনেক ধন্যবাদ উদারজী ভাই!
নীড় সন্ধানী ভাই, ধন্যবাদ জানবেন। গত ছয় মাস আগে আমিও এ বিষয়ে (টিকার কথা) জানতাম না কিন্তু এ রোগে আমি আমার এক প্রিয় সিলেটি খালাকে হারিয়ে ছিলাম। সময় পেলে ওনার হারিয়ে যাবার ঘটনা লিখব। অত্যন্ত মর্মান্তিক ঘটনা ছিল আমাদের জীবনে। তার স্নেহভরা মায়ামুখ আমাকে এখনো কাদায়।
সত্যিই মর্মান্তিক!
আমাদের সামান্য একটু সচেতনতায় বেচে যেতে পারে একজন মায়ামুখি মা, বোন, মেয়ে কিংবা স্ত্রী, সুন্দর হতে পারে একটি পরিবার। সবাইকে জানান।
ধন্যবাদ উদরাজী ভাই একটা জরুরি বিষয় তুলে আনার জন্য।
ধন্যবাদ নাহীদ ভাই, আমাদের সামান্য একটু সচেতনতায় বেচে যেতে পারে একজন মায়ামুখি মা, বোন, মেয়ে কিংবা স্ত্রী, সুন্দর/ সুখী হতে পারে একটি পরিবার। সবাইকে জানান।
দরকারী পোস্ট।
গুরু, ভাবীকে অতিসত্বর টিকাদান কেন্দ্রে নিয়ে যান। বনে যান 'আর্দশ স্বামী'। হা হা হা.।
ভালো জিনিস নিয়ে লিখছেন তো!
অনেক ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ মেঘ, আমাদের সামান্য একটু সচেতনতায় বেচে যেতে পারে একজন মায়ামুখি মা, বোন, মেয়ে কিংবা স্ত্রী, সুন্দর/ সুখী হতে পারে একটি পরিবার। সবাইকে জানান।
সাহাদাত ভাইকে এই লেখাটার জন্য অসংখ্য প্লাস। +++++++++++++++++++++
স্ট্যাটিক্সটা ভয়াবহ...আপনার পোস্টের জন্য তথ্যটা জানা হল। ধন্যবাদ।
ভালো জিনিস নিয়ে লিখছেন তো!
অনেক ধন্যবাদ।
সিস্টার তানবীরা, এ লিখাটায় আপনিই প্রথম নারী যিনি আমাকে ধন্যবাদ দিলেন। আমি খুশী হয়েছি। এ লিখটা কোন নারী পোস্ট করলে আরো বেশী মানুষ জানতে পারতো বলে আমার মনে হচ্ছে (এটা আমার ধারনা মাত্র। আজ সকালে এলিখাটা অন্য একটা ব্লগে দিয়েছিলাম, একজন ব্লগার এটা 'সত্য না মিথ্যা' প্রশ্ন তুলেছেন! দেখুন মানুষের মন)।
তথ্য সবাইকে জানাবেন। শুভ কামনা।
আমি আপনাকে রিপোর্ট করি নাই, করেছিলাম ঐ ছবিটাকে। প্লাস ফেসবুকের এই রিপোর্টিং সিষ্টেম হলো বোগাস। কিচ্ছু হয় না ।
ai tika b ar por neya jabe na??
ধন্যবাদ বোন, অবশ্যই।নেয়া যাবে। (সরি দেরীতে উত্তর দেয়ার জন্য)
মন্তব্য করুন