ছবি প্রদশর্নীঃ উৎসর্গ - হাসান রায়হান ভাই।
আমরা বন্ধু'তে আমাদের হাসান রায়হান ভাইকে নূতন করে পরিচয় করিয়ে দেবার দরকার নেই। স্পষ্টভাষী হিসাবে তিনি ইতিমধ্যে প্রচুর নাম কামিয়ে নিয়েছেন। তার পোষ্ট এবং কমেন্টে একটা চরম রসবোধ কাজ করে। অনেক সময় সত্য প্রকাশে অসুবিধা থাকলেও তিনি যেভাবে এগিয়ে আসেন তা রীতিমত দেখার বিষয় হয়ে দাঁড়ায় এবং তার এই ভুমিকার কারনে অনেকে পাটাপুতার পিসাপিসি থেকে বেঁচে যান! আমি তার কমেন্ট পড়ে পড়ে বিরাট ভক্ত বনে গেছি!
আপনারা হয়ত ইতিমধ্যে লক্ষ করেছেন যে, আমি তাকে ‘গুরু’ বলে ডাকি। আপনি যদি কাউকে গুরু ডাকেন, তা হলে লক্ষ করবেন যে বেশীর ভাগ মানবসন্তানই তা সহ্য করতে পারছেন না। আসল গুরুরাই ‘গুরু’ ডাক সহ্য করতে পারেন! লালন সাঁই এই জগতের গুরুদের গুরু! এটাও মানুষের একটা বিরাট গুন।
যাই হোক আজকের বিষয়, আমার এই গুরুকে নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি কংবা টানাটানি নয়! আমার এই গুরুর যে বিশাল গুনটা আমাকে তার আরো কাছে নিয়ে আসে তা হল, হাসান রায়হান ফটোস্টিম। আমার গুরুর হাতের যাদু! গুরুর তোলা ছবি গুলো আমাকে ভাবায়। প্রতিটি ফ্রেমে লুকিয়ে থাকে বিশাল অভিবক্তি। চলুন গুরুর ছবি গুলো দেখি! ছবি গুলো ফ্লিকার থেকে চুরি করা। ফাঁসি হলে আলহামদুলিল্লাহে বলে ঝুলে পড়ব!
ছবি ১ - কাপ্তাইয়ের এমন মনো মুগ্বকর দৃশ্য আমি কাপ্তাইয়ে না গিয়েই তার ছবিতে উপলব্দ্বি করেছি।
ছবি ২ - এই ছবিটা আমার কাছে একটা অসাধারন ছবি বলে মনে হয়। এইছবি আমি দেখি আর ভাবি কোথায় দাঁড়িয়ে তিনি এমন সুন্দর ছবি তুললেন।
ছবি ৩ - আমাদের সাত রাজারধন সেন্টমার্টিন। এমন একটা ছবি দেখেই তো জীবন পার করে দেয়া যায়।
ছবি ৪ - এই ছবিটা আমার হৃদয় কাড়ে আকাশ সাগর মিশে একাকার হবার কারনে। প্রবাল পাথরের উপর দাঁড়িয়ে থাকা প্রেমিক প্রেমিকা দেখে আমার মনে একটা চরম হিংসা জাগে, প্রেমিকটা যদি আমি হতে পারতাম! হায় প্রেম!
ছবি ৫ - ছবিটার কম্পোজিশন নিয়ে ভাবি। আমার মনে হয় এ ছবি তুলতে গুরু জুম ব্যবহার করেছিলেন। সাদা মেঘে সুর্য্যের আলো, আকাশ, পাহাড়, মাটি ও পানি! চমৎকার গড়াগড়ি।
ছবি ৬ - সংসদ ভবনের উপর গুরু অনেক এক্সপেরিমেন্ট করেছেন। তার তোলা দিন ও রাতের সংসদ ভবনের ছবি এককথায় অসাধারন। আমি যতদুর জানি, সারা পৃথিবী থেকে অনেক ফটোগ্রাফার আসেন আমাদের সংসদ ভবনের ছবি তুলতে। ফোকাল টার্গেট হিসাবে আমাদের সংসদ ভবন নাম কামিয়েছে।
ছবি ৭ - সংসদ ভবনের ছবিগুলো যদি আমাদের বর্তমান স্পীকার হামিদ সাহেব দেখেন, আমি নিশ্চিত তাকে ডেকে 'এপয়েনমেন্ট লেটার' ধরিয়ে দিবেন। মুখে বলতেও পারেন, সারা জীবন সংসদ ভবনের ছবি তুলে কাটিয়ে দাও। আমি এটাও নিশ্চিত যে এই ছবিগুলো যদি আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা দেখেন তবে আমার গুরুকে ডেকে নিয়ে গনভবনের একটা 'ডে নাইট' ফটোশেসন করাবেন। (ম্যাডাম খালেদা কি করবেন তা ক্ষমতায় এলে বলব!)
গুরু হাসান রায়হান ভাইয়ের ছবি নিয়ে কিছু বলা (!) আমার পক্ষে কঠিন কাজ। ছবি দেখা আমার কাজ, দেখে ভাল লাগলে বলি এইতো। ছবির খুত ধরা কিংবা ছবি নিয়ে আলোচনা, পর্যালোচনা করা আমার ইচ্ছা নয়, পারিও না। প্রাকৃতিক দৃশ্য যে ভাবে ক্যামেরায় ধরা হয়, মুখ বা টার্গেট ছবির ক্ষেত্রে তা ভিন্ন। ছবির বিষয় বস্তু নিধারন করে ফ্রেম নির্বাচন একজন ফটোগ্রাফারের দক্ষতার পরিচয় বহন করে। এদিক দিয়ে গুরু হাসান ভাইকে আমার কাছে অনন্য মনে হয়। নীচের ছবি গুলো তাই বলে।
ছবি ৮ - তিনকন্যার সবালীল হাসি।
ছবি ৯ - গুরুদের গুরু!
পরিশেষে গুরুর কাছে ক্ষমা চেয়ে বলতে চাই, ছবি তোলার চরম প্রতিভা থাকা সত্বেও আপনি তা কাজে লাগাছেন না, ফাঁকি দিয়ে যাচ্ছেন। সিরিয়ার্স হতে অনুরোধ করছি। এটা হতে পারে হয়ত আপনার পেশাগত চাপে আপনি নাজুক আছেন, তাতে কি! দুনিয়া কয় দিনের!
ছবি ১০ - গুরুর এই ছবিটা আমি দেখি কিন্তু কিছু বুঝি না! কি এমন জীবন, ওপারে যেতেই এত বাঁধা! এখানেই মনে হয় গুরু হাসান রায়হান ভাইয়ের সার্থকতা।
ফাল্গুনের এই প্রথম দিনে ক্ষমা করার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ, গুরু!
আমি প্রথম দর্শক।
ধন্যবাদ উলটচন্ডাল ভায়া। অনলাইনে দেখছি নানা পদের গুরুদের সাথে আসল গুরুও আছে! পালাব কিনা ভাবছি!
সাঈদ
জেবীন
সাহাদাত উদরাজী
উলটচন্ডাল
অমি
রুবেল শাহ
রন
অরিত্র
হাসান রায়হান
মেসবাহ য়াযাদ
মীর
পোস্ট সরাসরি প্রিয়তে। হাসান ভাইয়ের ছবি আমার খুব ভালো লাগে। ওনার চোখ আছে বটে।
ভাই আপনি আমার গুরু । আপনারে পাইলে একটা পেন্নাম ঠুকবো চিন্তা করছি ।
সাঈদ ভাই, কার বিয়েতে গিয়েছিলেন! ফাঁস করে দিব! ছবিতো মাসাআল্লাহ!
(পেন্নাম ঠুকেন আর যাই করেন সত্য বলেই যাব! ইয়াদ রাখবেন, আপনিও হতে পারেন নেক্স!)
লজ্জায় ফেলে দিলেন উদরাজী ভাই। আমি চিন্তা করছি যে, এই ব্লগে যেসব ভালো ফটোগ্রাফার আছে ওরা এই পোস্ট দেখলে কী হাসি ই না হাসবে। দুই নম্বর ছবিটা আসলে রিস্ক নিয়ে তুলছিলাম। পাহাড়ের মধ্যে একটা গাছ ধরে দাঁড়িয়ে তুলছিলাম। পরে খেয়াল করেছি পরে গেলে কয়েক শ ফুট নীচে! মনে হইলেই শিউরে উঠি।
আজকে মন অনেক খারাপ ছিল। আপনার পোস্ট দেখে মনটা ভালো হয়ে গেল। অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা উদরাজী ভাই।
কি যে বলেন গুরু! দোয়া করবেন।
অনেক দারুন ছবি তুলে রায়হানভাই যেই দেখছে সেই বলবে...
ছবিগুলা নিয়ে আর নিজের কিছু লেখা দিয়ে সাজিয়ে আপনার উপস্থাপনাটা সুন্দর হইছে... ছবি প্রদর্শনী সাফল্য মন্ডিত হোক!...
সিস্টার জেবীন। ধন্যবাদ।
চুপচাপ দেখে গেলাম
ভাই, প্রোফিকের ছবিটা কে তুলেছেন!
আমার ক্যামেরায়, আমার বন্ধু রাশেদ তুলেছে। সেন্টমার্টিন্স থেকে ফেরার পথে জাহাজে তোলা...
ভাই, আপনার ছবিটা বেশ সুন্দর হয়েছে কিন্তু আমার মনে হচ্ছে আপনার ফেসে একটু আলোর ব্যবহার হলে (ফটোশপ দিয়ে) আরো ঝাক্কাস হত! ছবিটার একটা কপি পাঠিয়ে দিন, চেষ্টা করি। udraji@gmail.com
রায়হান ভাইয়ের ছবি আসলেই অসাধারন।
কাকা আপনারে ধন্যবাদ।
আরেকটা কথা এই টাইপের পোস্টের নাম
না বলে হাসান রায়হান ভাইয়ের ছবি প্রদশর্নী বললে ভালো হয়। কারন শিরোনাম দেখলে মনে হয় ছবি আপনি তুলে রায়হান ভাইরে উৎসর্গ করেছেন।
কাকা, ছবি গুলো চুরি করা! চুরি করে চমক!
(একটু ভান করা আর কি!)
রায়হান ভাইএর ফ্লিকার অনেক আগ থেকেই ফলো ক্রি
আমিও অনেকদিন ধরে দেখে আসছিলাম।
ধন্যবাদ উদরাজী ভাই। হাসান ভাই এর ৩ নামবার সেন্টমার্টিন এর ছবি টা আর ৭ নাম্বার ছবি রাতের সংসদ ভবন খুবই ভাল লাগছে.।
নীড় _হারা_পাখি ভাই, রাতের সংসদ ভবন। অসাধারন। ভাল ফটোগ্রাফাররা রাতের ছবি ভাল তুলেন।
রায়হান ভাই এর ছবি আমিও অনেক পছন্দ করি। যে কাজ নিজে পারি না, তা অন্যকে করতে দেখলে দারুণ লাগে।
উদরাজী ভাইকেও ধন্যবাদ। আপনার এই জাতীয় উদ্যোগ পছন্দ করি।
ধন্যবাদ, মাসুম ভাই।
রায়হান ভাই এর ছবি আমিও অনেক পছন্দ করি। যে কাজ নিজে পারি না, তা অন্যকে করতে দেখলে দারুণ লাগে।
উদরাজী ভাইকেও ধন্যবাদ। আপনার এই জাতীয় উদ্যোগ পছন্দ করি। (কপিরাইট মাসুম ভাই)
ধন্যবাদ বোন তানবীরা।
রায়হান ভাই এর ছবি আমিও অনেক পছন্দ করি। যে কাজ নিজে পারিনা, তা অন্যকে করতে দেখলে দারুণ লাগে।
উদরাজী ভাইকেও ধন্যবাদ। আপনার এই জাতীয় উদ্যোগ পছন্দ করি। (কপিরাইট মাসুম ভাই)
ধন্যবাদ বাতিঘর ভাই।
দারুন ছবি!
এই নরাধমের ও একই কথা।
রায়হান ভাই দারুণ ছবি তুলে। উনারে দিয়া নিজের কিছু ছবি তুলায়া বিয়ের সিভিতে দিমু ভাবতেছি।
মুকুল ভায়া, হেভী বলেছেন। যাদের বিবাহ হয় নাই (ছেলে মেয়ে) তারা আমার গুরু'র দাক্ষিনা নিতে পারেন!
ছবি তোলার জন্য ক্যামেরার চেয়েও গুরুত্বপূর্ন হলো হাতের টিপ। উনি কেন যেন ঠিক সময়ে এই কাজটা পারেন, তাই ছবি উঠে জীবন্ত। আমিও কিন্তু উনাকে গুরুমান্য করি নানান ব্যাপারে।

নীড় সন্ধানী ভায়া, 'আমিও কিন্তু উনাকে গুরুমান্য করি নানান ব্যাপারে' বিষয়টা খোলাসা করুন।
নীড় সন্ধানী ভায়া, 'আমিও কিন্তু উনাকে গুরুমান্য করি নানান ব্যাপারে'! হা, নানা ব্যাপারই বটে!
ছবি পছন্দ করার জন্য ধন্যবাদ সবাইকে। নিলাজার মত নিজের ঢোল পিটানো থকে বিরত থাকতে পারলামনা। সেন্ট মার্টিনের গোধূলির এই ছবিটা আমার অন্যতম প্রিয়। কারণ হল, ফ্লিকারে এই ছবি দেখে একটা রিসোর্ট বিল্ডিং প্রতিষ্ঠান সেন্ট মার্টিনে তাদের প্রস্তাবিত রিসোর্টের ব্রোশিওরের জন্য আমার ছবিটা পছন্দ করে এবং বিনিময়ে টাকাও দেয়। একজন নতুন আলোকচিত্রের ছাত্রের হিসাবে এইটা ছিল অভূতপূর্ব আনন্দের এবং উৎসাহের।
অভিনন্দন হাসান ভাই!! অপূর্ব সুন্দর একটা ক্লিক। এরকম জায়গামতো এক ক্লিকেই যে মাত হতে পারে এই ছবিটাই প্রমান।
গুরু, অত্যান্ত আনন্দের সংবাদ শুনালেন। ছবিটা আসলেই সুন্দর। আপনার মঙ্গল কামনা করি। আরো ছবি এমন হউক।
খুউব সুন্দর ছবিগুলো।
বকলম ভাই। কেমন আছেন? আপনারা ছবি তুলে মানুষকে পাগল(!) করে ছাড়বেন! আজকাল আর কি কি নূতন ছবি তুলেছেন।
রায়হান ভাইর তোলা ছবি দেখে আবারও মুগ্ধ হলাম।
অসাধারন ছবি তুলেন রায়হান ভাই।
১০ নাম্বার ছবিটা দেইখ্যা নিজেরে দার্শনিক ভাবতে ই্চছা হইতাছে!
জুলিয়ান ভাই, কিরাম আছেন? অনেক দিন পর পর ব্লগে আসেন!
হাসান ভাইয়ের ছবি আসাধারন। কনসেপ্ট নিয়ে ভাবতে হয়। সময় পেলেই আমি অনেক ছবি দেখি। আপনিও ছবি তুলেন! ফ্লিকারের ঠিকানা দেন, দেখি।
হাসান ভাই, এই লিঙ্কটা আশা করি একটু দেখবেন।
হাসান ভাই, এই লিঙ্কটা আশা করি একটু দেখবেন।
মন্তব্য করুন