সকল মহামান্য ব্যাক্তি বরাবর
ইদানীং যা চলছে দেশে এই সব নিয়ে কথা বলতে আর ইচ্ছা আমার করে না। কোন সুস্থ মানুষের কিছু আর বলার থাকতেও পারে না। এক অধ্যক্ষ হোসনে আরা বেগম উনার কথা মনে হলেই আমার আত্মতৃপ্তিতে ঢেকুর উঠে। আহা, এখনি চোখ ভারী হয়ে আসছে। এত প্রগতিশীল মহিলা দেশে আছে ভাবতেই মনটা ভরে যায়। কিন্তু ম্যাডাম হোসনে আরা আপনি কি জানেন নাবালিকা একটা বাচ্চার সাথে সেক্স করলে সেটা সেক্স থাকে না? সেটা হয় রেপ। নাকি এইটুকু ঘুলি পরমেশ্বর আপনার মাথায় দেয় নাই? আপনার কি জানা আছে মিউচুয়াল সেক্স হওয়ার জন্যে “কনসেন্ট” নামে একটা জিনিস লাগে। কিন্তু মহামান্যা মাথামোটা অধ্যক্ষা সাহেবা, ১৮ এর নিচে (ক্ষেত্র বিশেষে ১৬) একজন নাবালিকা কখনোই সম্মতি দিতে পারে না। মহামান্যা আপনি কি জানেন শুধু মাত্র এই কারনে এই দেশে ১৮ এর নিচে বাচ্চাদের যদি সম্মতির নিয়ম থাকতো কত মেয়ের বাল্য বিবাহ হতো? আপনার সেটা জানার কথা না। কারন আপনি একজন অক্ষরজ্ঞান সম্পন্ন অশিক্ষিত। আপনাকে এখন আইনের ধারা সহ বলি, ইংলিশ ল’ আমাদের আইনী পথিকৃৎ তাদের রেফারেন্সই দেই প্রথমে।
Section – 1 of Sexual Offences Act – 2003 বলে, অর্থাৎ কারো ইচ্ছার বিরুদ্ধে বা অসম্মতিতে যৌনলিপ্ত হলেই তা রেপ হবে। সম্মতি কে কে দিতে পারে আর কার কার সম্মতি কখনোই সম্মতি হিসাবে গন্য হবে না তা বলা হয়েছে একই আইনের Section – 74, 75 & 76(2) –এ। Section – 5 বলে, A person commits an offence if he intentionally penetrates the vagina, anus or mouth of another person with his penis and the person is under aged. অর্থাৎ অপ্রাপ্তবয়স্কার সাথে ইন্টারকোর্সও লাগবে না পেনিট্রেশনই যথেষ্ট। বাংলাদেশ আইন বলে, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন – ২০০০ ও নারী ও শিশু নির্যাতন দমন (সংশোধন) আইন,২০০৩ এর ধারা ৯ (১) বলে , যদি কোন পুরুষ কোন নারী বা শিশুকে ধর্ষন করে, তাহলে সে যাবজ্জীবন কারাদন্ডে দন্ডিত হবে এবং এর অতিরিক্ত অর্থদন্ডে দন্ডিত হবে। যদি কোন পুরুষ যদি ১৬ বছরের উপরের কোন মহিলার সম্মতি ছাড়া বা ভীতিপ্রদর্শন বা প্রতারনামূলক ভাবে তার সম্মতি আদায় করে বা ১৬ বছরের নিচে কম বয়েসের কোন নারীর সাথে সম্মতি ক্রমে বা ছাড়া যৌনসঙ্গম করে তবে সে উক্ত নারীকে ধর্ষন করেছে বলে গন্য হবে। (২০০৩ সালের ৩০ নং আইন দ্বারা সংশোধিত)
মহামান্যা মাথামোটা হোসনে আরা, একটা ক্লাস টেনের মেয়ের বয়েস সর্বোচ্চ ১৪-১৫, তাহলে আপনিই বলুন ইংল্যান্ড, ফ্রি সেক্স কান্ট্রিতেও যেটা সেক্সুয়াল ওফেন্স সেটা আমাদের দেশে কি করে মিউচুয়াল সেক্স হয়? আমাদের দেশের ১৬ বছরের নিচে সে সম্মতি দিলেও রেপ হিসাবেই গণ্য হবে। হ্যা মিউচুয়াল সেক্স হবে এমন কথা শুধু মাত্র আপনার মত মনবেশ্যার কাছেই আশা করা যায়। আপনি আপনার মেয়েকে এই শিক্ষাটাই দিয়েন এবং সে যখন ধর্ষিত হয়ে ঘরে ফিরবে তাকে ও বলবেন যেন, মা এটা কিছুই না। এটা মিউচুয়াল সেক্স। আমার চোখে আপনি একজন মানবতা বিরোধী অপরাধি। ৭১ সালে রাজাকাররা তাদের পাকি বাবাদের রেপ সমর্থন করেছিলো, আজকে আপনি পরিমল জয়ধরের করছেন। রেপড হচ্ছে আমাদের মা- বোন। আমার কাছে রাজাকার আর হোসনে আরা নামক এই মহিলার মধ্যে কোন পার্থক্য নাই। রাজাকার ও হোসনে আরা দুইই আমার জন্যে গালি। আমি মুক্ত মঞ্চে তোর ফাসি চাই কুত্তার বাচ্চা হোসনে আরা। ও হ্যা আপনাকে ফাসি কে দেবে? আপনি হচ্ছে মহামান্য প্রধানমন্ত্রীর বান্ধবী। আমাদের তো উচিত আপনার গুহ্যদ্বার লেহন করা আর জ্বী হুজরাইন জ্বি হুজরাইন করা। আপনি যেমন পরিমলের উত্থিত শ্লিশ লেহন করে যাচ্ছেন সে শুধু মাত্র গোপালগঞ্জীও ছাত্রলীগের জারজ সন্তান দেখে।
প্রানপ্রিয় সাংবাদিক ভাই আমার। অনেক আগে পড়েছিলাম, রোম যখন পুড়ছিলো নিরো বসে বাশি বাজাচ্ছিলো। আপনারা দেখিয়ে দিলেন। যথাযথ ভাবেই দেখিয়ে দিলেন। বাচ্চা একটা মেয়ে যখন ধর্ষিত হয়, তার সহপাঠি আমার বোনেরা যখন আন্দোলন করে আপনারা প্রশ্ন করেন ক্লাস না করে আন্দোলন কেন করা হচ্ছে। আপনাকে প্রশ্ন করা হয় আপনার বোন ধর্ষিত হলে আপনি কি করতেন। আপনি উত্তর দেন, দিস ইস নান অফ অফ মাই বিজনেস। আমি কামনা করি আপনার বোন আজকে আসলেই ধর্ষিত হোক। রাস্তায় রাস্তায় কুকুরের মত আপনি বিচার চেয়ে ফিরেন। এই দৃশ্য দেখার বড় শখ আমার। Only and only then you son of a bitch, cock sucker, mother fucker might get why these kids are concern. Only and only then they will feel the pain how does it feel when his sister gets raped. Only and only then it will be your bloody business asshole sucker. মহামান্য সাংবাদিক ভাইয়েদের কিছুদিন আগে, যখন মুহাম্মদ জাফর ইকবাল স্যার জিজ্ঞেস করেছিলো তুমি তো ইয়াং ছেলে জামাতের চাকরি কেন কর, খুব গায়ে লেগেছিলো । আপনাদের এখন গায়ে লাগে না যখন বাচ্চা একটা মেয়ের রেপকে আপনাদের মধ্যে বসে থাকা কোন শুয়োরের বাচ্চা বলে “দিস ইস নান অফ মাই বিজনেস”? তখন আপনাদের গাত্রদাহ কই যায়? জাফর ইকবাল স্যার যেই সব কুকুরের বাচ্চা আজকে একটা বাচ্চা মেয়ের ধর্ষনকে বলে নান অফ হিজ বিসনেস তাদের বিচার বোধ, শুভ বুদ্ধির এতোই অভাব যে তারা জামাতের চাকরি কে কোন ভাবেই খারাপ কিছু মনে করে না। শাবাশ ভাইয়েরা আমার শাবাশ। একটা কথাই শুধু তোদের চিৎকার করে বলতে ইচ্ছে করে তোরা সব রাজনৈতিক জারজ সন্তান।
আমার প্রানপ্রিয় সুশীল ভাইয়েরা, আপনারা তো খুব একটিভ। মেয়েদের কারপড় নাকি আপনাদের শ্লিশ উত্থিত করে দেয় তাই মেয়েরা আজকে ইভ টিজিংয়ের স্বীকার, ধর্ষনের স্বীকার। ভালো খুব ভালো। ওড়না কে কৈ দিবে সেতা খুব ভাল বলতে পারেন আপনারা। কিন্তু একজন নির্যাতিত মেয়ের পাশে দাড়াতে আপনাদের বুঝি খুব কষ্ট হয়। এতোই কষ্ট যে যখন একজন জনপ্রিয় শিক্ষিকা শুধু মাত্র হিজাব করার কারনে তাকে জামাত ট্যাগিং করা হয় তখন আপনাদের উত্থিত শ্নিশ আপনাদের গুহ্যদ্বারে গিয়ে ঢোকে। তখন আপনারা প্রতিবাদ করতে পারেন না। আপনারা পুজায় ব্যস্ত হন পরিমলের, সুমনের, সেঞ্চুরিয়ান মানিকের। আপনাদের ভিতর এতোটুকু ভব্যতা বোধ আসে না যে নির্যাতিত বোনটার পাশে দাঁড়িয়ে কিছু করতে না পারলেও সমবেদনা জানাবেন। কিন্তু সেই আশা দুরাশা। আপনাদেরতো রোল মডেল পরিমল। ভিকির মেয়েরা তো আপনাদের জন্যে মাগী। তাদের আবার রেপ কি? তাই না? আপনি নিজের গালর্ফ্রেন্ড চান ঠিকই টিপটপ, ওয়েস্টার্ণ কাপড় পড়া, স্মার্ট আধুনিক মেয়ে। কিন্তু বোনকে পর্দায় ঢেকে রাখতে চান। একবারও কি মনে পড়ে না যার দিকে তাকাচ্ছেন সেও কারো বোন? নিজের বোনের মত সম্মানটা কি করতে পারেন না? নাকি আপনার বোনও আধনিক হাল ফ্যাশানের কাপড় পড়লে আপনার শ্নিশ উত্থিত হয়? আপনি কামনায় জর্জরিত হয়ে পড়েন? তখন আপনার বোনকে দেখে আপনার সিটি বাজাতে ইচ্ছা করে না? ইচ্ছা করে না তাকে কামনার শিকার বানাতে? নাকি শুধু তখনই আপনার সুশীল মনটা আপনাকে বাধা দেয়? তখন তোর বেজন্মামী কৈ থাকে? “বেজন্মার বাচ্চা বেজন্মা, ঘরে যখন ফিরবা, তোমার বোন, সালোয়ার কামিজ এবং ভদ্রভাবে ওড়না পড়া বোন, কিজন্য কাঁদতেসে জিগ্যেস কইরো না। ফেসবুকে ঢুকে লাইক দিও।
তোমার বোন রেপড হোক, বেজন্মা। আমি আরো বেশি রেপিস্ট চাই এই দেশে। তোমাদের সবার বোন রেপড হোক, বেজন্মার বাচ্চা বেজন্মা সব।
I'll fuckin' LIKE it! Yeah!”
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, খুব জানতে ইচ্ছে করে আপনি কি দেখছেন না এই সব? নাকি দেখেও না দেখার ভানেই ব্যস্ত আছেন? মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আমার বড়ো আফসোস কেন আমি গোলাপগঞ্জের হলাম না। গোপাল্গঞ্জের রিক্সাওয়ালা হলেও আজকে কত ক্ষমতাই না থাকত। ধর্ষন করতে পারতাম আমি মনের সুখে, ক্যাডার হতে পারতাম, হতে পারতাম আপনার বিশেষ অনমোদিত লিস্টে বিসিএস ক্যাডার। বড় কষ্ট কেন আমি গোপাল্গঞ্জের হলাম না। আহা, সে এক এলিট জেলা। বাংলাদেশের বাইরের কোন আয়গায় সেই জেলার অবস্থান। পাচ বছরের জন্যে বাংলাদেশে তাহলে নিজের মন মত যা ইচ্ছা করতে পারতাম। বড় দুঃখ আমার। একজন জনপ্রিয় স্কুলশিক্ষিকা আজকে জামাত হিসাবে গন্য হলো শুধু মাত্র হিজাবের কারনে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, জানতে বড় ইচ্ছে করে প্রতি নির্বাচনের আগে আপনার মাথায় যে কালো কাপড়টা আসে আপনিও কি তখন জামাত হয়ে যান? ভিকারুন্নেসার মত একটি অরাজনৈতিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যখন আন্দোলন হয় এটাকে যখন আপনার পান্ডারা বি এন পি জামাতের বলে তখন কি আপনার বিবেক ঘুমায়? হার এক্সেলেন্সী, যখন এই বাচ্চা মেয়েগুলোকে খাওয়ানোর জন্যে সবাই টাকা তুলে খাবার কিনতে যায় আর আপনার পোষা লোকজন বলে এই টাকা কাদের ? এর পিছনে কারা আছে আপনি কি তখন ভালোর পসরায় যারা বসেছে তাদের হিসাব করেন? আপনার খারাপের হিসাবটা কি একবারো করেন না? একজন নারী প্রধানমন্ত্রী ও বিরোধীদলীয় নেত্রী হওয়ার পরও যেই দেশে একটা বাচ্চা মেয়ের নির্যাতনের জন্যে আন্দোলন করতে হয় তাদের নারীত্ব ও যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন করতে ও আমার লজ্জা হয়, আমি ঘৃণায় কুকড়ে কুকড়ে যাই।
সাংবাদিক ভাইয়েরা কিসের ভয়ে আপনারা মুখ খুলছেন না? আপনারাই পারেন সরকারকে টেনে নিয়ে ভিকারুন্নেসার ছাত্রীদের পাশে দাঁড় করাতে।
হিজাব যদি জামাতের চিহ্ন হয় তবে আমাদের প্রধানমন্ত্রী বিরোধীদলীয় মন্ত্রী ও অন্যান্য সকল মহিলা মন্ত্রীও মাথায় কাপড় দেন কেন?
আন্দোলন যদি এখানেই থেমে যায় পরিমলরা মাথাচাড়া দিয়ে উঠবে। আর কোন প্রতিষ্ঠানই মেয়েদের জন্য নিরাপদ হবে না। বাচ্চা না কাঁদা পর্যন্ত মা বাচ্চাকে দুধ দেয় না। অর্থাৎ দাবী আদায় করেই ছাড়তে হয় কেউ দেয় না।
একজন বহুবিধ ডিলিটধারী শিক্ষিত বিবেকসম্পন্ন মানুষের কাছে এটুকু আশা বোধহয় জাতি করতেই পারতো। বরাবরের মতো এবারো তিনি আমাদেরকে আশাহত করলেন
প্রত্যেকদিন মোটামুটি সব পত্রিকায় এই বিষয় নিয়ে ছবি-খবর সবকিছুই আসতেছে। এমন না যে সাংবাদিকেরা তাদের আসল কাজটায় কোনো খামতি রাখসে।
তারপরেও একেবারে মনের তাবত সুখ মিটায়ে গালি দিলেন? গালি দেয়ার নতুন একটা জিনিস পাইসেন, তাই না? ভালো। বেশ ভালো।
শিক্ষক হিসেবে নিজের পরিচিতি দিকে কুন্ঠা-বোধ করছি...
খুব দু:খ নিয়ে মন্তব্যটি করছি। আমার কর্মজীবনের সবচেয়ে কাছের যে দুইজন কলিগ- বন্ধু- তারা হিন্দু ধর্মাবলম্বি। এখন আমার পাশে যিনি বসেন, তিনি এবং আমার বসও। আমাদের সাধারণ মানুষের মাথায় এইসব কখনো আসেনি যে আমি মোটামুটি নামাজী আর তারা অন্য ধর্মের বলে আমাদের মাঝে কোন দেয়াল আসবে বা আসা উচিৎ!!
এতো বড় ভূমিকা দিলাম। কারণ, এখানে , এই আন্দোলনে পরিমল কোন ধর্ম পালন করে - তা কখনোই মুখ্য ছিলনা। মুখ্য ছিল, শিক্ষক দ্বারা ছাত্রীর ধর্ষনের বিচার নিশ্চিতকরণ। এখানে ধর্ম টেনে আনা হলো তখন, যখন একজন হিজাব পড়া শিক্ষিকাকে বলা হলো 'জামায়াতের সুত্রধর'। শুধু তাই নয়, পোস্টার লাগানো হলো বেইলি রোডে।
কি অপমান ঐ ভদ্রমহিলার জন্য! সারা জীবনের সম্মান কিছু ধর্মব্যবসায়ী ডাকাতি করে ফেললো!
আমার কাছে এর সারমর্ম হলো, শুধু জামায়াত না, আরো দল ধর্ম নিয়ে ব্যবসা করে। যে কারণে আমদের কাছে হুজুর এখন একটি গালি!
এবার মুন্নি সাহা। এই ভদ্রমহিলা এর আগেও বিডিআর বিদ্রোহের অতিরঞ্জিত রিপোর্ট করেছিলেন। আমি বিশ্বাস করি, সেই ৬৭ অফিসার-এর মৃত্যুদায় তার উপরেও বর্তায়। এবারো তাই করেছেন।
"ভিকি আন্দোলন"- কে অযথাই ইস্যুতে পরিণত করেছেন। এটিএন নিউজ ক্রমাগত তাল দিয়ে যাচ্ছে। (http://www.facebook.com/l.php?u=http%3A%2F%2Fwww.youtube.com%2Fwatch%3Fv%3DKAPAKflc9mw%26feature%3Drelated&h=rAQAMo241)
এখান থেকেই দাঙা শুরু হতে পারে। তাহলে কি মুন্নি সাহা স্বধর্মীয় ধর্ষককে বাঁচাতেই এতো উদগ্রীব?
আমি দু:খিত, এতো বড় কমেন্ট পোস্ট-এর জন্য। (এটাকে নিজে কোন পোস্টে যুক্ত করব্র কিনা ভাবছি। )
আমি জানিনা মীর সাহেব কথাগুলো কতটুকু জেনে বললেন অথবা তিনি মিডিয়ার অংশ কি না। ওয়েব জগতের (বিশেষ করে বাংলা) যারা খোজ খবর রাখেন আমার মনে হয় তাদের বেশীরভাগই ভিকারুন্নেসা নিয়ে মিডিয়ার মিথ্যাচার সম্পর্কে অবগত।
এটা নিয়ে আন্দোলনকারীদেরকে এখন দুই দিকে লড়াই করতে হচ্ছে। এক মিডিয়ার অসহযোগীতা ও ক্ষেত্রবিশেষে বিরুদ্ধবাদীতা এবং ক্ষমতাসীন দলের কুটচাল ও নির্যাতন।
থানার ওসি পরিচয়ে এক্স-ভিকিদের ফোনে থ্রেট, মিডিয়াকে ভিকি নিউজ পাবলিশে স্ট্রিক্ট সরকারী নিষেধাজ্ঞা, ব্লগারদের পরিচয় খোঁজে ডিবি।
একজন ভালো লেখিয়ে হিসাবে মীরের কাছ থেকে আরও দায়িত্বশীল মন্তব্য আশা করি।
প্রথমে বলেন আপনের নাম কি? যেভাবে লিংকিং করলেন সেভাবে লিংকিং করে পরিচিত একজন সবসময় অজানা তথ্য জানায়।
এরপরে একদিন সময় করে আসেন বসি। আমরা গোটাপাঁচেক লিডিং পত্রিকা নিয়ে কন্টেন্ট এনালিসিস করে খুঁজে বের করবো, এ ঘটনাকে তার ন্যায্য কাভারেজ দেয়া হয়েছে কি, হয় নাই। একটা বিষয় বোধহয় ক্লাসে পড়েছিলাম বহু আগে, টিভিতে আধাঘন্টায় যে ১৫টা নিউজ দেখানো হয়, তার একটার কথাও আদ্যোপান্ত পরদিন দর্শকের মনে থাকে না। কিন্তু কালো কালিতে নিউজপ্রিন্টে ছাপা হওয়া সংবাদ মুছে ফেলা সম্ভব না কখনই।
পত্রিকা বিশ্লেষণ শেসে আমরা বসে আলোচনা করবো, সংবাদকর্মীদের কাজের সীমাবদ্ধতা এবং সিদ্ধান্ত নেয়ার ব্যপারে সীমাবদ্ধতার জায়গাগুলো নিয়ে, কেমন? বিশেষত মাঠপর্যায়ের সংবাদকর্মীদের ব্যপারে। কোনো একটা সংবাদ পরিবেশনের ব্যপারে তারা কতটুকু স্বাধীনতা পান, সে ব্যপারে।
এরপরে আমরা দেশের মিডিয়াগুলোর পোলারাইজেশন নিয়ে আলোচনা করবো, ঠিক আছে? যেমন কেন আওয়ামী শাসনামলে এটিএন-এর নিউজ ফালতু হয় আবার কেন বিএনপি'র সময় এনটিভি'কে মানুষ ভুয়া বলে- এসব ব্যপারে আর কি।
এসব আলোচনার সঙ্গে সম্পূরকভাবে মিডিয়া-মালিক, তাদের ব্যক্তি-সামাজিক যোগাযোগ, অর্থনৈতিক প্রতাপ, নানা মিডিয়ায় নিয়োগের নানা নিয়ম- এসব অসংখ্য বিষয় নিয়ে আলোচনা করে একটা সিদ্ধান্তে পৌঁছুবো কেমন? প্রয়োজনে আমি আপনার জন্য অন্তর্জালের আলোচনাগুলোর প্রিন্টও নিয়ে যাবো। তারপরে আমরা সিদ্ধান্তে পৌঁছুবো যে, নিজের কাজে কে কতটুকু খামতি রাখসে।
আর এ ঘটনায় দোষী সম্পর্কে কি ব্যবস্থা নিতে হবে সে ব্যপারে একটা স্টেটমেন্ট দিয়েছি। আমার নতুন পোস্টগুলোতেই পাবেন।
আর সবশেষে একটা তীব্র আপত্তি,
আমি ভালো লিখিয়ে, এই জাজমেন্ট দেয়ার জন্য আপনাকে আমি খবর দিয়ে ডেকে আনি নি। সো আগবাড়িয়ে একটা সিদ্ধান্ত নিয়ে কোনো ধরনের আশাতেই বুক না বাঁধার অনুরোধ রইলো। দীর্ঘ মন্তব্যের জন্য দুঃখিত নই। মেজাজটা গরম করে দিয়েছেন। ভালো থাকবেন।
হাহাহাহাহাহা...
মীল কুল
আপনার সুদীর্ঘ মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। আপনাকে এভাবে জানলে আমার মন্তব্যটা হয়ত অন্যরকম হতো। সাংবাদিকদের সীমাবদ্ধতার ব্যাপারে কিছুটা জানা আছে। কিন্তু কেউ অন্যায়ের বিরূদ্ধে প্রতিবাদীদের তার ক্ষমতার হুমকি দেখায়, টকশোতে ঘটনাটাকে রাজনৈতিক বলে চালিয়ে দেয়, তাহলে সেখানে অবশ্যই কিছু কথা থাকে। আর প্রথম সারির প্রথম একটা পত্রিকা কিভাবে ঘটনাটাকে প্রথমে ব্ল্যকাআউট করে পরে গা বাচাতে খবর দেয়, আবার ধর্ষকের নোংরা উদ্ধৃতি দিয়ে তার অন্যায়কে জায়েজ করার চেষ্টা করে সেটা আমার মতো অনেক সাধারণ পাঠকও জানে।
আর সব শেষের লাইনটা আমার একান্তই ব্যক্তিগত। আপনার তীব্র আপত্তির জন্য সেটা তুলে নিলাম। ক্ষমা করবেন।
এই গল্পটা তো জোস। সরকারি নিষেধাজ্ঞার একটা প্রমান দেন তো?
আসলেই গল্পটা জোশ।
সরকারি নিষেধাজ্ঞার গেজেট ছাপানো হইতেছে। আশা করি আপনারাই আগে পেয়ে যাবেন।
মন্তব্য করুন