লাবণী'এর ব্লগ
শেষ দৃশ্যের আগে......!!؟
তাদের কখনো দেখা হয়নি...চোখের তারায় চোখ রাখা হয়নি.....রেস্টুরেন্টে বসে গরম চায়ের পেয়ালায় চামচ দিয়ে নাড়তে নাড়তে ভালোবাসার উষ্ণতা প্রকাশ করা হয়নি...। তবুও তারা সমান্তরালে অবিরাম স্বপ্ন বুনেছে.....
মেঘের পর্দার ফাঁকে উকি দেয় ম্লান রোদ।
এমন দুপুরকে মন খারাপ করা দুপুর বললেও যথার্থ হয়। চয়ণ আরো জোরে পা চালায়। রুবা আজ চয়ণকে তার স্বপ্নকন্যার সাথে পরিচয় করিয়ে দেবে।
অপেক্ষা............
================================
রাতের আকাশে হাজার তারার ভিড়ে আমি একাকী হারিয়ে যেতে চাই, পারি না!
আনমনে অবাক হই...হারিয়ে যেতেও কি তবে সঙ্গী লাগে?
যদি তা-ই হয়...আমি অপেক্ষায় আছি...
দুপুরের ব্যস্ত রোদে আমি একলা হাঁটি,
হাতের আইসক্রিমটা আধ খাওয়াই রয়ে যায়।
আমি অপেক্ষায় আছি...পাশাপাশি হাঁটবো বলে...
ভরা সন্ধ্যায় উতলা হাওয়ায় চুল এলিয়ে বারান্দার গ্রিল ধরে অপেক্ষার জন্য
আমি অপেক্ষায় আছি...
মাঝরাতে মুঠোফোনে কেউ আমায় মনে করিয়ে দেয় না, আজ কোজাগরী পূর্ণিমা।
জ্যোৎস্না তাই অধরাই থেকে যায়।
সেই জ্যোৎস্নায় স্নানের অপেক্ষায় আছি..
শীতের ভোরে আগুন গরম কফির মগ হাতে যখন দাঁড়িয়ে থাকি ছোট বারান্দায়...
তখন কোনো গভীর চোখ আমাকে জোড়া শালিক খুঁজে দেয় না।
এক চিলতে বারান্দা থেকে এক টুকরো সবুজ.........
১.
========================
২.
তুই গান গা ইচ্ছেমতো, বাতাসকে খুশি করে বাঁচ
সবুজের বুক পাতা শিশিরে পা ডুবিয়ে হাঁট
বাতাসকে খুশি করে বাঁচ।
তুই গান গা (অর্ণব)
=========================
৩.
আমার কিছু পেইন্টিং
(প্রথমেই আমি আন্তরিকভাবে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি মডুর কাছে----জোনাকি আপুর মতো আমিও এই পোস্টটি উৎসর্গ করলাম মডুকে)
অনেকদিন আগে একটা ছবি আঁকতে আঁকতে এই কবিতাটি মনে মনে এঁকেছিলাম!!
জলরঙের রঙছাপ ক্যানভাসময়
কখনো সে গাঢ় লাল, নীল, সবুজ কিংবা কালো
কখনো সে হালকা.....যেন একফালি ঝলমলে রোদ
আবার কখনো এতটাই গাঢ়
যেন আমাদের জীবনের কালো অধ্যায়ের আবছা প্রকাশ......
তুলির আঁচড় যে দিকেই যাক্---
হয়ে উঠে কোনো অর্থহীন বা অর্থপূর্ণ ছবি
আমাদের জীবনের দিক কোনদিকে ভিড়ছে?
জানিনা কেউই....
জীবন কি অর্থপূর্ণ হবে?
১।
(এলোমেলো ভাবনাগুলো-মিউজিক্যাল সিম্ফোনি)
================================
কয়েকটি সাদা গ্ল্যাডিওলাস ও একটি অনাকাঙ্খিত বৃষ্টির গল্প
তুমি সন্ধ্যার মেঘমালা তুমি আমার নিভৃত সাধনা,
মম বিজনগগনবিহারী...........
আমি আমার মনের মাধুরী মিশায়ে তোমারে করেছি রচনা-
তুমি আমারি, তুমি আমারি,
মম বিজনজীবনবিহারী.................
মৎসকন্যা
পুরোপুরি নারীর শরীর নয়, আবার পুরোপুরি মাছও নয়.....এই হলো মৎসকন্যা।
সাগরগর্ভে কোনো জনহীন দ্বীপের কাছাকাছি পাথরের উপরে অথবা জল থেকে জেগে উঠা পাহাড়ের পাথরের খাঁজে পরিষ্কার দিনের আলোয় এই বিচিত্র প্রাণীটির দেখা মেলে। তার হাতে থাকে একটি আয়না। দীর্ঘ সোনালী কেশগুচ্ছ ছেয়ে থাকে পিঠময়।
সমুদ্রবক্ষের বহু অজ্ঞাত রহস্যের সন্ধানদাতা এবং প্রথম আবিষ্কর্তা হলো সমুদ্রচারী নাবিকেরা। সাগরের বুকে কোনো নির্জন দ্বীপ অতিক্রম করবার সময় মৎসকন্যাও সম্ভবত তাদের চোখে ধরা পড়ে। কখনো সাগরজলে ভাসমান অবস্থায়....কখনো পাথরে উপবিষ্ট অবস্থায়। জাহাজের সাড়া পাবার সঙ্গে সঙ্গেই মৎসকন্যা সাগরজলে অদৃশ্য হয়ে গেছে।
অনুভূতি সমীপেষু
কিছু অর্থহীন চাওয়া
ক্রমশঃ অর্থ খুঁজে নেবার তাগিদে
যান্ত্রিকতার মাঝে নিজেকে হারিয়ে খুঁজতে যাওয়া.........
ধীরে ধীরে নিজেকে বন্দী করা
অসহায়ত্বের খোলসে........
অতঃপর.....
আবিষ্কার করি
মুঠোবন্দী...আজ আমাদের আবেগগুলো
নাগালের বাইরে....আজ স্বপ্নগুলো
আমাদের সবকিছুতেই.......
সবার মাঝেই সুনিপুণ অভিনয়.........
আজ কবিতারাও বড্ড যান্ত্রিক হয়ে গেছে...
তবে কি কবির মনও আজ অনুভূতিহীন ধূসর?
এরই নাম কি.....বাস্তবতা?কিছু অর্থহীন চাওয়া
ক্রমশঃ অর্থ খুঁজে নেবার তাগিদে
যান্ত্রিকতার মাঝে নিজেকে হারিয়ে খুঁজতে যাওয়া.........
ধীরে ধীরে নিজেকে বন্দী করা
অসহায়ত্বের খোলসে........
অতঃপর.....
আবিষ্কার করি
মুঠোবন্দী...আজ আমাদের আবেগগুলো
নাগালের বাইরে....আজ স্বপ্নগুলো
আমাদের সবকিছুতেই.......
সবার মাঝেই সুনিপুণ অভিনয়.........
আজ কবিতারাও বড্ড যান্ত্রিক হয়ে গেছে...
তবে কি কবির মনও আজ অনুভূতিহীন ধূসর?
এরই নাম কি.....বাস্তবতা?কিছু অর্থহীন চাওয়া
এক চিলতে বারান্দা থেকে এক টুকরো আকাশ......
আকাশে তো আমি রাখি নাই,
মোর উড়িবার ইতিহাস...
তবু উড়েছিনু...এই মোর উল্লাস!
যত বড়ো হোক ইন্দ্রধনু সে,
সুদূর আকাশে আঁকা...
আমি ভালোবাসি মোর ধরণীর প্রজাপতিটির পাখা!
সূর্যাস্তের রঙে রাঙা...
ধরা যেন পরিণত ফল,
আঁধার রজনী তারে...
ছিঁড়িতে বাড়ায় করতল!
সূর্যপানে চেয়ে ভাবে মল্লিকামুকুল...
"কখন ফুটিবে মোর,
অত বড় ফুল!"
সমস্ত আকাশ ভরা আলোর মহিমা...
তৃণের শিশির মাঝে, খোঁজে নিজ সীমা...
নিষ্ঠুর ....সময়......
-"......সময়, একটু দাঁড়াও প্লীজ...আমাকেও নিয়ে যাও তোমার সাথে।"
-"উঁহু...আমার তাড়া আছে, সভ্যতা আমাকে ডাকছে।"
-"তুমি কেন এভাবে ছুটছো....আমাকে কি নিয়ে যাবে না তোমার সাথে?"
-"তুমিও কি ছুটতে চাও আমার সাথে?"
-"হ্যাঁ, চাই তো...কিন্তু আমার যে অনেক বাধা...."
-"বাধা তো থাকবেই...আমার সাথে চলতে গেলে আরো অনেক বাধা আসবে, পারবে সেগুলোকে অতিক্রম করতে......?"
-"জানি না...শুধু জানি আমি তোমার সাথে যেতে চাই, প্লীজ সময়...নিয়ে যাও না আমাকে!!"
-"ঠিক আছে, আমার পিঠে উঠে বসো...................................কি নিয়ে যাচ্ছো তোমার সাথে?"
-"আমার অনুভূতি..স্বপ্ন...ভালোবাসা...অতীত...সবকিছু।"
অপ্রকাশ্য......
বাইরে অপরিমেয় রোদ, সাদা মেঘের ভেলা...
অপরিমেয় কোলাহল,
ভেতরে গুমোট ইতিহাস
টুপটাপ ঝরছে স্মৃতির পাতা
কপালে জমছে শিশির বিন্দু
কাঁচের জুতা পায়ে স্যান্ডেরিলা…
খবরের কাগজে শিরোনাম হয়ে যাওয়া...
ধর্ষিতা কিশোরীর কপোট স্বীকারোক্তি
মুখোমুখি যাজক-পুরুষ আর লোভের রাজ্য...
কে কি ভাবলো...কিছু এসে যায় না কিশোরী মেয়ের!!
কারণ তার পৃথিবী আজ...
আঁধার করা সর্বনাশা ভয়ঙ্কর অন্ধকার!
ক্যাকটাসে কাঁটা খুঁজতে হয় না,
খুঁজতে হয় এর অপরিমেয় সবুজ…
সবুজই এর ধর্ম..।।
ঐ যে রক্তিম সূর্যটা,
তারও যে অধিকার নেই বিলম্ব করার।
পৃথিবীর উল্টোদিকে ঘুরে আবার উঁকি দেবে পূব আকাশে
থামবে না পাখির সুর করে গান গাওয়া
স্বপ্নবিলাসী বৃষ্টিবিলাস......২
অরণ্য-রুধির স্বপ্নের সাঁকো
অতঃপর শুরু হল অরণ্য-রুধির স্বপ্নের সাঁকো তৈরির অদম্য বাসনা। একবার বৃষ্টিতে অরণ্যের সাথে হুড খোলা রিকশায় ভিজতে পেরে তার আনন্দ যেন ধরছিলই না। সেটা ছিল তার জীবনের শ্রেষ্ঠ সুখস্মৃতি। এই কথাটা তার সাথে এক ছাদের নিচে কাটানো তিন বছরে কম করে হলেও তিনশোবার শুনতে হয়েছে অরণ্যকে।
রুধি ছিল স্বপ্নবিলাসী মেয়ে। সে কল্পনায় তার ভবিষ্যৎ জীবনের ছবি আঁকতো। আর তার সেই কল্পনার ক্যানভাসে অরণ্যের উপস্থিতি ছিল অনিবার্য। অরণ্য মাঝে মাঝে রুধিকে বলতো, “তোমার ছবিগুলো খুবই নিচুমানের...একঘেয়ে। সব ছবিতে একই চরিত্রের উপস্থিতি কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।”
রুধি তখন কপট রাগ দেখিয়ে বলতো, “হুমম...এই এক চরিত্রেই আমি খুশি...”
বিয়ের তিন বছরের মাথায় রুধি একদিন অরণ্যকে ষড়যন্ত্রের ভঙ্গিতে বলে, “এই শোনো...আমার কল্পনার ক্যানভাসে অন্য একজনকে আঁকতে শুরু করেছি...তুমি রাগ করো নি তো?”
স্বপ্নবিলাসী বৃষ্টিবিলাস......
একাকী অরণ্য......
অফিস থেকে বের হওয়ার পর শুরু হয় ঝুম বৃষ্টি। বাইরে কোনো রিকশা ছিল না। মাঝে মধ্যে দু’একটা লোকাল বাস আসছিলো। তাতেও তিল ধারণের জায়গা ছিল না। অরণ্য একবার ভাবলো অফিসের ভেতর ঢুকে পড়বে। বৃষ্টি থামুক, তারপর না হয় বের হওয়া যাবে। মুহূর্তেই সে চিন্তাটাও বাদ দিল। কারণ তার খুব বৃষ্টিতে ভিজতে ইচ্ছে হচ্ছিলো...। হাতে ফাইলপত্র কিছু ছিল না। ইচ্ছে করলেই নেমে পড়া যায়। ব্যাপারটা হাস্যকর হবে, এক ফাঁকে এটাও ভেবে নিল। ধুর! হাস্যকর হলে হোক।
এই হাস্যকর কাজটাই করে বসলো অরণ্য। পকেটে ছিল মোবাইল ফোন। ভিজে নষ্ট হয়ে যেতে পারে, এটাই একটু চিন্তা ছিল। আরো একটা জিনিস সাথে ছিল। ওটা অবশ্য ভিজে নষ্ট হয়ে যাবার ভয় নেই। সেটা খুব যত্ন করে নিজের বুক পকেটে রেখেছে অরণ্য।