ভাল বই মন্দ বই
অমর একুশে বইমেলা শেষ হয়ে আসছে।বিকেল হলেই এই শহরের ব্যস্ততা উপেক্ষা করে কোথাও যাবার জন্যে মন উদগ্রিব হবে না আর।।এক বছর মেয়াদী একটা অপেক্ষার জন্য নিজেকে প্রস্তুত করছি।
পাঠক লেখক ও প্রকাশকের এই মিলন মেলা শুধু আড্ডা বা বাণিজ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ নয়।জাতির মানসিকতা গঠনেও এর অবদান অনেক।দেশের পাঠ্য বই বহির্ভূত ৯৫শতাংশ বই এই মেলা কেন্দ্র করে প্রকাশিত হয়।ফলে, গত এক বছরে দেশের গুনীদের ভাবনার সম্মিলন হয় মেলায়। বাংলা একাডেমীর হিসাব মতে,এবারে বই আসার কথা প্রায় চার হাজারের মত। অনেকেই বলা শুরু করেছেন এরমধ্যে মানসম্পন্ন বইয়ের সংখ্যা হাতে গোনা। মানে জাতীয় জীবনের নানা তর্কের মত বইমেলা নিয়েও বেশ কিছু বিতর্ক এখন মেলার মৌসুমে আছে।
মজার বিষয় হলো, মেলায় প্রকাশিত বইয়ের মান মাপার কোন প্রতিষ্ঠান বা পদ্ধতি দেশে নেই।যারা বলছেন মানসম্পন্ন বই হাতে গোনা, তাদের পক্ষে মাত্র একমাসে চার হাজার বই উল্টে পাল্টে দেখা কতটুকু বাস্তব সম্মত, ভাবার বিষয়।একটা বই হাতে না নিয়ে,না পড়ে রায় শুনিয়ে দেয়া কতটুকু স্বাভাবিক,তাও ভাবনার বিষয়।
প্রকাশের আগে বইটি প্রকাশক বা তার এজেন্ট পড়ে বলেই ধরে নেয়া যায়। সেক্ষেত্রে বইয়ের মান নিয়ে কথা বলতে পারেন প্রকাশক।মানের প্রশ্নে তাদের কথা মানতে হবে। শুদ্ধস্বর বলে, তাদের বই বাছাই করে কিনতে হয় না।তারা বাছাই করে প্রকাশ করে।ধরি, এবারে মেলায় তাদের বই ৮০টি। ঐতিহ্য বলে, তাদের বইয়ের বিজ্ঞাপন লাগে না। অর্থাৎ বইয়ের মান ভাল। ধরি তাদের বই ৮০ টি। তাহলে মানসম্পন্ন বই দেড়শ ছাড়ালো। প্রকাশনীর স্লোগান আমলে নিলে,অন্য প্রকাশনীর বইয়ের উদাহরণ না টেনেই বলা যায়, ভালো বইয়ের খোঁজ আরো পাওয়া যাবে।
এটাও ঠিক,ভুল বানান,ভুল বাক্য,ভুল বাংলায় লেখা বই একেবারে কম নয়।এর সংখ্যা কত তা জানারও উপায় নেই।কেউ এ নিয়ে কাজ করে না।
এজন্য মৌসুমি লেখক,মানে মেলা এলো তাই একটা বই করতে চাই ধরনের মানুষ এবং এই সুযোগে দুটো বই প্রকাশ করে কিছু আয় করি টাইপের মৌসুমি প্রকাশকদের দায়ি করেন অনেকে।তাদের জন্য বইয়ের মান পড়ে যাওয়া ও মেলায় স্হান সংকুলান না হওয়ার বিষয়টিও সামনে নিয়ে আসেন অনেকেই।
যাহোক,বই বিষয় বৈচিত্রে মান সম্পন্ন কিনা। এটা মান মাপার একটা আদর্শ, কারো কারো কাছে।কিন্তু উপন্যাসের প্রতিযোগিতায় উপন্যাস,গল্পের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় গল্প কিংবা কবিতার সঙ্গে প্রতিযোগিতায় কবিতার মান বিচার কে করবে?
বাকী থাকে গবেষণা বা বিষয় ভিত্তিক বই।এই বই, মেলায় আসতে হবে এমন দিব্যি কে দেয়?বছরের যে কোন সময় এই বই প্রকাশ হতে পারে।
এই বিতর্ক থাকবে। আগামী বছরও এ্ বিষয়ে অনেকে অনেক কথা বলবেন। তারপরও মেলায় গিয়ে দিন শেষে একটি করে বই হাতে নিয়ে ঘরে ফিরব।
এবি'তে নতুন নাকি?
সুস্বাগতম সুস্বাগতম।
নতুন নতুন লেখায় আপনার ব্লগ পাতা ভরে উঠুক। আনন্দময় হোক এখানে আপনার পথচলা।
কমেন্টে দেয়ায় ধন্যবাদ। এতক্ষন একা একা লাগছিল।
*** কমেন্ট
আপনাকে মনে হয় মেলায় দেখলাম কয় ঘণ্টা আগে...এবি'তে স্বাগতম।
বই সংখ্যায় বাড়ুক, পাঠক সংখ্যায় বাড়ুক, একটা সময় মান ঠিক হয়ে যাবে...
~
মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ স্বপ্নের ফেরীওয়ালা, পাঠক বাড়বে সে স্বপ্ন আমিও দেখি। সহমত।
আমি অবাক হয়ে লক্ষ্য করেছি- বই মেলা এলে কয়েকজন লেখক তাদের ৫ থেকে ৭ টি করে বই প্রকাশ করে থাকেন। কারো কারো ৮/১০ টিও হয়ে যায়। এর মধ্যে অনেক অখাদ্য-কুখাদ্যও থাকে। এসব বই কিন্তু নামী-দামী প্রকাশকরাই প্রকাশ করেন। তবে প্রকাশক নিজে প্রতিটি বইয়ের পান্ডুলিপি পড়েন না এটা আমি জোর দিয়ে বলতে পারি।
ইদানীংকালের সবচেয়ে লক্ষ্যনীয় বিষয় হচ্ছে- প্রচুর নতুন লেখকের বই বেরুচ্ছে। মানের দিক থেকে তা যাই হোক না কেন ! এক্ষেত্রে দু- তিনটি প্রকাশনীর কথা না বললেই নয়। যারা নতুনদের বই প্রকাশ করে যাচ্ছে নিরন্তর। এর মধ্যে অ্যাডর্ণ, শুদ্ধস্বর, সুবর্ণ উল্লেখযোগ্য। তবে প্রকাশকদের বইয়ের গুনগত মানের দিকে আরেকটু নজর দেয়া প্রয়োজন বলে মনে করি।
যাই হোক, এবিতে আপনাকে স্বাগতম জনাব
অনেক অনেক ধন্যবাদ। আপনার ব্লগ আগেও পড়েছি। গতকাল সামনা সমানি দেখলাম। দারুণ গল্প করতে পারেন আপনি। এই ক্ষমতা সবার থাকে না।
''আমরা বন্ধু''তে স্বাগতম।
অনেক ধন্যবাদ।
এবিতে স্বাগতম আপনাকে
অনেক ধন্যবাদ।
এবি ব্লগে আগমন

শুভেচ্ছার স্বাগতম
অনেক অনেক ধন্যবাদ। রঙিন মগের সারি পছন্দ হয়েছে।
স্বাগতম
অনেক অনেক ধন্যবাদ।
স্বাগতম আনোয়ার সাদী ভাই।
জারুল তলার ক্যাম্পাসের সাবেক বাসিন্দা মাইনুল ভাইকে অনেক ধন্যবাদ।
এবিতে
অনেক ধন্যবাদ লেখক।
''আমরা বন্ধু''তে স্বাগতম।
অনেক ধন্যবাদ।
অনেক অনেক ধন্যবাদ।
একটা সুন্দর বিষয় অবতারণার জন্য অনেক ধন্যবাদ। সাথে, এবি তে সুস্বাগতম...
আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ।
বড় ভাইয়ের পর ছোট ভাইকেও এবিতে স্বাগতম
বড় ভাইয়ের বন্ধুকে অনেক ধন্যবাদ।
ঈদে যেমন ব্যবসা ভাল হয়... ঠিক প্রকাশকদের জন্য বইমেলাটা আসলে কিন্তু ঈদের মতই। বইয়ের ঈদ। দোকানদার যেমন ভাল জিনিষটা ঈদে ধরানোর জন্য ট্রাই করে ... প্রকাশকও তাই করে... একজন প্রকাশকও দিন শেষে ব্যবসাই করে। সব কিছুরইতো ভাল মন্দ আছে... সময়ই মন্দকে পরিহার করে ভালোকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।
এটা ভাবার সময় এসেছে।
বস... বই মেলার বাইরে আমরাইতো বইয়ের দোকন মুখি হই না
... এই দায় কিন্তু আমাদের অনেকটা
পুরাই একমত
লেখকের জন্য বই প্রকাশ-সৃষ্টিশীলতার প্রকাশ, পাঠকের জন্য একটা নতুন জানালা পাওয়া যা দিয়ে দেখা যাবে অনেকদূর। প্রকাশকের জন্য বই প্রকাশ একদিকে লেখার প্রতি ভালোবাসা অন্যদিকে ব্যবসাও। কাজেই প্রকাশের আগে বইটি ব্যবসা সফল হবে কিনা, সেই বিবেচনাও প্রকাশকের মাথায় থাকতে পারে। সে বিবেচনায় কে এগিয়ে যাবেন তা বলা কঠিন।
যাহোক, একটি ভালো বই নিয়ে গণমাধ্যমে আলোচনা বা প্রশংসা প্রকাশককে কিছুটা আর্থিক ক্ষতিও মেনে নিতে উৎসাহিত করে।
সরকারি বেসরকারি উদ্যোগে দেশের আনাচে কানাচে বই পড়া আন্দোলন ছড়িয়ে দিতে পারলে অবশ্য সব দিক রক্ষা হয়।পাঠক বাড়বে, পাঠাগার বাড়বে,বই বিক্রি বাড়বে,লেখক-প্রকাশকদের কদরও বাড়বে।বাড়বে তরুণদের বইও। আর অভ্যাস, মেলা ছাড়াও আমাদেরকে বই মুখি করার ক্ষমতা রাখে।
বইমেলা থেকে বাছাই করে সেরা কালেকশন করার জন্য অনেকেই উদগ্রীব থাকেন। সুনীল গঙ্গোপাধ্যা্য় একটি কথা বলেছেন 'একজন লেখক জানেন তিনি কি লিখেন'- লেখক যদি তার বুদ্ধি-বিচক্ষণতা মাথায় রেখে বই প্রকাশ করেন তাহলে পাঠকদের অধিকার অনেকটুকুই রক্ষা হয়।
এবারের মেলায় প্রকাশিত ৩ হাজার ৬৬৯টি প্রকাশনার মধ্যে কতোটি মানসম্পন্ন?! এই কঠিন ধাঁধার উত্তর জানা নেই। খালি একটাই আশা- ভাল বই পড়তে চাই, ভাল বই নিয়ে সারাবছর মেতে থাকতে চাই।
খোকন কায়সার একবার একটা গল্প বলেছিলেন, ফোনে। এক লোক রেডিও আবিস্কার করলো। ধরি, তিনি থাকেন প্রত্যন্ত গ্রামে। আনন্দে বাকবাকুম হয়ে শহরে এসে দেখলেন, দোকানে দোকানে রঙিন টিভি চলে।
অন্যের লেখা না পড়লে, লেখককে জীবনের কোনো না মোড়ে এই অনুভূতির সামনা সমানি দাঁড়াতে হতে পারে।
শতভাগ একমত। পাঠকতো আর ভোরের শিউলি বা বকুল না যে, ভেজা ঘাস থেকে কুড়িয়ে আনবো। রাখবো পকেটে বা প্রিয়জনের খোপায়। পাঠক যত্ন দিয়ে ধরে রাখতে হয়, কষ্ট করে তৈরিও বোধ হয় করতে হয়,এসময়।
যাহোক, টুটুল ও লীনা (ভাই ও আপু)কে সুন্দর মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
মন্তব্য করুন