ইউজার লগইন
ব্লগ
গল্প: তুমি আমার কাছে তুমি যা বলবা তাই (পর্ব- ৪)
নামটা জেনেই বিদ্যুৎ চমকের মতো সব কথা মনে পড়ে গিয়েছিল আমার। তারপর কথা হয়েছিল ওর সঙ্গে টানা চারটি ঘন্টা। সেদিন আসলে হঠাৎ কী যেন হয়ে গিয়েছিল আমাদের দুজনেরই!
আমার বিষয়টা তা-ও নাহয় বোঝা যায়। একতরফা হোক আর অপ্রকাশিত-ই হোক, মন তো এককালে দিয়েছিলাম মেয়েটিকে ভালবেসেই। কিন্তু ও কি জানতো সেসবের কোনকিছু? কিংবা জানার কোন উপায় ছিল? মনে তো হয় না। তারপরও এক বসায় টানা চারটি ঘন্টা মেসেজ আদান-প্রদান হয়ে গিয়েছিল আমাদের সেই প্রথম দফাতেই। আসলে সেদিন যখন মেসেজে মিসিসিপি নিজের আর আমার নাম দু'টো পাশাপাশি লিখেছিল, তখন আসলে যে কী হয়েছিল আমার- তা বলতে পারবে না কেউ!
গল্প: তুমি আমার কাছে তুমি যা বলবা তাই (পর্ব- ৩)
কলেজ ছেড়ে চলে আসতে অবশ্য আমার খুব একটা খারাপ লাগছিল না। শুধু মিসিসিপির সঙ্গে কোনো কলেজের এক ক্লাসে বসে আর সময় কাটানো হবে না কিংবা একই ক্যান্টিনে সিঙ্গারা, চা-সমুচা'র অর্ডার দেয়া হবে না, অথবা কলেজের বাস স্ট্যান্ড থেকে ক্লাসরুমের ছোট্ট যে পথটুকু, সে পথে হয়তো এরপর থেকে ওকে বুঝতে না দিয়ে ওর কাছাকাছি হেঁটে যাওয়ার অভিনয়টুকু অন্য কেউ করবে- আমি না; এমন কিছু ছোট-খাটো খারাপ লাগা ছাড়া বেশি কিছু মনেও হচ্ছিল না। তবে কলেজের ক্লাসে যে আমরা ছেলে আর মেয়ে একসাথে বসতাম- এমন না। কিংবা ক্যান্টিনেও কখনো আমরা একই টেবিলে বসি নি। আসলে দূরেই ছিল মেয়েটি। দূরেই রয়ে গেল আজীবন।
গল্প: তুমি আমার কাছে তুমি যা বলবা তাই (পর্ব-২)
মিসিসিপি নামটা শুনে এক লহমায় অনেক কথা মনে পড়ে গেল। বগুড়ায় থাকাকালে একটি বিশেষ-বাহিনী পরিচালিত কলেজে এক বছর পড়েছিলাম। সেই কলেজের নিয়ম-নীতির বাড়াবাড়ির সঙ্গে তাল মিলাতে পারি নি বলে, পরে আমায় অন্যত্র ভর্তি হতে হয়। তবে যে এক বছর ওখানে ছিলাম, সেখানেই দেখা হয়েছিল মিসিসিপির সাথে।
আমাদের ক্লাসের সবচেয়ে সুন্দরী মেয়ে ছিল সে। প্রতিটা ছেলে পছন্দ করতো ওকে। কলেজে ভর্তির প্রথম কয়েক সপ্তাহ ছেলেমহলে শুধু একটা বিষয় নিয়েই কথা শুনতাম আমি চারিদিকে। আর সে বিষয়টা হলো মিসিসিপি, যেমন, মিসিসিপিকে আজ কেমন লাগছে, কিভাবে ওরা ওকে প্রেমের প্রস্তাব পাঠাবে ইত্যাদি। প্রতিদিনই কেউ না কেউ আসছে মিসিসিপির বাসার ঠিকানা নিয়ে কিংবা ওর সম্পর্কে কোন একটা গুজব নিয়ে। একদিন একজন এসে জানাল, মিসিসিপির নাকি তার নিজের এলাকারই গুন্ডামতো একটা ছেলের সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে।
গল্প: তুমি আমার কাছে তুমি যা বলবা তাই (পর্ব- ১)
মনে আছে, প্রথমবার যখন মেয়েটি আমার সাথে যোগাযোগ করে, তখন আমি পড়ে পড়ে ঘুমাচ্ছিলাম। যোগাযোগ করে মানে মেসেজ দেয় আরকি। মেসেজের শব্দে ঘুম ভেঙ্গেছিল এমন না। এমনিতেই ভেঙ্গে গিয়েছিল আর ওই সময়েই মেসেজটা এসেছিল।
ঘুম ভাঙ্গা চোখ মেলে বাইরের দিকে তাকিয়ে আমি একটা জোড়া শালিক দেখতে পেয়েছিলাম। ঠিক শালিক নয়, ওদের মতোই দেখতে একটা ভিনদেশি পাখি। খানিকটা বড়। কখনও এরা মুখ দিয়ে কোন শব্দ করে তা শুনি নি। কিংবা করলেও কেবল এক ধরনের চিড়িৎ চিড়িৎ আওয়াজ শুধু। সঙ্গীকে কোন কোডেড মেসেজ পাঠায় মনে হয়। এমনভাবে যাতে অন্য কেউ বুঝতে না পারে।
তোমার চোখ
তোমার চোখের ঘোলা মনিটায়
ডুব দিয়ে এক বালক সাঁতরায়।
ওকে ডেকে আমার
কান মলে দিতে ইচ্ছে করে।
অমন করে কি কারো চোখেতে ডুবতে আছে?
সর্বনাশা কালবোশেখী- এক পলকে গঙ্গা থেকে
সাগর মাঝে ভাসিয়ে নিলে?
হায়রে বালক, জানিস নি কি কখনো আগে
বালিকাচোখে কালবোশেখী-
হাসতে হাসতে নামতে পারে।
তোমার চোখের ঘোলা মনিটায়
এমন কত গল্প জমে,
চোখ ঝাপটে গল্পগুলো
মুছতে হয় কষ্ট করে।
তোমার চোখের ঘোলা মনিটা
অনেক দূরে অনেক দূরে।
---
বিশ্ববিদ্যালয়ে একদিন
তাপিত হৃদয়/ যেখানে শীতল হয়/ সেখানে বস্তু রবে জেনো নিশ্চয়...
বাম হাতের মধ্যমা আর অনামিকায় ধরা লাল বেনসনটায় সুখ টান দিতে দিতে নান্নু পাগলা যখন হেঁড়ে গলায় গানটা গেয়ে সামনে দিয়ে হেঁটে পার হচ্ছিল, তখন রাত প্রায় ১২টা। শাহবাগের সেই রমরমা অবস্থা এখন আর নেই। মেট্টোরেলের লাইন বসার আগে জায়গাটা পুরোপুরি অন্য একরকমের ছিল! কোটি মানুষের শহরের এক বিরাট ব্যস্ত মোড়, তারপরও ওইখানটায় গিয়েই সকলের গতিটা যেন একটু স্তিমিত হয়ে পড়তো! নিন্দুকেরা মোড়ের যানজটকে মুখ্য দায়ে অভিযুক্ত করতে পারেন কিন্তু আমি বলি ওটিই সেই এক্স-ফ্যাক্টর! যার টানে শাহবাগ হচ্ছে শাহবাগ, আর গুলবাগ হচ্ছে গুলবাগ।
নষ্ট ভালোবাসা
নষ্ট ভালবাসা
এ কি বাস্তবতা
নাকি
দুঃস্বপ্নের পাশাখেলা।
কতদিন তোমাকে দেখি না
কতদিন দেখতে পাব না
জানিনা।
আজ ভিন্ন ছাদের নিচে তুমি
পেতেছ তোমার কল্পিত স্বপ্নের
বাস্তব চাদর,
আমিও তথৈবচ।
এমনটি কি হবার কথা ছিল।
মনে পড়ে
সেদিন গুলোর কথা।
অশোক পাপড়ি ভেবে ,
তব
লিপিষ্টক বিহীন রক্তাব অধরের
সুগন্ধে।
ভ্রমরকে হার মানিয়ে তোমাকে
নিষ্পেষণ করার কথা।
ফুলের গন্ধের বিলীনতা
বা সৌন্দর্যের সমাপ্তি
আমি দেখেছি
কিন্তু তোমার ভেজা ঠোটের
রূপ রস গন্ধের কমতি
কি যে বলব,
বেড়েছে বই
কল্পনাতেও ফুরোয় নি।
তাই তো আমার পাগলামো বল
বা তোমার রগে রগে
মম বিচরণের স্মৃতিকাতরতা বল
আজও বেড়েছে বই
কমেনি,
কখনো বাইসাইকেল,
কখনো মটর সাইকেল,
কখনও মার্সিডিসের গতিতে
আবার কখনও হাওয়াই জাহাজ
বা কখনও মহাশুন্য যানের গতিকেও
হাড় মানিয়ে
পাহাড়, নদী, জল
এমনকি কত শত
শিরোনামহীন
শিরোনামহীন (প্রথম পর্ব)
২২/০৭/২০২৩
ক'দিন থেকেই আমার একটা পাহাড় কিনার সাধ,
কিন্তু পাহাড় কে বিক্রি করে কোথায় পাওয়া যায় কিছুই জানা নাই।
পাহাড় কেমন হয়, পাহাড়ের গুনাগুন কি, কোনটা ভালো মানের, কোানটা খারাপ মানের,তার কিছুই জানা নাই।
তবু আমার পাহাড় কেনার সাধ হলো।
আমি আকাশ, বাতাস, নদী সাগর অনেককেই জিজ্ঞেস করলাম, কেউ কিছুই বলতে পারলো না।
পাহাড় কেনার সাধ আমার কখনো পূর্ণ হবে না এই ভেবে,
পাহাড় কেনার ভাবনা থেকে নিজেকে সরিয়ে নিলাম।
RTR তুর্কি টেলিভিশনে আর্তুগুল সিরিজ দেখছিলাম উর্দু ডাবিং এ।
বাংলা ডাবিং ও আছে কিন্তু ভিডিও ততো ভালো মানের ও ভিজিবল না,তাই উর্দুতেই দেখছিলাম।
হঠাৎ অনুভূত হলো বাতাস বার বার কানের কাছে এসে বাড়ি খাচ্ছে, বুঝলাম কিছু একটা বলবে।
আমার নির্লিপ্ততা দেখে, এবার বেশ জোরে শনশন শব্দে বাড়ি মেরে কানের কাছ দিয়ে বেরিয়ে গেল।
সিরিয়াল দেখা পাওস করে, মনোযোগ দিলাম বাতাসের কথায়।
কোন আকাশে বাস
গীতিকবিতাঃ কোন আকাশে বাস
ইঞ্জিনিয়ার মোঃ আবুল হোসেন
৮/৭/২০২৩
তুমি কোন আকাশে থাক দয়াল
কোন আকাশে বাস
সেকি সপ্ত আকাশ
সেকি সপ্ত আকাশ।
সেটা কতদুর সেটা কতদুর
জানতে অনেক ইচ্ছা
জানার মনে বড়ই আ--শ।।
কোন আকাশে থাক দয়াল
কোন আকাশে বাস
আমি যখন ডাকি তোমায়
শুনিতে কি পাও?
সেকি তুমি শুনিতে কি পাও??
তব তরে কাঁদি যখন
দেখিতে কি পাও?
তুমি দেখিতে কি পাও??
জানার অনেক ইচ্ছা
জানার মনে বড়ই আ--শ।।
কোন আকাশে থাক দয়াল
কোন আকাশে বাস।।
অত্যাচারীর অত্যাচার
তুমি দেখিতে কি পাও?
সেকি দেখিতে কি পাও??
মজলুমের কান্না তুমি
শুনিতে কি পাও?
সেকি শুনিতে কি পাও??
জানার অনেক ইচ্ছা
জানার মনে বড়ই আ--শ।।
কোন আকাশে থাক দয়াল
কোন আকাশে বাস
গল্প: কষ্টের রেলগাড়ি
অনেক দিন চিকন চালের ভাত আর মুরগির মাংসের পাতলা ঝোল দিয়ে রাতে খাওয়া হয় না। ভাবতে ভাবতে যেই না মুরগির তাকের দিকে তাকিয়েছেন মুর্শেদ সাহেব, ভিমড়ি খাবার জোগাড় হলো তার।
এমনিতে দোকানটার তাকগুলো খুব সাজানো-গোছানো, যেকোন কিছু যাতে ক্রেতারা সহজে খুঁজে পেতে পারে, সেদিকে পূর্ণ খেয়াল রেখে বিন্যস্ত; সেটা তার জানাই। নিত্যদিন যে আসা-যাওয়া পেনি নামের সেই ছোট্ট ২৪ ঘন্টার স্টোরটায়। যেটা সপ্তাহে সাত দিন আর বছরে ৩৬৫ দিন খোলা থাকে। শুধু যেসব বছর লীপ ইয়ার অর্থাত ৩৬৬ দিনে হয়, সেসব বছর ২৯ ফেব্রুয়ারি বন্ধ।
মরণরে তুমি শ্যাম সমান
আসসালামু আলাইকুম,
বন্ধুরা আমার লেখা গানগুলো PM SARGAM STUDIO কম্পোজ করছে।অনেকগুলো গান ইতিমধ্যে YouTube এ এসেছে। আমি জানিনা এখান গান আপলোড করার অনুমতি আছে কি না।
আমি চেষ্টা করেও পারিনি। দু'দিন আগে আপলোড হওয়া গানটির লিঙ্ক দিলান নিচে।
গীতিকবিতাঃ মরণরে তুই শ্যাম সমান
ইঞ্জিঃ মোঃ আবুল হোসেন
১২/০৬/২০২৩
যার সাথে হবে সদাবাস
হউক না যতই কালো
মরণরে তুমি শ্যাম সমান
তোমায় বাসি ভালো।
ভালো কিছু ভাবতে গেলে
চোখ করি বন্ধ।
আঁধারেই আলোর সন্ধান মেলে
নয়নতো আলোর পথ বন্ধ।।
যেই কবরে থাকবো আমি
সেও তো অন্ধকার কালো
মরণরে তুমি শ্যাম সমান
তোমায় বাসি ভালো।
ভাবনাহীন নিস্কলুষ মাথায়
কি যে সুখের ঘুম।।
তেমনি কি ঘুম হবে কবরে
নাকি শাস্তি ধুমাধুম।
শুধু শাস্তি হবে মন মানে না
সৃজিলেন যিনি,
অনেক বাসেন ভালো।।
মরণরে তুমি শ্যাম সমান
তোমায় বাসি ভালো
অনেক দিন পর, বন্ধুরা কেমন আছেন?
অনেক দিন পর, বন্ধুরা কেমন আছেন?
অনেক দিন মানে অনেক দিন পর। ২০১৪ সালে শেষ পোস্ট ছিল।
ব্লগটি এখনো আছে, এবং আমার কিছু লেখা, বাহ, বিস্ময় !
ব্লগটিকে এখনো যারা ধরে রেখেছেন, যারা লিখছেন নিয়মিত, তাদের সবার প্রতি অফুরান ভালোবাসা।
আমরা সবাই কালের প্রবাহে হারিয়ে যেতে এসেছি, এই হারিয়ে যাওয়ার মাঝে লেখা হচ্ছে একটি জ্যোতিচিহ্ন, একটি সাড়া...
ফলে, সাড়া দিন প্রিয় বন্ধুরা
অলীক ভাবনার জগতে হারিয়ে যাওয়া - ১
নতুন কোন কিছু অনেকদিন লেখা হয় না। ২০২২ সালের শেষদিকে একটা ডায়েরি শুরু করেছিলাম। সেটা শেষ হয়ে গেছে সেই কবে। তবে তারপর আর নতুন করে কিছুই লিখি নি। মাঝে একটা গল্প লিখেছিলাম। একটা মেয়ের মনের গল্প। সবকিছুর পরও না পাওয়াগুলো যাকে মাঝে মাঝে বিদ্ধ করে। তখন সে একটা অলীক জগতের স্বপ্ন দেখে। যেখানে একটা ঠান্ডা ও নিরিবিলি কাল্পনিক শহরে হারিয়ে যায় সে।
অলীক ভাবনার জগতে এই যে হারিয়ে যাওয়া, এটা বোধহয় আমাদের সবার সঙ্গেই ঘটে। নিজের আশপাশের জীবনটাকে সরিয়ে রেখে একটু হারিয়ে যাওয়া। কিন্তু যথাসময়ে এসব ভাবনার লাগাম পরানোটাও যে জরুরি, সেটাই বোধহয় শেষ গল্পটার প্রতিপাদ্য ছিল। এভাবে প্রতিদিন কত কত স্বপ্নেরা তাদের প্রয়োজনে জেগে ওঠে আবার প্রয়োজনে ডুবে যায় আমাদের মনের মানসপটে!
মাস্টারশেফ
ইহা হয় একটা নতুন লেখা। মনে হলো কতোকাল পরে ছন্দের সাথে আড়ি খেলে লিখলাম।
।।মাস্টারশেফ।।
তেল মসলার এই অলস দুপুর
কেমন ভিনদেশি মোড়কে কাটে।
বাড়ির সামনে দিয়ে চলে যাচ্ছিলো
একটা রাগী মোটর সাইকেল।
তার চাকার ঘুর্ণনে কিছু রসুনের কোয়া ছুঁড়ে দিলে
সাৎ করে থেমে গেলো মাঝরাস্তায়।
এযেনো এক্সরসিজম!
অলস আমার নোটবুকে টুকে রাখলাম,
যেহেতু ওউইজা বোর্ড ফেলে এসেছি
শৈশবের দম আটকানো অ্যাডভেঞ্চারে।
আমার পাকঘরে স্বপাক আহার,
সব বেপরোয়া বালকদের দেখিয়ে দেখিয়ে
মজাদার রান্না চড়াই চুলাতে।
আমি তাদের অব্যর্থ নার্সিসিজমে জল ঢেলে দিলে
তাদের ফ্যাকাসে মুখ আর বিস্ফারিত চোখ।
আমার তরকারিতে লবন, মসলা কিংবা তেল
সব ঠিকঠাক কষানোয়
লেগেছে রঙের বাহারী ঝলক।
যখন কাটিং বোর্ডে ছিলো চাকুর থ্রিলার
তখন এতোটা বর্ণিল ছিলোনা।
বয়সী বায়সের মতো আমার ভালো লাগে
দরজায় ঝুলিয়ে রাখা অলস সময়।
কি সব দিনরাত্রি
আজকাল কোন স্বপ্ন নিয়ে ঘুম থেকে উঠি না
মিনিমাম ২ ঘন্টা ফোন চালাই বিছানায় শুয়ে শুয়ে
তারপর ক্লান্ত চোখে তাকাই বন্ধ জানালাটার দিকে,
বিচ্ছিরি বিরক্তিরা চারটা পাশ ঘিরে ভিড় করে আসে।
কোথাও একটা ইঞ্চিও ওরা ফাঁকা রাখে না
যেন ফাঁকা কোন বর্গইঞ্চি পেলেই আমি পালিয়ে যাবো
ওইখানে। লুকিয়ে পড়বো সন্তপর্ণে। তারপর বিরক্তিরা আর
আমায় খুঁজে পাবে না।
আমি ধীরে ধীরে এগিয়ে যাই কলের পাড়ে
পানির ট্যাপ- ওটাকে কলপাড় বলা যায় না,
আবার যায়ও হয়তো কে জানে
ওই কলখানা দিয়েই তো ঠান্ডা,
গরম সবরকমের পানি আসে।
তারপরও কি রান্নাঘরের পানির ট্যাপকে কলপাড়
বলা যায়? না উচিত সেটা বলা?
আমার জীবনটাকেও খানিকটা সাযুজ্যময় মনে হয়।
শুধুমাত্র অলস একটা মস্তিষ্করূপী শয়তানের কারখানা ছাড়া
যার আর কোন কিছু নেই,
মানুষ হতাশ হলে বড় বিচ্ছিরি হয়ে যায়।
একসময় যেটাকে কলপাড় মনে হতো
আজকাল পানির ট্যাপও মনে হয় না