ইউজার লগইন

মুক্তিযুদ্ধের চেতনা আর আওয়ামি ঘৃণাবাদি সংস্কৃতি বিষয়ে আলোচনা...

মুক্তিযুদ্ধ মানে কী? এই শব্দের মাজেজা কি ব্যক্তি বিশেষে আপেক্ষিক হইতে পারে? আমি একজন মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষ মানুষ হিসাবে মনে করি মুক্তিযুদ্ধ শব্দের সিগনিফিকেন্সে অনেক মাজেজা খুঁইজা পাইলেও তাতে আপেক্ষিকতা থাকতে পারে না। হয়তো আমার কাছে মুক্তিযুদ্ধ মানে বাঙালি জাতির অর্জন মনে হয় আরেকজনের কাছে এই অর্জনের পাশাপাশি পাকিস্তানি নির্যাতনের চিত্র ভাইসা উঠে। তবে আমার কাছে মুক্তিযুদ্ধরে পাকিস্তানি শোষণের বা বৈষম্যমূলকতার বিরুদ্ধে স্বাধীনতার সংগ্রাম বইলা মনে হয় কিন্তু আরেকজনের কাছে ২৫ মার্চের হামলার প্রতিবাদ মনে হইতে পারে কিনা সেইটা নিয়া আমার প্রশ্ন থাকে। মুক্তিযুদ্ধ বাঙালি জাতির স্বপ্ন প্রচেষ্টাই ছিলো বইলা আমি মনে করি। এর বিপরীত যদি কেউ বলে তবে সেইটা মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী একটা বচন।

এই দেশে মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী কালে মুক্তিযুদ্ধের মালিকানা স্বত্ত্ব নিয়া শুরু হইলো দেশের সম্পদ কারা বেশি ভোগ করতে পারবো তার প্রতিযোগিতা। মুক্তিযুদ্ধ কেবলি স্বপ্নের মতোন একটা স্মৃতি হইয়া উঠতে শুরু করলো। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশে বৈষম্যমূলক আচরণ কমলো তো না'ই ক্ষেত্র বিশেষে বাড়লোও। মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি মাইখা নেতৃত্বদানকারী দল আওয়ামি লীগের লোকরা শুরু করলো যথেচ্ছাচারের রুটি খাইতে শুরু করলো, যেনো দেশটা আসলেই তাগো বাবার হইয়া উঠলো, জাতির জনক (?) শেখ মুজিবের। মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তীকালে আমাদের যা কিছু স্মৃতি তাতে সুখ কতোটা থাকলো সেইটা এখন আমি মনেও করতে পারতেছি না। তবে ভারতের সাথে চূক্তি একটা উল্লেখযোগ্য সরকারী পদক্ষেপ ছিলো আর আরেকটা হইলো দালাল আইন বাতিল। এই দুই ভূমিকায় মুক্তিযুদ্ধের প্রতিফলন কিছুটা দেখতে পাওয়া যায়। মুক্তিযুদ্ধ যে আমাদের বাঙালি জাতির নিজস্ব অর্জন সেইটা কিছুটা হইলেও প্রতিভাত হয়। এর বাইরে আমাগো আছে স্বজনপ্রীতি আর হামলা-মামলার বাকী ইতিহাস। চেতনা তখন দুই লক্ষ মা বোনের ইজ্জতের সাথেই ভূলুণ্ঠিত।

এই দেশ আন্তর্জাতিক ইসলামী রাষ্ট্রসমূহের সংগঠনের সদস্য হইলো ধর্মীয় সন্ত্রাসের স্মৃতি দগদগে থাকতেই। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আর সিবিএগুলি দখল শেষ করনের পর নিশ্চিত বিজয়ের সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও ব্যালট বাক্সও দখল হইলো তিয়াত্তরের নির্বাচনের সময়। প্রথম রাজনৈতিক হত্যা শুরু হইতেও বেশি সময় লাগলো না। মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক তাজুদ্দিন সাহেবরে নিয়া খেলা শুরু করলো ক্ষমতার লোকেরা। চেতনার ঘেরাটোপে বন্দী হইলেন তিনি অচেতনগো হাতে। প্রথম সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাসও শুরু হয় একজন আওয়ামি নির্বাচিত সংসদ সদস্য আর মুক্তিযোদ্ধার হাতে। রাজাকাররা পুনর্বাসিত হইতে শুরু করলো আওয়ামি লীগের লেজ ধইরা। প্রথম নির্যাতক দল তৈরী হইলো আইনী প্রক্রিয়ায়, যাদের দায়িত্ব ছিলো কেউ আওয়ামিদের অত্যাচারের বিরোধীতা করলে তারে আওয়ামিগো শক্তি আর ক্ষমতার বলয় বুঝাইয়া দেওয়া। প্রথম বিচার বহির্ভূত হত্যা-গুম খুন সব হইলো এই রক্ষী বাহিনীর মাধ্যমে।

যদিও অনাকাঙ্খিত রাজনৈতিক হত্যার মধ্য দিয়া শেখ মুজিব আর তার সরকারের সমাপ্তি ঘটে, তবু আওয়ামি শাসনরে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নে কখনোই পাওয়া যায় নাই। তারা ছাত্র ইউনিয়নের শান্ত মিছিলে মার্কিনী স্বার্থ রক্ষা করতে গুলি চালাইয়া প্রকাশ্য দিবালোকে খুন করছে মেধাবী ছাত্রদের। খুন-রাহাজানি-ধর্ষণ সব চলছে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শরে পায়ে মাড়াইতে মাড়াইতে। ঠিক জনরোষ তৈরী হওয়ার সময়টাতে শেখ মুজিব হত্যা হওয়ার কারনে পরবর্তী কালে এই অন্যায় হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে সরব রাজপথ দেখা যায় না। মানুষ কনফিউজ্ড অবস্থায় শোনে এই দেশের প্রধানমন্ত্রী হত্যার সংবাদ। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় একটা সঠিক জাতীয়তাবাদি এনভায়রনমেন্ট দিতে ব্যর্থ আওয়ামি সরকারের পরিণতি এমনটাই স্বাভাবিক কীনা সেইটা নিয়া প্রশ্ন থাকতে পারে, কিন্তু জাতীয়তাবাদের মনোভঙ্গীতে দিশেহারা জনস্রোত আসলে আওয়ামি ব্যর্থতারেই ইঙ্গিত করে।

পরবর্তীতে সামরিক জান্তারা একেরপর এক ক্ষমতায় আসছে, ব্যক্তিগত স্বার্থ সিদ্ধি করার চেষ্টা করছে। তিয়াত্তরের শুরু হওয়া চেতনার বরখেলাপের পটভূমির উপর দাঁড়াইয়া তারা মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসরে আরো বিকৃত করার অপচেষ্টা করতে শুরু করছে। আওয়ামিরা তখন হালে পানি না পাওয়া দল। নব্বইয়ের নির্বাচনে পরাজয়ের পর আওয়ামিরা যখন বেশ এলোমেলো দল সেই সময়টায় এই দেশে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা আর জাতীয়তাবাদি দৃষ্টিভঙ্গীতে প্রচারণার উদ্যোগ নেয় বেশকিছু বামপন্থী রাজনৈতিক সংগঠন। ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা আর তত্ত্ব সংশ্লিষ্ট থাকার কারনে জানি বামপন্থীগো এই প্রচারণা কৌশল কেবলি কৌশল ছিলো। মতাদর্শিক ভাবে তারা কখনোই জাতীয়তাবাদে বিশ্বস্ত রাজনৈতিক গোষ্ঠী ছিলো না। তবু গণআদালতের মতোন জাতীয়তাবাদি আয়োজন সংগঠিত করার পেছনে যে বামপন্থীরাই ছিলো ইতিহাসে তা প্রমাণিত সত্য। যেই আয়োজনে শেখ হাসিনা দায় সারছিলো দুইলক্ষ মানুষ পাঠানের এক চিরকূট দিয়া। আমি সেইদিন সোহরাওয়ার্দি উদ্যানে থাকনের অভিজ্ঞতা থেইকা জানি সেই আওয়ামি দুইলক্ষ অনুপস্থিত ছিলো।

তবে আওয়ামিরা গোলাম আজমের স্নেহাশীষ পাইয়া যখন ক্ষমতায় আসলো তারপর থেইকা আবারো মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি-মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ইত্যাকার মনভুলানো প্রচারণা শুরু হইলো। আবারো দলীয় সঙকীর্ণ রাজনীতির ঐতিহ্য ফিরা আসলো। শহীদ জননী জাহানারা ইমামের মৃত্যুর পর দলবাজি শুরু হইলো ঘাতক-দালাল নির্মূলের জাতীয় সমন্বয় কমিটিতেও। ঠিক বাহাত্তরের পর যেইভাবে কামড়াকামড়ি শুরু করছিলো জাতির জনকের ছাওয়াল পাওয়ালরা, সেই একই নজীর রাখতে শুরু করলো জাতির জনকের নাতিপুতিরাও। তবে এই সময়ের দুঃশাসনের পর তারা আর ক্ষমতায় থাকতে পারে নাই পরবর্তী টার্মে।

এইবার অবশ্য আওয়ামিরা যুদ্ধাপরাধীগো বিচারের দাবী তুইলা ক্ষমতায় চইলা আসছে তিন বছর আগে। ক্ষমতা গ্রহণের পর সেই যুদ্ধাপরাধীরা মানবতা বিরোধী হইছে, তাগো বিচার নিয়া দীর্ঘ সূত্রিতা শুরু হইলে নেত্রী কইলেন এই বিচার নাকি এমনই হইবো। দেশে আবারো মুক্তিযুদ্ধের মালিকানার দাবীদার সংগঠনের যথেচ্ছাচার শুরু হইছে। এখন মুক্তিযুদ্ধরে আবার ফেরী কইরা বেচাবিক্রি শুরু হইছে নির্বাচনী কৌশল হিসাবে। পোস্টের এই পর্যায়ে আবারো প্রথম প্রশ্নটা প্রাসঙ্গিক হয়। মুক্তিযুদ্ধ মানে কি? মুক্তিযুদ্ধ মানে আমি মনে করি এক রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে বাঙালি জাতির অর্জিত মুক্তি। যেই মুক্তি ভূলুণ্ঠিত হইছে বাংলাদেশ আওয়ামি লীগের স্বেচ্ছাচারী স্বৈরতান্ত্রিক শাসন-শোষণে।

কিন্তু আওয়ামিরা কৌশল পাল্টাইছে ইত্যবসরে। তারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নিয়া কথা বলা কমাইতে বাধ্য হইছে। তাদের প্রচারণায় মুক্তিযুদ্ধের নির্যাতন নিবর্তনমূলক স্মৃতিকথাই এখনকার সময়ে বেশি উপস্থিত হয়। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, পাকিস্তানিগো বৈষম্যমূলক আচরণ সামনে আসলেই তো তাগো সময়ের ৭২-৭৫য়ের গোমরফাঁক হইয়া যাইবো। চেতনাতো এখন আর তাগো আওতায় বাস করে না। চেতনারে তারা নিজ অঙ্গ দ্বারা ধর্ষণ করছে ইত্যবসরে। তাই এখন নির্যাতন বিরোধীতাই তাগো মুক্তিযুদ্ধের নতুন চেতনা। যেই চেতনা দিয়া ঢাইকা দেওয়া যায় তাগো অতীত ব্যর্থতা আর বর্তমানের স্বার্থান্বেষী মূল্যবোধের লজ্জারে। এই চেতনায় ঘৃণার আছর এতোটাই বেশি যে মানুষ আর অন্য কোনোদিকে নজর ফিরানের অবকাশ পায় না।

সাম্প্রতিক সময়ে মুক্তি প্রাপ্ত মুক্তিযুদ্ধের (?) ছবি গেরিলা আওয়ামি এই এজেন্ডা পূরণ করতেই নির্মিত হইছে। যেইখানে ইতিহাস বিকৃতি আছে, যেইখানে ইতিহাসরে লুকাইয়া ফেলার চেষ্টা আছে, যেইখানে নির্যাতন দেখানের নামে ঘৃণাবোধ তৈরীর সচেতন চেষ্টা আছে। যদ্দূর শুনছি এই সিনেমায় যেকোনো গড়পড়তা ছবির চাইতে প্রায় পাঁচ/ছয় গুন বেশি খরচ হইছে। যেই ছবির শুল্ক মওকুফ কইরা টিকিটের দাম কমানের সিদ্ধান্ত হইছে। এই ঘৃণাবাদ আওয়ামি যথেচ্ছাচারের ঢাল হিসাবে আছে এখন অডিও ভিজ্যুয়াল মিডিয়ার ইন্ডাস্ট্রিতে। আওয়ামিরা চায় এখন একটা প্রজন্ম তৈরী হোক যারা ঘৃণাবাদের আকর্ষণে জাতীয়তাবাদি হইবো, যারা আসলে দেশের প্রতি দায়িত্বশীল হইয়া জাতীয়তার শক্তিরে দেখবো না। যারা বর্তমান সরকারের অনিয়ম-অনাচারের প্রতিবাদ করবো না মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী শক্তির উত্থানের ভয়ে।

এই বিকৃতি আর লুকোছাপার বিপরীতে এখনি প্রতিরোধ না গইড়া তুললে মানুষ অচীরেই মুক্তিযুদ্ধের আদর্শরে ভুলতে শুরু করবো। ঘৃণাবাদের আছরে এক প্রতিবন্ধি জাতীয়তাবাদি ফিকিরে মাততে শুরু করবো একটা প্রজন্ম। আমাদের অর্জনের ইতিহাস রচনার এইটাই সঠিক সময়। গেরিলা'র মতোন সিনেমারা যেইটারে ধ্বংসের মুখোমুখি করনের চক্রান্তে আছে। তারে প্রতিরোধ করতে হইবো পাল্টা জবাবেই...ঘৃণাবাদের হাতিয়ার, নির্যাতন-নিবর্তন-নিষিদ্ধ করনের মধ্য দিয়া কখনো ইতিহাস সমুন্নত থাকে না বরং বিপর্যস্ত হয়।

পোস্টটি ৯ জন ব্লগার পছন্দ করেছেন

ষষ্ঠ পাণ্ডব's picture


যেইখানে ইতিহাস বিকৃতি আছে, যেইখানে ইতিহাসরে লুকাইয়া ফেলার চেষ্টা আছে, যেইখানে নির্যাতন দেখানের নামে ঘৃণাবোধ তৈরীর সচেতন চেষ্টা আছে।

দয়া করে এই বক্তব্যটি সিনেমাটির অংশ ধরে ধরে ব্যাখ্যা করুন তাতে পাঠকদের বুঝতে সুবিধা হবে। যেমন, ঘৃণাবোধ তৈরির ব্যাপারটি আমি একে বারেই বুঝতে পারিনি; বাকি দুটি সিদ্ধান্তের ব্যাপারেও ব্যাখ্যা জেনে রাখা দরকার।

গেরিলা'র মতোন সিনেমারা যেইটারে ধ্বংসের মুখোমুখি করনের চক্রান্তে আছে।

আপনি যখন "সিনেমারা" বলেছেন তখন বুঝতে হবে গেরিলা'র মতো এমন আরো সিনেমা আছে; সেগুলোর নামও জানান। তাতে পাঠকেরা তাঁদের বুঝমতো সতর্ক থাকতে পারবেন।

ঘৃণাবাদের হাতিয়ার, নির্যাতন-নিবর্তন-নিষিদ্ধ করনের মধ্য দিয়া কখনো ইতিহাস সমুন্নত থাকে না বরং বিপর্যস্ত হয়।

এখানে "নির্যাতন-নিবর্তন-নিষিদ্ধ করণ" শব্দবন্ধ দিয়ে আপনি কোন কোন ঘটনাগুলো বোঝাতে চাইলেন সেগুলো একটু বলুন। নয়তো পাঠকরা ঘটনাপ্রবাহ কোনদিক থেকে কোনদিকে যাচ্ছে আর কোন্‌ ঘটনার ইন্টারপ্রেটেশন কী সেটা বুঝতে বিভ্রান্তও হতে পারেন।

ভাস্কর's picture


এক.
গেরিলা সিনেমা নিয়া আমার একটা তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া আছে আমরা বন্ধু ব্লগেই, সেই পোস্টে আমি উল্লেখ করছিলাম এই বিকৃতির চেষ্টা বিষয়ে। সিনেমাতে দেখানো হয় ২৫ মার্চের রাতে যখন পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী অকস্মাৎ হামলা চালায় সেই হামলার অব্যবহিত পরেই পুলিশ বাহিনী বঙ্গবন্ধুর (?) আহ্বান পাইয়া প্রতিরোধে ঝাপাইয়া পড়ে। কিন্তু আমরা ইতিহাসের উল্লেখ মতোন জানি ঐ ক্র্যাক ডাউন অপারেশন একটা জেনোসাইড ছিলো। শেখ মুজিবরের পাঠানো ঘোষণা পরদিন আব্দুল হান্নান সাহেব প্রথম স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের মাধ্যমে পাঠ করেন। এই সিনেমার রিভিউ বা প্রতিক্রিয়ায় বেশিরভাগ সময়েই আসছে যে নির্যাতনের চিত্র এইখানে ভালোভাবে ফুইটা উঠছে। যাতে নাকি দর্শকেরা বুঝবো নির্যাতনের মাত্রা আর ঘৃণা করতে শুরু করবো পাকিস্তান আর জামায়াতরে। ঘৃণাবাদ কখনো রাজনৈতিক কোনো আদর্শিক অবস্থান হইতে পারে না। পাকিস্তান আর জামায়াতি শক্তিরে রাজনৈতিক ভাবে দেখাটাই আসল চর্চা হইতে পারে।

দুই.

গেরিলা এই প্রচারণা কৌশলের প্রথম ছবি বইলাই মনে হয়। আরো সিনেমা তৈরী হওয়ার সম্ভাবনাতেই আমি বহুবচন ব্যবহার করছি।

তিন.
ইতিহাসে ঘৃণাবাদের চরম প্রকাশ আমরা ফ্যাসিস্ট পার্টির সময়েই হইতে দেখি, যারে পরবর্তীতে ফ্যাসিজম হিসাবে প্রযূক্ত হইতে দেখি বিভিন্ন স্বৈরাচারী শাসনে। তাদের হাতিয়ার হয় নির্যাতন-নিবর্তন আর নিষিদ্ধকরণের পদক্ষেপগুলি। আমাদের দেশের রাজনৈতিক ইতিহাসেও এই পদক্ষেপগুলির প্রয়োগ অতীতে হইছে বা এখনো হইতেছে।

ষষ্ঠ পাণ্ডব's picture


যাতে নাকি দর্শকেরা বুঝবো নির্যাতনের মাত্রা আর ঘৃণা করতে শুরু করবো পাকিস্তান আর জামায়াতরে।

আপনার এই বক্তব্যের পর আমার আর বলার কিছু নেই। আশা করি সবার কাছেই আপনার বক্তব্য পরিষ্কার হবে।

ভাস্কর's picture


আপনার এই বক্তব্য আমি বুঝলাম না।

আমি এই বাক্যে নাকি শব্দের দ্বারা সংশয় প্রকাশ করছি। কারণ ঘৃণাবাদে পাকিস্তানিগো কিম্বা জামায়াতিগো প্রতিরোধ বা প্রতিহত করা কখনোই সম্ভব না সেইটা রাজনৈতিক অভিজ্ঞতার কারনে বেশ ভালোই জানা আছে আমার। এই ঘৃণাবাদ ছড়াইয়াই আমাগো আওয়ামি রাজনীতিবিদগো পোলাপাইন পাকিস্তানের সমর্থক হয় সেইটা বেশ ভালোই প্রমাণ পাই আমরা...ঘৃণাবোধ আর ঘৃণাবাদ যে কখনোই কোনো রাজনৈতিক মতাদর্শিক অবস্থান হইতে পারে না সেইটা আন্দোলনের অভিজ্ঞতা থেইকা আমরা ভালোই টের পাই...

শওকত মাসুম's picture


যেইখানে নির্যাতন দেখানের নামে ঘৃণাবোধ তৈরীর সচেতন চেষ্টা আছে।

এর অর্থ কী এই যে সে সময়ে জবাইয়ের মতো ঘটনা ঘটেনি? যদি ঘটে থাকে তাহলে দেখানোর মধ্যে সমস্যাটা কোথায়?

ভাস্কর's picture


নির্যাতন দেখানোতে বা দেখতে আমার কোনো আপত্তি নাই, কিন্তু আওয়ামি এজেন্ডার বাস্তবায়নের নিমিত্তে একটা মুক্তিযুদ্ধরে কেবল নির্যাতনের বিরুদ্ধে সংগঠিত আর সংঘটিত যুদ্ধ হিসাবে দেখানের ডেলিবারেট প্রচেষ্টাতে আপত্তি আছে।

শওকত মাসুম's picture


নির্যাতন দেখানো যদি আওয়ামী এজেন্ডা হয় তাহলে নির্যাতনের বিপরীতে পাকি সেনার সঙ্গে প্রেম হবে জামাতী এজেন্ডা।
আমিও তাহলে এরকম একটা সহজ সমীকরণে আসলাম।

ভাস্কর's picture


আমি নির্যাতন দেখানোরে আওয়ামি এজেন্ডা বলি নাই বা বলতে চাই নাই আমার ব্যর্থতায় সেইটা মনে হইলে আমি ক্ষমাপ্রার্থী। আমি পাকিস্তান রাষ্ট্রের শোষণ বঞ্চনার বিষয়টারে হাইড কইরা মুক্তিযুদ্ধরে পাকি আর জামায়াতিগো নির্যাতন বিরোধী যুদ্ধ বানানের প্রক্রিয়াটারে আওয়ামি এজেন্ডা মনে করি।

পাকি সেনার প্রতি প্রেমরে আপনের মনের মাধুরী মিশাইয়া যা ইচ্ছা তা বানাইতে পারেন, আওয়ামি ঘৃণাবাদি চর্চার কারনে তাগো নেতাগো পরিবারে কি বাড়তেছে সেইটা আমার চাইতে আপনেরই ভালো জানার কথা।

জিয়াউর রহমান's picture


আমি পাকিস্তান রাষ্ট্রের শোষণ বঞ্চনার বিষয়টারে হাইড কইরা মুক্তিযুদ্ধরে পাকি আর জামায়াতিগো নির্যাতন বিরোধী যুদ্ধ বানানের প্রক্রিয়াটারে আওয়ামি এজেন্ডা মনে করি।

বাংপাকি ও ছদ্মবেশী রাজাকারি বলদামিরও একটা সীমা থাকা উচিৎ !!!

'৭১-এ কি পাকি সরকার আর তাদের ভাড়াইট্টা দেশি খুনি-পুরুষবেশ্যা জামাতিদের "নির্যাতন" "পাকিস্তান রাষ্ট্রের শোষণ বঞ্চনা" ছিল না-তো কি ছিল ??? '৭১-এর গণহত্যা, গণনির্যাতন ও গণধর্ষন ঐ "ফাকিস্তান রাষ্ট্রের শোষণ বঞ্চনার" চূড়ান্ত ও চরম বহিঃপ্রকাশই তো ছিল। যুদ্ধটাও হয়েছিল এর বিরুদ্ধেই - এটাই ছিল মুক্তিযুদ্ধের এজেন্ডা, সারা জাতির এজেন্ডা (শুধু আম্লীগের না), হারামি লাফাঙ্গা রাজাকার বাদে। তো এই নির্যাতন (যা ফাকিস্তান রাষ্ট্রের শোষণ বঞ্চনার চূড়ান্ত বহিঃপ্রকাশ) সম্পর্কে কথা বললে বা এটা ছবিতে তুলে ধরলে তা 'ফাকিস্তান রাষ্ট্রের শোষণ বঞ্চনার বিষয়টারে হাইড' করা হয় কেম্নে ?? আমিতো দেখি উলটা আরো ভালভাবে, যথার্থ ভাবেই, তা প্রকাশ পায়। তাছাড়া, সত্য কথা বললে বা দেখালে আপনার এত গা-জ্বালা করে কেন ? 'ফাকিস্তান রাষ্ট্র' নামক কোন নৈর্ব্যক্তিক তত্ত্বের ঘাড়ে নিজেদের (বা আদর্শিক গুরুদের) কৃতকর্মের দায়দায়িত্ব চালান করে ডাইল্যুট করে দিয়ে নিজেরা খুব সাধু সাজা যায় বলে ? আর সত্যটা সরাসরি দেখিয়ে ফেললে তখন মুখোশ টিকিয়ে রাখা খুব কঠিন হয়ে যায় বলে ?

একটা সোজা কথা বলি - প্রেম-ভালবাসা, ঘৃনা-বিদ্বেষ, সুখ-দুঃখ-রাগ-বিরাগ এর সবকিছুই জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ। বিবর্তনের ধারায় এর সবগুলোই জীবনের জন্য অবশ্য-প্রয়োজনীয় বলে প্রমানিত। প্রয়োজনীয় বলেই তা জীবনের অংশ হিসেবে টিকে আছে। অন্যায় কর্ম, অন্যায় দর্শন ও অন্যায়কারীকে ঘৃনা করা তথা তার বিরুদ্ধে 'ঘৃনাবাদের চর্চা' অন্যায়ের পুনরাবৃত্তির বিরুদ্ধে একধরনের প্রতিরোধক টিকাবিশেষ। আজ কেউ আপনার বোনের শ্লীলতাহানি করে গেলে আপনি তার বিরুদ্ধে ঘৃনাবাদ চর্চা না করে প্রেমবাদ চর্চা করলে, কাল সে আপনার বঊ ও কন্যাকে হাসতে হাসতে আপনার চোখের সামনে ধর্ষন করে যাবে। তবে, ঘৃনাবাদের প্রতিরোধ থাকলে এটা এত সহজ হবে না। কি জানি, আপনি হয়তো তারপরও তার প্রতি প্রেমবাদ চর্চা করবেন - আশা করবেন সে ঐ একই ব্যবহার আপনার প্রতিও করুক। কিন্তু, এটা বিশ্বাস রাখতে পারেন যে - পৃথিবীর অধিকাংশ মানুষই সুস্থ, আপনার মত অসুস্থ নয়।

তাই বলছি, ৭১-এর মত কেউ এসে আমার জন্মদাতাকে হত্যা করে যাবে, ধর্ষন করবে জন্মদাত্রিকে , বোনের যৌনাঙ্গ দিয়ে ঢুকিয়ে দিবে অগ্নিতপ্ত বেয়নেট, স্তন কেটে রেখে দিবে, শিশুপুত্রের ছিন্নমস্তক নিয়ে ভলিবল খেলবে - আর আমি তাদের বিরুদ্ধে 'ঘৃনাবাদ' চর্চা না করে আপনার মত অসুস্থ 'প্রেমবাদ' চর্চা করে বেড়াব, নাকি ? ইতরামি, ফাতরামি আর বজ্জাতি কাকে বলে আপনি জানেন ?

সিংহের পালে ঢুকে পড়া গল্পের ছদ্মবেশি শিয়াল যেমন তাল মিলিয়ে গর্জন করতে গেলে তার গলা দিয়ে সেই অবধারিত 'হুক্কা হুয়া' বেরিয়ে গিয়ে ধরা পড়ে যায়, তেমনি আপনাদের এইসব ছদ্মবেশি রাজাকারি বাংপাকিপনাও আপনাদের লেখা একটা বাক্য সম্পূর্ণ হওয়ার আগেই 'ক্যাঁক' করে হুক্কা হুয়ার মতই ধরা পড়ে যায় !

সবশেষে, রবি ঠাকুরের সাথে একটু যোগ করে বলিঃ--

'অন্যায় যে করে আর অন্যায় যে সহে,
আর তাদের বিরুদ্ধে ঘৃনাবাদ চর্চায় বারন যে করে --
তব ঘৃনা যেন তার বিষ্ঠাসম দহে।'

১০

ভাস্কর's picture


১.
আপনার আওয়াজে অনেক শব্দ হইলো টের পাইলাম। আওয়ামি এজেন্ডা বিষয়ক কন্সপিরেসীটাও যে সঠিক সেইটা আরো প্রকট ভাবে উপলব্ধি করলাম। একাত্তরের নির্যাতন আর ধর্ষণই যে শোষণ বঞ্চনার জন্য যথেষ্ঠ এই তত্ত্বে হো হো কইরা হাসলাম। যেই জাতি ১৯৪৮ সাল থেইকাই তার ঔপনিবেশিক শাসকের বঞ্চনার শিকার হইতে শুরু করছে তার শোষিত হওয়ার অনুভূতি পাইতে মা-বোনরে ধর্ষিত হইতে হয় সেইটা জানতে পাইরা একটু আধটু করুণাবোধও জাগলো সেইটা টের পাইলাম।

২.
ঘৃণার মাধ্যমে একজন মুসোলিনি হওয়া যায়, হিটলার হইতে হয় যথাযথ বিচারবোধ থাকে না। আপনি পাক-হানাদার বাহিনীর প্রতি ঘৃণাবোধ জারী রাখতেই পারেন কিন্তু সেই ঘৃণা আপনার মধ্যেও যে হানাদাররে জাগাইয়া তোলে সেইটাও তখন টের পাইবেন। আর সেই ঘৃণা তত্ত্বেই দেশের অভ্যন্তরে পাহাড়িগো উপর খড়গহস্ত হইবেন। এখন পাহাড়িগো উপরে বাঙালি হানাদাররা যেই নির্যাতন-ধর্ষণ চালাইতেছে তার প্রতিবাদে পাহাড়িরা আপনেরে ঘৃণা করতে শুরু করলে কি করবেন?

৩.
একটা মিসলিডেড অনুবাদ যে কতোটা ক্ষতি করতে পারে সাহিত্য কর্মের সেইটাও আজকে আবার টের পাইলাম। ঘৃণাবাদের ছায়াতলে থাকেন আর তা' দেন। আওয়ামি এজেন্ডা পূরণ কইরা মুক্তিযুদ্ধরে কেবল একটা ঘৃণাবাদি যুদ্ধ বানাইয়া তোলেন। তার মধ্য দিয়া শোষণ-বঞ্চনার বিরুদ্ধে যেই প্রতিবাদী চেতনা তৈরী হইছিলো তারে ছাপাইয়া রাইখা চলুক আপনেগো দেশরে নব্য পাকিস্তানি হইয়া ধর্ষণ।

৪.
আমি আওয়ামি ঘৃণাবাদ আর পাকিস্তানি হানাদারগো নির্যাতনবাদের মধ্যে কোনো পার্থক্য দেখি না।

১১

জিয়াউর রহমান's picture


আমি আওয়ামি ঘৃণাবাদ আর পাকিস্তানি হানাদারগো নির্যাতনবাদের মধ্যে কোনো পার্থক্য দেখি না।

যে ৩০ লক্ষ স্বদেশবাসীর গণহত্যা আর ২ থেকে পোনে চার লক্ষ মা-বোনের ইজ্জতহানি ও ১ কোটি এথনিং ক্লিন্সিং-এর মত পৃথিবীর ইতিহাসে অন্যতম বীভৎসতম নরমেধযজ্ঞে মেতে ওঠা পিশাচ আর দানবদের সাথে নিজ দেশের একটি নিয়মিত সিভিলিয়ান গণতান্ত্রিক ও নির্বাচিত রাজনৈতিক দলের (দোষত্রুটি নিয়েও) মধ্যে কোন পার্থক্য দেখে না,

যে 'ঘৃনা' (যা নেহাতই একটা সাবজেক্টিভ অনুভূতি) আর সেই ঘৃনার লক্ষ্যবস্তু 'গণহত্যা'-কে (যা একটা দানবিক অব্জেক্টিভ রিয়েলিটি) সমতুল্য মনে করে - একই পাল্লায় মাপে,

-- তার আসল পরিচয় কি, তা আমার বুঝতে আর বিন্দুমাত্র বাকি থাকে না। আর ৭১-এর সেইসব স্বজাতির পিঠে ছুরি মারা পিতৃমাতৃপরিচয়ভ্রষ্ট কুলাঙ্গার বেইমানদের বে*ন্মা রক্তবীজরা যে এখনো এদেশে রয়ে গেছে তাও স্পষ্ট বুঝা যায়। দুনিয়াতে এই বে*ন্মা গর্ভস্রাবরাই কেবল যে দেশের লোক বলে নিজেকে পরিচয় দেয় সে দেশের ৩০ লক্ষ পুর্বপুরুষের রক্তের প্রতি পৈশাচিক উপহাসে বলতে পারে সে ঐ রক্তের জন্য দায়ী নররাক্ষস ও তাদের গণহত্যাযজ্ঞের সাথে ঐ নররাক্ষস ও গণহত্যাযজ্ঞকে ঘৃনার মধ্যে কোন পার্থক্য দেখে না।

ভাস্কর সাহেব, আপনার রক্তহিম মন-মানসিকতা দেখে আমার কিবোর্ডটাও এবিষয়ে আর কিছু লিখতে রিফিউজ করছে। তাই তাড়াতাড়ি আরো দু'টো কথা বলে শেষ করে দেই --

ঐসব আম্লীগ/টাম্লীগ জাতীয় রেড-হেরিং কুযুক্তির শাক দিয়ে আপনি আপনার আসল চরিত্র ঢাকতে পারবেন না। বারবারই ধরা খেয়ে যাবেন, এবং যাচ্ছেনও। শিয়ালের গল্পটা তো আগের মন্তব্যেই বলেছি। ঐ শিয়ালের মতই আপনি যতই সিংহের পালের মধ্যে বসে 'আমি সিংহ - আমি সিংহ' ( বা 'আমি মানুষ - আমি মানুষ - দেখ আমি কত প্রেমবাদ চর্চা করি!) বলে গর্জাতে চেষ্টা করুন না কেন - আপনার গলা দিয়েও শেষমেশ ঐ 'হুক্কা হুয়া'ই বেরুচ্ছে -- এবং আপনি ঐ শিয়ালটার মতই বারবারই ধরা পড়ে যাচ্ছেন আশেপাশের আসল মানুষের কাছে। যদিও আপনি, ঐ শিয়ালটার মতই, নিজে সেটা বুঝতে পারছেন বলে মনে হচ্ছে না। আমি বলি কি, আগে নিজে ন্যুনতম মনুষ্যত্বটুকু অর্জন করুন, তারপর মনুষ্য সমাজে এসে মানবসমাজের এজেন্ডা কি হতে পারে না পারে সে নিয়ে লেকচার দিয়েন। কেননা, তার আগে পর্যন্ত আপনার গলা (বা কিবোর্ড) দিয়ে খালি 'হুক্কা হুয়াই' বেরুবে।

১২

ভাস্কর's picture


এক.
আপনার আবেগী প্রকাশ আর ট্যাগিং শিল্প দেইখা বিমোহিত হইলাম আমি। আবেগি ভাষার ব্যবহারে আওয়ামি ফ্যান্টাসীতে ভালোই হেলুসিনেট করতেছেন সেইটা বুঝতে পারতেছি। মূল যুক্তির ধারকাছ দিয়া না গিয়া আপনে আমার আওয়ামি ঘৃণাবাদের সমালোচনা নিয়াই কীবোর্ডে ঝড় তুলতেছেন। এই যে কুযুক্তির কৌশল এইটাই ব্যবহার করে আওয়ামি পাণ্ডারা। তারা মানুষরে কেবল তিরিশ লক্ষ শহীদ আর ২ লক্ষ মা-বোনের ইজ্জত বিষয়ক কান্নাই শোনায়, মুক্তিযুদ্ধ যে একটা সম্মিলিত অর্জন সেই উপলব্ধি তারা জাতিরে পাইতে দিতে চায় না। আমরা তিরিশ লক্ষ লোকের প্রাণ আর ২ লক্ষ মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে যেই মুক্তি লাভ করছি আপনের ঘৃণাবাদ জারী থাকলে তার প্রতি আওয়ামিরা যতোই অসম্মান দেখাক তার কোনো বিচার আপনি, আপনারা বা আমরা কেউই আর বিচার দাবী করতে পারুম না।

দুই.
ঘৃণাবাদের উপর ভর কইরা ইতিহাস রচনা চলে কারণ তাতে আপনের কথিত গণতান্ত্রিক নির্বাচিত শক্তি( যারা আমার আপনের রায়রে ধুলায় লুটাইয়া অসম্মান করে, যারা নির্বাচিত হইয়া প্রতিনিয়ত চিন্তায় আমার-আপনের মা-বোনরে নিয়মিত ধর্ষণ করে) তার উদ্দেশ্য অনুযায়ী দেশের যাবতীয় সম্পদ চুরি-ডাকাতিতে নিযূক্ত হইতে পারবো না।

তিন.
নির্বাচিত গণতান্ত্রিক শক্তির পক্ষে যুক্তি কইরা যে আপনে জামায়াতিগো বৈধতা দেয়ার পথও সুগম করেন, একেবারেই জামায়াতি লজিকাল প্রগ্রেশনে কথা কইতে চেষ্টা করেন অবচেতন ভাবে সেইটাও বুঝতে পারি আবার কনফিউজ্ডও হই আপনের এজেন্ডা নিয়া। মোহগ্রস্ত অবসেস্ড মানুষের কাছ থেইকা আমি এর চাইতে ভালো কিছু প্রত্যাশাও করি না। ঘৃণাবাদের এমনই খেল তার অসহায়ত্বের ফাক গইলা এই জামায়াতিরাও বৈধতা পাইয়া যায়। জামায়াতি মৌলবাদিগো সাথে মতাদর্শিক কোনো বিরোধীতা আমরা চালাইতে দেখি না আওয়ামি পাণ্ডাগো। নারী নীতি যে কোরআন সুন্নাহ মাইনা নিয়াই করা হইছে এই কথা কইতে কইতে আমাগো প্রগতিশীল নারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী গলা শুকাইয়া ফেলতেছেন, এইটা যে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পরিপন্থী সেইটা নিয়া আপনেগো মতোন মানুষেরা কোনো বিরোধ করেন না। কারণ আপনের চিন্তার ক্ষমতা আজ ঘৃণাবাদেই সমর্পিত। ক্ষমতার এমনই ভেক...তার রূপে আপনি আমি হতবাক! স্তম্ভিত!

১৩

মাহবুব সুমন's picture


দালাল আইন বাতিল ! এইটা আওয়ামি লিগের কর্ম ছিলো না। যদি দালাল আইন নিয়ে বাহাবা নেবার কথা উঠে তবে দালাল আইনে কি ছিলো সেইটা খুব ভালো করে পড়া দরকার। এতো দুর্বল একটা আইন দিয়ে আর যাই হোক কোনো রকম অপরাধের বিচার করা সম্ভব না। আর দালাল আইনে কত জনের বিচার হয়েছিলো ৭২-৭৫ এ সেটার একটা পরিসংখান পেলে বোঝা যেতো সেই আইন প্রয়োগের কার্যকারীতা। ( দালাল আইন আটক রাখা আর বিচার কাজ শেষ করার মাঝে ফারাক আছে সেটা বোঝার ক্ষমতা সবার আছে বলে মনে হয় )।

১৪

ভাস্কর's picture


আমি দালাল আইন নিয়া কোনো মন্তব্য করি নাই, আমার উল্লেখ দালাল আইন বাতিলের সিদ্ধান্ত বিষয়ে ছিলো...

১৫

অতিথি's picture


আমি একটা জিনিষ বুঝি না, আপ্নারা আসলে কি চান? সব সময় স্রোতের বিপরীতে চললে আলোচনায় থাকা যায়? এটা চান? এটা চাইলে আর কিছু বলার নাই।

আরেকটা কথা, নাম্বার ওয়ান শাকিব খান মুভিতে সরকার কিভাবে জনগনকে বিভ্রান্ত করতে চাইসে, আই মিন এই মুভির মাধ্যমে সরকার জনগনকে কি মেসেজ দিতে চাইছে এইটা যদি একটু বুঝায়া বলতেন, আমি নাদান মানুষ।

১৬

ভাস্কর's picture


এক.
স্রোতে গা ভাসানো মানুষরা অধিকাংশ সময়েই সুবিধাবাদী হয়, ইতিহাসের এই শিক্ষা নিশ্চয়ই আপনিও জানেন। কারণ ক্ষমতা যেই স্রোত তৈরী করে সেই স্রোত আপনের বা আমার জন্য না...তাগো নৌকা যেই গন্তব্যে যাইবো তারে লক্ষ্য কইরাই তারা স্রোত বহায়। সেই স্রোতে আপনি থাকতে চাইতে পারেন, আমার অন্ততঃ সেই শখ নাই। আর এই বিষয়ে আলোচনা না থাকলে ক্ষমতায় থাকা এইসব স্বার্থান্বেষী শাসকেরা যে কতোটা ভয়ঙ্কর হইতে পারে সেইটা সাম্প্রতিক সময়ের অনেক ঘটনায়ই প্রমাণ পাইবেন। তারা বাউলগো ধইরা চুল কাইটা দিয়াও পার পাইয়া যাওনের ক্ষমতা রাখে, তারা লিমনরে পঙ্গু কইরা দিয়া বুক ফুলাইয়া চলার হিম্মত রাখে।

দুই.
নাম্বার ওয়ান শাকিব খান সরকারী কোনো এজেন্ডায় নির্মিত ছবি না। মোহাম্মদ হোসেন নামের যেই প্রযোজক এই ছবিতে অর্থলগ্নি করছে তার উদ্দেশ্য আওয়ামিগো মতোন হইলে সে'ও শুল্ক মওকুফের সুবিধা পাইতো।

১৭

তানবীরা's picture


সিনেমাটা দেখার আগ্রহ হচ্ছে প্রবলভাবে

১৮

মেসবাহ য়াযাদ's picture


সাম্প্রতিক সময়ে মুক্তি প্রাপ্ত মুক্তিযুদ্ধের (?) ছবি গেরিলা আওয়ামি এই এজেন্ডা পূরণ করতেই নির্মিত হইছে। যেইখানে ইতিহাস বিকৃতি আছে, যেইখানে ইতিহাসরে লুকাইয়া ফেলার চেষ্টা আছে, যেইখানে নির্যাতন দেখানের নামে ঘৃণাবোধ তৈরীর সচেতন চেষ্টা আছে।

বুঝলাম...

১৯

হাসান রায়হান's picture


আপনে বুইঝা ফেল্লেন!!! Shock

২০

ভাস্কর's picture


বুঝলেই তো ভালো... Tongue

২১

মেসবাহ য়াযাদ's picture


কুল জনাব। আমিতো তাও বুঝছি এইটা কৈছি। মজার ব্যাপার হৈতাছে, এইদেশে তাল দেওনের লোকের অভাব নাই। মাগার নারিকেল দেওনের লোকের বেশ অভাব বোধ করি... আর জানেনতো, নারিকেল ছাড়া তাল মূল্যহীন ! @ রায়হান ভাই

২২

হাসান রায়হান's picture


মারহাবা মারহাবা Laughing out loud

২৩

ভাস্কর's picture


মারহাবা! মারহাবা!

২৪

মেসবাহ য়াযাদ's picture


অরেকজনের অভাব বোধ করতেছি... Wink

২৫

হাসান রায়হান's picture


নামকন নাকি ভাসুরের নাম মুখে আনবেননা!

২৬

মেসবাহ য়াযাদ's picture


নাম কৈলে ওজু করন লাগবো... অফিসে পানির সংকট যাইতেছে Big smile

২৭

মাহবুব সুমন's picture


পানি সংকটে পাথর ছু্য়ে ওজু করা যায়, কি যেনো নাম টা !

২৮

মীর's picture


আমার মনে হয় তিনি চুপচাপ পড়ে যেতে ভুল করেন না এখনো।

২৯

ভাস্কর's picture


Tongue Tongue Tongue Tongue Tongue Tongue

৩০

অতিথি's picture


আচছা, আহমদ ছফার 'বেহাত বিপ্লব' বা 'অলাতচক্র' নিয়া কেউ মুভি-টুভি বানায় না কেন? আহমদ ছফারে নিয়ে তো দেখি সব মহলেই প্রবল উচ্ছাস! তার গণকণ্ঠের লেখাগুলো কি ভিন্ন কেউ লিখেছে নাকি? সেগুলো চোখে পড়েনা? না মনে হয়! কারণ তাহলে এই লেখায় কেউ আপত্তি করতো না।

হেইট কারণ মেনে চলে কিন্তু কখনোই লজিক মেনে চলেনা। লজিকাল হেইট বলে কিছু আমার জানা নেই। একইভাবে সেইন্টিমেন্টাল লজিক বা লজিকাল সেন্টিমেন্ট বলেও কোনকিছুতে আমার আমল নাই। লজিক এবং সেন্টিমেন্টকে একসাথে মিশিয়ে নিয়ে তারপরে চুলচেরা বিশ্লেষণ করে তার পক্ষে/বিপক্ষে অবস্থান নেওয়াকে একধরণের সার্কুলার লজিক ছাড়া আর কিছুই মনে হয় না।

সরি টু সে,কিন্তু বর্তমানে আমাদের এই মনোভাবের পেছনে একটা জিনিসই কাজ করছে, আর তা হলো ভীতি। যদি স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি ক্ষমতায় কখনো আসে! কাজেই চালাও হেইট ক্যাম্পেইন! আখেরে লাভের গুড় যে আম্লিগ ই খাচ্ছে সেইটা আর কে বোঝাবে এইসব নাদান বোধিদের! আর নেপথ্যে শক্তিশালী লীগের পান্ডারা তো আছেই! হে হে! এবং এদের এই ভয়াবহ বোকামির জন্যই জামাত+বি.এন.পি. আবার ক্ষমতায় আসবে। হেইট আর ভীতি দিয়ে জাতি আগায় না! জাতি আগায় সুস্পষ্ট শাসনতন্ত্র আর পরিকল্পনা দিয়ে। আমাদের নিও ডিরোজিয়ান ইয়াং বেন্গলরা তা তাড়াতাড়ি বুঝলেই মঙ্গল Smile

৩১

মীর's picture


অতিথি, ভয়ংকর কমেন্ট করে গেলেন। কিন্তু নাম-ধাম জানতে পারলাম না, এই আফসুস রয়ে গেল। ধইন্যাপাতা। Smile

৩২

রশীদা আফরোজ's picture


ভাস্করদার লেখা পড়লে বরাবরই মাথা ঝিমঝিম করে, এখন লেখার সাথে কমেন্ট পড়ে কাহিল লাগছে। Smile

৩৩

স্বপ্নের ফেরীওয়ালা's picture


সাম্প্রতিক সময়ে মুক্তি প্রাপ্ত মুক্তিযুদ্ধের (?) ছবি গেরিলা আওয়ামি এই এজেন্ডা পূরণ করতেই নির্মিত হইছে। যেইখানে ইতিহাস বিকৃতি আছে, যেইখানে ইতিহাসরে লুকাইয়া ফেলার চেষ্টা আছে, যেইখানে নির্যাতন দেখানের নামে ঘৃণাবোধ তৈরীর সচেতন চেষ্টা আছে।

এই বিকৃতি আর লুকোছাপার বিপরীতে এখনি প্রতিরোধ না গইড়া তুললে মানুষ অচীরেই মুক্তিযুদ্ধের আদর্শরে ভুলতে শুরু করবো। ঘৃণাবাদের আছরে এক প্রতিবন্ধি জাতীয়তাবাদি ফিকিরে মাততে শুরু করবো একটা প্রজন্ম। আমাদের অর্জনের ইতিহাস রচনার এইটাই সঠিক সময়। গেরিলা'র মতোন সিনেমারা যেইটারে ধ্বংসের মুখোমুখি করনের চক্রান্তে আছে। তারে প্রতিরোধ করতে হইবো পাল্টা জবাবেই...ঘৃণাবাদের হাতিয়ার, নির্যাতন-নিবর্তন-নিষিদ্ধ করনের মধ্য দিয়া কখনো ইতিহাস সমুন্নত থাকে না বরং বিপর্যস্ত হয়।

ঘৃণার মাধ্যমে একজন মুসোলিনি হওয়া যায়, হিটলার হইতে হয় যথাযথ বিচারবোধ থাকে না। আপনি পাক-হানাদার বাহিনীর প্রতি ঘৃণাবোধ জারী রাখতেই পারেন কিন্তু সেই ঘৃণা আপনার মধ্যেও যে হানাদাররে জাগাইয়া তোলে সেইটাও তখন টের পাইবেন। আর সেই ঘৃণা তত্ত্বেই দেশের অভ্যন্তরে পাহাড়িগো উপর খড়গহস্ত হইবেন। এখন পাহাড়িগো উপরে বাঙালি হানাদাররা যেই নির্যাতন-ধর্ষণ চালাইতেছে তার প্রতিবাদে পাহাড়িরা আপনেরে ঘৃণা করতে শুরু করলে কি করবেন?

তারা মানুষরে কেবল তিরিশ লক্ষ শহীদ আর ২ লক্ষ মা-বোনের ইজ্জত বিষয়ক কান্নাই শোনায়, মুক্তিযুদ্ধ যে একটা সম্মিলিত অর্জন সেই উপলব্ধি তারা জাতিরে পাইতে দিতে চায় না।

মোহগ্রস্ত অবসেস্ড মানুষের কাছ থেইকা আমি এর চাইতে ভালো কিছু প্রত্যাশাও করি না। ঘৃণাবাদের এমনই খেল তার অসহায়ত্বের ফাক গইলা এই জামায়াতিরাও বৈধতা পাইয়া যায়। জামায়াতি মৌলবাদিগো সাথে মতাদর্শিক কোনো বিরোধীতা আমরা চালাইতে দেখি না আওয়ামি পাণ্ডাগো। নারী নীতি যে কোরআন সুন্নাহ মাইনা নিয়াই করা হইছে এই কথা কইতে কইতে আমাগো প্রগতিশীল নারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী গলা শুকাইয়া ফেলতেছেন, এইটা যে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পরিপন্থী সেইটা নিয়া আপনেগো মতোন মানুষেরা কোনো বিরোধ করেন না। কারণ আপনের চিন্তার ক্ষমতা আজ ঘৃণাবাদেই সমর্পিত।

অতিথিঃ সরি টু সে,কিন্তু বর্তমানে আমাদের এই মনোভাবের পেছনে একটা জিনিসই কাজ করছে, আর তা হলো ভীতি। যদি স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি ক্ষমতায় কখনো আসে! কাজেই চালাও হেইট ক্যাম্পেইন! আখেরে লাভের গুড় যে আম্লিগ ই খাচ্ছে সেইটা আর কে বোঝাবে এইসব নাদান বোধিদের! আর নেপথ্যে শক্তিশালী লীগের পান্ডারা তো আছেই! হে হে! এবং এদের এই ভয়াবহ বোকামির জন্যই জামাত+বি.এন.পি. আবার ক্ষমতায় আসবে। হেইট আর ভীতি দিয়ে জাতি আগায় না! জাতি আগায় সুস্পষ্ট শাসনতন্ত্র আর পরিকল্পনা দিয়ে।

৩৪

রায়েহাত শুভ's picture


প্রথমেই বইলা রাখি, আমি গেরিলা মুভিটা এখনো দেখিনাই। ঠিক করছিলাম দেখনের আগ পর্যন্ত কোনো রিভিউও পরুম না। তাইলে বায়াসড হইয়া যাওনের চান্স থেকে। তয়, এত্ত এত্ত রিভিউ ব্লগে ব্লগে দেখতেছি যে সেগুলা না পইড়া থাক্তে পারিনাই।

আম্লিগের ঘৃণাবাদী সংস্কৃতি আর মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিকৃতি লইয়া আমার বলনের কিছু নাই। কিন্তু গেরিলা মুভিটারে আপ্নে যদি এই এজেন্ডা বাস্তবায়নের "হাতিয়ার" হিসাবে চিহ্নিত করেন তাইলে আমার কিছু কথা আছে।

গেরিলার পটভূমি মনেহয় ২৫ মার্চের আগে থেইকা না (যেহেতু মুভিটা দেখিনাই, সেহেতু শিওর হইয়া বলতে পারতেছিনা), ক্র্যাকডাউনের পর থেইকা মুভির ঘটনা প্রবাহ শুরু হয়। সেক্ষেত্রে, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার যেই প্রারম্ভিক চলন সেইটা দেখানোর মতো পরিস্থিতির উদ্ভবের থেইকা পরিচালক সময় দিছেন চলমান নির্যাতন নিপীড়ন বেশী দেখানের।

৩৫

ভাস্কর's picture


এক.
একটা ছবি যখন থেইকা শুরু তখন থেইকা দেখানো শুরু হইলে প্রথম দৃশ্যের পরেই ফেরদৌস হাওয়া হইয়া যাওয়ার কথা ছিলো। কিন্তু প্রেমমূলক নাচাগানার প্রয়োজনে ঠিকই ফেরদৌস আসছে ঠিকই মাঝে সাঝে। ছবিতে ফ্ল্যাশব্যাক আসছে বেশ কয়েকবারই।

দুই.
এই ছবির শিক্ষিত বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া মুক্তিযোদ্ধারাও পাকিস্তান রাষ্ট্রের ভূমিকা নিয়া কোনো আলোচনা করে না। যুদ্ধে পার্টিসিপেশনের মোটিভেশনটা একেবারেই বুঝন যায় না। শহীদ জননীর একাত্তরের দিনগুলি কিম্বা শাহরিয়ার কবিরের পূবের সুর্য্য পড়ার এক্সপেরিয়েন্স থেইকা জানি শহরের মুক্তিযোদ্ধা কিম্বা সাধারণ মানুষরাও পাকিস্তান রাষ্ট্রের শোষণ বঞ্চনামূলক আলোচনা করতো। কিন্তু এক নৌকা ভ্রমণের সময় ছয় দফা না এক দফা এই বিতর্ক ছাড়া আর কোথাও স্বাধীনতার চাহিদা বা মুক্তিযুদ্ধ নিয়া আর কোনো রাজনৈতিক আলোচনা হইতে দেখি না আমরা।

তিন.
শুরুর দিকেই আমরা ২৫ মার্চের জেনোসাইডের দিন দেখতে পাই শেখ মুজিবের নামে ঘোষণা দিয়া পুলিশ বাহিনীর সদস্যদের যুদ্ধে ঝাপাইয়া পড়তে। কিন্তু ঐ আক্রমণের পাকিস্তানী বর্বরতা আমরা ইতিহাস থেইকা জানি বিধায়ই বিষয়টারে এজেন্ডা বইলা মনে হয়, ঐদিন অপ্রস্তুত পুলিশ ব্যারাকে আর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে দেদারসে খুন হইছে, পরবর্তী কালে সংঘটিত সকল জেনোসাইডের চাইতে ২৫ মার্চের আক্রমণ যেই কারনে অনেক উল্লেখযোগ্য হিসাবে ইতিহাসে লিপিবদ্ধ আছে। বঙ্গবন্ধু টাইটেলটা শুনানের এই জোরকৃত প্রয়াসটারে ইতিহাস আওয়ামিকরনের প্রচেষ্টাই মনে হয় আমার কাছে।

মন্তব্য করুন

(আপনার প্রদান কৃত তথ্য কখনোই প্রকাশ করা হবেনা অথবা অন্য কোন মাধ্যমে শেয়ার করা হবেনা।)
ইমোটিকন
:):D:bigsmile:;):p:O:|:(:~:((8):steve:J):glasses::party::love:
  • Web page addresses and e-mail addresses turn into links automatically.
  • Allowed HTML tags: <a> <em> <strong> <cite> <code> <ul> <ol> <li> <dl> <dt> <dd> <img> <b> <u> <i> <br /> <p> <blockquote>
  • Lines and paragraphs break automatically.
  • Textual smileys will be replaced with graphical ones.

পোস্ট সাজাতে বাড়তি সুবিধাদি - ফর্মেটিং অপশন।

CAPTCHA
This question is for testing whether you are a human visitor and to prevent automated spam submissions.

বন্ধুর কথা

ভাস্কর's picture

নিজের সম্পর্কে

মনে প্রাণে আমিও হয়েছি ইকারুস, সূর্য তপ্ত দিনে গলে যায় আমার হৃদয়...