ব্যাঞ্জন বর্ণের ছড়া
ক দিয়ে কদম ফুল
বর্ষাকালে ফোটে
খ দিয়ে খরগোশ
দ্রুত বেগে ছোটে।
গ দিয়ে গরুর গাড়ি
নেইতো এখন ঢাকা
ঘ দিয়ে ঘর বানিয়ে
খেলছে খোকা একা।
ঙ দিয়ে ব্যাঙ ডাকে
ঘ্যাঙর ঘ্যাঙর ঘ্যাঙ
চ দিয়ে চশমা যেন
মেলে আছে ঠ্যাং।
ছ দিয়ে ছাতা মাথায়
যাচ্ছে দাদাবাবু
জ দিয়ে জলাশয়ে
জাল ফেলেছে হাবু।
ঝ দিয়ে ঝরনা ধারা
বইছে পাহাড় চিড়ে
ঞ দিয়ে মিঞা সাহেব
ফিরছে উঁচু শিরে।
ট দিয়ে টাকা-কড়ি
মিছে আশা সব
ঠ দিয়ে ঠেলাগাড়ি
নেইতো কোনো রব।
ড দিয়ে ডাবের পানি
সুস্বাদু মিষ্টি জল
ঢ দিয়ে ঢাকা শহর
ম্যাগাসিটি অবিকল।
ণ দিয়ে হরিণ হয়
দেখতে বেশ সুন্দর
ত দিয়ে তাল খেয়ে
বেতাল লখিন্দর।
থ দিয়ে থালা বাসন
সাজানো থরে থরে
দ দিয়ে দইচিড়া
শিশুর মন কাড়ে।
ধ দিয়ে ধনশালী
সবাই তাকে চেনে
ন দিয়ে নৌকাখানি
চলছে ভাটার টানে।
প দিয়ে পদ্ম ফোঁটে
বর্ষাকালের জলে
ফ দিয়ে ফল-ফলাদি
সবাই খাও মিলে।
ব দিয়ে বাবুই পাখি
আজব কারিগর
ভ দিয়ে ভাল্লুক দেখে
খোকার নেইকো ডর।
ম দিয়ে ময়ূরপাখি
নাচে পেখম মেলে
য দিয়ে যবের ছাতু
সবার মন ভোলে।
র দিয়ে রুই-কাতলা
পুকুরে করে চাষ
ল দিয়ে লাটিম খেলে
নেইকো হাঁসফাঁস।
শ দিয়ে শসা খাও
কমাতে মেদ-ভুড়ি
ষ দিয়ে ষড়ঋতু
নেইকো তার জুড়ি
স দিয়ে সবজি খেয়ে
বাড়াও দেহের তেজ
হ দিয়ে হলুদ আভায়
রূপ করো সতেজ।
ক্ষ দিয়ে ক্ষয় করো না
অমূল্য দেহখানি
ড় দিয়ে হাড়-মাংস
করবে টানাটানি।
ঢ় দিয়ে আষাঢ় মাসে
বৃষ্টি টাপুর টুপুর
য় দিয়ে ময়নাপাখি
পরবে পায়ে নূপুর।
ৎ দিয়ে মৎস্য পালন
লাভজনক এক পেশা
*ং দিয়ে অহংকার
ল্যাং মারা যেন নেশা।
ঃ দিয়ে দুঃখ পেয়ে
করো না মন ভার
*ঁ দিয়ে চাঁদ মামা
আজব উপহার।
পুনশ্চ: ং (অনুস্বার), ঁ (চন্দ্রবিন্দু) মিসিং দেখানোর কারণে * দিতে হলো।
২৪.০৩.২০১৪
মন্তব্য করুন