খেলা (গল্প)
বিরামহীনভাবে একটার পর একটা এসএমএস এসেই যাচ্ছে।
-রাগ করেছো?
-অনেক রাগ? অনেক অনেক রাগ? অনেক অনেক অনেক রাগ?
-রিপ্লাই দেবে না?
-কথা বলবে না?
-একটুও না?
-যদি আদর করি?
-যদি অনেক অনেক অনেক আদর করি?
ধুরো! ন্যাকামির একশেষ। মেয়েগুলো বোঝেও না যে এসব আর আমার গায়ে লাগে না। নিত্যদিন কত কত মেয়ের কাছ থেকে এই জাতীয় কথা শুনি। শুনতে হয়। চাইলেও, না চাইলেও। এইসব মড়াকান্নার কে এত বেইল দেয় বাবা!
না, তাদের বক্তব্য হচ্ছে তেনারা আমাকে সত্যি ভালোবাসেন। এবং তাও অল্পস্বল্প নয়, খুবই বেশি পরিমাণে। (এদের দরকার ছিলো ভালোবাসার ছাল ছাড়িয়ে ডুগডুগি বানানো।)
-ট্রাস্ট মি, দিস ইজ রিয়াল লাভ!
-তোমাকে ছাড়া আর কাউকে নিয়ে এভাবে ভাবিনি কখনও।
-আর কেউ পারে না তোমার মত এত পাগল করতে।
সোনামণি, আমি কি তোমাকে আর কাউকে নিয়ে না ভাবার জন্য পায়ে ধরে সেধেছিলাম? আর কেউ তোমাকে আমার মত করে পাগল করতে পারে না সেটা আসলে কার সমস্যা? আমার, না তোমার? না অন্য আর দশটা ছেলের?
তোমরা যেমন এসেছো তেমনি আগেও আরো অনেকে এসেছিলো। তোমরা দু'দিন পরে ভেগে যাবে যেমন তারাও ভেগে গিয়েছিলো। কেউ নিজে ভেগেছে, আর কাউকে আমিই ভাগিয়েছি। দি আউটকাম ইজ দ্য সেম, ইউ গট মা পয়েন্ট???
ওসব ভালোবাসা ফালোবাসা এককালে ম্যালা দেখেছি। নিজেই তো ভুক্তভোগী। তোমরা এখন আমার মুখের একটা কথা একটু হাসির জন্য যেমন কাঙালপনা করো, ওরকম আমিও করতাম তার জন্য। লাভের লাভ কি হলো বাপু! সেই তো যে লাউ সেই কদু।
এরকম ছিলাম না আমি। এখন তোমরা আমাকে যেমন দেখছো। এরকম ছিলো সে। মানুষ বোধহয় কাপড়ও এভাবে পাল্টায় না যেভাবে সে প্রেমিক পাল্টাতো। কে জানতো অমন দিঘীর মত শান্ত চোখের আড়ালে এত ভয়াবহ লালসা লুকিয়ে ছিলো! কে জানতো অমন অদ্ভুত সরল হাসির পেছনে এত নোংরামি ঘাপটি মেরে ছিলো?
বুঝতে অনেক দেরি হয়ে গিয়েছিলো সেটা।
বোঝা শেষ হতে না হতেই দেখি আমিও হয়ে গেছি ওরকম। হাতে একসাথে চার পাঁচটা মেয়ে না থাকলে ভালোই লাগে না। অবশ্য যারা আমার হাতে থাকে তারাও যে সবাই আমার মতই তাও না। ভালো মেয়েরাও আছে সেখানে। তবে তাদের হ্যান্ডেল করা মহা ঝামেলার কাজ। দিন নেই রাত নেই শুধু ফ্যাঁচফ্যাঁচ। আরে বেটি এত সিরিয়াস হওয়ার কি আছে! বাকি মেয়েগুলোর দিকে একটু চেয়েই দ্যাখ! আমি যেমন তাদের লেজে খেলাই, তারাও আমাকে তেমনি আঙুলের ডগায় রাখে। তাদেরও প্রত্যেকের এরকম চার-পাঁচ-দশ-বিশ জন আছে। এই মেয়েগুলোকে নিয়ে সুবিধা হলো তাদের চোখের দিকে তাকিয়ে পঞ্চাশবার আই লাভ ইউ বললে তারাও ওই পঞ্চাশবারই উত্তর দেবে কিন্তু একবারও সিরিয়াস হবে না। আজ তোমার ভালো লাগছে, ভালো। কাল তোমার ভালো না লাগলে তাদের রাস্তা মাপার ফিতে ধরিয়ে দাও, তাতেও ভালো! কোথাও কোনও ঝঞ্ঝাট নেই। আরে এটাই তো চাই আমি। এটাই তো মজা! দিস ইজ জাস্ট আ পার্ট অভ দ্য গেম, রাইট?
তোমরা কেন এসেছো আমার কাছে? ডেকেছিলাম তোমাদেরকে আমি? কক্ষনো না! আমি সাধ করে ডাকি না কাউকে। যার আসার সে আসবে, যার যাবার সে যাবে! সর্বত্র আমার অবারিত দ্বার। বাসার ঠিকানা মেইল আইডি ফোন নাম্বার কিচ্ছু আমার লুকানোর নেই। চাইলেই নিতে পারো। চাইলেই দু'চারদিন ফষ্টিনষ্টি করতে পারো। তোমাদের খুব শখ ভালো রেস্তোঁরায় খাওয়ার, দামি ড্রেস কিংবা অর্নামেন্টস গিফট পাওয়ার, আর তা না হলেও আমার কোমর জড়িয়ে বাইকের পেছনে চড়ে নগর প্রদক্ষিণ করার। পয়সার অভাব আমার ছিলো না কখনোই, এসবে আপত্তি তো আরোই নয়। তো হোক! আরে মিয়া বিবি রাজি তো কেয়া করেগা কাজি?
চাইলে এরচেয়েও বেশি এগোতে পারো। অনেক অনেক বেশি। চাইলে সবটুকু। হারানোর কিচ্ছু নেই আমার! আসে তো অনেকেই। আমি জোর করি না কাউকে। আরে বাবা দোষ তো মনের, শরীরের তো দোষ হয় না কোনো! এখন মনের দোষকে কোনও ধর্তব্যের মধ্যে না নিলেই তো হলো, নাকি? ওসব ভালোবাসা টালোবাসা এখন বস্তাপচা পুরান মাল। ওগুলোর এখন মিউজিয়ামে দেখা মেলে। পুরনো জিনিস আঁকড়ে রাখার তো কোনও কারণ দেখি না। ইটস জাস্ট আ পাসটাইম নাও। দেবদাস হওয়ার কোনও ঠ্যাকা পড়েনি আমার!
কাঁদলে তুমি বোকামি করবে ময়নাপাখি। তোমার চোখে পানি দেখে গলে যাবো তেমন ভোদাই আমি আর নেই এখন। হাহা!
শালার মানুষের সময়জ্ঞান বলেও কিছু নেই। তোমাদের এখন এতদিন পর আসার কি দরকার ছিলো? প্রেমের পোঁটলা বেঁধে তোমরা তখন কোথায় ছিলে যখন আমি রাতের পর রাত ড্রাগের নেশায় কাটিয়েছি? সুইসাইড করার চেষ্টা করেছি কত হাজারবার। শরীরে এখনও দগদগে হয়ে আছে কত অজস্র চিহ্ন। লোকে বলে ব্যাটাছেলের নাকি কাঁদতে নেই। আরে কান্না পেলে ঠেকায় এরকম সাধ্যি আছে নাকি কারও, সে যত বড় ব্যাটাছেলেই হোক? হাজারবার চেয়েছি কেউ আসুক, আমার মাথাটা বুকে আঁকড়ে চোখের জল মুছিয়ে দিয়ে বলুক, "তোমার জন্য আমি তো আছি", সত্যিকারের ভালোবেসে! আমার কপালের চুলগুলো সরিয়ে দিক আলতো করে... কিংবা কামড়ে দিক আমার নাকটা। আবার আমার ভেতরে ভালোবাসার মাতামাতি হোক তাকে ঘিরে! কেউ তো একজন জয় করে নিক আমাকে! কেউ তো বুঝুক আমার বুকের ভেতরের সীমাহীন যন্ত্রণাটা। হতে কি পারে না এমন? কেউ কি নেই এমন? একজনও না? কোথাও না?
ইয়ার দোস্তরা হিংসে করে আমাকে। আমার এমন কি আছে যা ওদের নেই? ওরা কেন পারে না এভাবে দশজনকে নাকে দড়ি দিয়ে ঘোরাতে? আব্বে পারা না পারার প্রশ্ন আসছে কোথা থেকে? ওসব পুতুপুতু প্রেমের ডায়ালগ শুনে মরি না আর। আমি নির্বাসনে যাবো না, মাথাভরা জটাচুলে মুনিঋষি হবো না! অ্যাজ সিম্পল অ্যাজ দ্যাট! দু'চারটা ভ্যালেন্টাইনস ডে তে ওরকমই আরো দু'চারটা সুন্দরীকে বক্ষলগ্ন করে হাওয়া খাওয়া এমন কোনও বিগ ডিল না আমার জন্য। এরকম কত এলো গেলো, আরো কত আসবে যাবে!
কি দায় পড়েছে কারও মুখের দিকে চেয়ে থাকার?
কাজেই, খেলতে পারলে খেলো, না পারলে ফুটো!
(সামু ব্লগে পূর্ব প্রকাশিত। মাত্র আজই এখানে অ্যাক্সেস পেলাম, ভাবলাম নতুন একটা লেখা দিই। নতুন কিছু তো সহজে মাথায় আসে না তাই এটাই দিয়ে দিলাম। )
স্বাগতম ভেবু!
নতুন নতুন লেখায় ভরিয়ে দাও এবির পাতা।
এই লেখাটা নিয়ে কিছু বলবো না
দুঃখু পাইলাম ভইন।
আমিও কিছু বল্লাম না এ লেখায়। এ পথ সহজ হতে পারে কিন্তু আকাংখিত নয়। পতনে কোন গৌরব নেই।
আমি কেবল একটা সিনারিও দেখাতে চেয়েছি, আর কিছু নয়।
স্বাগতম আপনাকে আমার ব্লগে।
এবির বন্ধুরা বিভিন্ন ব্লগ থেকে ব্লগিং করতে করতে এখানে এসে একত্রিত হয়েছে। অন্য ব্লগে আপনার লেখা তারা হয়তো আগেই পড়ে ফেলেছে। তাই পুরাতন লেখা চাই না
নতুন নতুন লেখা চাই। বিষয়টা মনে হয় নীতিমালার সাথেও সাংঘর্ষিক।
তাই কি? অনেককেই দেখলাম ঐ ব্লগের লেখা এখানেও দিয়েছেন, তাই ভাবলাম কোনও অসুবিধে নেই হয়তো।
অসাধারণ!!!!
আপনাদের এইসব লেখা পড়ি আর নিজের লেখার অক্ষমতায় হাত কামড়াই।
অনেক ধন্যবাদ অদিতি। ভুল করে হলেও কখনও কখনও ভাবতে ইচ্ছে করে যে আমি ভালো লিখি।
ভালো লাগলো আপনার মন্তব্য পেয়ে। ভালো থাকুন।
রিভেঞ্জের বাজে ব্যাপারটা হইলো কার উপরে নেয়া হচ্ছে সেটাই খেয়াল থাকে না। একটা মেয়ের উপর নেয়ার কথা, দশটা অন্য মেয়ের উপর নিচ্ছি মনে করে আসলে সে নিজের উপরেই নিচ্ছে।
উমমম... এটাকে কি ঠিক রিভেঞ্জ বলা যায়? এটা আসলে সত্যিকারের ভালোবাসার প্রতি আস্থা হারিয়ে ফেলা এক মানুষের গল্প, যে আক্ষরিক অর্থেই কাউকে ভালোবাসতো কিন্তু মুখ থুবড়ে পড়ার পর 'ভালোবাসার প্যাকেজ প্রোগ্রামে' আসক্ত হয়ে পড়েছে।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ভাঙা পেন্সিল। ভালো থাকুন।
স্বাগতম আমরা বন্ধু পরিবারে
অনেক ধন্যবাদ শাতিল।
হমম
..ওরে, ভেবু কে স্বাগতম....
আইসা দু:খ দু:খ লেখা দিয়া শুরু? কিন্তু লেখাটা যারে বলে, টাচি হৈছে অনেক...ভালো লেখারে ভাই।
ভেবু'র কাছ থেইকা গানের পোষ্ট চাই একটা....
থেঙ্কু বিলাই দা। গান পোস্ট?... প্রবলেম হৈলো গান লয়া পুস্টাইতে গেলে কোন শিল্পী/ কোন জেনারের গান দিমু ভাইবা মাথা চুলকায়া শ্যাষ কৈরালাই মাগার কিছুই ধরে না অ্যান্টেনাত। আইচ্ছা দিমুনে একখান, বিলাই দা কৈছে যহন।
আম্গো জেনারেশনের আশে পাশের দিলেই হৈবো... নাইলে পোষ্ট আবার এন্টিনার চাইর পাশ দিয়া চইলা যাইবো...
হায় হায় কও কি দুস্তো! আমি যে পুরান গান খুব ভালা পাই!
ভেবু আপা, এইটা আসলে চোরের উপর রাগ করে মাটিতে ভাত খাওয়া।
আগে মাথায়ই আসেনি! ভালো বলেছেন তো!
স্বাগতম এবি তে
ধন্যবাদ গোল্লা কাঁকন আপা।
স্বাগতম আমরা বন্ধু পরিবারে
অনেক ধন্যবাদ মাসুম ভাই।
ভুল করে হলেও কখনও কখনও ভাবতে ইচ্ছে করে যে আমি ভালো লিখি..।
সেম টু মি..............
ভালো আছেন মেসবাহ ভাই? ভাবী বাচ্চা সবাই ভালো?
ভালো আছি, উত্তম ! আপনি ? স্বাগতম !!
এই তো ভালো। স্বাগতমের জন্য অনেক ধন্যবাদ।
ভেবু আপু না ভাইবাই লেখা দিলেন ক্যান? আমার নাহয় ঘাড়ের উপর সিন্দাবাদের ভূতের মতো পরীক্ষা নামক উপদ্রবটা চেপে বসে আছে ... আপনারা অন্তত সতুন লেখা দেন!
দিমু তো, আগে কউ এই লেখাটা কেমন লাগলো (ভালো না লাগলেও নো প্রবলেম, বিন্দাস বলো)।
ভেবু আফার আগমন শুভেচ্ছা স্বাগতম !
অনেক ধন্যবাদ অদ্রোহ ব্রাদার।
লেখাটা পড়ে ঘাবড়ে গেলাম
তাই? খুব ঘাবড়ানোর মত বুঝি?
দুস্ত আছো কিরাম? তুমারে দেইখা লগিন কর্লাম। এম্নিতে পুরা দিন দৌড়ের উপ্রে আছি...
লগিন করণের আরেকখান কারণ আছে। উপ্রের লেখাটা হেইখানে পড়ছিলাম অফলাইনে। কমেন্ট করি নাই। কাইল ঠিক তুমার লেখার টাইপের একখান কেইস এর হিস্টুরী শুনলাম। মনটা খ্রাপ হইলো। এট্টু আগে আম্রাদুস্ত তে আইসা দেখি তুমি এডা দিছো... কি কাউয়া তালিয় ব্যাপার। মনটা আরও খ্রাপ হইলো। দিনকাল দিন দিন আরও খ্রাপ হইতাছে... ধুরো...
আরে দুস্ত তুমারে দেইখা ভাল্লাগলো। আশা করি দেখা সাক্ষাত হইবো ইনশাআল্লাহ।
এরাম গল্প মনে হয় অনেকের আছে। আমার সৌভাগ্য যে অহন্তরি এরাম কাউরে দেখি নাই। যারা আছে এরাম তাগো কল্যাণ কামনা করি। কি আর কমু।
ভালা থাইকো দুস্তো। বাবুরে আমার আদর দিও।
স্বাগতম ভেবু...
নয়া লেখা কৈ? পুরান লেকা নিপো না
স্বাগতম ভ্যাবলা ভেবু। এইখানে যত ইচ্ছা ভাবো।কেউ কিছু বলপে না
থেঙ্কু সিজার ভাইডি। ভাবতে ভাবতে ঘুম আইসা পর্লো। ঘুম থিকা উইঠা আপ্নের ব্লগ দ্যাখতে যামুনি।
আরে প্রত্যুদা নাকি! পুরান লেকা ভালো কি মন্দ কিসু না কৈলে নয়া লেকা ক্যাম্নে দিমু ভাইডি?
আরে তোমার লেখা তো অল টাইম চমৎকার
তাই নতুন কৈরা কিছু কৈ নাই
আছো কিরম?
শরম পাইলাম ভাইডি। আছি ভালা। আপ্নেরা ভালা তো?
স্বাগতম।নতুন লেখা দিন।
এই লেখাটা অসাধারণ।
অনেক ধন্যবাদ জয়িতা। খুব ইন্সপায়ারিং আপনার মন্তব্যটা। ভালো থাকুন।
স্বাগতম...
ধন্যবাদ...
স্বাগতম আমরা বন্ধুতে
আপনার নতুন ভাবনার প্রকাশের জায়গা হোক আমরা বন্ধু। ভালো থাকবেন। নতুন লেখার অপেক্ষায় রইলাম।
ধন্যবাদ
অনেক ধন্যবাদ লোকেন বাবু। ভালো লাগলো আপনার মন্তব্য পেয়ে। ভালো থাকুন।
পুরনো লেখা পড়তে ভালো লাগে না। মনে হয় সেকেন্ড হ্যান্ড মাল ধরায়া দিলো কেউ। তাই পড়ে আরাম পাইলাম না।
নতুন লেখার অপেক্ষায় রইলাম।
আপনি নাহয় ভেবে ভেবেই বললেন...
স্বাগতম
ধন্যবাদ
লেখাটা আমার কাছে পুরনো (তাও মাত্র ১ সপ্তাহ), আপনাদের কাছে তো পুরনো হবার প্রশ্ন আসে না। নাকি পুরনো কথাটা উল্লেখ করে দেয়াটাই আমার ভুল হলো?
আপু পরিচিতদের দেখে কি যে ভালো লাগে
আমারও তোমাকে দেখে খুব ভালো লেগেছিলো।
আপু কি যে খুশি লাগছে। অনেক অনেক ভালো লাগছে।
ইয়াহ, মাই ডিয়ার সুইটি পাই!
ব্যাপারটার শুরুটা খুব বেশিদিন আগে না হলেও, এত বেশি বেশি হচ্ছে, তাতে অনেক পুরানোই মনে হয়। কিন্তু, তারপরও ঐ প্রসঙ্গ নিয়ে লেখা গল্পগুলোর মাঝে আপনারটা পড়ে ভাল্লাগ্লো।
এই পুরা ব্যাপারটা অনেকটা চেইন-রিঅ্যাকশনের মত। আপনি খুব ভাল ছিলেন, আপনি কারো কাছে প্রতারিত হলেন। আপনিও একদিন তার মত হয়ে গেলেন, তাই আপনি আরো ৫জনের সাথে এভাবে প্রতারণা করলেন। তারা আরো ৫জনের সাথে..এভাবে চলতে থাকে.. চলতেই থাকে।
কিন্তু, কেউ এটা থামাতে চায় না। কেউ এভাবে ভাবে না, আমি প্রতারিত হয়েছি, আমি কাউকে প্রতারণা করবো না, আমার কাছেই এই ব্যাপারটা শেষ হোক।
আপনের জন্য গুণ সাহেবের একটা কবিতা লাগবো,
আমি বলছি না ভালোবাসতেই হবে, আমি চাই
কেউ একজন ভেতর থেকে আমার ঘরের দরজা
খুলে দিক। কেউ আমাকে কিছু খেতে বলুক।
কাম-বাসনার সঙ্গী না হোক, কেউ অন্তত আমাকে
জিজ্ঞেস করুক, "তোমার চোখ এত লাল কেন?"
সবশেষে, এবিতে স্বাগতম।
আরে কি কাকতালীয় ব্যাপার! সামুতেও এই গল্পটা পড়ে শিপন ভাই (আরাশি) আমাকে কমেন্টে এই কবিতাটাই দিয়েছেন।
আমি এই গল্পের চরিত্রের মত কাউকে দেখিনি আসলে। যেমন ধরো রোহান বললো এরকম একজনকে চেনে, আমি এরকম কাউকে চিনি না। কিভাবে যে আমার মাথায় এই প্লটটা এলো... বলা মুশকিল। আমি নিজে আসলে সবসময় ভালোবাসা নিয়ে খুব পজিটিভ কিছু চিন্তা করি, একবার মনে হলো কেন এরকম কারো কথা বলার চেষ্টা করি না যার কাছে ভালোবাসা কেবল একটা নেগেটিভ কনসেপ্ট? নিজের বিপরীত কাউকে দাঁড়া করাবার একটা এক্সপেরিমেন্ট ছিলো এটা। জানি না পেরেছি কিনা।
তোমাকে দেখে ভালো লাগলো মুক্ত। ভালো থাকো।
হা হা হা!!
আপনার এক্সপেরিমেন্ট? তাইলে তো বলতেই হয়, আপনি চরম কল্পনাশক্তির অধিকারি।
আর, কবিতাটা আমি খুব প্রিয় একটা মানুষকে লিখে দিয়েছি। তখন খোঁজাখুজির ফলে এখন আবার খুঁজে পেতে সহজ হয়েছে।
কল্পনাশক্তি ভালো না তেমন। নড়বড়ে। আসলে বয়স হচ্ছে... বোঝোই তো। হাহা!
প্রিয় মানুষটি কি ব্লগে আছেন? থাকলে পরিচয় করিয়ে দিও কিন্তু।
নাহ।
তবে মাঝে মাঝে পড়েন।
ভালো তো।
এ্যাঁ!!!
হিহিহি!
আরে সবতো দেখি আম্রা আম্রাই
লেখাটা ভাল্লাগছে
আরে নাজুপা নাকি? ধইন্যা ধইন্যা! তা কিরাম আছুইন ভাইডি?
কেমন আছেন ?
এই তো ভালো এপু। আপনি ভালো আছেন?
হু চলে বস - ভালোই
গুড গুড।
আফায় কি আর নতুন পোস্টাইবেন না?? ভাবতে এত সময় নিলে ক্যামনে হইবেক??
অতি শীঘ্র নতুন পোস্ট চাই।
আর কি ৫টা মিনিটও টাইম দিবা না???
স্বাগুটুম স্বাগুটুম
থ্যাঙ্কুস থ্যাঙ্কুস!
স্বাগতম হে ভেবু আফা! (আমার নিজেরই ঠিক নাই )।
আরে স্বাগতম তো আমি তুমারে কমু! স্বাগতম স্বাগতম!
গল্প ধাক্কার মতো হয়েছে। পড়ে চমৎকৃত হয়েছি। আপনাকে অশেষ ধইন্যা।
অনেক ধন্যবাদ মীর। বড্ড বেশী দেরী হয়ে গেলো রিপ্লাই দিতে।
মন্তব্য করুন