নাম দর্শনের মাজেজা:চার
অর্জুণ নামটির কথা চিন্তা করুন,তিনি যদি কিছু অর্জন না করেন তা হলে কী ভাবে তার নাম অর্জুন হয়? কী অর্জণ করেছিলেন অর্জুন?কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধের মধ্যে দিয়ে তিনি ধর্মার্থ অর্জন করেছিলেন। ।।তিনি বলছেন:আমরা রাজার ঘরে জন্মেছি,অমানুষিক ক্ষমতায় এই রাজ্য জয় করেছি,সেখানে ধর্মার্থ ত্যাগ করে মূর্খের মতো বনে যাব কেন?(মহাভারত,১২.৮.৯)।অন্যত্র দেখছি তিনি আবার বলছেন, এতদিনে শত্রু বধ করে এই পৃথিবীর অধিকার লাভ করলাম ,সেখানে সব ছেড়ে চলে যাবার কথা ভাবাটা যে একেবারেই বুদ্ধিহীনতা হবে(মহাভারত ১২.৮.৫)।তার মানে আমরা দেখতে পেলাম যে,কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধের মধ্যে দিয়ে অর্জুন 'পৃথিবীর অধিকার' এবং 'ধমার্থ' নামক বস্তু দুটি অর্জন করেছেন ।েস কারনেই তিনি অর্জুন। অর্জুন নামে যথাযোগ্য হয়েছেন।। ।। এই যে আমরা এতক্ষণ যা বললাম, এতো কেবল নামের কারণ হলো মাজেজা নয়, মাজেজাটা আমরা একটু পরেই আলোচনা করতে চাই।। ।। কীভাবে করতে চাই? কীভাবে করতে পারি, তার একটা পরিচয়বাহি চিহ্ন এইখানে দিয়ে রাখতে পারি।।। যেমন অর্জনের মাধ্যেমেই তিনি অর্জুন উপাধি বা নাম প্রাপ্ত হয়েছেন কিন্তু তিনি যে বস্তুটা অর্জন করেছেন সেই বস্তুটা কী? যেমন তিনি অর্জন করেছেন ধমার্থ যেমন তিনি অর্জন করেছেন পৃথিবীর অধিকার। তাহলে এই ধর্মার্থ বা পৃথিবীর অধিকার জিনিষটা আসলে কি?এই প্রশ্ন করার মধ্যে দিয়েই আমরা নাম দর্শনের মাজেজায় প্রবেশ করবো। কারণ অর্জুনের যে অর্জন অথবা অর্জন করেন বিধায় তিনি অর্জুন এইখানে যেমন সম্বন্ধ এবং সম্পর্কবাচকতা থাকে যা তিনি অর্জন করলেন তার সাথে অর্থাৎ ধর্মার্থের বা পৃথিবীর অধিকার-এর সাথে অর্জুনের সম্পর্কচর্চার ধরণ খুঁজলেই মাজেজার বাউন্ডারিতে আমরা প্রবেশ করবো। । এই কারণে যে সম্পর্কচর্চায় সম্পর্কটা আমরা বিচার করতে পারছি। অর্জুনের ধমার্থ অর্জন বা পৃথিবীর অধিকার অর্জনের ধর্মার্থ বা পৃথিবীর অধিকার এই জিনিষগুলো আলাদা আলাদাভাবে কী অর্থ প্রকাশ করে? ধর্মার্থ মানে ধর্ম এবং অর্থ। ।। পৃথিবীর অধিকার, পৃথিবীকে পরে রেখে সামনে যদি বলি অধি এবং আকার । আর পৃথিবী মানে হলো গিয়ে 'পৃথু'। 'পৃথু' শব্দটিকে স্ত্রীলিঙ্গ করে দিলেই হবে পৃথ্বী এবং এই শব্দের উচ্চারণ একটু সহজ করে নিলেই হবে পৃথিবী(দন্ডনীতি,পৃ.৪৩,তৃতীয় অধ্যায়,নৃসিংহপ্রসাদ ভাদুড়ী)। পৃথিবীর অধিকার, 'অধিকার' শব্দটি নিয়ে একটু পরে আমরা আলোচনা করবো। পৃথিবী বা পৃথুই নাকি মনুষ্যলোকের প্রথম রাজা। এই কথা বেদ এবং ব্রাক্ষ্মনে বলছে।-পৃথু বৈণ্যৈা মনু ষ্যানাং প্রথমো ভিষিষিচে।। ।
এবার আমরা ধমার্থ নিয়েও সামান্য আলোচনা করতে পারি। ধর্ম এবং অর্থ হচ্ছে চতুর্বর্গের মধ্যে প্রথম। ।। কাম এবং মোক্ষ হচ্ছে যথাক্রমে তৃতীয় এবং চতুর্থ পর্যায় । অথচ এই চতুর্বর্গ যাকে কেন্দ্র করে বা যে নামকে কেন্দ্র করে আবর্তিত সেই নাম কিন্তু পুরুষার্থ হিসেবে গ্রহন করা হয়নি। ,চলবে
ধিারাবাহিক নাটকের টেস্টটা সাহিত্যে না আসলে সম্ভবত ভালো হতো । এখনও হয়তো কম ভালো হয় নি । তবে আমি ব্রেক কষে কষে পড়তে পছন্দ করি না ।
ভাই ব্যস্ততার জন্যে সম্ভব হচ্ছে না তবে চেষ্টা করবো বড় একটা কিস্তি লিখতে।
ধন্যবাদ।
চলুক
এমন ধর্মে কর্মে মতিওয়ালা লোক আজকাল বিরল।
চলুক
মন্তব্য করুন