চোর-পুলিশ
সে বহুদিন আগের কথা। চট্টগ্রামে মনা নামে এক চোর ছিল। চট্টগ্রামের চোরদের কাছে সে ছিল দেবতুল্য আর সাধারণ মানুষের কাছে সাক্ষাৎ বিভীষিকা। কারন, মনা-চোরাকে কখনো পুলিশ ধরতে পারেনি বা, কোথাও চুরি করতে যেয়েও সে কখনো ধরা পড়েনি। সবচেয়ে অবাক করা বিষয় হলো মনা চোরাকে কেউ কখনো দেখেনি বা, তার আড্ডাখানা কোথায় বা, কোথা থেকে সে এসেছে, তার হদিসও কেউ জানে না।
মনার অত্যাচারে চট্টগ্রামবাসী তখন অতিষ্ট। সবাই মিলে গেল পুলিশের কাছে; যেভাবেই হোক মনা-চোরাকে ধরতে হবে। পুলিশের বড়কর্তা আশ্বাস দিলেন যেভাবেই হোক তিনি মনা-চোরাকে ধরবেন।
তল্লাটে তল্লাটে পুলিশ বসানো হলো। কিন্তু কোন লাভ হলো না। মনা চোর তো ধরাই পড়ে না বরং চুরি আরো বাড়িয়ে দিল। পুলিশ পড়লো বিপদে। এখন কি করা! দিকে দিকে পুলিশ খোঁজ করতে লাগল মনা চোরাকে চিনে বা, দেখেছে এরকম কেউ আছে কি-না। কিন্তু বিধিবাম! কাউকেই পুলিশ খুঁজে পেল না।
হঠাৎ একদিন পুলিশ কোথা থেকে যেন জানতে পারল মনার মুখে চোখে পড়ার মত বড় একটি কাটা দাগ আছে। আরও খবর এলো বৈশাখের প্রথমদিন মনা-চোরা কক্সবাজার দিয়ে বার্মা পালিয়ে যাবে। এ খবর পাবার পর, পুলিশ চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজারগামী সকল ধরনের যানবাহনে পাহারা বসালো।
বৈশাখের প্রথমদিন সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজারগামী একটি বাসে উঠল পুলিশের হাবিলদার কিসলু মিয়া। উঠেই বাসের অন্যান্য যাত্রীদের ভালো করে দেখে নিল; নাহ! গাল কাটা কেউ নেই। এরপর, টিকিট অনুসারে ‘ধ’ নং সিটে যেয়ে বসল আর বাসের প্রবেশ পথে রাখলো কড়া নজর। বাসের লোকেরা পুলিশের ড্রেস পড়া মোটা কিম্ভূতকিমাকার কিসলু মিয়াকে দেখে কেমন যেন অস্বস্তিবোধ করলো।
এসময় বাসে উঠল মনা-চোরা। কিসলু মিয়াকে দেখে মনা-চোরা মনে মনে গালি দিল, ‘"হারামজাদা! ঠোলার জ্বালায় দুইন্নায় শান্তি নো ফাইলাম।"’ এরপর মনা এমন একটি খালি সিটে যেয়ে বসল যেন কিসলু মিয়া তার মুখের কাটা দাগ না দেখতে পায়।
বাসটির ভিতরের অবস্থা নিচের ছবির মতন। বাসের ‘খ, ঙ, ছ, ঞ, ঠ, ণ, ত, ন, প’ নং আসনে এখনো যাত্রী উঠেনি এবং ক থেকে জ পর্যন্ত মহিলাদের আসন।
পুলিশ সেদিন মনা চোরাকে খুঁজে পায়নি; দেখি আপনি পান কি-না।
১। মনার মুখের কোন দিকে কাটা দাগ আছে?
২। মনা কত নম্বর আসনে বসেছিল?
৩। মনা-চোরা মহিলা না, পুরুষ?
---------------------------------------------------------------------------------------
উত্তর:
০১। মনা চোরার মুখের বাম দিকে কাটা দাগ, কারন, ডান দিকে দাগ থাকলে বাসে উঠার সময় পুলিশ তা দেখতে পেত।
০২। বাসে খালি আসন আছে- খ, ঙ, ছ, ঞ, ঠ, ণ, ত, ন, প’। যেহেতু মনা চোরার মুখের বাম দিকে কাটা দাগ, সেহেতু বাসে খালি থাকা ঙ, ছ, ঞ, ঠ, ণ, ত, ন, প’ নং আসনে বসলে তা পুলিশের হাবিলদার কিসলু মিয়া ধ নং আসনে বসে দেখতে পেত। তাহলে, খালি থাকা বাকি আসনে মনা চোরা বসেছিল আর সেটি হল খ। কারন, খ নং আসন হতে মনা চোরার মুখের বাম অংশ দেখা যায় না।
০৩। বাসে ক থেকে জ নং পর্যন্ত মহিলাদের আসন। যেহেতু মনা চোরা খ নং আসনে বসেছে, সেহেতু সে অবশ্যই মহিলা।
এবার মিলিয়ে দেখুন কার কার উত্তর হয়েছে।
১। বাম দিকে। যেই বাসে উঠবে, তার চেহারার ডান পাশ “ধ” সিট থেকে দেখা যাবে।
হুমম। উত্তর ঠিক। বাকি দুটোর উত্তরের কি হবে?
জটিল! তার বা গাল কাটা। মহিলা হবার সম্ভাবনা আছে।
দুটোই ঠিক কিন্তু কোন সিটে বসেছিল সেটা তো বললেন না।
মনে হচ্ছে মনা চোরা নং আসনে বসেছিলো। আর তার বা' গাল কাটা ছিলো।
কোন আসন লিখেননি তো!
১) মনার মুখের ডান দিকে কাটা দাগ।
২) মরা চোরা পুরুষ।
৩) মনা 'ছ' নম্বর আসনে বসেছিল।
ডান গাল কাটা হইলেও তো বাসে উঠার সাথে সাথেই ঠোলাটায় ধ থেকে দেইখা ফেলব।
১। ভুল। বাম দিক হবে।
২। ভুল। মহিলা।
৩। ভুল। খ আসন।
হায়! হায়! দিদি, সব তো ভুল হয়ে গেল। ব্যাপার না। বেটার লাক নেক্সট টাইম।
"মনা 'ছ' নম্বর আসনে বসেছিল"!!!
ক থেকে জ পর্যন্ত মহিলাদের আসন হৈলে মনা পুরুষ হয় কেমনে?
উত্তর আজ রাত্তির ১০ টার সময় দেয়া হবে।

আপনারা ততক্ষণ ভাবেন।
------------------------------------------------
পুরুষের দশ দশা; কখনও হাতি, কখনও মশা।
পার্লে পুরস্কার দিবেন? যেমন মোবাইলে ১১০ টাকা
এই লন আপনার জন্য এক টন
ঘড়ির কাটা ধইরা ১০ টার সময় আইসা হাজির হইলাম
উত্তর কোন্ঠে রে বাহে!
১০:১১ তে পুস্ট হয়েছে।
আসন খ ছ ন হইতে পারে।
বাম গাল কাটা।
খ বা ছ য়ে বসলে পুরুষ নাইলে মেয়ে।
আসন "ন" হইলে বামগালের কাটা দাগ কিসলু হাবিলদারের চোখে পইড়া যাইবো না?
ছ্যরি 'ন' না 'ঞ' বা 'ঙ' তে চামে বস্তারে। কথা হইল পিছন থিকাও ঠোলা দেইখা ফেলন কিনা।
ঞ বা ঙ হইলে সেইক্ষেত্রেও কিসলু দেইখা ফেলনের চান্স থাকে। কারণ তাইলে সিটের দিকে ঘুইরা বসতে গেলে বাম গাল কিসলু বরাবর ওপেন হইয়া যায়।
খ, মহিলা, বাম মুখ।
হাসান ভাই দেখি, সবগুলোতে প্রবালিটি ব্যবহার করছেন। বাহ! বেশ বেশ।
১) মনার মুখের বাম দিকে কাটা দাগ
২) মরা চোরা মহিলা
৩) মনা 'খ' নম্বর আসনে বসেছিল
পারফেক্ট জবাব।

এই লন ১০ টন ধইন্যা।
১) মনার মুখের বাম দিকে কাটা দাগ
২) মরা চোরা মহিলা
৩) মনা 'খ' নম্বর আসনে বসেছিল
==============
ব্লগেও আইসা শান্তি নাই।লুকজন পড়া ধরে।
=======================
সবগুলো ঠিক উত্তর।
এই লন
আসলে মনা বোরখা পইরা যে কোনো একটা আসনে বসছে
এইটা হইলো আসল উত্তর...
ধাঁধার উত্তরের জন্য একবার ভাবছি, আর পারুমনা। আপ্নেরা ভাবেন
পুলিশের ব্যাপার স্যাপার, লীনা, তুমি তোমার জামাইরে জিগাও, এইটা আমাগো কাম না।
মাসুম ভাই, সমাধান আমার পছন্দ হয়েছে।
১। মনা চুরের মুখের বাম দিকে কাটা দাগ ছিল।
২। মনা চুর একজন পুরুষ।
৩। মনা "খ" নং আসনে বসেছিল।
২ নং টাতো ভুল হয়ে গেল। মনা চোরা মহিলা।
মনা চোরারে লৈয়া লোকজনের আগ্রহ দেইখা ভালোই লাগতেছে...

উত্তর:
০১। মনা চোরার মুখের বাম দিকে কাটা দাগ, কারন, ডান দিকে দাগ থাকলে বাসে উঠার সময় পুলিশ তা দেখতে পেত।
০২। বাসে খালি আসন আছে- খ, ঙ, ছ, ঞ, ঠ, ণ, ত, ন, প’। যেহেতু মনা চোরার মুখের বাম দিকে কাটা দাগ, সেহেতু বাসে খালি থাকা ঙ, ছ, ঞ, ঠ, ণ, ত, ন, প’ নং আসনে বসলে তা পুলিশের হাবিলদার কিসলু মিয়া ধ নং আসনে বসে দেখতে পেত। তাহলে, খালি থাকা বাকি আসনে মনা চোরা বসেছিল আর সেটি হল খ। কারন, খ নং আসন হতে মনা চোরার মুখের বাম অংশ দেখা যায় না।
০৩। বাসে ক থেকে জ নং পর্যন্ত মহিলাদের আসন। যেহেতু মনা চোরা খ নং আসনে বসেছে, সেহেতু সে অবশ্যই মহিলা।
এবার মিলিয়ে দেখুন কার কার উত্তর হয়েছে।
উত্তর আমি মানুম না! এতো বড় চুর কুনুদিন মহিলা হইতেই পারে না যারে কিনা পুলিশও ধরতে পারে না....( আমার একটা উত্তর ভুল হয়ে গেলো গা
)
একটা উত্তর ভুল ব্যাপার না। বেটার লাক নেক্সট টাইম।
যাক, খেলা শেষ হওয়ার পরে আসছি
এসেছেন এটাই অনেক।

নেন ১০০ কেজি ধনে পাতা নেন।
মন্তব্য করুন