চিঠি
একটা সময় ছিল যখন চিঠি লিখতাম প্রচুর। শৈশবের বন্ধুদের কাছে, ছোটবোনের কাছে, ভাইদের কাছে, আত্মীয়স্বজন পরিচিতজনদের কাছে। নিজেও চিঠি পেতাম প্রায় প্রতিদিন। চিঠির জন্য সে কি অপেক্ষা।
আজ বহুদিন কাউকে চিঠি লিখি না। কারো চিঠি পাইনা। মোবাইল ফোনের হাতে চিঠি খুন হয়েছে। খুন হয়েছে রক্তমাংসের আবেগ অনুভূতি।
মাঝেমধ্যেই পুরোনো চিঠিগুলো বের করে পড়ি। ধুলোবালি ঝেড়ে পরিস্কার করে যত্ন সহকারে আবার বাক্সে ভরে রাখি। নানান রকমের চিঠি - কোনটা দুই পাতার, কোনটা দশ পাতার, কোনটা রোলটানা কাগজে লেখা, কোনটা লেখা রঙীন প্যাডে।
মনিঅর্ডারের ফর্মের নিচে বাবার লেখা ছোট্ট চিঠিগুলো হলো সবথেকে অসাধারন। একটাতে বাবা লিখেছে - 'আমার স্নেহাশীষ নিও। আজ বেতন পেয়ে তোমার নামে ২,০০০ টাকা পাঠালাম। তোমার চাহিদা মতো টাকা পাঠাতে পারলাম না বাবা। সংসারের অনেক খরচ আমার সামান্য বেতন দিয়ে কুলাতে পারিনা। তবে আগামী মাসে আরেকটু বেশী পাঠাতে চেষ্টা করবো। তুমি একটুও চিন্তা করবে না পড়ালেখা ঠিকমতো চালিয়ে যাও। তোমার মা তোমার কথা সারাক্ষন ভাবে, তাকে একটা চিঠি লিখবে। শরীরের প্রতি যত্ন নিও। - ইতি তোমার বাবা'।
বাবার এ চিঠিগুলো যখনই পড়ি আমার কান্না পেয়ে যায়। বাবা তোমাকে আমি অনেক ভালবাসি।
চিঠি চিঠিই, প্রিয় কারও হাতের লেখার আবেগ ও ভালোবাসাটুকুর কোন তুলনা হয় না।
এবি তে সুস্বাগত।
পড়ুন, লিখুন আর ভাল থাকুন।
অনেক ধন্যবাদ
স্বাগতম ভাইয়া। ফেসবুকে তো আপনারে ভালো পাই। ব্লগেও আপনারে ভালো পাইলাম। থ্যাঙ্কস!
থ্যাংকু
আহা চিঠি। একসময় প্রতিদিন চিঠির অপেক্ষা করতাম। আসতও চিঠি, প্রতিদিন একটা দুটা। অনেক পেনফ্রেন্ড ছিল। বেয়ারিং চিঠিও মাঝে মাঝে ছাড়তাম যখন পয়সা থাকত না, যাকে ছাড়তাম তারা অবশ্য তাতে খুশি হত না
হায় চিঠি। এখন আর কিছুই লেখা হয় না। মোবাইল ফেইসবুকের যুগে ব্যাক্তিগত চিঠির ছুটি হয়ে গেছে।
হ, বেয়ারিং চিঠিগুলা ২ টাকা দিয়া ছাড়ান লাগতো। তবে ২ টাকার জন্য কোন চিঠি ফেরত যায় নাই।
প্রথমে স্বাগতম জানাই। পুরনোদের দেখলে বড় ভালো লাগে।
লেখা প্রসঙ্গে- পিতার চিঠির কথাগুলো ছুঁয়ে গেল। আর, চিঠি প্রাপ্তির সুখ! বলে বোঝানো সম্ভব নয়।
অনেক ধন্যবাদ। ...
অনেক দিন পর শুরু করলেন
যাউকগা... দেরীতে স্বাগতম
'আমার স্নেহাশীষ নিও। আজ বেতন পেয়ে তোমার নামে ২,০০০ টাকা পাঠালাম। তোমার চাহিদা মতো টাকা পাঠাতে পারলাম না বাবা। সংসারের অনেক খরচ আমার সামান্য বেতন দিয়ে কুলাতে পারিনা। তবে আগামী মাসে আরেকটু বেশী পাঠাতে চেষ্টা করবো। তুমি একটুও চিন্তা করবে না পড়ালেখা ঠিকমতো চালিয়ে যাও। তোমার মা তোমার কথা সারাক্ষন ভাবে, তাকে একটা চিঠি লিখবে। শরীরের প্রতি যত্ন নিও। - ইতি তোমার বাবা'।
তখন এই লেখার আবেদনটা সেইভাবে ধরা পরতো না ... এখন বুঝি যে, কি পরিমান আবেগ এই লেখাটুকুতে ছিল
প্রতিঠি চিঠির ভাষা প্রায় একই রকম, তাও মনোযোগ দিয়ে পড়তাম। বাবা কেন জানি মানিঅর্ডার ফরমেই চিঠি লিখতো। পুরো একটা চিঠি লেখার সময় মনে হয় পেতনা।
এমনি করে চিঠি পাবার সুযোগ হয়ে ওঠেনি কখনো, বড়ভাইয়ের জমানো এমনকি বাবা'র তুলে রাখা ফাইলে এমনি সব চিঠি দেখেই বুঝা যায় সামান্য এই পোষ্টকার্ডে কি পরিমান আদর/মমতা ঢেলে দেয়া হয়।
এবি'তে স্বাগতম।
এদ্দিন ফেসবুকে আপনার নানান লেখা পড়তাম, এখন থেকে ব্লগে পাবো।
পোষ্টকার্ডেও অনেকে লিখতো। পোস্টকার্ডের খরচ কম ছিল তাই মনে হয়।
আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ
আহা! বাবা-মায়ের কাছ থেকে কত চিঠি যে পেয়েছি । মনে পড়ে গেলো আপনার পোস্ট পড়ে ।
স্বাগতম আপনাকে
কুঙ্গ দা কে এবিতে স্বাগতম...
আপনাদের দেখে এসে পড়লাম। ভাল লাগছে জায়গাটা
ক্যাডেট কলেজ থাকতে বাবাকে একবার চিঠি লিখেছিলেন। বাবা উত্তর দিয়ে বললেন চিঠিতে তিনটা বানান ভুল
হাহাহাহাহাহা
বাবাকে চিঠি লিখলে উনি ভুল বানান গুলো সঠিক করে লিখে পাঠাতেন।
স্বাগতম আমরা বন্ধু তে ।
লেখাটা অনেক ছোট, পড়ে মন ভরল না। বড় লেখা চাই
মন্তব্য করুন