ইউজার লগইন

তসলিমা নাসরিনঃ কতোটা সফল নারীবাদে ?

তসলিমা নাসরিনঃ কতোটা সফল নারীবাদে ?

আঠারো শতকের শেষভাগে পৃথিবীতে একটি নতুন চিন্তাধারার জন্ম হয়। বাস্তবিক পক্ষে এই চিন্তাটির উৎস প্রাচীনকাল থেকেই পরিলক্ষিত হয়ে আসছে মানব সমাজে। কিন্তু তার সফল ও পূর্ণাঙ্গ রূপ দেখা যায় আঠারো শতকে মেরি ওলস্টোনক্র্যাফটের 'দি ডিণ্ডিকেশন অফ দি রাইটস অফ ওম্যান' প্রকাশিত হওয়ার পরে। এটি আর বলার অপেক্ষা রাখে না যে- সেই মূল্যবান চিন্তাধারাটি, যা আন্দোলনরূপ লাভ করেছে তা হল 'নারীবাদ'। নারীদের অধিকার আদায়ের আন্দোলন। বিদ্রোহী মেরি মূলত নারীদেরকে মুক্ত করতে চেয়েছিলেন পুরুষ-গৃহের কারাগার থেকে। তিনি নারীকে নারী হিশেবে দেখতে চান নি, চেয়েছেন মানুষ হিশেবে। নারী-পুরুষ সাম্য প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছেন বিদ্রোহের মধ্য দিয়ে, প্রতিক্ষেত্রেই। তার মতে, পুরুষতান্ত্রিক সমাজ নারীকে মানুষ হতে শেখায় না; নারী হিশেবে বড় হতে শিক্ষা দেয়। আমাদের ভারতীয় উপমহাদেশের একজনও একই প্রসঙ্গে বলেছিলেন আজ থেকে প্রায় ১৩০ বছর আগে। বেগম রোকেয়া। তিনি শুধুমাত্র নারী জাগরণের অগ্রদূতই ছিলেন না; ধর্মের বিভিন্ন কাঠামোকেও অতিক্রম করেছেন নিজ সাহিত্য শক্তিগুণে। এবং সীমাতিক্রম করেছেন সমাজের অনেক প্রাচীন প্রথার বিরুদ্ধে। তিনিও এমত প্রকাশ করেন যে, পুরুষের লক্ষ্য ও নারীর লক্ষ্য ভিন্ন নয়। তাদের স্বার্থ সমান-সমান্তরাল। এভাবে পৃথিবীতে ঐ সময় নারী আন্দোলনের সূত্রপাত ঘটে। এরপর অনেকেই নারীমুক্তির জন্য আন্দোলন করেছেন। লিখেছেন অনেক প্রবন্ধ-গ্রন্থ। নারীবাদের আরেক মহান সত্তা হলেন সিমোন দ্য বেভোয়ার। ইউরোপের পরিপ্রেক্ষিতে তিনি এক সুবিশাল,শক্তিশালী ও মহান তত্ত্বের জন্ম দেন। যা প্রকাশিত হয় 'দ্য সেকেণ্ড সেক্স' গ্রন্থে। তিনি নারী আন্দোলনকে আরো কয়েকধাপ এগিয়ে দেন এবং আবিষ্কার করেন নারীর সীমাবদ্ধতা। নারী যে মানুষ ভিন্ন আলাদা কোনো বস্তুসামগ্রী নয় এই বস্তুজগতের, তা প্রকাশ পায় তার বিখ্যাত এই উক্তিতে-'কেউ নারী হয়ে জন্ম নেয় না, বরং হয়ে ওঠে নারী ।' তিনি অত্যন্ত জ্ঞানলব্ধ, বৈজ্ঞানিক, দার্শনিক ও সমগ্র শিল্পকলার মধ্য দিয়ে সৃষ্টি করেছেন এই গ্রন্থ ও উদ্‌ঘাটন করেছেন আধুনিক নারীবাদ। এভাবে সমগ্র পৃথিবী জুড়েই চলতে শুরু করে একটি নতুন আলোড়ন, একটি নতুন বিস্ফোরণ; যা নারীবাদ। এখানে উত্তর-পূর্ব আরো অনেকের নাম উল্লেখ করা প্রয়োজন নারীবাদের ক্ষেত্রে। তার হলেন- রামমোহন রায়, ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর, লুসি স্টোন, কেডি স্ট্যান্টন, সুজ্যান অ্যান্থনি, ফ্যানি রাইট, স্টুয়ার্ট মিল, হেন্রিক ইবসেন, রোসা লুকেম্বার্গ, ভার্জিনিয়া উল্ফ এবং আরো অনেকে। নারী আন্দোলনের,জাগরণের পথিকৃৎ হিশেবে এরা খ্যাত। নারী আন্দোলনের তাত্ত্বিক চিন্তাধারায় তারা সুগভীর পথ দেখিয়েছেন সমগ্র নারী বিশ্বের জন্য।

বিশ্বে নারীদের বর্তমান অবস্থান,পরিস্থিতির দিকে দেখলে এটি অবশ্য মনে পড়ে যে, নারাবাদী এই তাত্ত্বিক বক্তব্য ওতোটা সহজে ভূমিকা রাখতে পারবে না নারীর অবস্থা উৎক্রমনের ক্ষেত্রে। তবে এটিও সত্য যে নারীর বাস্তব অবস্থান তুলে ধরতে এই বহুমাত্রিক তত্ত্বগুলো অত্যন্ত গুরুত্ববহ। প্রাচীনকাল থেকেই সমাজে নারীর অবস্থান অগ্রগতির বিপরীতে। সমাজ ও রাষ্ট্রে নারীর অবস্থান নিয়ে হোমার থেকে হেগেল পর্যন্ত সকলেই মত দিয়েছেন। কিন্তু তারা কেউই নারী অধিকার দিতে রাজি হন নি। হোমার, ইস্কাইলাস, সফোক্লিস, সক্রেটিস, প্লেটো, অ্যারিস্টটল সকলের কাছেই সমাজ মানে পুরুষ সমাজ। আমাদের পুরুষ নির্ধারিত সমাজ কাঠামোর মূলে রয়েছে পুরুষের ব্যক্তিস্বাতন্ত্র্য। পুরুষরা বরাবরই এমন নারী প্রত্যাশা করে, যে তার ক্রতদাসী হয়ে সংসার ধর্ম পালন করবে। তার অধীনে, মূলত তাকে প্রভু বলে নিজের জীবন কাটিয়ে দেবে এবং বিশ্বটা কখোনোই নিজের চোখে দেখবে না। তার পুরো বিশ্বের প্রতিটি বিন্দুতেই থাকবে পুরুষের দেওয়া একটি বাধ্যবাধকতা। যেটির অধীনে আবন্ধ থাকবে নারী। এভাবে একটি কল্পিত, কিন্তু বাস্তব হাত নারীকে মুক্তির পথ থেকে দূরে রেখেছে প্রথম থেকেই। প্রতিবেশ পরিস্থিতিকে উপেক্ষা করে দু একজন উপলব্ধি করেছে মুক্তির চেতনা। নিজেকে মুক্ত করতেও সফল হয়েছে তারা এই বদ্ধ সমাজ কাঠামো থেকে। তারা উপলব্ধি করেছে পুরুষের ঘর থেকে মুক্তি পাওয়াটাই একমাত্র মুক্তি লাভের পথ নয়; বরং সমাজ কাঠামো যেখানে তাদেরকে আটক করেছে সেখান থেকে মুক্তিলাভ করাটাই আসল মুক্তি। এই চেতনার প্রসার সম্প্রসারেই আজ নারীবাদের সূত্রপাত ঘটেছে।

আমাদের বাংলাদেশে নারীবাদের এক অন্যতম জনপ্রিয় নাম হল- তসলিমা নাসরিন। তিনি বাংলায় নারী স্বাধীনতার পক্ষে অনেক মূল্যবান ভূমিকা রেখেছেন। তার গ্রন্থ; বিশেষ করে তার উপন্যাস, কলাম, কবিতা ইত্যাদিতে উঠে এসেছে নারীবাদের বিস্তৃত আলোচনা ও সংগঠন। মূলত এত দুঃসাহসিকভাবে নিজেকে প্রকাশ আর কোনো বাঙালির দ্বারা সম্ভব হয় নি। এখানে দুঃসাহসিক শব্দটির বিপক্ষে অন্য যেকোনো শব্দ প্রয়োগ করলে এই পূর্বোক্ত কথাটি সত্যতা হারাবে। কেননা তার দুঃসাহসিকাতা শুধুমাত্র সাহসিকতার পরিধি অতিক্রম করেছে তা নয়; উপর্যুপরি তা উশৃঙ্খলতায় রূপ নিয়েছে। এজন্যই তিনি বিতর্কিত ও সমালোচিত।

তসলিমা নাসরিনের গল্প,কবিতা,উপন্যাসকে অনেকেটা সাহিত্য বলা চলে না। কেননা সাহিত্য কতগুলো সুসংবদ্ধ শিল্পকলার ফল। যেখানে কোনো সুনির্দিষ্ট চেতনা অপরিহার্য নয়, কিন্তু শিল্পগুণ ঠিক রাখা অপরিহার্য। মূলত সাহিত্য সৃষ্টির জন্য যে সৃজনী শক্তির প্রয়োজন হয় তা কোনো সত্তা নয়; অথচ আত্নপ্রকাশ ও মানবিক সংযোগ ও বিনিময়ের লক্ষে প্রাণিত একটি সত্তা; যা তার চেতনা,বোধ,বিশ্বাসকে কারিগরি রূপ দিয়ে গঠন কোরে সর্বজনসমক্ষে কোনো একটি বিশেষ প্রক্রিয়ার প্রকাশ করে। বাস্তবিকই শিল্পবোধ না থাকলে সাহিত্য সৃষ্টি সম্ভব নয়। উগ্রতা বা প্রলাপ কখনো সাহিত্যের মর্যাদা লাভ করে না। আলোচ্য তসলিমা নাসরিনের বৃহৎ রচনাকে পর্যবেক্ষণ করলে এটা স্পষ্ট হয় যে, সেগুলো অনেকটাই সাহিত্যমূল্যহীন।

তসলিমা নাসরিনের লেখার একটি বড় অংশ হল যৌনতা। যেটিকে আমরা অশ্লীল বলে থাকি। আসলে যৌনতা অশ্লীল নয়। কিন্তু এই শব্দটির ব্যবহারই নির্ভর করে তা শ্লীল না-কি অশ্লীল। তথাকথিত অশ্লীল উপন্যাস 'লজ্জা' এর জন্য তাকে মুরতাদ ঘোষণা দিয়ে দেশছাড়া করা হয়েছে। একথা সত্য যে কুসংস্কারাচ্ছন্ন, পশ্চাৎপদ ধর্মজীবীরা ধর্ম দ্রোহীতার কথিত প্রাচীন অভিযোগ এনে এসব প্রতিভাবান লেখকদের সৃষ্টিশীলতা বিরুদ্ধে অন্তরায় হয়ে দাড়াচ্ছে। কিন্তু একটু গভীরে লক্ষ্য করলে এটা দেখা যাবে যে তসলিমা নাসরিনের ক্ষেত্রে এটা অনেকটাই ভিন্ন ছিল। এটুকু অস্বীকার করার উপায় নেই যে, তিনি নিজেই নিজের বিরুদ্ধে কথা বলেছেন, প্রক্রিয়াশীলতা দেখিয়েছেন নিজের পক্ষে নিজেই। এজন্যই তিনি বিতর্কিত।

ড.হুমায়ুন আজাদ এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন,

"মৌলবাদিরা কোন চক্রান্ত থেকে তার বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু করে, তা আমি জানি না। তবে এ-ধরণের গুজব শোনা যায় ভারতের বিজেপি এর সংগে সংশিষ্ট ছিল, এমনকি তসলিমা নাসরিন নিজের বিরুদ্ধে মিছিলের আয়োজন নিজেই করেছিল বলে আমরা শুনেছি। বাঙলা একাডেমির বইমেলায় মিছিল হচ্ছিল, ছোট মিছিল, আমি নিজে তা বাধা দিতে গিয়েছিলাম, পরে শুনি ওটার আয়োজন সে-ই করেছে। তাই আমি আর বাধা দিই নি। বাঙলা একাডেমির তখনকার মহাপরিচালক আমাকে জানিয়েছিলেন মিছিলটি তসলিমা নিজেই আয়োজন করেছে। তসলিমা চেয়েছিল একটি মহাগোলোযোগ হোক। তাহলে সে সাড়া জাগানো ঘটনা বা ব্যক্তিতে পরিণত হবে।"

এ থেকে বোঝা যায় অনেকাংশেই তসলিমা নাসরিন খ্যাতির পিছনে দৌঁড়োতে দৌঁড়োতে রচনা করেছেন তার রচনাবলি। সমালোচনার মাধ্যমে এগুলোর স্থূলতা পরিষ্কার হচ্ছে ক্রমশই।

তসলিমা নাসরিনের নারী অধিকার বা নারী মুক্তির যে চেতনা তাও অনেকটা ভুল ভাবে প্রোথিত হয়েছে। কেননা তার রচনা থেকেই ষ্পষ্ট হয় এটি। তসলিমা সমাজের উচ্ছৃঙ্খল পুরুষ সমাজের প্রতিরোধে যে উচ্ছৃঙ্খল নারী সমাজের রূপ এঁকেছেন তা সুস্থ সমাজের পরিপন্থী। আসলে আমাদের সমাজ কাঠামো এমন ভাবে পুরুষরা নির্মান করেছে যেখানে সকল সংস্কৃতির ধারক-বাহকও পুরুষই। ফলে সমাজের এই কাঠামোকে আগে না পাল্টাতে পারলে শুধুমাত্র সংস্কৃতির পরিবর্তনে সমাজে নারী-পুরুষ সাম্য প্রতিষ্ঠালাভ করবে না। তসলিমা বলেছিলেন,'আমরা আমোদিত হতে চাই, পুরুষ শরীর দেখে। আমরাও তৃষ্ণার্ত হতে চাই,আহ্লাদিত হতে চাই।' এটি কেমন সুস্থ মস্তিষ্কের চিন্তা ?(!) তিনি পুরুষ চিত্রকরদের তুলির ছোঁয়ার শিল্প হয়ে ওঠা নারীর নিতম্ব দেখে যদি বদলা হিশেবে চিত্রকরদের পুরুষাঙ্গ আঁকতে চান; তাহলে তা কি অসুস্থ মস্তিষ্কের পরিচয় দেয় না (?)। ধর্ষণের বদলা ধর্ষণ, বেলেল্লাপনার বদলা বেলেল্লাপনা, পতিতাপল্লির বদলা পতিতাপল্লি হতে পারে না। ভোগবাদী পুরুষের বিপক্ষে নারী ভোগবাদী আন্দোলনের সার্থকতা থাকাটা কল্পনারও অযোগ্য। এভাবে ভোগবাদের চূড়ান্ত রূপ যৌনতার বিপনন সাজিয়ে নারীবাদের অগ্রগতি সম্ভব নয়।

তসলিমা নাসরিনের আরেকটি দিক হল তার সাম্রাজ্যবাদের দিকে অগ্রসর হওয়া। বর্তমানে পৃথিবীতে জ্ঞান-বিজ্ঞানের উন্নতির সাথে সাথে সমাজ কাঠামোতেও এসেছে নতুন ধারনা, নতুন মতবাদ। প্রাচীনকালের সেই কৃষিসমাজ থেকে শুরু করে বিভিন্ন ক্রিয়া বিবর্তনের মধ্য দিয়ে আজ আমরা অনেকগুলো সমাজ কাঠামো পেয়েছি। মার্ক্সবাদী সমাজকাঠামো, যা সাম্যের উপর ভিত্তি করে গড়ে তোলা হয়েছে; একমাত্র সেখানেই নারীর মুক্তি সম্ভব। কেননা স্বামী ভিত্তিক সমাজ কাঠামোটি হল পুরুষতান্ত্রিক সমাজের রূপ। যা পুঁজিবাদের প্রথম সংগঠন। আজকের বিশ্ব প্রায় পুরোটাই পিতৃতান্ত্রিক। দাসসমাজ, সামন্তসমাজ, পুঁজিবাদী সমাজ- পিতৃতন্ত্রকেই ধারণ করে। আর এ সমাজেই দেখা দেয় শ্রেণি বিভাজন। এর সাথে সাম্রাজ্যবাদী শক্তি ও ধর্মীয় মৌলবাদী শক্তি শ্রেণি বিভাজনকে আরো জোরদার করে। পৃথিবীর শাসকরা তাই ধর্মকে একটি হাতিয়ার হিশেবে ব্যবহার করে আসছে প্রথম থেকেই। ধর্মের নামে যুদ্ধ-কলহ করে ঠেকিয়ে রাখা হচ্ছে সাম্যবাদ। আর ধর্মকে হাতিয়ার হিশেবে ব্যবহার করার প্রক্রিয়াটি হল- ধর্মীয় নিতিগুলোর ভাঙন ও ধর্মীয় ভাবাবেগকে উস্কে দেওয়া। তসলিমা নাসরিন এ ক্ষেত্রে মানুষের ধর্মীয় ভাবাবেগকে উস্কে দিচ্ছেন। নাস্তিকতার উদ্দেশ্য এটা হতে পারে না যে- ধর্মের তথাকথিত আদর্শ মানবদের অবজ্ঞা করা। তিনি 'দ্বিখণ্ডিত' বইয়ে হযরত মুহম্মাদ সাঃ কে 'যৌনবিকৃত', 'ভণ্ড' ইত্যাদি বলেছেন। যা ধর্মের বিরুদ্ধে মানুষকে উস্কে দিয়ে ধর্মোন্মাদনা সৃষ্টি করছে। আর ধর্মোন্মাদনা সৃষ্টি ফলে সাম্যবাদ আরো দূরে চলে যাচ্ছে। দূরে চলে যাচ্ছে সাম্যবাদ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে নারীবাদের একামাত্র মূল মন্ত্রটি। আর ব্যাপ্তি লাভ করছে নারীর একমাত্র শত্রু পুঁজিবাদ ও পুঁজিবাদী রাষ্ট্রের তৎপরতা।

উপমহাদেশের বিখ্যাত যুক্তিবাদ মনষ্ক প্রবীর ঘোষ তসলিমা নাসরিন সম্পর্কে বলেছেন-

"তসলিমা জেনে বা না জেনে বাংলাদেশের ধর্মীয় মৌলবাদকে এককাট্টা করেছে, তীব্রতর করেছে। ফলে মুক্তমনের মানুষ আর ধর্মীয় মৌলবাদী মানুষ বিভাজিত হয়েছে। শোষণ মুক্তির জন্য শোষিত মানুষরা এককাট্টা হতে পারেনি। তসলিমা সাম্রজ্যবাদীদের ইচ্ছেকেই শেষ পর্যন্ত জয়ী করেছেন।"

তসলিমা নাসরিনের এই নারীবাদী চিন্তাভাবনা নারী আন্দোলনকে কিছুটা এগিয়ে দিলেও নারীদের মুক্তির পথে অন্তরায়। নারীবাদী সেজে নারীবাদের প্রতি আক্রমণ।

পোস্টটি ৫ জন ব্লগার পছন্দ করেছেন

তানবীরা's picture


ড.হুমায়ুন আজাদ

যে সাক্ষাতকারে সত্যি কথা বলেছিলেন তার প্রমান কি?

তসলিমা নাসরিনও অনেক বার উল্লেখ করেছেন ড.হুমায়ুন আজাদ তার জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে, নিজেই নিজের ফ্যান মেইল লিখে পত্রিকা অফিসে পাঠাতেন।

কাকে সত্য বলে মানব?

আপনার প্রথম লেখা এটা এব্লগে। এখন যদি কেউ বলে আপনিও সবার দৃষ্টি আকর্ষন করার জন্যে এমন একটা সেনসেশনাল বিষয় নিয়ে এন্ট্রি নিয়েছেন, কতোটুকু যৌক্তিক হবে?

রক্তের বদলে রক্ততো ইসলামিক আইন। এখন যৌনতার বদলে যৌনতা কথাটাকি তসলিমা বললে অশ্লীল শোনায়, তিনি নারী বলে?

একপেশে লেখা মনে হয়েছে আপনারটা। তিনি নিজে এক হাজারবার বলেছেন, তিনি তার লেখা লিখেছেন। সক্রিয় কোন নারী আন্দোলন কেন, কোন সংঘের সদদ্যও ছিলেন না তিনি কখনো। তার লেখা পড়ে কে কিভাবে তাকে ব্যাখা করবেন, তার দায় তাকে নিতে হবেন কেন? তিনি কি কোথাও নিজে বলেছেন, তিনি নারী আন্দোলনের পথিকৃত বা নেত্রী? বরং তিনিতো নারী আন্দোলন পুরুষ আন্দোলন শব্দটাতেই চরম বিতৃষ্ণা দেখিয়েছেন।

যাহোক এবিতে স্বাগতম Welcome

আশাকরি ভবিষ্যতেও আপনার থেকে আলোচনাকরা যায় এধরনের আরো অনেক লেখা পাবো

লীনা দিলরুবা's picture


তসলিমা সমাজকে যে ধাক্কা দিয়েছেন তাকে ভুল ব্যাক্ষা করা হয়েছে, কারণ ১) তসলিমাই প্রথম নারীকে শোষণের সবদিক সবার সামনে তুলে ধরেছিলেন, পুরুষরা তাদের অন্ধকার দিকটি উন্মোচিত হতে দেখে ভয় পেয়েছিল, ২) তথাকথিত নারীবাদীনেত্রীদের ভূমিকা স্পষ্ট হয়েছিল।

তাতে করে যেটি হয়েছিল, ১) পুরুষরা কাছা মেরে তসলিমার বিরুদ্ধে নেমেছিল, ২) তথাকথিত নারীবাদীনেত্রীরা নের্তৃত্ব উদ্ধারের লোভে তসলিমার বিরুদ্ধে নেমেছিল।

তসলিমার সাহিত্য মানে অশ্লীলতা এটাও নানান প্রোপাগান্ডার একটা।

মডারেটর's picture


গ. "আমরা বন্ধু" তে শুধু নতুন লেখাই প্রকাশিত হবে। পুরনো লেখা রিপোস্ট করা যাবে না। অন্য কোনো কম্যুনিটি ব্লগে প্রকাশিত লেখা এবিতে প্রকাশ নিষিদ্ধ। এবিতে প্রকাশিত কোন লেখা ২৪ ঘন্টার মধ্যে অন্য কোনো কমিউনিটি ব্লগে প্রকাশ করা যাবে না। ব্যক্তিগত ব্লগ এবং পত্রিকা এই নিয়মের আওতার বাইরে।

ব্লগের নীতিমালার কারনে পোস্টটি প্রথম পাতা থেকে সরিয়ে আপনার পাতায় রেখে দেয়া হলো।

মন্তব্য করুন

(আপনার প্রদান কৃত তথ্য কখনোই প্রকাশ করা হবেনা অথবা অন্য কোন মাধ্যমে শেয়ার করা হবেনা।)
ইমোটিকন
:):D:bigsmile:;):p:O:|:(:~:((8):steve:J):glasses::party::love:
  • Web page addresses and e-mail addresses turn into links automatically.
  • Allowed HTML tags: <a> <em> <strong> <cite> <code> <ul> <ol> <li> <dl> <dt> <dd> <img> <b> <u> <i> <br /> <p> <blockquote>
  • Lines and paragraphs break automatically.
  • Textual smileys will be replaced with graphical ones.

পোস্ট সাজাতে বাড়তি সুবিধাদি - ফর্মেটিং অপশন।

CAPTCHA
This question is for testing whether you are a human visitor and to prevent automated spam submissions.

বন্ধুর কথা

মাজ্‌হার ইজ্‌'s picture

নিজের সম্পর্কে

নামঃ মুহম্মদ মাজ্‌হারুল ইসলাম মাজ্‌হার।

পেশাঃ ছাত্র।

ধর্মঃ সংস্কৃতিমনা মানবতাবাদী নাস্তিক।

রাজনীতিঃ Marxism–Leninism

প্রিয় উক্তিঃ

who is the third who always beside you?
when i count, there are only you and i together
but when i look ahead up the white road
there is always another one walking beside you

আমি একজন শখের প্রেমিক...সবকিছুর প্রতি (মাজ্‌হার)

প্রিয় ব্যক্তিঃ

Gandhi
Karl Marx
Vladimir Lenin
Bertrand Russell
Satyajit Ray

Srinivasa Ramanujan
Albert Einstein
Humayun Azad
Sunil Gangopadhyay
Che Guevara

কাজকর্মঃ

ক. বই পড়া
খ. ছবি আঁকা
গ. গান গাওয়া
ঘ. সিনেমা দেখা
ঙ. গল্প,কবিতা,প্রবচন ও কলাম লেখা
চ. চিন্তন
ছ. কম্পিউটার প্রোগ্রামিং
ইত্যাদি

মোবাইল নাম্বারঃ

1740131689
1829887532
1673485110
1724516134
1921712946
1553116735

ঠিকানাঃ হাউজিং ডি-২৬৩, কুষ্টিয়া, বাংলাদেশ।

ফেসবুকঃ http://facebook.com/mazhar.kzs

ইমেইলঃ mazhar.kzs@facebook.com
mazharislam.kzs@gmail.com