ইউজার লগইন

মমিন খাঁন মিথুন'এর ব্লগ

চিরদীপ্ত সূর্যকে আড়াল করে দিয়ে যে মেঘমালা দিনের আলোকে অন্ধকারের বুকে ঢেকে দেয়;

চিরদীপ্ত সূর্যকে আড়াল করে দিয়ে যে মেঘমালা দিনের আলোকে অন্ধকারের বুকে ঢেকে দেয়; সে মেঘমালা আবার বৃষ্টি হয়ে ঝরে পড়ে পৃথিবীর মাটির উর্বরতা বাড়ায়। বৃক্ষরাজিকে সতেজ করে আর মানুষের মনের গহীনে লুকিয়ে থাকা চিরবিষাদকে করে প্রাণবন্ত। আবার কখনো এ মেঘমালা অবিরত বর্ষণে পথ-ঘাট করে কর্দমাক্ত, খাল-বিল, নদীকে ভরিয়ে বন্যার জলে ভাসিয়ে নিয়ে যায় মানুষ ও মানুষের বাঁচার সব উপকরণ। একই জিনিসের কতো রূপ-বৈচিত্র্য প্রকাশ! বৃষ্টির ফলে যেমন মানুষের ভালোও হয়, আবার মন্দও হয়।
বর্ষার এক বৃষ্টিমুখর দিনে জীবনের সব লেনদেন ফেলে রেখে এসব বিষয় নিয়েই ভাবছি বসে নিরালায়। বাতায়ন খুলে রেখেছিলাম; ঝিরঝির বাতাস বইছে। সে বাতাস আমার শরীর-রন্দ্রে মৃদু শিহরণ তুলছে। আজ কেনো যেনো গান শুনতে বেশ মন চাইছে। কম্পিউটার ওপেন করলাম। একটি অডিও সিডি প্লে করলাম। সিডিটির নাম 'অভিপ্রায়'। সুরের মুচ্র্ছনা নিয়ে কর্ণকুহরে প্রবেশ করলো গানটি-
"কতটা দুঃখ দিলে দেখে যাও একবার
এ মনটা কাঁদে কেনো তোমার জন্যে বারেবার?
হয়তো ভেঙ্গে যাবো কোনো শ্রাবণের ঝড় এলে
দুঃখ পাখি হয়ে উড়ে যাবো আকাশে

ইদানীং নিজে নিজেই ভাবি, ঘুমাতে যাবার আগে দুঃচিন্তার মতো জানতে চাই-প্রেম কী ?

ইদানীং নিজে নিজেই ভাবি, ঘুমাতে যাবার আগে দুঃচিন্তার মতো জানতে চাই-প্রেম কী ? মাথায় হাত বুলাতেই চমকে উঠি, তালুটা ইট ভাটার চুল্লীর মতো গরম মনে হয়। তার আমেজেই সিদ্ধ হচ্ছে প্রেমসহ মস্তিষ্কের কিলবিলে পোকাগুলো। রাত দিন ভেবেও ভালোবাসার এস্কুল-ওস্কুল করতে পারি না। ভাবতে ভাবতে আমি দার্শনিকের মতো চুল-দাড়ি-গোঁফ রাখতে শুরু করেছি কবে থেকে তা নিজেই জানি না। 'সবুরে মেওয়া ফলে' জাতীয় কথাবার্তা আর ভালো লাগে না। বন্ধুদের ধমকে উঠে বলি- এই চুপ থাকবি ? ওরা চুপ মেরে যায়। আমার প্রেম গবেষণা শেষ হতে হতে হয় না। বসন্তের দিন শেষে গ্রীষ্মের বাতাসে আমের মুকুল গন্ধ ছড়ায়। বন্ধুদের দু'একজন বলতে চেষ্টা করে, 'অবন্তীকে কথাটা বলে ফেললেই পারিস। ওদের কথা শুনে নিজের ভেতর রাগ দেবতাকে ধরে রাখতে চেষ্টা করি। মিন-মিন করে বলি, ইস্ কেমন বুদ্ধি দিতে শিখেছে। আমি তো কথাটা বলতে গিয়ে কতবার যে বলতে পারিনি তা বন্ধুরা জানতেও পারেনি। ওর সামনে গিয়ে দাঁড়ালে স্যারের সামনে পড়া বলতে দাঁড়ানোর মতো সব ভুলে যাই!! কি মুছিবত! ওকে দেখলেই হাত পা কাঁপে, হৃদস্পন্দন থেমে যায়। মাঝে মাঝে ভাবি, এই অনুভূতির নামই কি প্রেম?

আসলে আমার মা নেই আজ

আসলে আমার মা নেই আজ 22বছর মা জে কি জিনিশ তা সুদু আমি যানি কারন যার মা নাই তার এই পুথিবিতে কোনো মুলো নাই তার পমান আমি নিজে আমার মা যখন মারা যায় তখন আমার বসয় মাএ চার বসর তার পর বাবা আবার বিয়ে করলো আমাদের দিকে তাকিয়ে কারন আমরা ছিলাম ছোট তাই আমার মামা রা ওনাকে বিয়ে করেছিলো তার পর আর কোনো শুখ বা আনদো আজও আমার কপালে মিলেনি তার পর বাবা 2005 মারা যায় এর পর আমার জীবনে কি আর আছে বাকী তাইনা কারন যার মা ও বাবা নাই সে বুজে আসলে পূথিবি কি জিনিশ সুদু আছে গূনা আর সুদু অবহেলা এ চারা আর কিছু নাই আমার জীবন অনেক কষ্টে জীবন আসলে আমি আজ ভাবলাম অনেক কথা লিখবো কিন্তু সময় অভাবে লিখতে পারিনা কারন কথায় বলে না জে গরিবের শান্তি নাই তাও আমার টা ঠিক তেমন

মা,

মা, তুমি আমাকে গর্ভে ধরেছিলে
দশ মাস দশ দিন,
কত না কষ্টে কেটে ছিল সেই সব
দিনগুলো তোমার।
জন্মস্থলে আমি বড় হারামজাদা ছিলাম ।
কি অসহ্য প্রসবযন্ত্রণা! তবুও তুমি তোমার
অবগুণ্ঠিত কান্নাকে করেছিলে সযতনে গোপন,
হাসিতে রাঙিয়েছিলে আমায় জন্ম দেয়ার
এক অনাবিল সাধ।
প্রসব ব্যথায় যখন তুমি শয্যা শায়িত
যখন তুমি মৃত্যু অথবা জীবন জয়ের খেলায়
নিজের ভাগ্যকে সাহসিকতার সাথে দাঁড় করেছিলে,
ঠিক তখনি আমি তোমার শরীরের
সব শক্তির উৎসটুকু
রাসের মত চুষে চুষে খেয়েছি;
কারণ, আমি বড় হারামজাদা ছিলাম।
প্রসবের অন্তিম মুহূর্তে
তোমায় আমি শান্তি দেইনি মা,
যখন তুমি দুহাত মুষ্টিবদ্ধ করে
অসহ্য প্রসব যন্ত্রণায় কুঁকড়ে যাচ্ছিলে,
আমি তখন গর্ভস্থলে বসে
ছোট ছোট লাথির আঘাতে তোমার প্রসব ব্যথাকে
আরও বেশী তীব্রতর করে তুলে ছিলাম,
আমি বড় হারামজাদা ছিলাম ॥
কত নিশি তুমি আমার শিয়রে বসি
যতনের দীপ জেলে
নিজ দেহটারে করেছিলে কঙ্কাল,
পৌষ মাসের রাতে আমার প্রস্রাব
আর মলে ভেজা কাঁথাগুলো শেষ হয়ে যেত;
কী স্নেহ মায়া-ভালবাসার দহনে তুমি
নিজ বক্ষের আবরণটুকু উন্মোচন করে
খেতে দিতে দুগ্ধ আমায়,

তোমাকে পাওয়ার জন্যে

তোমাকে পাওয়ার জন্যে কি প্রবল তৃষ্ণাটাই না আমি পুষে রেখেছিলাম। মরু সাহারায় পানির অভাবে মৃতপ্রায় মানুষ যেমন এক ফোঁটা পানির জন্যে হাহাকার করে, তোমার জন্যে আমি তারচেয়েও বেশি হাহাকার করেছি। ভালবাসা-হীনতায় এই বুক ফেটে গ্রীষ্মের শুষ্ক মাঠের মত শত ফাটা হয়ে চৌচির রূপ ধরেছে- এক আজলা ভালবাসার পরশে তুমি তাকে কখনো সিক্ত করো নি। দু হাতে আচল মেলে তুমি তাকে এক মূহুর্তে জন্যে ছায়া দাও নি। প্রতিটা মূহুর্তে আমি তোমার অপেক্ষায় ছিলাম, তোমার প্রত্যাশায় ছিলাম। কিন্তু দুরের কন্যা তুমি- দুরে ছিলে, দুরেই রয়ে গেলে। দুরের মানুষ এই জীবনে কোনদিন কাছের হলে না।
তারিন, তারিন- অধরা তারিন!
আজ থেকে অনেক বছর পরে হয়তো তুমি আমাকে পরিপূর্ণ ভাবে ভুলে যাবে। আমার কথা তোমার আর একটুও মনে পড়বে না। ছেলে-মেয়ে আত্মীয় স্বজন নিয়ে সুখের সংসার হবে তোমার। অনেক অনেক দুরের কোথাও একা নিঃসঙ্গ কাটবে তখন আমার সময়। আমি জানি তখনো আমি তোমাকে ভুলতে পারবো না। মানুষের মন দীর্ঘ বিরতিতে কষ্টের স্মৃতি ভুলিয়ে দেয়, শুধু আনন্দের কথাগুলোই মনে রাখে।