চিঠি
ঘুড়ির কাগজে লিখা চিঠি, দূর মেঘের উজানে হারিয়ে গেলে
মনে পড়ল; ঠিকানা লিখা হয়নি।
লোডশেডিংয়ের রাতে ঘর জুড়ে নেমে আসে মন ভার করা অন্ধকার।
পোর্সিলিন মোমদানে সান্তাক্লজ;
কাঁপাম্লান আলোর বরাভয় রেখে চলে যান ছায়ার আড়ালে।
আয়না আছড়ে ফেলে বাতাসের পরী।হাতের তালুতে
ভাংগা কাঁচের টুকরা, দীর্ঘশ্বাস এবং এক বিন্দু রক্তের দাগ।
মোমের আলোয় লিখি স্বপ্ন এবং স্বপ্নভঙ্গের কথা।রূপকথার ভুলে যাওয়া গল্পগাঁথা
আবার পড়ছে মনে। জিগস পাজলের মতো সব জুড়ে দিতে গেলে দেখি,
কিছু টুকরো হারিয়ে গেছে ;কিছু বিসদৃশ বেমানান ফাঁক।
বাইরে বৃষ্টির গান। ডম্বরুমৃদঙ্গের তালে ঝরছে আকাশ।শব্দ লিখি।
শব্দের ভেতরে বাজে 'মিয়াঁ কি মল্লার' ।
স্মৃতির বুদবুদ থেকে রংধনুর সাত রং মেখে নেয় যে বর্ণমালা
তার ঘ্রাণ অবিকল বেলীফুলের মতো।অক্ষরের চিবুকে হাত রেখে
সাজাই স্বপ্ন এবং রূপকথার চিঠি। দীর্ঘশ্বাস লিখি।
ছবি আঁকি কড়ি ও কোমলের।
যে প্রবলসত্য বারবার স্পষ্ট হয়ে ওঠে;
নিজেকে গড়েছি যত, তার চেয়ে ঢের বেশী বিচূর্ণ করেছি।
শেষ লাইনটাতেই সবকিছু বলা হয়ে গেল..।
আপনাকে কিছুটা নিয়মিত হতে দেখে ভালো লাগছে খুব, এমনই থাকবেন যেন। ভালো থাকুন।
স্মৃতির বুদবুদ থেকে রংধনুর সাত রং মেখে নেয় যে বর্ণমালা
তার ঘ্রাণ অবিকল বেলীফুলের মতো।অক্ষরের চিবুকে হাত রেখে
সাজাই স্বপ্ন এবং রূপকথার চিঠি। দীর্ঘশ্বাস লিখি।
ছবি আঁকি কড়ি ও কোমলের।
যে প্রবলসত্য বারবার স্পষ্ট হয়ে ওঠে;
নিজেকে গড়েছি যত, তার চেয়ে ঢের বেশী বিচূর্ণ করেছি।
দারুণ !!!!
ঠিকানাবিহীন চিঠি লেখার আননদই আলাদা। খুজে পাবে না - নীল সীমানা
ভাল লাগলো পড়ে।
আপনার লেখা পড়লে সবসময় মনে হয়, ইশ! আমি যদি এরকম লিখতে পারতাম!
মন্তব্য করুন