পথে পথে যেতে যেতে -২
ঘুরে এলাম শেরপুর-২
পানিহাটি থেকে শেরপুর শহরঃ
পানিহাটির পাহাড়, সীমান্তের কাটাতারের দৃশ্য আর পাহাড়ী খাল/ছড়া এর চিত্রপট ঝাপসা করে দিয়ে আমরা ছুটে চললাম শেরপুর শহরের দিকে। পানিহাটি থেকে নালিতাবাড়ী সদর পর্যন্ত আসার রাস্তা একটাই তাই এই রাস্তা দিয়েই আমাদের আসতে হলো। নালিতাবাড়ি সদর থেকে শেরপুর এ যাবার দুটি রাস্তা। প্রথম রাস্তা হলো নকলা পর্যন্ত ফিরে গিয়ে আবার মহাসড়ক ধরে শেরপুর সহরে যাওয়া আর ২য় পথ হল বিকল্প পথ অর্থাৎ পূর্বের রাস্তা দিয়ে যাবার ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতা না নেয়া। আমাদের গাইড হয়ে উঠা ইকবাল ভাইয়ের মোবাইল ম্যাপ দেখে মনে হচ্ছিল শেরপুর অনেক দূর। অনেক রাস্তা ঘুরতে হবে। তবে পূর্বের রাস্তার বাজে অবস্থা ভেবে আমরা নতুন রাস্তা দিয়ে যাবার সিদ্ধান্ত নিলাম। একটু পর আমাদের ভুল ভাঙল। যখন দেখলাম মাইল পোস্ট এ দেখাচ্ছে শেরপুর মাত্র ২৬ কিলোমিটার দূরে। আমার মাথায় আবার ১৩ এর চক্কর ফিরে এল। ১৩ কিলোমিটার এর জায়গায় ২৬, মানে ১৩*২। আবার প্রমাদ গুনলাম। ১৩ এর চক্করে কাহিল হয়ে গেছি, এখন না আবার দ্বিগুন ... । আমার আশঙ্কাকে সত্যি করতেই যেন ১ কিলোমিটার পর একটা অর্ধভগ্ন বেইলী ব্রীজ আমাদের পথ রোধ করে দাড়াল। আমার শঙ্কা ছিল আমাদের গাড়ি এই সেতু পার হতে পারবে কিনা?
তবে আমাদের আরেক সহযাত্রী মাহবুব খুব সুন্দর করেই গাড়িটাকে বেইলী ব্রীজ এর ওপারে নিয়ে গেল।
আরো বড় বিপদের আশংকা করছিলাম আমি।
তবে কবিগুরুর কথা মানতে হল
মেঘ দেখে কেউ করিসনে ভয়
আড়ালে তার সূর্য হাসে।
আমার সকল আশঙ্কাকে মিথ্যা করে দিল পরের রাস্তাটুকু। আমরা নির্বিঘ্নে শেরপুর পৌছালাম।
শহরে রাত্রিযাপনঃ
শেরপুর জেলা শহরটা একটা মফস্বল শহরের মতো। উচুঁ দালান কোঠা নজরে পড়লো খুবই কম। আমার একটা সমস্যা হল আমার ঘুমের জায়গা ভাল না হলে ঘুম হয়না। শেরপুরের বাহিরের অবস্থা দেখে আমি অন্য চিন্তা বাদ দিয়ে রাতের ঘুম নিয়েই ভাবা শুরু করলাম। আমরা আগেই জেনেছিলাম শেরপুর এর ভালো আবাসিক হোটেল হলো শেরপুর। কিন্তু শহরের অবস্থা দেখে ভাবলাম এখানের হোটেল আর কতো ভালো হবে। মনে মনে ছারপোকার কামড় খাচ্ছিলাম। কিন্তু না শেরপুরের এই সম্পদ হোটেলকে শেরপুর এর সম্পদ বলা যেতেই পারে। খুব উন্নত মানের হয়তো নয়, কিন্তু যথেষ্ট পরিপাটি বলেই মনে হলো। অন্ততপক্ষে আমার পছন্দ হয়েছে। ঘুমের ব্যবস্থা হলো। এবার খাবার চিন্তা।
শেরপুর শহরে ভাল খাবারের রেষ্টুরেন্ট ধরা হয় হোটেল শাহজাহানকে। আমার অবশ্য খাবার মান নিয়ে অতটা বাছবিচার নেই। মুখে দেবার মত হলেই হল। যাইহোক আমরা রাতের খাবার ঐখানেই খেলাম। তবে আমার কাছে খাবারের জন্য “আহার হোটেল” কেই ভালো মনে হলো। বিশেষ করে ওখানের টাকি মাছ ভর্তাটা।
শেরপুর শহরের একটা বিষয় খুব করে চোখে পড়লো। এখানে খাবার হোটেল মানে খাবার হোটেলই। কোনো হোটেলেই চা পাওয়া যায়না। চা খেতে হলে যেতে হবে চায়ের দোকানে। এটা হোক ব্যবসার পলিসি বা সমঝোতা আমার কাছে এটা উপভোগ্যই মনে হলো।
খাবার খেয়ে কিছুক্ষন শহরের এদিক ওদিক একটু হাটলাম। এরপর হোটেলে গিয়ে শান্তির ঘুম।
গজিনী অবকাশযাপন কেন্দ্রের দিকেঃ
শেরপুর শহর থেকে আমাদের গাড়ী নিয়ে সকাল ৭ . ৩০ এর দিকে আমরা গজিনী এর উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করলাম। শেরপুর শহর থেকে প্রায় ১৫ কিলোমিটার দূরে গজিনী অবকাশযাপন কেন্দ্র। গজিনী থেকে ৩ কিলোমিটার দূরে থাকতেই গাড়ির টোল আদায় করা হল। টোল নেয়ার পর আমার মনে হল আমার খুব কাছাকাছি। কিন্তু আমাকে বেশ কিছুক্ষন অপেক্ষায় থাকতে হল। কিছুদূর গিয়ে সীমান্ত পুলিশ ফাড়িতে গিয়ে পরিচয় রেজিষ্ট্রি করে আমাদের প্রবেশ করতে হলো পাহাড়ী রাস্তায়।
আমাদেরকে সতর্ক করে দেয়া হল যাতে পিকনিক স্পট এর বেশী দূরে না যাই। চুরি, ছিনতাই হতে পারে। কিছু বেত বন পেরিয়ে আমরা পৌছালাম গজিনী অবকাশ যাপন কেন্দ্রের মূল ফটকে।
মৎস্যকুমারীঃ
গজিনী অবকাশ যাপন কেন্দ্রে ঢুকার পথেই দেখলাম, দীঘির পাড়ে একটি বড় পাথরের উপর বসে রোদ পোহাচ্ছে এক
সারা পিঠে চুল ছড়িয়ে দেওয়া সেই মৎস্যকন্যার আদুল শরীরের সর্বত্র খেলা করছিলো সূর্যের আলো। মনে হল সূর্য নিতে চায় তার শরীরের শেষ স্পর্শটুকু।
অবকাশ যাপন কেন্দ্রঃ
অবকাশযাপন কেন্দ্রের মাঝে কিছু অংশ সমতল মাঠ। আর তার চারপাশে পাহাড়ি এলাকা। মনোরম লাগছিলো সবকিছু। হাসান রায়হান ভাই, সাঈদ ভাই এবং ইকবাল ভাইয়ের ক্যামেরা ক্লিক ক্লিক শব্দে ছবি তুলতে লাগল। আমিও আমার মোবাইল ফোন দিয়ে ছবি তোলা শুরু করলাম।
পাহাড়ী ছড়া , ঝরনা ও ভালবাসার নিদর্শনঃ
অবকাশ যাপন কেন্দ্র থেকে উত্তর দিকে একটু গেলেই দেখা পেলাম একটি গভীর পাহাড়ি ছড়া্র ।
স্বচ্ছ পাহাড়ি জলের স্রোত তিরতির করে বেয়ে চলছে পাহাড়ের কোল ঘেঁষে। এই পাহাড়ি ছড়া কিছুদূর গড়িয়ে রুপ নিয়েছে ছোট ঝরনার।
যা মিটিয়ে চলছে আশেপাশের মানুষের পানির প্রয়োজন।
তবে এই ঝর্না পুর্বে ছিলনা। ঝরনা এর অদূরেই রয়েছে একটি কূপ। কোন এক পতিব্রতা পাহাড়ি রমনী তার ভালবাসার পতির তৃষ্ণা নিবারনের জন্য খনন করেছিলো এই কূপ।
আমাদের জনসচেনতার অভাব ও সরকারের অবহেলায় সেই কূপটির বেহাল দশা।
পাহাড়ি ওই খালের পাড়ে রয়েছে মনোরম কিছু বৃক্ষ।
পাহাড়ের চূড়ায় আমরা ঃ
এই হাল্কা উচুঁ ভূমি ছেড়ে আমরা উঠতে লাগলাম আরো উচুঁতে। ঘন আকাশী গাছের সারির মাঝ দিয়ে বয়ে যাওয়া সরু পাহাড়ি রাস্তা বেয়ে আমরা উথতে লাগলাম ছুড়ার দিকে।
পথিমধ্যে এক পাহাড়ি ঘর চোখে পড়লো। বাড়ির পাশেই রাখা দুটি কুকুরছানা দেখে খুব মায়া লাগল।
মনে পড়লো এক সময় এই কুকুর পোষার কি শখ ছিলো আমার। এক সময় আমরা উঠে এলাম পাহাড়ের চূড়ায়।
পাহাড়ের চুড়া থেকে আমরা দেখলাম দূরে ভারতের মেঘালয় সীমান্তের পাহাড়গুলো।
পাহাড়ে এত গাছের মাঝে হঠাৎ আমার দৃষ্টি কেড়ে নিলো একটি নিঃসঙ্গ গাছ। একেবারে নিঃসঙ্গ দাঁড়িয়ে আছে একটি গাছ। যেনো অভিমান বুকে নিয়ে সে দূরে সরে আছে।
ও হ্যাঁ গজিনী ভ্রমনে গেলে পাতালপুরী ঘুরে আসতে ভুলবেন না।
আবারও সীমান্ত দেখাঃ
পাহাড়ের উপর আমার থাকতে ভালোই লাগছিল। কিন্তু আমাদের এক সহযাত্রীর অনিচ্ছায় সেটা করা হলনা। আমরা নেমে এলাম সমতলের মতো অংশটুকুতে। দীর্ঘ পাহাড় পরিক্রমায় আমরা তৃষ্ণার্ত হয়ে পড়েছিলাম। সমতলে নেমে আমরা কচি ডাবের পানি, খেজুরের রস ও তালের রস খেলাম। দীর্ঘদিন পরে খেজুরের রস খেয়ে অনেক তৃপ্তি পেলাম।
আমাদের একটু সামনে এক গাঢ়োয়ান ডেকে যাচ্ছিলো “এই বর্ডার- সীমান্ত যাবেন কে কে?”
সীমান্ত খুব কাছে থেকে দেখার লোভে ঘোড়ার গাড়িতে চড়ে বসলাম।
কিন্তু আমরা সীমান্তের দেখা পেলামনা। কারণ বাংলাদেশের সীমান্ত শেষ হবার পর প্রায় আধা কিলোমিটার দীর্ঘ বন পেরিয়ে ভারতের সীমান্ত।
আমার একবার ইচ্ছা হয়েছিল এই বনের মধ্য দিয়ে আরও সামনে এগিয়ে যেতে। কিন্তু আমার সহযাত্রীদের সচেতনতার কারনে আর যাওয়া হলোনা। কেননা গাঢ়োয়ান বলেছিলো যে বি. এস. এফ নাকি লোক দেখলেই গুলি ছোড়ে। তার ওপর ওই পাহাড়ি বনে নাকি মাঝে মাঝেই নেমে আসে ভারতীয় বন্যহাতি। কাজেই কাছ থেকে সীমান্ত ছুয়ে দেখার ইচ্ছার সমাধি ঘটলো।
গজিনী হতে মধুটিলার পথেঃ
গজিনী ছাড়তে মন চাইছিলোনা। কারণ আমার কাছে গজিনী অনেক ভালো লাগছিল। তবে নতুন জায়গা দেখার লোভও কাজ করছিলো। ততক্ষনে বেলা মধ্যপ্রায়। মধুটিলা যাবার পথের রাস্তা ভীষণ রকমের খারাপ। তবে আশার বিষয় নতুন করে রাস্তার কাজ হচ্ছে। মধুটিলা ইকোপার্কে যখন আমরা প্রবেশ করি তখন বেলা প্রায় ১ টা। প্রচন্ড রোদের কারনেই বোধোহয় এইখানের মৎস্যকুমারী গায়ে শ্যাওলা জড়িয়ে গাছের ছায়ায় বসে বিশ্রাম নিচ্ছিলো।
তবে মধুটিলা এসে আমার মন অনেক খারাপ হয়ে গেলো। গজিনীর মত জায়গা ছেড়ে এই রকম একটা স্থানে এসেছি বলে। চারদিকে উচ্চশব্দে মাইক বেজে চলছে। খুব বাজে লাগছিল ওই সময়। পুরো পার্কটাই জনাকীর্ণ আর ধূলিময়।
মধূটিলা ইকোপার্ক এর এদিক সেদিক ঘুরলাম কিছুক্ষন।
এরপর আমি একাই উঠলাম মধুটিলার চূড়ায়। উচ্চতার কথা ভেবে কেউই উঠতে চাইলোনা। উপরে তেমন কিছুই ছিলোনা। তবে আমার খুব একটা খারাপ লাগেনি। মধুটিলার চুড়া থেকে চারপাশের দৃশ্য দেখলাম।
তারপর আমি নিচে নেমে এলাম। মধুটিলার পাহাড়ি পথটা অনেক খাড়া।
তবে মধুটিলা খুব খারাপ এমন নয়। হয়তো গজিনী ঘুরের আসার কারনে অতটা আকর্ষণীয় মনে হয়নি।
তবে মধুটিলায় উঠতে গিয়ে একটা জিনিস শিখলাম। সেটা হলো-
“জীবনে উপরে উঠতে হলে অনেক কষ্ট করতে হয়, আর উপরে উঠাটা অনেক উপভোগ্য। কিন্তু উপরে উঠা যতটা কঠিন, উপর থেকে পতন ততটাই সহজ”
অপূর্ণতার গল্পঃ
সময় স্বল্পতার জন্য আমাদের দেখা হলোনা লাউয়াপাড়া আর নয়াবাড়ির টিলা। লাউয়াপাড়া না দেখা একটা হতাশা বটে, কিন্তু নয়াবাড়ির টিলা না দেখা আমার জন্য মহা হতাশা হয়ে রইল। কারণ আগেই শুনেছিলাম ঐ টিলা থেকে নাকি প্রায়শই দেখা যায় বন্যহাতির দল। বন্যহাতির এ বিরল দৃশ্য দেখার সুযোগ আর কখনো মিলবে কিনা কে জানে।
আরো একটা হতাশা হলো মন্ডা খেতে না পারা। শেরপুর শহরে রাতে মন্ডা খাইনি পরেরদিন খাবো বলে। কিন্তু দুপুরে শহরে গিয়ে আর মন্ডা পাইনি।
মন খারাপ করা কিছু বিষয়ঃ
গজিনী পাহাড়ের চূড়ায় উঠে দেখলাম একটি মন্দির। মন্দির দেখে অনেক অবাক হলাম । এই চূড়ায় মন্দির! তার উপর হলো গারোরা খ্রিস্টান। তাহলে এখানে হিন্দুও আছে। প্রথমে দূর থেকে মন্দির এর কিছু ছবি তুললাম।
কিন্তু কাছে গিয়ে যা দেখলাম তাতে মন খারাপ হয়ে গেল ভীষণরকম। এই মন্দিরের ভিতর তথাকথিত সাম্প্রদায়িকদের ছোড়া ইটের টুকরায় ভূপাতিত হয়ে আছে প্রতিমার মস্তক। যে প্রতিমার সামনে হয়তো ভক্তিতে নুয়ে আসতো কোন রমনীর মস্তক, হয়তো কোন একজন তার স্বপ্ন পূরনের আবদার জানাতো এই প্রতিমার কাছে। বলত তার না পাওয়ার বেদনাগুলো।
কোনো এক পাষন্ড ভেঙ্গে দিয়ে গেছে কোনো এক রমনীর বিশ্বাস, কোন এক অজানা মানুষের সকল স্বপ্ন। ধিক! ধিক!! শতধিক জানাই এই জঘন্য মানসিকতার সাম্প্রদায়িতাকে।
অবশেষে মানুষঃ
আমাদের সহযাত্রী ইকবাল ভাই একবার ছবি তুলতে গিয়ে বলেছিলেন “মানুষ ছাড়া সকল বিষয় ই নিরস” ।
সত্যিই তাই। মানুষ আছে বলেই চারদিক এতো সুন্দর। পাহাড়ি রমনীদের কাঠ কেটে মাথায় করে নিয়ে যাবার দৃশ্য,অথবা পাহাড়ি মেয়ে নাথুলার হাসি মাখা মুখখানি বারবার আমাকে মনে করিয়ে দেয় মানুষ ছাড়া সব অর্থহীন। পাহাড়ি রমনীদের সারা অবয়ব জুড়ে আছে পাহাড়ি মায়া।
এই পাহাড়িদের পাশাপাশি মিলেমিশে বসবাস করছে আশরাফুল, শিহাব ও রাজুরা। এরা সবাই একই বৃত্তের গন্ডিতে বসবাস করছে। এই চিত্রটা আমার মনকে করেছে উদ্বেলিত। যদিও প্রায়শই খবর শুনি পাহাড়ি আদিবাসী আর স্থানীয় বাঙ্গালীদের মধ্যে হানাহানির খবর।
তবে আশরাফুল আর নাথুলাদের পাশাপাশি শান্তিপূর্ন অবস্থানটা যেন টিকে থাকে। পাহাড়ীরা যেনো বেচেঁ থাকতে পারে তাঁদের সম্পূর্ন অধিকার নিয়ে।
কুকুরের ছোট ছোট বাচ্ছা গুলা কত্ত কিউট
একটা আপনাকে দিলাম।

আপনার ছোটকালের ছবিও কিউট ছিলো!!!
ছবি আর লেখা দুইটাই সাবলীল লাগলো...
আপনার মতো গুনীজনের মন্তব্য পেয়ে উৎসাহিত হলাম।
ধন্যবাদ।
মোবাইলে তো দারুন ছবি তুলছ! লেখাও দারুন।
ধন্যবাদ।
বাহ মোবাইলের ছবি গুলো তো সুন্দর আসে। ।
শিরোনামের সাথে ১ , ২ এরকম লিখে দাও না হলে কোনটা ১ম আর কোনটা ২য় পোষ্ট , বুঝা যাবে না।
প্রশংসা আর উৎসাহের জন্য ধন্যবাদ।
আমার পরিকল্পনা ছিলো একই শিরোনামে আমার সকল ভ্রমন কাহিনী লেখা।
পর্ব বা কিস্তি কিন্তু লেখার শুরুতে দিয়েছি।
এমন ছবি ব্লগ ভালো লাগে বেশি, পুরা ঘুরে বেড়ানোর বর্ননা দেয়া। ভালো লাগছে
মোবাই ফটোগ্রাফিতো বেশ ভালো হইছে।
আর ঝরনার ছবিটাতে যে কাটাকুটি করছেন সেইটা তো সাঈদ্ভাইকে করতে বলছিলাম, যে ভিত্তিপ্রস্তরটা ছবি থেকে কেটে দিলেই প্রাকৃতিক বলে চালানো যাবে!
আমার এই ব্লগ ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম।
ফটোগ্রাফির প্রশংসা করার জন্য ধন্যবাদ।
আমার ঝরনার ছবি কাটাকুটি করা হয় নাই। তোলার সময়ই বিষয়টা মাথায় ছিলো।
তাই ঐভাবে তুলেছি।
টেলিপ্যাথি বলতে কিছু বিশ্বাস করেন?
আমার এই ব্লগ ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম।
ফটোগ্রাফির প্রশংসা করার জন্য ধন্যবাদ।
আমার ঝরনার ছবি কাটাকুটি করা হয় নাই। তোলার সময়ই বিষয়টা মাথায় ছিলো।
তাই ঐভাবে তুলেছি।
টেলিপ্যাথি বলতে কিছু বিশ্বাস করেন?
এ যেন এবিতে মিনি শেরপুর!!!
======================
দারুণ পোস্ট!
অকুন্ঠ প্রশংসার জন্য ধন্যবাদ।
মিনি শেরপুর আর দিতে পারলাম কই?
স্পেস সীমাবদ্ধতা। ২মেগাবাইট এর বেশী ফটো দেয়া গেলোনা।
আরো কয়েকটা ভালো ফটো দিতে পারলাম না।
অকুন্ঠ প্রশংসার জন্য ধন্যবাদ।
মিনি শেরপুর আর দিতে পারলাম কই?
স্পেস সীমাবদ্ধতা। ২মেগাবাইট এর বেশী ফটো দেয়া গেলোনা।
আরো কয়েকটা ভালো ফটো দিতে পারলাম না।
লেখা-ছবি দুটোই সুন্দর।
ধন্যবাদ।
আপনার পরবর্তী লেখার অপেক্ষায় রইলাম।
ধন্যবাদ।
আপনার পরবর্তী লেখার অপেক্ষায় রইলাম।
ছবিগুলো চমৎকার লাগলো
দারুন!
এবিতে স্বাগতম।
মোবাইলে এতো ভাল ফটো উঠলে ক্যামেরা দিয়ে লোকে করবে আর কি?
তয় একটা কিইন্যা দিলে বুঝাইতে পারতাম লোকে ক্যামেরা দিয়ে কি করে
আশায় আশায় থাকব নাকি?
মন্তব্য করুন