বেঁচে থাকার বৈধতা (২৪ মার্চ ২০১০)
একটি ভ্রূণের সাফল্যের পেছনে
চাপা পড়ে থাকে -
আরো অসংখ্য সম্ভাবনার মৃত্যু,
আর একটি শিশুর আগমনী আনন্দে
চাপা পড়ে যায় জন্মদাত্রীর যন্ত্রণা ;
কত যুদ্ধে, কত সংগ্রামে
রাশি রাশি দুঃস্বপ্ন পাশে ঠেলে
শুভ্র, সুন্দর, আর অর্থবহ কিছু স্বপ্ন নিয়ে
একটি শিশু সম্পূর্ণ মানুষ হয়,
আলাদা মানুষগুলো কাঁধে কাঁধ মিলায়
সভ্যতা গড়ে পৃথিবীতে, বাঁচে ;
তবু এই বেঁচে থাকার বৈধতা কতটুকু ।
পৃথিবীর স্থল - বায়ু - জল
যোগ্যতমের অধিকার,
ব্যর্থ এবং মৃতদের
দেহাবশেষের উপর দাঁড়িয়ে -
মানুষ বেঁচেছে, বেড়েছে, সভ্য হয়েছে,
সভ্য মানুষ পা ফেলল
নতুন নতুন সভ্যতার জন্ম দিল -
বিগত সভ্যতার ধ্বংসস্তূপের উপর,
কিন্তু তার চলার পথে
কখনও ঘাস জন্মাল না ।
সবুজ বন ছিল, বুনোফুল ছিল,
পাহাড় ছিল, তার গায়ে -
ঝরণা আর মেঘ ছিল,
আধুনিক মানুষের সঙ্গমে
পুড়ে গেল বনের পর বন
ধ্বংস হল পাহাড়ের পর পাহাড়,
গাঢ় নীল আকাশ
হয়ে গেল ধোঁয়াটে, বিষণ্ন,
পর্যাপ্ত দূষণে দূষিত আজ
পৃথিবীর স্থল - বায়ু - জল,
দূষিত আকাশ হতে বৃষ্টির মতন -
আগুন ঝরছে কেবল ।
ক্রমশঃ কোন হরিণ থাকবেনা
ক্রমশঃ কোন দোয়েল উড়বেনা
কখনও কোন শাপলা ফুটবেনা
বিষাক্ত স্রোতে আসবেনা বেড়াতে -
কোনদিন রূপোলি ইলিশ,
ধীরে ধীরে মৃত পৃথিবীর
জরায়ূ চিরে জাগবে প্রকৃতি
ফুঁসে উঠে গুঁড়িয়ে দেবে তাসের সভ্যতা,
হিসেব চাইবে কড়ায় গন্ডায়,
রূল জারি করবে -
আমাদের বেঁচে থাকা কেন অবৈধ হবেনা ।
আমরা বন্ধুতে স্বাগতম।
পয়লা কবিতাটাই তো সিরাম। তোমার সাম্প্রতিক কবিতাটা দিও। "পাথর ভাঙা কারিগর"টা। ঐটা বেশি জোশ..
বেশি বেশি করে লেখ।
বাহহহ।
জলবায়ূ পরিবর্তন বিষয়ক কবিতাটা ভাল হইছে।
এবিতে স্বাগতম
কবিতা পড়ে টেনশনে পড়ে গেলাম।
সুন্দর লিখেছেন। ভালো লাগলো।
কবিতা ভালো লেগেছে
প্রকৃতির কথাডি অনেক সুন্দর করে লেখছেন ।
মন্তব্য করুন