ষষ্ঠ পাণ্ডব'এর ব্লগ
ফুল রাঙা পথ
মে মাসটা বাংলাদেশের জন্য মোটেও সুবিধাজনক মাস না। দিনের দৈর্ঘ্য প্রতিদিন একটু একটু করে লম্বা হতে থাকে। তাতে অসুবিধা ছিলো না, যদি গরমটা এমন চাঁদি-ফাটানো না হতো। তার ওপর এই সময়ে লোড শেডিং-ও থাকে সর্বোচ্চ মাত্রায়। ফ্যান চালালেও আর্দ্রতা বেশি বলে বিশেষ সুবিধা হয় না। এমনকি রাতের বেলাও একটু হাঁটলে ঘামে জবজবে হয়ে যেতে হয়। তবু একটা কারণে মে মাসটা আমার কাছে অসাধারণ লাগে। আমি সারাটা বছর শুধু এই কারণে মে মাসের জন্য অপেক্ষা করি। কারণটা আর কিছুই না, এই সময় বনস্পতিরা রঙিন হয়ে ওঠেন।
যায় বেলা - অবেলায়
একটা সময় ছিল যখন সকাল সাড়ে দশটা থেকে এগারোটা বা রাত দশটা থেকে সাড়ে দশটা পর্যন্ত মাথায় লাল ব্যান্ড বেঁধে মিছিল করতাম। মিছিলে গলা ফাটিয়ে শ্লোগান দিতামঃ
এই সমাজ জীর্ণ সমাজ
              এই সমাজ ভাঙতে হবে
ভাঙতে গেলে বাঁধবে লড়াই
              এই লড়াইয়ে জিততে হবে
এই লড়াইয়ে জিতবে কারা
              কৃষক-শ্রমিক-সর্বহারা
ইতিহাসে জিতেছে কারা
              কৃষক-শ্রমিক-সর্বহারা
দুনিয়ার মজদুর
              এক হও, লড়াই কর
এক হও, যুদ্ধ কর
               দুনিয়ার মজদুর
বিশ্বে আছে এক বাদ
                মার্কসবাদ - লেনিনবাদ
সর্বহারার মতবাদ
                মার্কসবাদ - লেনিনবাদ
প্যাট্রিক ইয়োহানসনের গল্প - যা আছে সব খেয়ে ফেলে
ব্যাপারটা শুরু হয়েছিল হট-ডগ খাবার এক স্থানীয় প্রতিযোগিতা থেকে। লু ভারবেইন সেখানে প্রথম হয়ে প্রাদেশিক প্রতিযোগিতার জন্য মনোনীত হয়। প্রাদেশিক প্রতিযোগিতায় সে দ্বিতীয় হলেও প্রথম স্থান অধিকারীর পেট খারাপ হলে লু-কেই জাতীয় প্রতিযোগিতায় পাঠানো হয়। সেখানে এক খ্যাংড়া-কাঠি জাপানী মেয়ে প্রথম হয়, আর লু অনেক পেছনে থেকে তৃতীয়।
এমন ফলাফলে লু মোটেও ঘাবড়ালো না। সে কঠোর ট্রেনিং নেবার সিদ্ধান্ত নিলো। সে শহরের সব হট-ডগ খেয়ে ফেল্লো। এরপর প্রদেশের সব হট-ডগ, এমনকি সে গোটা মহাদেশের মাংস দিয়ে বানানো খাবারের ঘাটতিও সে তৈরি করে ফেল্লো।
লু খেয়েই চল্লো। হ্যামবার্গার, পাই, বিস্কুট - যা কিছু তার পেটে ধরে স-অ-ব। আর সে বেলুনের মতো ফুলতে লাগলো, আগাছার মতো বাড়তে থাকলো। ব্যাপারটা দেখতে স্যুররিয়ালিস্টিক হয়ে গেলো।