ইউজার লগইন

সেতু আশরাফুল হক'এর ব্লগ

প্রগতি বিরোধীতা মৌলবাদের চরিত্র

মৌলবাদ কথাটির ব্যবহার দর্শনগত। ভাষাতাত্ত্বিক ভাবেও শব্দটির মান একই অবস্থানে। ‘মৌল’ বা ‘মূল’ থেকে মৌলবাদ উ™ভুত হলেও এর অর্থ কোন বিষয়ে ‘ধ্রুব ধারণায় উপনিত’। অর্থাৎ কোন ব্যক্তি যখন কোন বিষয়ে বিশ্বাসের বশবর্তী হয়ে ধ্রুব বা অপরিবর্তনীয় ধারণায় উপনিত হয় তখন তাকে মৌলবাদী বলে। অর্থাৎ নিজের বিশ্বাসের পক্ষে যা নয়, অযৌক্তিকভাবে তার বিরুদ্ধে দাঁড়ানোই মৌলবাদ। বর্তমানে অর্থগত দিক থেকে মৌলবাদ শব্দটি একটি চতুর্মাত্রিক প্রতীতীতে রূপ নিয়েছে। অর্থাৎ এই শব্দটি দ্বারা চারটি বিষয়কে বোঝানো যায়,
১. বিশ্বাসের বশবর্তী ধারণাকে প্রতিষ্ঠার চেষ্টা
২. ধর্মীয় প্রতীক সমুহের ব্যবহার
৩. প্রগতিবিরোধী ও
৪. সা¤প্রদায়িক-জঙ্গিত্ব

হাসপাতালে কতিপয় চিকিৎসকদের দূর্ব্যবহারের প্রতিকার কী? আসুন অন্তত একজন করে কুলাঙ্গার চিকিৎসককে চিহ্নিত করি

‘এই এগুলোকে ভাগাও, এগুলোকে এক্ষুনি ভাগাও’
উদ্ধত ভঙ্গিতে ডাক্তার এসে আমার সমনে আমার প্রতি আঙুল নির্দেশ করে ওয়ার্ড বয়কে কথা গুলো বলে। আমি বিষ্ফোরিত চোখে চেয়ে থাকলাম। যেন মনে হলো কেউ একজন কুকুর-বেড়াল তাড়াচ্ছে। সম্বিত ফিরে পেতে কয়েক মুহুর্ত সময় লাগলো আমার।
বললাম, ‘ডাক্তার! এটা কোন ধরনের ব্যবহার হলো? আমরা কি কুকুর-বেড়াল নাকি?’
তিনি কথার উত্তর করলেন না। গটগট করে হেঁটে গেলেন। তাঁর হাঁটবার ভঙ্গিতে ভাবখানা এমন যেন মনে মনে ভাবছে সে মানুষের চেয়ে উচ্চস্তরের কোন অভিজাত প্রাণী সে। সাথে সুন্দরী ইন্টার্নি নিয়ে হাওয়ায় ভাসতে ভাসতে চারপাশের রোগীদের যেন পোকামাকড়ের মতো দেখছে।
এটা যে একটি পাবলিক মেডিকেল হাসপাতাল সে কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে বললাম, ‘আপনি তো রোগীদের সাথে এমন ব্যবহার করতে পারেন না।’
তিনি ঘুুরে এসে আবার বলতে থাকেন, ‘ এগুলোকে ভাগা। কোথায় দাড়োয়ান? এগুলোকে এক্ষুনি ভাগা।’
জিজ্ঞেস করলাম, ‘ডাক্তার আপনার নাম কি?’
তিনি উত্তর দিলেন না।
আবারও তাঁর নাম জিজ্ঞাসা করলাম, তিনি আমাকে নিজের নাম না বলে বললেন, ‘ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের নিকট শুনে নেবেন।’

বন্ধু হবার জন্য এলাম: হাত বাড়িয়ে দাও...

শুভ ব্লগিং। আমরা বন্ধু। আমিও এলম এই বন্ধুত্বে যোগদিতে। যদিও অন্য ব্লগে লিখছি বেশ কিছুদিন ধরেই, কিন্তু আমরা বন্ধু ব্লগে এই মাত্র পা দিলাম। নিবন্ধন করেই বেড়িয়ে যাচ্ছিলাম, কিন্তু ঐ মেসেজটা আমাকে একটু ভাবতে বললো, ‘কেন কোন লেখালেখি ছাড়াই বেড়িয়ে যাচ্ছি?’

তাই তো! আমরা বন্ধু ব্লগে এসে বন্ধুদের উদ্দেশ্যে যদি কিছু না বলি তবে তো সৌজন্যবোধটুকু থাকলো কই? তাই সবার প্রতি রইল আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা। অন্য ব্লগে আমাকে কেউ কেউ চিনে থাকবেন। আশা করি এ ব্লগে একটা সাম্প্রদায়িকতা মুক্ত ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সমৃদ্ধ একটি পরিচ্ছন্ন পরিবেশ রয়েছে, তা চিরদিন থাকবে। বুদ্ধির মুক্তিই আমাদের কাম্য।

ব্লগিং আমার অত্যান্ত প্রিয় মাধ্যম হলেও, বর্তমানে আমি চোখের সমস্যায় ভুগছি। ইতোমধ্যে দু চোখে তিনবার করে লেজার সার্জারি এবং তিনবার করে ইনজেকসান নিতে হয়েছে। দৃষ্টি কিছুটা ঝাপসা। জানি না কতদিন এই চোখ ভাল থাকবে। তবে যতদিন আছে কামনা করি লেখালেখি করার চেষ্টা করে যাবো।