দূরন্ত পথিক'এর ব্লগ
পদব্রজে চন্দ্র ভ্রমণ
ইহকাল ধরে চন্দ্রে যাত্রা করিবার রাস্তা খুঁজিয়া বেড়াইতেছি। উহু, ভাগ্যদেবীর কোনরকম কৃপাদৃষ্টি এই অভাগার দিকে পড়ে নাই। আমার অদ্যকালের সমস্ত সাধনাই সাড় হইল। কোন রূপ সুফল কিম্বা কুফলের পাপড়ি হৃদয় মেলিয়া সাড়া দিলনা। ইহা কি হইল? ভগ্নহৃদয়ে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরি। বাল্যকাল হইতেই চন্দ্র অভিসারের বিরাট দৈত্যাকার স্বপ্ন লালন করিয়া লালিত হইয়াছি। আমার এই দৈত্যাকার স্বপ্ন বুঝি এই বার মুখ থুবড়াইয়া পড়িয়া দন্ত মুখ এক করিয়া ফেলিল। স্বপ্নের দৈত্যের দন্ত মুখ যথাস্থলে রাখিবার লক্ষে অন্য কসরৎ অবলম্বন আবশ্যক। অন্যমনস্কে ফুলার রোড পদতলে পেষণ করিতেছি। কিন্তক পদ বাবাজীদের যেন আর কথা শুনিবার জো নাই। সেই পূর্বান্ন লগ্ন হইতে হাটিয়া বেড়াইতেছে উহারা। যেন সামনে আগাইতে লজ্জা পাইতেছে। কোন মহৎ উপায় অবলম্বন করা কিঞ্চিৎ জরুরি। কি করা যায়? হঠাৎ রিকশার টুং টাং শব্দ যেন আমার দেহ মনকে আন্দোলিত করিয়া ফেলিল। উহার এক রাশ সুখানুভতি আমাকে ঝঁকিয়া ধরিল। চকিতেই মাথায় খেলিয়া গেল, হায় হায়… চন্দ্রের সাথে মর্ত্যের যদি ডাইরেক্ট কানেকশান রাস্তা তৈয়ার করা যায়! কি আনন্দ, কি আনন্দ! আমার দুনিয়া বসন্ত বাতাসে পরিপূর্ণ হইয়া গেল। আহা, মধু, মধু!
ছড়া ভাবলে ছড়া, কবিতা ভাবলে তা।
সূর্যের রঙ্গে লাজ রাঙ্গা মেঘ
শান্ত বিকাল বেলা
বন্ধু আমার বৃষ্টি গলে
রংধনুর হয়ে দেয় দোলা ।
আকাশ কালো মেঘে ছেয়ে যায়
ঝরের নামটি নাই
এমনো দিনে বন্ধু
তোমায় কাছে চাই।
হয়নি বলা অনেক কথা
বন্ধু তোমার কানে
মেঘে ছোঁয়া চোখ দুটো আজ
অপলক তোমার পানে।
শূণ্যে ভাসি, শূণ্যে ভাসাই
তোমার নামটি আজ
বন্ধু, আজ দিলাম পড়িয়ে
ভালবাসার তাজ।
বিদায় স্বার্থপর পৃথিবীর কাছ থেকে॥
যদি চলে যাই বিদায় নিয়ে, এই পৃথিবীর কাছ থেকে। সমুদ্র কখনো কান্না করবে না আমার জন্য। তার জল ধারার একটুও ধার দেবেনা আমাকে। এই জল শুধু তার। আমার অশ্রুহীন হৃদয়ের কান্নায় তার মন গলে নোনতা পানি হয়ে পড়বে না। স্বার্থপর এ পৃথিবী। হয়ত বিদায় নিব এ পৃথিবী হতে। আমি জীবনানন্দ হতে চাই না। আমি চাই না তার মত এই নিষ্ঠুর পৃথিবীতে ফিরে আসতে। মানুষের উপর ই যে বর্বরতা গাংচিল শালিক তো কোন ছাড়। হারিয়ে যাব দূর কোন বাস্তবতায়, লীন হয়ে যাব মহাশূণ্যে।
দুঃখের কাছে পরাজিত
কাল এইচ এস সি পরীক্ষার বাংলা পরীক্ষা দিয়া আসলাম। ভাইরে নৈর্ব্যক্তিক যা কঠিন হইছে, বুঝাইতে পারব না। দোয়া রাইখেন। এ প্লাস এর আশা ধীরে ধীরে বিলুপ্ত হইয়া যাইতেছে। একটু দোয়া কইরেন যেন এ প্লাস থাকে। বিদায়॥