দেখে এলাম টু জিরো জিরো ওয়ানের বিশ্বকাপ :: প্রথম খেলা :)
অনেক দিন ব্লগর ব্লগর করি না ... অনেক অজুহাতের আসল অজুহাত... যেটা সব্বাই সব সময় দেখায়.... সেটা হলো সময় ... আমি অবশ্য ম্যাঙ্গো পাব্লিকের বাইরের কেউ না ... আমিও সময়ের হাত দেখাইয়া গেলাম... যারা এইটা দেখতে পারেন না ... তারা দয়া কৈরা ণুঢ়ানি চুশমিশ দিয়া দেখেন
যাউকগা... সে বহুকাল আগের কথা। নেট ঘাটতে ঘাটতে জানলাম বিশ্বকাপ ক্রিকেটের টিকেট অনলাইনে দেয়া শুরু হইছে। ইন্টারন্যাশনাল ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে কেনা যায়। ভাবলাম এইটা গরিপদের জন্য.... যেহেতু ডেবিট কার্ডের যোগ্যতা নাই ... তাই আমার্টা লোকাল ক্রেডিট কার্ড ... এইটা দিয়া টিকেট কাটা হপে না ... তো কি করা... আমাদের প্রিয় রুবাই... যার ব্লগ নিক মাথামোটা ওরে রিকুশ কর্লাম... এই পোলাটারে যা কই তাতেই রাজী হইয়া যায়। কাজ হইলো ... প্রায় ৬ মাস আগে বাংলাদেশ ভারত ম্যাচের ৪টা টিকেট কিনলাম ৪০০ টাকা দামের গ্যালারির। যদিও ক্লাব হাউজ আমার সবচাইতে পছন্দের জায়গা... সেইটার দাম ৭০০ টাকা ছিল। কিন্তু এত আগে অনলাইনে টিকেট কাটতেছি... কিঞ্চিত কনফিউশন ... টিকেট পাওয়া যাবেতো? বুঝেনিতো... পয়লা অনলাইনে কিছু কিন্তাছি... এইখানে যে ফক্কর নাই সেইটা কে কইতারে? তখন মনে হইলো লস গেলে (৪০০ x ৪ + vat) ১,৭৯৮ টাকাই যাক :)।
মজার বিষয় হইলো... তখন আমার বন্ধুরা আমারে কইছে "মফিজ.. এত আগে কাটনের কাম কি? টিকেটের কি আকাল হইবো নাকি?" খেলার আগে যখন দেখি তারা টিকেটের জন্য হন্যে হয়ে ঘুড়তেছে ... তখন আমি মুচকি হাইসা কই... কিডায় জানি মফিজ কইছিলো?
১৬.০২.১১
সন্ধ্যায় মিরপুর ইন্ডোর স্টেডিয়ামে গেলাম একবার চোখ বুলাতে। এখান থেকেই টিকেট দিবে। গিয়েই চোখ ছানাবড়া ... অনেক লোক রাত জাগার প্রস্তুতি নিয়ে এসেছে টিকেট কাটার লাইন ধরার জন্য। চারিদিকে এত মশা যে, হাটলে চোখেমুখে বাড়ি খায়। সাঈদের সাথে দেখা হইলো। তাকে রাইখাই বাং মার্তে বাইর হইয়া গেলাম
১৭.০২.১১
সকালে আবার গেলাম কি অবস্থা দেখতে। ভয়াবহ ... হাজার হাজার মানুষের স্রোত। বিশাল লাইন... সাঈদের সাথে আবার দেখা হলো... এই সময় এক সহকর্মীর সাথেও দেখা হলো... তার মানিব্যাগ পিকপকেট হয়েছে। চুট্টা ভদ্র গোছের... মানিব্যাগ থেকে কার্ড বের করে মোবাইলে ফোন দিয়ে জানিয়ে দিয়েছে যে, ব্যাগটা কোথায় আছে .... ২টায় ঢাকা স্টেডিয়ামে যেতে হবে বিশ্বকাপ উদ্বোধনী অনুষ্ঠান দেখার জন্য। তাই আর লাইনে দাড়ানো হলো না ... এইবারও ফুটলাম
১৮.০২.১১
সকাল সাতটায় হাজির হলাম টিকেট কাউন্টারে। ৮/১০ জন লোক মাত্র। শান্তি পাইলাম। ধরলাম লাইন। ৮ বাজে ... ৯ টা বাজে ... ১০টা বাজে... কাউন্টার খোলার কোন খবর নাই। মাথুরে ডাইকা আনলাম। কারন ওর ক্রেডিট কার্ড দিয়া টিকেট কাটছি। শুনলাম যার ক্রেডিটকার্ড তাকে অথবা তার অথারাইজেশন লাগে।
লোকজন জিগায়... "ভাইজান তো এতক্ষর এক্লাই ছিলেন... ওনি আসলো কৈ থিক্কা?" ভাবছে চিপা দিয়া মাথুরে লাইনে নিয়া আইছি
কৈলাম... ওনি আমার ক্রেডিট কার্ড
১০:৩০ কাউন্টার খোলা হলো। ১১:৩০এর মধ্যে টিকেট হাতে পেলাম। মনে হইলো স্বপ্নের টিকেট ....
টিকেট লইয়া ক্যাচাল শেষ
ঘড়ির কাটায় ঠিক ১০:৩০ এই সময় আমরা ৪ জন মিরপুর ২ নাম্বারে। গাড়ি যেতে দেবে না আর... তাই নেমেই হাটা শুরু করলাম। ভুভুজিলার বিকট শব্দে হাটাই মুশকিল হয়ে দাড়ালো। তখন মনে হইতেছিল স্টেডিয়ামে ভুভুজেলা নিষিদ্ধ করাটা আসলেই ভালো হইছে।
ধরেন এই প্যারাটা রাসেল লিখলে ক্যামন হতো?
স্টেডিয়ামে যাওয়ার রাস্তায় পুরা তব্দা খাওনের অবস্থা। বাঙালী একদিনে তার চেতনার ফেনা ছুটাইয়া ফেলতাছে। প্রতি ৩ জনের ২ জনেই ভুভুজিলা বাজাইয়া বিচি কারে ওঠাইয়া ফেলবো বইলা মনে হইতাছে। যত বেশী শব্দ হইবো তত দ্রুত বাংলাদেশ জিত্তা যাইবো এরম একটা ধারনা মনে হয় আমাগো প্রধান মন্ত্রী নিশ্চিত করেছে। সামনেই মিরপুর হার্ট ফাউন্ডেশন। গুরুত্বপূর্ণ এবং খুবি সেনসেটিভ একটা হাসপাতাল। প্রতিদিন কেউ না কেউ হয়তো মারাও যায়। সেই লাশ বয়ে নিয়ে যাওয়ার সময় এমন উৎসব শুধু আমাদের দিয়েই সম্ভব।
যাউক আমার মত কৈরা কই
ইস্টার্নগ্যালারীর টিকেট তাই গেট খুজে বের করে লাইনে দাড়িয়ে গেলাম। বেশী লোক গেলে সুবিধা হলো একজন লাইনে দাড়ালে বাকিরা অন্যান্য লাইন গুলো চেক করতে পারে যে, সেই লাইনগুলো ছোট কিনা:)। এমন হিসাব নিকাশে দুইবার লাইন চেঞ্জ করে প্রায় ১২টার দিকে স্টেডিয়ামের বাউন্ডারি লাইন পার হওয়ার সময় একটা সিকিউরিটি গেট এবং ৩ জন নিরাপত্তা কর্মীর তল্লাশির মোকাবেলা করতে হলো। ভাবছিলাম ঝামেলা শেষ। কিসের কি... আবার লাইন... এবার গেট দিয়ে মূল স্টেডিয়ামে প্রবেশের। ধরলাম লাইন... এবারো এক লাইন থেকে আর এক লাইনে... এভাবে ২টা লাইন শেষ করে ৩নং লাইন দিয়ে প্রবেশের আগে ৫ বার নিরাপত্তাকর্মীদের ধকল পোহালাম। ঢুকলাম স্টেডিয়ামে ... জোশ
স্টেডিয়ামে ঢুকে দেখি সাইট স্ক্রিনে দেখাচ্ছে খেলার আরো ১২১ মিনিট বাকি ...
ছোট বেলায় একটা কবিতা পড়েছিলা...
বইতে বইতে সন্ধ্যা
বইছে বাতাস মন্দা
আমাদেরও এমন অবস্থা... বসতে বসতে অবস্থা খারাপ... দ্রুত ফিলাপ হয়ে যাচ্ছে গ্যালারী গুলো। লাঞ্চের জন্য হন্যে হয়ে ঘুড়ছি... বাইরে দুইবার লাইন একত্র করলে যত বড় হবে খাবার লাইন এবং পানির জন্য লাইন তার চাইতেও বড়। নিরাশ হয়ে ভাবলাম খেলা শুরু হলে হয়তো ভিড় কমবে।
খেলোয়াররা ওয়ার্ম আপ করলো... টস হলো... এক সময় খেলাও শুরু হলো... কিন্তু খাবার আর জুটলো না এখনো পর্যন্ত ... না পানি না কোন খাবার... এইদিকে ক্ষুধায় পেট চো চো করতেছে। গেট বন্ধ থাকায় বাইরে যাওয়াও বন্ধ। কিছুক্ষন পর পর এসে ঘুড়ে যাই ... নো ফুড
বিকেল ৪টার দিকে অনেক ঝগড়া বিবাদ শেষে স্টেডিয়াম থেকে বেড় হতে পারলাম। কিন্তু বাইরের মূল ফটক থেকে বের হতে দিলো না (... পরে আমরা বেশ কিছু দর্শক যখন একত্রিত হয়ে চিল্লাপাল্লা শুরু করলাম তখন তারা কিছু পানি এবং পেপসির ব্যবস্থা করলো... একটা ছোট পানির দাম ১০ টাকা আর একটা বড় পেপসির দাম ৮০ টাকা ... এমন দুইটা ছোট পানি এবং একটা বড় পেপসি ভাগে পেলাম ৩০০ টাকার বিনিময়ে ... ৭টার দিকে ভিআইপি গ্যালারীর চিপা দিয়ে ৪টা বার্গার আর দু্ইটা চ্যাপ্টা বন রুটি (যেটার নাম নাকি পিৎজা) কেনা গেল ... সে এক করুন দৃশ্য
পোস্ট শেষ
কারণ খেলাতো আপনার টিভিতে দেখছেনই...
কিন্তু আপনারা এইটা জানেন না যে... প্রতিটা বলে কি পরিমান উল্লাস হয়েছে... প্রথম আউটে কতটা আনন্দে আমরা চিৎকার করেছি... বাংলাদেশের প্রতিটা রানে রানে কতটা ভালোবাসায় বাংলাদেশ দলকে উৎসাহ যুগিয়েছি। সে এক অসাধারণ ব্যাপার ... এটা শুধু মাঠেই সম্ভব।
তবে পুলিশের আচরনে মুগ্ধ হইলাম কালকে। আমার জীবনেও তাদের এমন বন্ধুবৎসল দেখি নাই। স্টেডিয়ামের ভেতরে কিভাবে আমাদের সহযোগীতা করবে সেই চেষ্টাই ছিল তাদের ব্রত। কি সুন্দর কথাবার্তা ... সিট দেখিয়ে দেয়া... এখনো ঠিক বিশ্বাস হইতেছে না যে এরা আমাদের পুলিশ বাহিনি নাকি অন্য দেশের
বোনাস ফটুক
ঘর থেকে শুরু হোক বিশ্বকাপ
বিশ্বকাপটা কি শেষ পর্যন্ত রুমের উপরের বক্স এ রাখা?
আহা আহা!
আমাদেরকে ছাড়া গেছেন এই জন্য খাওন পাননাই বন্ধুদের ছাড়া যারা যাবে সবারই এক অবস্থা হোক
যতদুর জানি আপনিও বন্ধুদের ছাড়াই যাইপেন
সেইটা দেইখা কাটাকাটি, পরের বার বন্ধুদের সাথে
তাই তো মনে হয়
তার মানে তুমিও জানো?
ও মা! ভাবটা এমন নিতেছো যেন তুমি জানো না?
দোস্তের ভাব দেখে সেই রকম লাগছে।
হ রাসেল তোমার দোস্ত মাশাল্লাহ
পোলা তো নয় সেতো আগুনের গোলা
লীনাদির দাঁত এরাম লাগতেছে ক্যন?????
এইখানে দর্শকদের উচ্ছাস দেখতে পারবেন
http://www.youtube.com/watch?v=0aaGHRqMhnU
বিশ্বকাপে বাংলাদেশের একটা খেলাই দেখেছিলাম স্টেডিয়ামে। সেই ২০০৩ সালে, সাউথ আফ্রিকাতে। জোহানেসবার্গ স্টেডিয়ামে প্রবাসী বাংলাদেশীরা মিলেই যেই হুল্লোড় করেছিলাম তাতে পরদেশী লোকজন সব ভড়কে গেছিল। আপনারা দেশের মাটিতে যা করতেছেন তা আমরা বিদেশে বসে কেবল পেট ভরা হিংসা নিয়ে কল্পনাই করতে পারি। লেখা এবং ছবির জন্য ধন্যবাদ বস।
ব্যাপার না বস... কাটাকাটি
আছেন ক্যামন?
গ্যালারীর ভিতরের আরো মজার কান্ডকারখানার কথা জানান... আরে পাব্লিক কতো কি করে এইসব আরকি!... :)
পোষ্ট পড়তে মজা লাগছে...
ঋহানটারে মশা কামড়াইছে!!... আহারে...
প্রথম ছবিটায় কি সমঝদার দর্শকরে দেখলাম...
সবকিছুতেই?!!!
তুমি কি কিছু বলতে চাও তারে?
কত্ত ঘটনা... যেমন ধরো আমাদের যেই সিট দেয়া হইছে সেইটা হইলো সি নম্বর লাইনে। সেইটায় বসলে আর খেলা দেখা হইতো না .... একেবারের সামনের সিট... খালি গ্রিল দেখা যাইতো। তো আম্রা কিহিনি কৈরা উপ্রের সিটে বইসা অন্যদের হাইকোর্ট দেখাইছি খালি
আমিও খেলা দেখছি। সে এক লম্বা ইতিহাস....
লম্বা ইতিহাস লেখেন মাসুম্ভাই।পিলিজ লাগে। উদ্বোধনী সহ লিখবেন।
সারাদিনে তো লম্বা ইতিহাস হবেই
তবে আইসিসির গিফটটা কিন্তু সুন্দর হইছে
যাক বলটা আমাদের ঋহানের ইজ্জত বাচাইছে।
[পোষ্ট পরে পড়ুম ]
আরও ছবি আছে। সবগুলোতে ইজ্জত বাচে নাই কিন্তুক
এই ব্লগে নুহ নবীর আমলে টুটুল নামে একজন ব্লগার ছিলেন। আপনি কি সেই টুটুল?তাইলে আপনারে আবারো স্বাগতম এবং ধইন্যা পোষ্ট দেয়ার জন্য।
ঋহানকে তো খাইয়া ফেলতে মঞ্চাইতেছে।প্রথম ছবিটা বেশী জট্রিল। মাশাল্লাহ। পোলা তো পুরা আগুনের গোলা।
পোষ্ট ব্যপক ভালু পাইছি।আফসুস আমরা ষ্টেডিয়ামে খেলা দেখতে পারলাম না। ভালৈছে খাইতে পাও নাই।
বাংলাদেশের কোন এক্টা খেলা কি আমরো সবাই একসাথে দেখতে পারি?
হ পুরাই আগুনের গোলা।আমি পুরাই কাইত।ঋহান আমারে ঘরে থাকতে দিব না..।
টিভিতে দেখতে পারো
টুটুল ভাই, অনেক দিন পর মনে হচ্ছে .... জেগে উঠছে বাংলাদেশ, ক্রিকেটকে ঘিরে আজ ঐক্যবদ্ধ পুরো জাতি।দেশপ্রেমের চেতনায় উদ্বেলিত সবাই। আপসোস, আমাদের রাজনীতিকরা এই জাতীয় জাগরণের মূল্যই বুঝছে না। খেলা নিয়েও তারা রাজনীতি করছে...।
তাদের প্রফেশন হইলো রাজনীতি... সো এইটা যদি ঠিক মত না করে তাহলে রুটি গোস কৈ পাইবো
পোস্ট ভালো লাগলো।
এরম অফমান
যেরাম কিউটু সুইটু নামটা সেরাম মাশাল্লাহ দেখতে পোলাটা! ঋহানের জন্ন এক পৃথিবী ভালোবাসা দোয়া টুটুল ভাই, কি ভাগ্য আপনেগো ..নিজের দেশের মাটিতে এমন একটা আনন্দ যজ্ঞে অংশ নিতার্লেন...আর আপনেগের পোষ্ট পড়ে পড়ে (পেটভর্তি হিংসা নিয়ে)আমরা তার উত্তাপটা পাচ্ছি, উপভোগ করতে চেষ্টা করছি, সেজন্য ব্যাপক ধইন্যা-শুভেচ্ছা।
অনেক ভালোবাসা বস আপনাদের জন্য
হে হে হে হে
আপনাদের হিংসা তৈরীর জন্যইতো এই পোস্ট
১. ব্যাপার না, অন লাইন কেনাকাটা অভ্যাসের ব্যাপার, আস্তে আস্তে সাহস হইয়া যাইবো
২. ষ্টেডিয়ামের ডিজে ব্যাপাক ছিল, এই মুহূর্তে শুনি মাইলসের ফিরিয়ে দাও তো পরের মুহূর্তে আসে মমতাজের আগুনেরি গোলা
৩. আপনে আমারে টিভি থেকে হাই কইলেন না ক্যান?
৪. অনেকগুলো বাচ্চাদের দেখাচ্ছিলো দোয়া পড়তেছে বাংলাদেশের জয়ের জন্য, বুকটা ভেঙ্গে গেছে, বাচ্চা মেয়েগুলোর চোখ ভর্তি পানি, দেশপ্রেম কাকে বলে।
৫. ঋহানতো মাশাল্লাহ এর ওপরে টাশাল্লাহ হইছে, চটকাইয়া ভর্তা কইরা দেয়ার জন্য হাত নিশপিশ করতেছে।
১. এই দেশে চিটিংটা এত বেশী যে বিশ্বাস স্থাপন অনেক কঠিন
২. যাস্ট একটা কথাই মনে হলো .... পুরাতন সেই গানের আবেদন একটুও কমে নাই। বরং নতুন গান গুলো তেমন আবেদন রাখতে পারছে না।
৩. ক্ষুধার চোটে এমনেই হাই উঠতেছিল
৪. এটা আসলেই খুবি কষ্টের ... নিজের দেশের জন্য যে ক্যামন লাগে বোঝানো যায় না... যাবেও না ... ভারত আর বাংলাদেশ পার্থক্য হয়তো অনেক বেশী ... তারপরেও কষ্টটা বুকে বাজে ... গলায় আটকে থাকে ... চোখ ঝাপসা হয়
৫.
হিংসা! হিংসা! হিংসা! দেশে না থাকার জন্য আফসোস!
ঢাকা স্টেডিয়ামে যে কতবার বাংলাদেশের খেলা দেখছি বলতে পারব না। সেই যখন বাংলাদেশ ম্যাড়মেড়ে ক্রিকেট খেলত তখন থেকে মাঠে খেলা দেখি- যখন জিম্বাবুয়ে ৩০০'র বেশি করত আর বাংলাদেশ দেড়শ রানে অলআউট হইত। তারপরে ৯৮এর প্রথম নকআউট বিশ্বকাপ দেখছি, এরপর থেকে যতদিন বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে খেলা হইছে, সুযোগমত দেখছি। অনেকেই বলে মাঠে দেইখা কি লাভ, রিপ্লে নাই, ঠিকমত কিছুই দেখা যায় না। এইটা যে না গেছে তারে বুঝানো সম্ভব না। আপনেসহ আর যত মানুষ এই অমানুষিক ঝক্কিঝামেলা সামলায়ে টিকেট কাইটা খেলা দেখতে গেছে/যাবে- তাদের স্যালুট। এরা যতদিন আছে বাংলাদেশ ক্রিকেট ততদিন পিছাবে না।
মাঠের ছবিটা দেইখা অসাধারণ লাগল।
শিরোনামে টু জিরো ওয়ান ওয়ান না?
এই মাঠ আমার চির চেনা মাঠ ... সেই মোহামেডান আবাহনীর ফুটবল থেকে ... এই মাঠ কখনোই ভুলে যাওয়া সম্ভব না ... অনেক স্মৃতী এই মাঠ দুটোতে
যারা টিভি লইয়া বিজি ... তাদের এখন আর বুঝাই না
খেলা দেখা তো বিরাট হ্যাপা ...।
খাবারের সাপ্লাই ঠিক না থাকলে কেম্নে কি?
বাই দ্য ওয়ে, ভাতিজা তো মাশাল্লাহ, দিনকে দিন নায়ক নায়ক হইয়া উঠতেছে ... বাপ কা বেটা!
বিশ্বকাপ বলে কথা
খাওয়া দাওয়া পর্যাপ্ত ছিল না ... সে এক বিদিকিচ্ছিরি অবস্থা
সিকিউরিটির দায়িত্বে থাকা লোকজনের লগে ব্যাপক কাইজ্জা করছি ... বিনিময়ে ২ লিটার পেপসি আর ছোট ২ বোতল পানি কয়েকগুন দাম দিয়েও পেয়েছি
আর মা কা কিছু না?
সবই ঠিক আছে তবে আমি মোটামুটি ১২ ঘন্টার লাইনে দাড়াইয়া টিকেট উঠাইছিলাম প্রথম দিন। এইরকম স্মৃতির ভারে হাসা উচিৎ না কান্দা উচিৎ বুঝতাছি না .........
ঋহানের ছবিগুলা মারাত্নক সুন্দর হইছে ...
সেইটা লেইখা ফেলেন
জিতবে এবার জিতবে ক্রিকেট! বিশ্বকাপের থিম সং!!
গানটি শুনতে হলে ডাউনলোড করুন এই লিঙ্ক থেকে>>
http://www.mediafire.com/?8zl018as98h9c5v
গানটির পুরো লিরিক দেয়া হলো নিচে
লিরিক- রানা
ভয়েস- রাঘব
কম্পোজিশন- শঙ্কর-এহসান-লয়
জিতবে এবার জিতবে ক্রিকেট
জিতবে এবার জিতবে ক্রিকেট
আরো জোরে সবার আগে
চতুর্পাশে ক্রিকেট তাপে
চার ছক্কা মাঠ পেরিয়ে
খেলছে দ্যাখো দামাল ছেলে।
পেরিয়ে বাঁধা, ঘূর্ণি ধাঁধাঁ, কিংবা গতির তুমুল কোনো ঝড়
কোরাসঃ
মার ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে উড়িয়ে উড়িয়ে
মার ঘুরিয়ে উড়িয়ে
জিতবে এবার জিতবে ক্রিকেট..
জিতবে ক্রিকেট
বাতাস কেটে, তুমুল বেগে, হাজার উল্লাসে জয়ের নিশান গড়।।
আকাশে আজ তোরই কথা
নীল মেঘ চায় তোর বন্ধুতা
রোদ্দুর তোর সাহস ঘামে
জড়িয়ে দেখ বিজয় আনে..
তোকে দেখে তরুণ যুবা, হাজার অযুত দৃপ্ত শপথ
তোকে দেখে সবুজ পাতা, বৃষ্টি ভেজা এই যে পথ।।
গ্যালারি দ্যাখো রুদ্ধশ্বাসে, অপেক্ষা আজ বিজয়ীর
শেষ ওভার, বল আসছে ছুটে, বিজয় ছিনিয়ে আনবে বীর…
উল্লাসে তাই পড়ছে ফেটে, হাজার কোটি ক্রিকেট ফ্যান
ক্রিকেট জ্বরে পুড়ছে বিশ্ব, ক্রিকেট ক্রিকেট গাই জয়গান
কোরাসঃ
মার ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে উড়িয়ে উড়িয়ে
মার ঘুরিয়ে উড়িয়ে
জিতবে এবার জিতবে ক্রিকেট…
আরে পোস্ট রাইখা দিসি, আস্তে আস্তে কমেন্টামু তাই। জ্বিনদা'র একটা কথা পছন্দ হৈসে। দিন দিন বাপকা বেটা হয়ে উঠছে পিচ্চুটা।
এক নিষ্টুর পুরুষে নিষ্টুর কথা কয়, আরেক নিষ্টুর পুরুষে আবার সেটা পছন্দও করে
বাপ কা বেটা আর মা যে এত্ত কষ্ট করে তার কোন ক্রেডিট নাই
বোইন রে দুঃখ করিয়েন না! আল্লাহ মিয়া বড়ই ইনসাফ করেন, তাই না 'মায়ের পায়ের নীচে বেহেশত' দান করছেন। তাইলে জ্যাকপটটা তো আমার বোনটাই জিতলো নাকি কন? সেই খুশিতে ঋহানসহ আম্রা সবাই নাচি
লেখা জোশ হইছে ।
খেলাও জোশ আছিলো ।
বাংলাদেশ হারলেও লড়াইটা উপভোগ করছি ।
অনেকে হেডিং দেইখা ভাবছে... ব্যাটায় তো পচুর ভুল করে ... সো হেডিংয়ে ভুল থাকপে এইটাই স্বাভাবিক .... আপ্নাগো জন্য লিংকু দিলাম একটা
http://www.facebook.com/video/video.php?v=146894072038180&comments
ভালো কথা মনে করাইছেন ।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ক্রীড়া মন্ত্রীর টু যেরো যেরো ওয়ান শুনে প্রথমে বুঝিনাই কি কইলো
টু জিরো ওয়ান ওয়ান কইতে গিয়া মন্ত্রী বার বার কইলেন একই কথা, ২০১১ এর বিশ্বকাপ রে নিয়া গেলেন ২০০১ ।
আমিও ভাবতেছিলাম এইগুলি নিয়া একটা পোষ্ট দিমু।
ইন ফ্যাক্ট এখনও ভাবতেছি
আমি লাইনে ছিলাম টানা ১৯ ঘন্টা! ব্যাংকের সামনে সিড়িতে শুয়ে আছি টিকিটের জইন্যে,এই অবস্হা টিফিতেও আসছিল!
তয়, আয়ারল্যান্ড ম্যাচ বাদে বাকি সব ম্যাচ মাঠে বইসাই দেখসি। চট্টগ্রামে গিয়া দেখা ইংল্যান্ড বধ আমার লাইফে দেখা সেরা ক্রিকেট ম্যাচ!
মন্তব্য করুন