একটা ব্লগের নাম বল - আমরা বন্ধু ;)
সেই ছোটবেলা থেকে শুনে আসছি যে, পৃথিবী গোলাকৃতির। ভাবছিলাম ভদ্রলোকের এক কথা। কিসের কি... স্কুলের মাঝামাঝি সময় বুঝলাম পৃথিমি আসলে গুল না... কিঞ্চিৎ চ্যাপ্টা... মানে কম্লালেবুর মত। কান ঠিক থাকার পরও ক্যাম্নে যে ভুল শুনলাম বুঝতর্লাম্না। যাউকগা... তাও ভালো একটা স্মার্ট একটা ভাব আছে। কিন্তু বিপদ হইছে এখন। আমাদের আমলে চাইনিজ পুচকা কম্লা ছিল না... এখন যদি কই যে পৃথিমি কম্লার মত... তাইলে পয়লা জিগাইবো চাইনিজ কম্লা? নাকি সিলেটের কম্লা? নাকি ইনডিয়ার কম্লা? তব্দা খাওয়ার অবস্থা.... 
তবে যে যাই কন না ক্যান ... আগের আমলেই ভাল ছিল। তখন নাকি পৃথিবী থালার মত চ্যাপ্টা ছিল। তার উপর মানুষ বৈসা বৈসা আড্ডাইতো... ভাত খাইতো  ... কিন্তু গুল হওয়ায় ঝামেলাটা লাগছে... খামছাইয়া এই গুল পৃথিমিতে ঝুইলা থাক্তে যাইয়াই আম্রা খামছিটা শিকছি... সব্বাই সব্বাইকে টাইনা নামাইয়া নিজে উপরে ওঠতে চাই... পৃথিমি প্লেটের মত থাকলে কিন্তু এই সমস্যাটা হইতো না 
 ... কিন্তু গুল হওয়ায় ঝামেলাটা লাগছে... খামছাইয়া এই গুল পৃথিমিতে ঝুইলা থাক্তে যাইয়াই আম্রা খামছিটা শিকছি... সব্বাই সব্বাইকে টাইনা নামাইয়া নিজে উপরে ওঠতে চাই... পৃথিমি প্লেটের মত থাকলে কিন্তু এই সমস্যাটা হইতো না  
প্যাচ কি শেষ? ভাবছেন বাইচা গেছেন? হেহেহেহেহে. সে সুযোগ আপনি কখনোই পাবেন না  
 
দেখেন পৃথিমি ক্যাম্নে ভচকাইয়া যাইতাছে দিন দিন :(। এখন ডরে আছি যে, আম্রাও এখন ভচকাইয়া যামু কিনা?
ধরেন এই পোস্ট পরার পর আপনার মনে হইলো মফিজের মত এইটা কি লেখছে? আসলে আপনার মফিজদের জন্যই এটা লেখা  
 
এত কষ্ট কইরা এই পোস্ট পড়ার জন্য একটা কবিতা বোনাস হিসেবে দেয়া হইলো... পুর্ণেন্দু পত্রীর কথোপকথন। ভালো না লাগলে অন্য কাউকে দিয়া দিয়েন
...
- যে কোন একটা ফুলের নাম বল
- দুঃখ।
- যে কোন একটা নদীর নাম বল
- বেদনা ।
- যে কোন একটা গাছের নাম বল
- দীর্ঘশ্বাস ।
- যে কোন একটা নক্ষত্রের নাম বল
- অশ্রু ।
- এবার আমি তোমার ভবিষ্যত বলে দিতে পারি ।
- বলো ।
- খুব সুখী হবে জীবনে ।
শ্বেত পাথরে পা ।
সোনার পালঙ্কে গা ।
এগুতে সাতমহল
পিছোতে সাতমহল ।
ঝর্ণার জলে স্নান
ফোয়ারার জলে কুলকুচি ।
তুমি বলবে, সাজবো ।
বাগানে মালিণীরা গাঁথবে মালা
ঘরে দাসিরা বাটবে চন্দন ।
তুমি বলবে, ঘুমবো ।
অমনি গাছে গাছে পাখোয়াজ তানপুরা,
অমনি জোৎস্নার ভিতরে এক লক্ষ নর্তকী ।
সুখের নাগর দোলায় এইভাবে অনেকদিন ।
তারপর
বুকের ডান পাঁজরে গর্ত খুঁড়ে খুঁড়ে
রক্তের রাঙ্গা মাটির পথে সুড়ঙ্গ কেটে কেটে
একটা সাপ
পায়ে বালুচরীর নকশা
নদীর বুকে ঝুঁকে-পড়া লাল গোধূলি তার চোখ
বিয়েবাড়ির ব্যাকুল নহবত তার হাসি,
দাঁতে মুক্তোর দানার মত বিষ,
পাকে পাকে জড়িয়ে ধরবে তোমাকে
যেন বটের শিকড়
মাটিকে ভেদ করে যার আলিঙ্গন ।
ধীরে ধীরে তোমার সমস্ত হাসির রং হলুদ
ধীরে ধীরে তোমার সমস্ত গয়নায় শ্যাওলা
ধীরে ধীরে তোমার মখমল বিছানা
ফোঁটা ফোঁটা বৃষ্টিতে, ফোঁটা ফোঁটা বৃষ্টিতে সাদা ।
- সেই সাপটা বুঝি তুমি ?
- না ।
- তবে ?
- স্মৃতি ।
বাসর ঘরে ঢুকার সময় যাকে ফেলে এসেছিলে
পোড়া ধুপের পাশে ।





সোন্দর কবিতা....
এইটা দিয়াই তো পার পাইলাম
পড়া শেষ হয় নাই?
এই কথা তো শুনি নাই! ঘটনা কি সত্য? কিডা কইছে? 
  


কেমুন আছেন টুটুল ভাই? গুল হইতাছেন? নাকি লাঞ্চ বন্ধ করাতে চ্যাপ্টা হইতাছেন?
কবিতার জন্য
জ্বি আপা... 
 
চ্যাপ্টা হওয়ার ট্রাই দিছি... হইতার্তাছিনা
কাসুন্দি দিলে আম্ভর্তা খাইতার্তাম
পিরথিবী গুল, চ্যাপ্টা যাই হোক গোল্লায় যাক, আপাতত আমার নিজেরে নিয়া চিন্তায় আছি।
কবিতা সোন্দর!!
সেইরম
এই লেখাটা দেখে লগইন করতেই হলো। মানুষের জীবনে পৃথিবীর আকার পরিবর্তন যে কতোটা প্রভাব ফেলছে সেটা উপলব্ধি না করতে পারার কারনেই বিশ্বজুড়ে এতো হাহাকার বঞ্চনা বিরাজ করে। আপনার গবেষণা আমার চোখ খুলে দিয়েছে। পরিবর্তনের গ্র্যান্ড ন্যারেটিভকে আপনি মেটা ন্যারেটিভের মুখোমুখি করে একটি নতুন চিন্তার ক্ষেত্র উন্মোচন করে দিয়েছেন। যার ফলে একটি নতুনতর ডিসকোর্স তৈরী হয়েছে, যে ডিসকোর্স মেটাফিজিক্সকে কেবল কাছেই টানে না, প্রশ্নবিদ্ধও করে।
আপনাকে আবারো ধন্যবাদ...
তৃতীয় বিশ্বের একটি উন্নয়নশীল দেশ হিসাবে আমরা যখন সম্রাজ্যবাদীদের চোখ রাঙ্গানো আর আমলাতান্ত্রীক জটিলতার শিকার হয়ে ক্রমশ এগিয়ে যাচ্ছি একটি অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে; ঠিক তখনি, ঠিক সেই মুহূর্তে দাঁড়িয়ে আপনার এই মন্তব্যের মাঝে আমি খোজে পাচ্ছি অন্ধকার ঠেলে সামনে এগিয়ে যাওয়ার একটি সম্ভবনা আর বিদেশী বেনিয়াদের কাছে বুদ্ধিবৃত্তিক দাসত্ব গ্রহন করার বিপক্ষে একটি সুক্ষ বার্তা।
একটি ব্লগের নাম বলো। আমরা বন্ধু।
একজন ব্লগারের নাম বলো। সম্ভব না। কেননা আমরা বন্ধুতে অনেকে ব্লগিং করেন। যদি একজন ব্লগিং করতো, তাহলে একটি নাম বলা যেতো।
- একটি ব্লগের নাম বলো।
- আমরা বন্ধু।
- একজন ব্লগারের নাম বলো।
- মীর।
- একটা লেখার নাম বলো।
- সাদা বকপাখিদের ঝাঁকে যদি আপনি আর আমি থাকতাম
- এবার আমি আপনার ভবিষ্যত বলে দিতে পারি (না)।
খুবই লজ্জা পেলাম বস্। আপনি আসলে পারেনও।
শুভ নববর্ষ।
---
০১-০১-১৪১৮
টুটুল ভাইয়ের এই যুগান্তকারী পোস্টের পরে আজকে গুগল পর্যন্ত তাদের হোম পেজ বদলাতে বাধ্য হইছে 
   
   
   
   
   
   
 
চিন্লেন্না
একটা ব্লগের নাম বল - আমরা বন্ধু
বিয়াডা কার শেষ পর্যন্ত?
বিলাইয়ের
মানুষে কয় ''বিয়ার রাইতে বলে বিলাই মারা লাগে'' তাইলে বিলাই বিয়ার রাতে কি মারবো?? 
  
শাওনের উত্তর জানার আগ্রহ হইলো... দেখি কি কয় :D
কবিতার জন্য
এই লেখাটিতে লেখক মনের অন্ধি সন্ধিতে যে মনস্তাত্বিক টানাপোড়েনের আভাস আমরা দেখতে পাই সেটা নিয়ে আসলে বিশদ আলোচনার অবকাশ রয়েছে। লেখাটিতে আমরা পাবলো পিকাসোর কিউবিজমের সাথে সালভাদর দালির স্যুরিয়ালিজমের একটি সম্মিলিত অভিক্ষেপের লিখিত রূপ দেখতে পাই। লেখককে সাধুবাদ তিনি খুবই মুনশিয়ানার সাথে এই দুটি বিপরীতমুখী চিত্রকলার ধারাকে একই লেখনীর মাধ্যমে প্রকাশ করতে পেরেছে। এ প্রসঙ্গেই স্বনামখ্যাত পরিচালক আকিরো কুরোশাওয়া হয়তো কখনো বলেছিলেন "দুটি বিপরীত ধারার মিলনে যেই লেখনী আমাদের সামনে প্রতিভাত হয়ে ওঠে সেটাই আসলে একটি ব্যবসা সফল চলচ্চিত্রের মূলকথা"। যাক, এই লেখা নিয়ে আলোচনা করার দুঃসাহস করলে পাতার পর পাতা আই মিন মেগাবাইটের পর মেগাবাইট শেষ হয়ে যাবে তবু আলোচনার সিদ্ধান্তে আসা কঠিন থেকে কঠিনতর হয়ে যাবে।
আমি লেখকের সুস্বাস্থ্য এবং সার্বিক উন্নতি কামনায় এক চুমুক পাগলা পানি খেতে উদ্যত হই..
(কপিরাইট : বৃত্তবন্দী)
যাক মনে হচ্ছে আমি ছাড়াও বুঝি নাই এমন পাব্লিক আরো আছে
কপিপেষ্ট কমেন্ট দিতামই দিতাম, কিন্তু লেখা যতটা পছন্দ হইছে, তার থেকে মারাত্নক পছন্দ হইছে কবিতাটা... এই কবিতার জন্যেই অনেকগুলো গুরুত্বপূর্ন কপিপেষ্ট কমেন্ট থেকে বঞ্চিত হলেন আগামী কিছু পোষ্টে!...
রংচইঙ্গা পিথীমি দেখি আসলেই ভচকাইয়া গেছে!!...
আবারো কইয়া যাই কবিতাটা পছন হইছে, লিঙ্ক দিয়েন প্লীজ
হেভভি লাগল ভাইয়া...।
মন্তব্য করুন