এ লজ্জা রাখি কোথায়?
সকালে সংবাদটি দেখে একটু ভয়ই পেলাম। কেউ ফেসবুকে ভুয়া কোন আইডি দিয়ে বিতর্কিত কোন ছবিতে আমাকে ট্যাগ করবে... এবং সেটা নিয়ে একদল উন্মাদ লোক আমার উপর ঝাপিয়ে পরবে। এ কোন অসভ্য দেশের পথে আমরা হাঠছি। এই অসভ্যতা বর্বরতার জন্য কি দেশটা স্বাধীন করা হয়েছে?
ইদানিং মানুষ জনের ধর্মীয় অনুভূতিইবা এত ঠুনকো হয়ে গেল ক্যান... যা বাতাসে নড়বড় করে? অনুভূতি যদি এত ঠুনকোই হয় তাহলে এমন অনুভূতির থাকার প্রয়োজনীয়তা কি?
ছবি: বিডিনিউজ২৪ ডট কম
লজ্জা... লজ্জা... লজ্জা.... এই লজ্জা রাখি কোথায়?
একই সাথে সারা দেশে এর প্রতিবাদে যে হরতাল হলো তাতেও তিনি সমর্থন দেন।
মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী....
আপনিও কি এই দাঙ্গা সমর্থন করেন? প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ না দিলে কি আপনি সেইখানে যেতেন না? তাহলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্বটা কি? একজন নাগরীক হিসেবে এইটুকু জানার অধিকার নিশ্চয় আমার আছে?
মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী... দয়া করে বলবেন কি যে, গতকাল সারা রাত পুলিশ কি করছে? ঘটনাটা কিন্তু বেডরুমে ঘটে নাই যে আবার বলবেন "বেডরুম পাহারা দেয়ার দায়িত্ব আমাদের না"। যদি নাগরিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নাই পারেন তাইলে এই পুলিশ রাখার প্রয়োজন কি? ক্যান আমার ট্যাক্সের টাকা দিয়ে পুলিশ পোষা হচ্ছে? মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অত্যন্ত বিনীত ভাবে বলছি... রাজনৈতিক দল শায়েস্তা করার জন্য আমরা ট্যাক্স দিয়ে পুলিশ পালতে রাজী নই।
ছবি: বিডিনিউজ২৪ ডট কম
ধিক্কার জানাই মানুষ নামের এই কীটগুলোকে !
সময়োপযোগী পোষ্ট। প্রিয়তে নিলাম !
আম্রা হবো তালেবান
দেশটা হবে বাংলাস্তান
এই তস্করগুলি কারা সেটা কি আমরা জানিনা? এই সাম্প্রদায়িক দুস্কৃতিকারীগুলিকে কি আমরা প্রশ্রয় দিইনি? যেদিন লিবিয়াতে মার্কীন দূতাবাসে হামলা হল সেদিন যে অজুহাত ব্যাবহার করা হয়েছিল, আজকেও কি এরা সেই অজুহাতই ব্যাবহার করছে না? আমি যদি সেদিনের হিংস্র প্রতিক্রিয়ার প্রতি নমনীয় মনোভাব প্রদর্শন করি, আজকে কোন মুখে আমি রামুর এই সন্ত্রাসীদের নিন্দা করব?
মাঝে মাঝে নিজেকে মুসলিম পরিচয় দিতে লজ্জা লাগে
ধর্মের নামে আর কত অধর্ম হবে?
ধর্ম যদি মানুষের মতো কথা বলতে পারতো তাহলে হয়তো চিৎকার করে বলতো, এবার আমাকে মুক্তি দাও।
আমার নাম ভাঙ্গিয়ে আর অধর্মের দরকার নেই।আমিই স্বেচ্ছায় প্রস্থান করি।
নিজেকে মুসলিম পরিচয় দিতে লজ্জা লাগা, সংকোচ হওয়ার মতো লজ্জা আর কি হতে পারে? আমি শুধু জন্মসূত্রে মুসলিম না, ধর্মকে বিশ্বাস করি, ধারণ করি।ধর্ম তো এসব বলেনি! এই অরাজকতা যারা করে তারা অমানুষ।তাদের মনে ইসলাম ধর্ম নেই। এরা বর্বর। এরা বর্বর জাতি। ছি! ছি!
এই একটা দেশ। জ্বলে পুড়ে ছাই হয়ে গেলো সব, পুলিশের কার্যকলাম বুঝি না। আসলে পুলিশের কাজ কি? স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কেন? স্ব ভাবনা ভাবার জন্য?
আর কাউকে ভোট দেব না। এই সরকার নাকি সব ধর্মের মানুষকে নিরাপত্তা দেয়, ধমৃ পালন করতে দেয়। এই হলো তার সুন্দর নমুনা।
আমার মনে হয়, অল্প কয়েকদিনের ব্যবধানে আমরা জাতিগতভাবে এই লজ্জাটাকে গিলে ফেলবো। আগের সব লজ্জাজনক ঘটনা ঘটানোর পরও আমরা তাই'ই করেছিলাম। এ নিয়ে শঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ নেই। সত্যিকারের উন্নতি চাইলে ভাঙচুরের মধ্যে দিয়ে যেতেই হবে। এখনো আমরা যেখানে বুর্জোয়া যুগেই প্রবেশ করি নি (কেবল ট্র্যাকে উঠেছি মাত্র), সেখানে এরকম বা এরচে' আরো বেশি অবিশ্বাস্য অনাচার দেখতে হবে না, সেটা ভাবি কি করে?
এই ধরনের বর্বর হামলা চললে তার দায় আমাদের উপরও চলে আসে। আসলে হচ্ছেটা কি? রাঙামাটিতেও চলছে এইসব হামলা, কি এমন পূর্ন্য অর্জন করছে এরা? সরকারের ত্যানা মার্কা অবস্থানে মনে হচ্ছে গোড়াঁ মৌলবাদী একটা স্টেইটে আছি। অসভ্য জানোয়ারে ভরে যাচ্ছে চারপাশটা।
লজ্জা না প্রত্যেকটা ঘটনায় দায় আমাদেরই!
আমরা ভাংচুর-জ্বালাও-পোড়াও-প্রিয়-জাতি হিসাবে গর্ববোধ করি, লজ্জার কিছু নাই। তবে, কয়েক ঘণ্টা ধরে ঘটনাগুলি ঘটার সময় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী কি কামে ব্যস্ত ছিল সেইটা জানতে মঞ্চায় ...
~
.........................................................।
ফোড়া থাকলে ক্যানসার আটকানো যাবে না। ধর্ম থাকলে অধর্ম থাকবেই।
আলোকিত অন্ধকারের জনপথে আছি আমরা!!!!!!
পুরো ব্যপারটাই কেন জানি সাজানো সাজানো লাগতেছে,
মাঝখান দিয়ে কত্তগুলি মানুষের লাইফ আউলিয়ে গেল!
মন্তব্য করুন