শুভ জন্মদিন মামুন ভাই---
মামুন
ভাইয়ের সাথে পরিচয় আমার বছরখানেকের বেশি সময় ধরে। একবছর একজন মানুষ চেনার জন্যে
যথেষ্ট নয়। আমার জন্যে তো নয়ই। আমি অহরহ মানুষ চিনতে ভুল করি। দৌড়ে গিয়ে যার গলায়
মালা দিয়ে আসি, কিছুখন পরে দেখা যায় সেই লোকই পাথর হাতে আমাকে তাড়া করে ফিরছে।
আমি
একটু আধটু লেখালেখি করি সচলায়তন নামের লেখক সমাবেশে। মামুন ভাইয়ের সাথে আমার পরিচয়
ঐখানেই। একদিন আমার অনুজপ্রতীম সহব্লগার সাইফ অস্থির হয়ে হাঁকডাক শুরু করে দিল
গুগুল টকে।
-ঐ
মিয়া, সচলে গেছেন নি আইজ কা?
-না তো বস,এখনো সময় করে উঠতে পারিনি।
- আরে
মিয়া জলদি যান। মামুন হক নামের একজন লেখা দিছে। ফাডায়ালাইসে বস!
এরকম ‘ফাডানো’
একটা খবরের পর বসে থাকাটা মুস্কিল। এক ছুটে সচলে গিয়েই দেখি নতুন এক লেখক এসেছেন
আমাদের মাঝে। মামুন হক। ভদ্রলোকের লেখার হাত জটিল। সেটা বড় কথা নয়। অনেক ব্লগারকেই
চিনি যারা দুর্দান্ত লেখেন। মামুন হককে যে জিনিসটা আলাদা করে দাঁড় করিয়ে
দিল---সেটা হল তার আত্মবিশ্বাস। নতুন একজন লিখিয়ে---কিন্তু শুরু থেকেই ভীষন দাপুটে
লেখা। কিছুদিন পরে আরো একটা লেখা এল। সাইফের ভাষ্যমতে---সেইটাও ‘ফাডানো’ লেখা।
তারপর আরো একটা, আরো একটা--!! কিছুদিনের মাঝেই আমি তার মুগ্ধ পাঠক বনে গেলাম।
মামুন হক তখন আর ‘মামুন হক’ নেই। তিনি ততদিনে আমাদের সবার প্রিয় মামুন ভাই!
মামুন
ভাইয়ের একের পর এক ‘ফাডানো’ লেখা আমাদের মন দ্রুত জয় করে নিল। সবচেয়ে অদ্ভূত
ব্যাপার হল এই লোকটা সকল রকমের লেখায় সমান পারদর্শী! গল্প বলুন,প্রবন্ধ বলুন,
মজারু লেখা বলুন, সজারু লেখা বলুন,এমনকি কবিতা-- এই লোকটা ঈর্ষনীয় মসৃণতায় ছুঁয়ে
আসতে পারে সকল কিছুকেই। মামুন ভাইয়ের লেখা পড়লেই আপনি বুঝতে পারবেন যে লোকটা
সৃষ্টিশীলতার আগুনে পুড়ছে নিরন্তর। জীবনকে অনেক কাছে থেকে দেখেছেন তিনি। যারা
জীবনকে খুব কাছে থেকে দেখে, তারা হয় এর নিদারুন উত্তাপে ঝলসে যায় অথবা নিখাদ
নির্মল হয়ে বেরিয়ে আসে। মামুন ভাই দ্বিতীয় গোত্রের লোক। হাতের তালুতে করে জীবনটা
নেড়ে চেড়ে দেখেছেন কিন্তু সেটার পংকিলতা তার হৃদয়টাকে ছুঁতে পারেনি।
এ সকল
কিছুই আপনারা জানেন।
আপনারা
এটাও জানেন, সব সময়ে পোড় খাওয়া মারকুটে কঠোর চরিত্রে অভিনয় কারী মামুন ভাই আসলে
একটা ভীষন নরম মনের মানুষ। আমার ধারণা, আমাদের ভাবীকে আসলে তিনটা বাচ্চা সামলাতে হয়—এষা,
আয়লা, আর তাদের বাপ!
আরো
একটা জিনিস আপনারা সকলেই হয়ত জানেন। তবুও জানিয়ে দিতে বারণ কী? আজ আমাদের মামুন
ভাইয়ের জন্মদিন। এই শুভক্ষণে শুধু একটা কথা জানাতে চাই---মামুন ভাই, আমি মানুষ
চিনতে ভুল করি বেশিরভাগ সময়েই। তবে কিছু কিছু সময় আমি ঠিক ধরে ফেলি আসল মানুষটাকে।
অল্প যে ক’টি সময় আমি সফল হয়েছি---তুমি তাদের একজন। তুমি যে শিশুর মত বিস্ময় নিয়ে
বেঁচে থাকো, যে অপাপবিদ্ধতা ধরে রাখো এই আবিলতার সময়ে, যে ভূবনডাঙ্গার খোলা মাঠ
বুকে করে রাখ এই ইট-কাঠ-পাথরের নগরীতে----এইসব কিছু আজীবনের সঙ্গী হয়ে থাকুক তোমার।
অনেক
অনেক ভাল থাক মামুন ভাই।
সময়কে
পরাজিত করে বাঁচো।
শুভ জন্মদিন মামুন ভাই।
তিন বার দিলাম পাঁচ মিনিটের মধ্যে । আমার শাড়ি, কেক আর কুক পাওনা হইলো
অনিকেতদা, দাদাভাই দারুন একটা উপলক্ষ্যে আপনার এবিতে স্বাগতম, প্রথম পোষ্টের প্রথম মন্তব্যদাত্রী আমি
হুক্কা হুয়া
ধন্যবাদ তাতাপু।
এখন আমি আর তাতা নাই
ফেসবুকে দেখেন নাই
ইসাব বললি হবেনানে, আপনে তাতাপু আছিলেন, তাকপেন
কে সাইফ নাকি?
আমার মার কাছে শোনা তাঁর গ্রামে একটা মেয়ের নাম ছিল হিয়ালনি। বলতো তাতিয়ানা ক্যান এই নামকরণ?
বলপো না
এই বিষয়ে আমার কোন বক্তব্য নেই
প্রিয়জন মামুন ভাইকে জন্মদিনের অনেক শুভেচ্ছা। ভালোথাকা হোক নিরন্তর।
বিভিন্ন ব্লগে ঠোকপার্তে যাওয়ার সুবাদে আমরাও জানি আপনার লেখার হাত দুর্দান্ত। আমাদের কেন বঞ্চিত করছেন?
জবাপ চাই
দেতে হপে
সব শেষে এই লেখার মাধ্যমেও যারা আপনাকে জানে তারাও বুঝে গেল আপনি তাদের কতটা বঞ্চিত করেছেন
অরিত্র
অনেক ধন্যবাদ এমন সহৃদয় মন্তব্যের জন্য।
শুভেচ্ছা নিরন্তর.....
শুভ জন্মদিন মামুনভাই
শুভ এবি-ব্লগিং অনিকেত
=========================
একটু আধটুর ছিঁটেফোঁটা এখানেও শুরু হোক
কেমন আছিস শুভদা?
অনেক ধন্যবাদ নুশেরা
আমি আছি রে, তোর খবর কী?
শুভ জন্মদিন মামুন ভাই। ভাল থাকুন সব সময়।
হেপি বার্থ ডে।
বেষ্ট উইসেস।
শুভ জন্মদিন মামুন ভাই।
শুভ জন্মদিন মামুন হক।
মামুন হক কি সচলায়তনে লেখেন না এখন আর ?
@ মাহবুব সুমন,
গত ১৬ ই জুলাই ২০১০ থেকে আমাদের প্রিয় মামুন ভাইয়ের কোনো লেখা সেখানে আর দেখি না। কী ঘটেছিল তা জানতে এখানে ক্লিক করে জানতে পারবেন।
এমনিতেই ব্লগ পড়া হয় অনেক কম। আর এখন তো ঋহানের কারনে পড়ার সময় পাইনা বললেই চলে। কিন্তু, আপনার এই লেখায় মামুন ভাই এর লেখা'র যে প্রশংসা দেখতে পাচ্ছি তাতে খুব লোভ হচ্ছে উনার আগের লেখা গুলো পড়ার। সময় আমাকে সময় দিলেই হয়
এষা, আয়লা'র বাবা'কে জন্মদিন এর অনেক অনেক শুভেচ্ছা
শুভ জন্মদিন মামুন ভাই
জন্মদিন শুভ হোক মামুন ভাই।
মামুন ভাই শুভ জন্মদিন। নিয়মিত লেখা চাই। আর তরিকাও শিখাইলেন না।
শুভ জন্মদিন মামুন ভাই।
শুভ জন্মদিন মামুনভাই
মামুন ভাইরে শুভ জন্মদিন জানাইতে দেরী হয়ে গেল। তয় কেক্কুকের ব্যবস্থা হৈলে তখন দিরং হইবো না।
আর অনিকেত ভাইকে শুভেচ্ছা স্বাগতম। লেখা মুচমুচে হয়েছে। (কপিরাইট- মামুন ভাই)
ধন্যবাদ মীর।
শুভেচ্ছা নিরন্তর----
জর্মদিনের ভ্রান্ত ধারমা ভ্রান্ত হয়ে পথ হারাউক মামুন ভাই আর আমাদের দুই মামণি। অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল।
আর অনিকেতদারে সুবেচ্ছা এবিতে পুস্টানির জন্যে। অহন কলম ধরেন, কিছু রক্ত ঝরান, অন্যের না হইলে নিজের
হা হা হা হা, থ্যাঙ্কু বস স্বাগত জানানোর জন্যে।
তুমি নিজেও তো লিখছ না অনেকদিন।
এখন নতুন কিছু ছাড়ো বস
শুভ জন্মদিন পরী মেয়েদের বাবা মামুন ভাই। অনেক অনেক অনেক শুভেচ্ছা এবং শুভকামনা।
মামুন ভাই এর জন্মদিন উপলক্ষে দারুণণণ একটা লেখা পড়লাম। এবি তে স্বাগতম।নিয়মিত আপনার লেখা চাই।
অনেক ধন্যবাদ জয়িতা
শুভেচ্ছা জানবেন।
শুভ জন্মদিন মামুন ভাই
অনিকেতদা, একবার যখন হাতখান উপুড় করেছেনই চাইনা ওটা সহসাই চিৎ হোক! শুধু শব্দেশব্দে আমাদের মুগ্ধ করলেই চলবেনা.. আপনার সুরেরজালে জাটকা'র মতো আঁটকে যেতে চাই এবিবন্ধুরা..আপনার জন্য হুলস্হূল শুভেচ্ছা-স্বাগতম (এইটারে রসগোল্লা ভেবে টপ্ করে খেয়ে ফেলুন দেখি)
অনিকেত ভাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ এই পোড়া দিনটাকে মনে রাখার জন্য। আমি নিজেই যে প্রায় ভুলে যেতে বসেছিলাম মেয়েদের জন্মদিনের ডামাডোলে। বাকী সবাইকেও আন্তরিক ধন্যবাদ এমন প্রাণঢালা সব শুভেচ্ছার জন্য। আমি আসলেই ভীষণ ব্যস্ততার মধ্যে আছি, তাই ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও লেখা হয় না। তবে অনিকেত ভাই যখন এসেই পড়েছে আর প্রথম লেখাতেই বানিয়ে বানিয়ে আমার নামে প্রচুর মিথ্যে অপবাদ দিয়ে গেল, তাই এখন থেকে কিছুটা নিয়মিত হবার চেষ্টা থাকবে
তবে দাদাবাবুর নিজের হাতও যে অজস্র মণিমুক্তায় ভরপুর সেটা আমরা সবাই জানি, আসুন ধরে বেঁধে হলেও এই লোকটার কাছ থেকে কিছু লেখা আদায় করে নেই।
সবাইকে আবারও অনেক অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন সবাই মিলে।
সত্যিই, এমন লেখকের প্রতি শ্রদ্ধাসহ জন্মদিনের শুভেচ্ছা।
বিলম্বিত শুভ জন্মদিন মামুন ভাই।
জন্মদিনের শুভেচ্ছা মামুন ভাইকে।
সিষ্টার দ্বয়ের নূতন ছবি চাই।
মন্তব্য করুন