কুল যায়, পাশে বসে কাঁদে কালের সতী
কুল যায়, পাশে বসে কাঁদে কালের সতী
-আবু মকসুদ
বনাঞ্চলে গিয়ে হতাশই হয়েছি। দেখি, বদলে গেছে মানচিত্র। শ্যাওলা- মাঠের সুষমা কেড়েছে, বোবামুখ ডালপালা আকাশের নীলে উঁকি দিচ্ছে ঠিকই কিন্তু পৌঁছাতে পারছেনা ঈশানের লক্ষ্যে। প্রকৃত বৃক্ষের আকাল বড় বেশী। পাতাতেও আজকাল বিঁধে থাকে ধূসর কাঁটাচামচ। মরণজয়ী মন্ত্রের দিন পেরিয়ে এসেছি অনেক আগেই , তাই বক্তাদের নীতিবাক্যগুলি আর মননে প্রভাব ফেলে না। মাটিবর্তী মাঠ ছেড়ে, ধানজমির আদি গন্ধ ভুলে ঘোমটার আড়ালে অহরহই পৌঁছি লোকালয়ে। পূর্বপুরুষের কঙ্কাল রোদবৃষ্টি পাহারা দেয়। তাদের ঋণ আদিমতার রাতগন্ধে পুনরায় নিমন্ত্রণ পাঠায়। অনির্বাণ পিলসুজে, ফুলেফলেবীজে অনন্ত হাঁটার শেষে বহে ধারাস্নান।
ইটের জঙ্গলেও স্বস্তি নাই তবুও সোনার হরিণের আশায় চুষে যাই স্বাদহীন হাঁড়। তুচ্ছ এলেবেলে গান গায় কলের বাঁশি। আগের ধানগোলা এখন সিঁড়িঘর হয়ে উপরে উঠায় আমাদের গন্তব্য। তারপর স্বপ্নের মইগুলি মাড়াতে মাড়াতে দেখি চেতনার শিশু অক্ষরটি মরেই গেছে। ব্যক্তিত্বহীনতার ভুল বাসে চড়ে দ্রুত হারিয়ে ফেলি নিজস্ব মালিকানা। এখন দগদগে ঘা উপুড় করে রেখেছে নক্ষত্রের মুখ। আমি তড়পাই আর বাঁশের ডগায় বসে হাসতে থাকে চাঁদ। আমার কুল যায়, পাশে বসে কাঁদে প্রতিবেশী কালের সতী।
বুঝলাম না কিছু।
এই লেখা অনেক জায়গাতেই অতীতে পড়া হয়েছে।
এত ছুডু কেন?
বুঝি নাই ভাই।
তয় এবিতে পথ চলা শুভ হোক।
এটা পুরানো লেখা। এখানে পুরানা লেখা দেওয়া নীতিমালার পরিপন্থী। নতুন কিছু লেখেন। আমরা উৎসাহ নিয়া পড়ি।
মন্তব্য করুন