পিটার দ্য র্যাবিট (শেষ পর্ব) -বিট্রিস পটার
পিটার অনেক হাঁপাচ্ছিল আর ভয়ে কাঁপছিল, তাই বিশ্রাম নেবার জন্য একটু বসল। ও বুঝতেই পারছিল না কোনদিক দিয়ে যাবে, আর ভিজে চুপচুপে হয়েছিল। এদিক ওদিক থুপ থুপ করে আস্তে আস্তে হাঁটাহাঁটি করে সে এদিক ওদিক দেখা শুরু করল। একটা দেয়ালের গায়ে দেখল একটা দরজা, কিন্তু তালা বন্ধ আর এটার নীচ দিক থেকে তার মত একটা মোটাসোটা খরগোশের যাবার কোন উপায়ই নেই। একটা ইঁদুর দরজার সামনে দিয়ে মটরশুঁটি আর সিম নিয়ে যাচ্ছিল বনের দিকে তার বাড়ির জন্য। পিটার তাকে দরজাটা কোনদিকে জিজ্ঞেস করল, কিন্তু ইঁদুরটার মুখে এত বড় মটরশুঁটি ছিল যে, সে বলতে পারলনা, শুধু মাথা নাড়ল। পিটার কাঁদতে লাগল। তারপর নিজেই বাগানের উলটা দিকে যাওয়া শুরু করল রাস্তা খুঁজতে, কিন্তু সে বারবার ধাঁধাঁয় পড়ে যাচ্ছিল। গিয়ে দাঁড়াল একটা পুকুরের কাছে, যেখান থেকে ম্যাগ্রেগর সাহেব তাঁর পানির ঝাঁঝরি ভরেন। একটা সাদা বেড়াল কতগুলো গোল্ডফিশের দিকে তাকিয়ে আছে স্থির হয়ে, মাঝে মাঝে লেজ নড়ছে তাইই বোঝা যাচ্ছে ওটা বেঁচে রয়েছে। পিটার ভাবল- থাক, ওর সাথে কথা না বলাই ভাল। কারণ বেড়ালরা কেমন হয় তার চাচাত ভাই বেঞ্জামিন বানির কাছে শুনেছে।
সে আবার যন্ত্রপাতি রাখার জায়গাটায় ফিরে গেল, কিন্তু হঠাৎ খুব কাছেই শুনল নিড়ানির শব্দ-খচ খচ খচ। পিটার ঝোপের নিচে লুকিয়ে পড়ল। কিছু হলনা দেখে সে উঠে পড়ল একটা ঠেলাগাড়ির উপর, উঠে উঁকি দিল। প্রথমে দেখতে পেল ম্যগ্রেগর সাহেব পেঁয়াজের ক্ষেত নিড়িয়ে দিচ্ছেন পিটারের দিকে উলটো ফিরে, আর ঠিক ঐ দিকেই রয়েছে দরজা!
পিটার নিঃশব্দে ঠেলাগাড়িটা থেকে নেমে এল, তারপর যত জোরে পারল দৌড়তে থাকল সোজা রাস্তা ধরে কালো ফলের ঝোপ পেরিয়ে। ম্যাগ্রেগর সাহেব তাকে দেখলেও পিটার পাত্তা দিলনা। দরজার তলা দিয়ে বাগানে বাইরে নিরাপদ জঙ্গলে চলে এল। যতক্ষণ পর্যন্ত গাছের কোটরের বাড়িতে না পৌঁছাল, ততক্ষণ সে থামলইনা কিংবা পিছন ফিরে চাইলনা। ম্যাগ্রেগর সাহেব তার ছোট্ট জ্যাকেট আর জুতো দিয়ে কাকতাড়ুয়া বানিয়ে ফেললেন পাখি তাড়াতে।
ও এত ক্লান্ত ছিল যে, ঘরের নরম বালির মেঝেতে ঝুপ করে শুয়ে পড়ে চোখ বন্ধ করে ফেলল। মা রান্না করতে ব্যস্ত ছিলেন তখন। তিনি ভাবছিলেন ছেলেটার কাপড়-চোপড়ের কি হল। দুই সপ্তাহের মধ্যে এটা দ্বিতীয় জ্যাকেট আর জুতো জোড়া ও হারাল! সত্যি কথা বলতে কি, পিটারের শরীর একদমই ভাল লাগছিল না। তার মা তাকে বিছানায় পাঠিয়ে দিলেন আর ক্যামোমিল দেয়া চা বানিয়ে পিটারকে দিলেন। “ঘুমুতে যাবার আগে পুরো এক চামচ খেতে হবে।”
ওদিকে ফ্লপসি, মপসি আর তুলোর-লেজ কিন্তু দুধ আর কালোজাম দিয়ে রাতের খাবার খেয়েছে।
(সমাপ্ত)
অনুবাদঃ অদিতি
জোশিলা

অনেক অনেক ধইন্যা
নেক্সট কাজ শুরু হোক
পরের কাজ বড়দের।
হা হা হা হা!!!

ভালো মানুষরে... পিটার...
জোশিলা অনুবাদ। অদিতি আপুকে অজস্র ধন্যবাদ
এরম তো আমরাও ছোটবেলায় কত করছি।
তাই নাকি? উদাহরণ সহ লিখেন।
দারুন দারুন দারুন অদিতি। আরো চাই। আপনার পোষ্ট পড়তে আসবো ছোটবেলাকে খুঁজে পেতে
আমি যখন লিখি নিজের ছোটবেলাটা দেখতে পাই আপা। ভাল কথা অহনা কি হাইবারনেশনে চলে গেছে?
আহ !! আরো দেন অদিতিপু।
দেব ভাই। একটু অপেক্ষা করেন।
বেচারা পিটার ন্যাংটা পুটু হয়ে বাসায় ফিরলো?!!...
হাহাহাহাহা, জেবু ফাজিল!
আহারে...দুষ্ট খরগুশ
খুবই! ভাঙ্গা ভাই, আপনাকে সন্তুষ্ট করতে পারলাম?
পুরাপুরি না
দুই পর্ব একবারে দিলে ক্ষতি কি ছিল? (এইটা একটা বইতে দিলে শুইতে চায় মার্কা দাবি
)
যাই হোক, তাড়াতাড়ি দেয়ার জন্য থ্যাঙ্কস
মন্তব্য করুন