চোখের নয় মনের হ্যালুসিনে’শন (প্রথম পর্ব)
চোখের নয় মনের হ্যালুসিনে’শন (প্রথম পর্ব)
সেটা ১৯৯০ সালের মাঝামাঝি। কি কারনে যে বি, আ, টি রাজশাহী ( বর্তমান রুয়েট) বন্ধ হয়েছিল মনে নেই। আমি তখন শেষ বর্ষের ছাত্র।
ঠাকুরগাও যাবার শেষ স্টেশন সৈয়দপুর রেল স্টেশনে যখন নামলাম রাত তখন সাড়ে দশটা। এত রাতে ঠাকুরগাও যাবার কোন বাস তো দুরের কথা ট্রাক ওয়ালারাও নিতে চাইবে না। তাই কি করব ভাবতে লাগলাম। শুধু যে এখনই ভাবছি তা নয়, যখন বুঝতে পারলাম আজ অনেক রাত হবে তখন থেকেই ভেবে চলেছি, সৈয়দপুর নামার পরে কোথায় থাকব?
সে সময় অর্থাৎ ছাত্রাবস্থায় কখনো কোন জায়গায় এমন সমস্যায় পড়লে আবাসিক হোটেল বলে যে থাকার একটা জায়গা আছে তা কখনো মনেই আসত না। মন শুধু খুজে বেড়াত এই শহরে আশ পাশে কোন আত্নীয় বা দূর আত্নীয় আছে কি না। আজো তাই মনে মনে গরু খোজা আরম্ভ করলাম কোন কোন আত্নীয় আছে এই সৈয়দপুর শহরে। কাছের তেমন কাউকে পাওয়া গেল না একটু দূরে বা একটু বেশী দূরে কয়েকজনকে পাওয়া গেল।
তবে দেশের বিভিন্ন জায়গায় বা শহরে, স্কুল, কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েছি এমন বন্ধুর ঠিকানা চোখ বন্ধ করলেই পাওয়া যায়। এদিনও তার ব্যতিক্রম হলো না। বন্ধু লিষ্টে তিনজন বন্ধুর নাম চলে এলো। কিন্তু এক জনের বাড়ি শহর থেকে একটু দূরে হলেও ঠিকানাটা ভাল মনে আছে। আর একজন শহরে,হয়ত ঠিকঠাক ঠিকানা জানা থাকলে পাঁচ মিনিটেই যাওয়া যাবে। তবু এই সমস্ত ছোট্ট শহরে কাউকে খুজে পাওয়া তেমন কস্টকর কিছু নয়। আরেক এক বন্ধু তারও যে ঠিকানা তাতে সহজেই পেয়ে যাব।
সকল বন্ধুর কাছে ক্ষমা চেয়ে আজ একটি বাস্তব কথা (আমার দৃষ্টিতে) লিখছি, একই ক্লাসে পড়লেই সকলে কিন্তু বন্ধু হয় না। বন্ধু হলেও সকলে ঘনিষ্ট হয় না। ঘনিষ্টতার মাঝেও ঘনিষ্টতা আছে। কেউ পড়াশুনার খাতিরে, কেউ রাজনৈতিক খাতিরে, কেউ এলাকা ভিত্তিক হওয়াতে ঘনিষ্ট হয়। তা ছাড়াও অনেক কারণ থাকতে পারে ঘনিষ্ট হওয়ার।
ঘনিষ্টতার বিচারে যার নাম প্রথমে আসল তার বাড়ি ছোট্ট শহর সৈয়দপুর থেকে একটু বাহিরে। আমার এই বন্ধুটি আমাকে বহুবার তার বাসায় যেতে বলেছে, বিশেষ করে বন্ধের সময় রাজশাহী থেকে ঠাকুরগাও আসার পথে। এবার না পরের বার করতে করতে এখন আমরা শেষ বর্ষের ছাত্র। তবু কারো বাসায় কারও যাওয়া হয়নি।
এখানকার রিক্সাওয়ালারা নাও চিনতে পারে তাই রেলষ্টেশন থেকে বাসস্টপে যাবার জন্য রিক্সায় উঠলাম। আমার বন্ধু একদিন কথা প্রসঙ্গে বলেছিল, যদি কখনও আমাদের বাড়ি যেতে হয় তবে বাসস্টপে নেমে যে কোন ভ্যান বা রিক্সা ওয়ালাকে বললেই আমাদের বাড়ি নিয়ে যাবে। তাছাড়া কথায় কথায় একে অপরের বাড়ির সদস্য সংখ্যা এমনকি প্রায় সকলের নামও জানতাম। আজ আর ওর নামটি ছাড়া আর কারও নাম মনে নেই।
মোঃ আবুল হোসেন
এপ্রিল,০২,২০১৫ খ্রীঃ
উত্তরা, ঢাকা
একই ক্লাসে পড়লেই সকলে কিন্তু বন্ধু হয় না। বন্ধু হলেও সকলে ঘনিষ্ট হয় না। ঘনিষ্টতার মাঝেও ঘনিষ্টতা আছে। কেউ পড়াশুনার খাতিরে, কেউ রাজনৈতিক খাতিরে, কেউ এলাকা ভিত্তিক হওয়াতে ঘনিষ্ট হয়।একই ক্লাসে পড়লেই সকলে কিন্তু বন্ধু হয় না। বন্ধু হলেও সকলে ঘনিষ্ট হয় না। ঘনিষ্টতার মাঝেও ঘনিষ্টতা আছে। কেউ পড়াশুনার খাতিরে, কেউ রাজনৈতিক খাতিরে, কেউ এলাকা ভিত্তিক হওয়াতে ঘনিষ্ট হয়। ....কথা হাচা
ধন্যবাদ
মন্তব্য করুন