আমার মহানায়ক
প্রত্যেক মানুষের জীবনে তার কিশোর যৌবন কালে প্রিয় সিনেমার নায়ক, রাষ্ট্রপ্রধান,শিক্ষক থাকেন। আমি কিশোর ও যৌবন বললাম এ জন্যই যে এই সময়কার ভাললাগা বা ভালবাসাই প্রকৃত ভাললাগা ও ভালবাসা। তার পরে যা হয় তা অনেকটা শঙ্কর জাতীয়। এটা আমার মতামত। অনেকে আমার সাথে একমত নাও হতে পারেন।
আমি যখন ক্লাস এইটে পড়ি প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান এলেন, ঠাকুরগাও এর সাসালা পেয়ালা খাল খনন করতে। আমরা সালন্দর হাইস্কুলসহ সকল স্কুলের ছেলেমেয়ে শিক্ষক শিক্ষিকা দল বেঁধে গেলাম সেই খাল খনন অনুষ্ঠানে।
আমরা যখন পৌছলাম তখন উনি অনুষ্ঠানে উপবিষ্ট, খাল খনন এর উপর একজন শিল্পী গান গাচ্ছিলেন। এই প্রথম প্রেসিডেন্ট জিয়াকে সামনা সামনি দেখি।
সেই বয়সে পর্দার প্রিয় নায়ক যারা ছিলেন,তাদের মধ্যে রাজ্জাক,সোহেল রানা ফারুক প্রমুখ। কিন্তু প্রেসিডেন্ট জিয়াকে দেখার পর উনি হয়ে গেলেন আমার স্বপ্নের নায়ক,মহানায়ক। উনার গেঞ্জি পড়া ছবিটা......ভাষায় প্রকাস করার মত নয়। যে দিকে দেখি সেদিকে উনি, যে বেশে দেখতে চাই সে বেশেই তিনি।
তার কয়েক বছর পর লিখে ফেলি এই কবিতাটি। তবে এই কবিতাটি হুবহু না। সেই কচি মনে যে কবিতাটি লিখি তা দুবাইতে আরও শ খানেক গল্প কবিতাসহ খসড়াটি হারিয়ে যায়।
অনেক খোজাখুজি করেও তা পাইনি। মনে যা ছিল তার সাথে কিছু যোগ বিয়োগের ফলাফলটি নিম্নরুপ।
এটা এজন্যই জানালাম, কারন আমি বাহরাইনে অনেককটা অনুষ্ঠানে এই কবিতাটি আবৃত্তি করি এবং স্থানীয় একটি পত্রিকায় কবিতাটি ছাপাও হয়েছিল।
১৯৭১ সাল
বাংলাদেশ নামক নৌকাটি
গভীর সমুদ্রে ঘোর পাক খাচ্ছে ঝড়ের কবলে পড়ে।
একে তো অন্ধকার রাত্রি,তদুপড়ি হায়েনা কাল বৈশাখীর হানা।
মৃত্যু ভয়ে যাত্রীরা সব ইয়ানাফসী ইয়ানাফসি জপছে।
কি হবে কি করবে কেউ বুঝতে পারছে না।
এরই মাঝে মহাকালের ধুমকেতু হয়ে
জিয়া নামক মাঝিটি নৌকার হাল ধরল।
আল্লাহ্র উপর করে, সত্যিকার মাঝির বাতানো পথে
শক্ত হাতে নাও চালাল, সকলকে অভয় দিল।
যাত্রীরাও সাধ্যমত সাহায্য করল।
হঠাৎ মসজিদ হতে আজানের ধ্বনি
মন্দির থেকে কাসার ঘন্টা
গির্জা ও প্যাগোডা হতে নিজ নিজ ধ্বনি
আকাশ বাতাস প্রকম্পিত করে পৃথিবীময় ছড়িয়ে পড়ল।
রাত্রি ভোর হল।
উদয় হল
লাল সবুজের ঝান্ডা নিয়ে নতুন দিনের নতুন সুর্য
নতুন দেশ, বাংলাদেশ।।
কৃষক গরুর হাল নিয়ে যায় মাঠে
গায়ের বধু কলসি কাংখে চলে নদীর ঘাটে
হাটে ঘাটে মাঠে যেথায় দেখি শুধুই খুশির ঢেউ
ক্ষেত ভরা ফসল পুকুরে এত মাছ দেখেনি আগে কেউ।
স্কুল কলেজ ভার্সিটিতে শিশু কিশোর যুবা চলে দলে দলে।
আবার সে মাঝি ডাক দিয়েছে দেশ গড়বে বলে।
হাটে ঘাটে মাঠে কলকারখানার অংগনে
নতুনের জোয়ার বইছে আজি ভাবি বিজনে।
সবাই তো যাবে তুমিও গিয়েছ অজানার দেশে বটে
ক্ষনে ক্ষেনে আজিও মানষ পটে হাহাকার রব উঠে।।
আবুল হোসেন
৩১মে,২০১৫ খ্রীঃ
ঢাকা।
জিয়া ১৯৭১ সালে হাল ধরেছিলো? কেমনে ভাই? একটু ব্যাখ্যা করবেন কি?
রঙ চটা জীন্সের প্যান্ট পরা, জ্বলন্ত সিগারেট হাতে ধরা
সাদা টিশার্ট গায়ে তার হাত খোলা, সানগ্লাস চোখে আছে তোলা
রেখেছো কেন ঢেকে ঐ দুটি চোখ
হে মহানায়ক
https://www.youtube.com/watch?v=PqFqgGRQt6M
আপু অনেকদিন পর আপনার কল্যাণে এই গান্টা শুনতে পেলাম। ভাল লাগল। ভাল থাকুন। তবে জিয়া যে কোন বেশেই থাকতো ভাল লাগত। আজকের এই বি,এন, পি আমার গায়ে জ্বালা ধরায়।
এখানে হাল ধরা বলতে মনে হয় অন্য 'কিছু' ধরা বোঝানো হয়েছে
যদিও বাংলা ভাষায় লেখা তারপরও "ক্ষনে ক্ষেনে আজিও মানটে পটে হাহাকার রব উঠে" লাইনের অর্থ বুঝতে পারতেসি না...ফিলিং লস্ট
মানটে পটে নয়, এটা মানষ পটে হবে।
আহসান হাবীব ভাই, আপনে কই?
মিশু ভাই,
আসবেন নাকি চলে আসুক ভেড়ামারা।আন্ডার কন্সট্রাকশন ৩৬০ মেগাওয়াট পাওয়ার প্লান্টে। দেখা হয়ে যাবে?
মন্তব্য করুন