পবিত্র কুরআনের তাফসির এখন ইন্টারনেটে সম্পূর্ন বাংলায় !
বিশ্ব সভ্যতায় আল কুরআনের অবদান কতটুকো বিচক্ষন পাঠক মাত্রই বিষয়টি উপলদ্ধি করে থাকবেন, ধরনীর এমন একটি জনপদ নেই যেখানে এই মহান গ্রন্থের কোন না কোন কল্যানকর প্রভাব নেই, হাদিস শরিফে বর্নিত হয়েছে আল কুরআনের একটি অক্ষর কেহ যদি তেলাওয়াত করে তাহলে আল্লাহ রাব্বুল আলামিন এর নির্দেশে সেই মুসলিম এর আমলনামায় ফেরেস্তাগন দশটি নেকি লিখে দেন ! অন্য একটি হাদিসে আছে কেহ যদি পবিত্র কুরআনের মর্মবানী উপলদ্ধি করার জন্য রাতে কিছুক্ষন আল কুরআন গবেষনা করে তাহলে তার আমলনামায় সারারাত এবাদত করার সমপরিমান নেকি ফেরেস্তাগন লিখে দেন। এই হাদিস দ্ধারা প্রতিয়মান হয় কেহ যদি শুধু তেলাওয়াত করে তার চেয়ে সেই মুসলিম এর মর্যাদা মহান রবের নিকট অনেক বেশি যে মুসলিম কুরআনের মর্মবানী উপলদ্ধি করার জন্য সচেষ্ট হয়। সম্মানিত ব্লগারগন এবার চিন্তা করুন কেহ যদি একটি আয়াত তেলাওয়াত করে অতপর তার মর্মবানী উপলদ্ধি করার জন্য এর ব্যক্ষা অর্থাৎ তাফসির পড়ে তারপর সেই মোতাবেক আমল করে তাহলে তার মর্যাদা আল্লাহর নিকট কত উপরে বিষয়টি উপলদ্ধি করার জন্য আর ব্যক্ষা বিশ্লেসনের প্রয়োজন আছে কি ? অনেকেরই ধারনা কুরআনের মর্মবানী অনুধাবন করা সাধারন মানুষের জন্য তেমন একটা জরুরী নয় এবাদত বন্দেগী করার জন্য কিছু জরুরী মাসআলা মাসায়েল এবং নামাজ আদায় করার জন্য কয়েকটি সুরা মুখস্ত করে নিলেই চলবে। একথা বলার অবকাশ কোথায় ? পবিত্র কুরআনে আল্লাহ পাক রাব্বুল আলামিন বলেন ''আমি পবিত্র কুরআন বুঝার জন্য সহজ করে দিব অতএব তোমাদের মধ্যে এমন কোন চিন্তাশীল আছে কি ? চিন্তা করে দেখুন যারা কুরআন গবেষনা করতে চায় তাদেরকে আল্লাহ চিন্তাশীল ব্যক্তি বলছেন ! এর চাইতে সৌভাগ্য আর কি হতে পারে বলুনত। এখন যদি আপনি পবিত্র কুরআন এর মর্মবানী প্রতিদিন কিছুক্ষন গবেষনা করে সেই মোতাবেক আমল করেন তাহলে বিশ্বস্রষ্টার মতে আপনি চিন্তাশীল। আপনি জ্ঞানী। আপনি বিচক্ষন। এখন যদি ইসলাম বিদ্বেসীরা আপনাকে মৌলবাদী বলে কিংবা হতভাগ্য বলে অথবা বোকা বলে তাহলে আপনার কোন কিছু আসে যায় কি ? সম্মানিত ব্লগার ভাইয়েরা আমি আসলে বলতে চাচ্ছি না সমস্ত কাজ ফেলে কুরআন নিয়ে বসে যেতে, প্রতিদিন আল্লাহ রাব্বুল আলামিন আপনাকে আমাকে যে দয়া করে বাচিয়ে রাখছেন অথচ অসংখ্য লোক প্রতিদিন ইহজগত ছেড়ে চলে যাচ্ছে তাদের মধ্যে হয়ত এমন অসংখ্য হতভাগ্য লোকও থাকে যারা সময়ের অভাবে নিজের আত্বাকে সংশোধন করে যেতে পারেনি যার ফলে তারা ভয়ংকর শাস্তীর সম্মুখিন হচ্ছে, আল্লাহপাকত আপনাকে আমাকে এমন হতভাগ্য লোকদের অন্তভুক্ত করেনি, এর দ্ধারাই কি প্রমানিত হয় না তিনি আমাদের ভালবাসেন। আপনাকে আমাকে সময় দিয়ে রেখেছেন যেন আমরা সংশোধন হতে পারি। এর চেয়ে সোভাগ্য আর কি হতে পারে বলুনত। বস্তুত যারা কুরআন গবেষনা নিষপ্রয়োজন মনে করে তাদের জন্য আছে একটি ভয়ংকর আয়াত। এরশাদ হচ্ছে (হে মুসলিমজাতী) তোমরা কি আমার কুরআনের মর্মবানী অনুধাবন করার জন্য সচেষ্ট হবে না ? নাকি তোমাদের অন্তর তালাবদ্ধ। চিন্তা করে দেখুন আল্লাহ রাব্বুল আলামিন কত শক্ত কথাই না বলে ফেলেছেন তাদের জন্য যারা অলসতাবসত কুরআনের মর্মবানী অনুধাবন করার জন্য সচেষ্ট হয় না। আল্লাহ তায়ালা সুরা আল বাক্কারায় কাফেরদের জন্য ''অন্তর তালাবদ্ধ'' শব্দটি ব্যবহার করেছেন, এরশাদ হচ্ছে ''তাদের (কাফেরদের হৃদয়ে কানে মোহর মেরে দেওয়া হয়েছে এবং তাদের দৃষ্টির সম্মুখে পর্দা টেনে দেওয়া হয়েছে, তাদের জন্য প্রস্তত রয়েছে কঠিন শাস্তী'' উল্লেখ্য যে, অন্তর তালাবদ্ধ এবং অন্তরে সীল মোহর মেরে দেয়া একই বস্তু। অর্থাৎ আল্লাহ তায়ালা যেন বুঝাতে চাচ্ছেন অন্তরে সীল মেরে দেওয়ার ফলে কাফেরদের অন্তর যেমন কঠিন তেমনি যারা কুরআনের মর্মবানী উপলদ্ধি করে না তাদের অন্তরটাও কাফেরদের মতই কঠিন ফলে তাদের অন্তর প্রায় তালাবদ্ধ। এই ভয়ংকর বিপদ থেকে বাচতে হলে আমাদের একটি ইতিবাচক সিদ্ধান্তে আসা প্রয়োজন কারন আল্লাহ রাব্বুল আলামিন যদি আমাদের অন্তর মোহর মেরে দেয় আমাদেরই কর্মদোষের কারনে তাহলে ধরনীতে এমন কোন পীর আউলিয়া নেই যে আমাদের আত্বার রুদ্ধ দুয়ার উমুক্ত করে দিতে পারে। শুধুমাত্র সামাজিক দায়িত্ব পালন করার জন্য জরুরী কাজ রেখে এই পোষ্ট দিলাম,
কুরআন কেন গবেষনা করবেন ?
নিজে স্রষ্টার নির্দেশিত পথে চলার জন্য
পরিবারকে সতর্ক করার জন্য
প্রতিবেশিকে সতর্ক করার জন্য
বন্ধু মহলকে সতর্ক করার জন্য
আত্বীয় স্বজনকে সতর্ক করার জন্য
শাসক শ্রেনীকে সতর্ক করার জন্য
অমুসলিম সমপ্রদায়কে সতর্ক করার জন্য
তাহলে আর সময় নষ্ট নয় চলূননা কুরআনের দেশে ঘুরে আসি
একটি পূর্নাঙ্গ তাফসির ক্রয় করতে হলে আপনাদের মার্কেটে যেতে হত ২০০০ টাকা নিয়ে, আর এখন কতিপয় মহৎ লোকদের কারনে ঘরে বসে সম্পূর্ন ফ্রি পরতে পারছেন।
মন্তব্য করুন