"কিচ্ছু ভাল্লেগা না" রোগের সেবা প্রদানকারী ইউনানী হাকিমী দাওয়াখানা
আজকাল এটা খুবই প্রচলিত একটা বাক্য । বাসায়, অফিসে,
ব্লগস্ফিয়ারে, ফেবুতে ভুড়ি ভুড়ি "কিচ্ছু ভাল্লাগে না" টাইপের কথা দিয়া ভর্তি। আমার চার বছর বয়সী মেয়ে যখন সারাদিন পার্কে,মলে ঘোরাঘুরির পর বলে "বাবা, আমার কিচ্ছু ভাল্লাগছে না" - তখন মনে মনে ঠিক করি একটা দাওয়াখানা থাকা উচিত কিচ্ছু ভাল্লাগে না রোগের জন্য।
মেয়ের মা ও মাঝে মাঝে বলে কিছু ভাল্লাগে না। আহলাদী ছোট ভাই-বোনের ষ্ট্যাটাস মেসেজে দেখি কিচ্ছু ভাল্লাগে না।
বন্ধুদের মেসেজ গুলো আরো ভয়াবহ ধরনের ১৮+।
দোস্ত কিসুই ভাল্লাগে না -- দুনিয়াটারে মনে হয় *%*%& #$%&(ছাপার অযোগ্য)।
{মাঝে মাঝে আমার নিজেরও মনে হয় কিছুই তো ভালো লাগে না}
এই সম্পর্কিত চিন্তা ভাবনা থেকে একটা দাওয়াখানা প্রস্তুত করার মাথায় এলো --
প্রথমেই রোগের উপসর্গ গুলো জেনে নেই চলুন -
১। রোগীর বয়স ৪ - ৪৪ হতে পারে ।
২। রোগীর কোন মৌলিক চাহিদা জনিত কোন সমস্যা থাকে না ।
যেমন খাওয়া-পড়া, বাসস্থান, শিক্ষা, বস্ত্র ইত্যাদি সব কিছুই পরিপূর্ন থাকে । বেশী থাকলে ভাল্লাগেনার পরিমান আরো বেড়ে যায়।
৩। রোগীর শক্ত কোন শারীরিক অসুখ থাকে না।
৪। তার কাছের আত্মীয়স্বজনও বহাল তবিয়তে থাকে ।
{তার মানে মানসিক কোন কষ্ট নাই }
৫। রোগী হয় নেট এ্যাডিক্ট না হয় টিভি এ্যাডিক্ট । শারীরিক এ্যাক্টিভিটিজ কম থাকে তার।
তো মোটামুটি বোঝা গেলো যে জীবনে বিশাল কোন ঝামেলা ছাড়া মানুষই "কিচ্ছু ভাল্লাগে না" তে আক্রান্ত হয়।
{অবশ্য সমস্যা তো সবারই থাকে -- ছোট খাট সমস্যা ছাড়া কোন চার বছর বয়সীও থাকে না}
আমাদের প্রচলিত একটা প্রবাদ আছে "ফাজিল পোলাপানের প্যান্ট ঢিলা করে রাখতে হয়"
এর কারন হলো প্যান্ট টেনে তুলতে তুলতে তার দুষ্টুমি করার সময় চলে যায়।
ইউনানী পদ্ধতিতে আমাদের দাওয়াখানার ওষুধেও এই ট্রিকস প্রয়োগ করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
এবার আসুন আমাদের হাকেমী ইউনানী চিকিৎসা প্রনালী তে এই রোগের সমাধান দিতে চেষ্টা করি
১। আপনি উপার্জনক্ষম পুরুষ আর বিবাহিত হলে আপনার টাকা পয়সা
বউ এর নামে করে দিতে পারেন।
{অতিরিক্ত অর্থই কিচ্ছু ভাল্লাগের মূল উৎস নির্দিষ্ট একটা বয়স শ্রেনীতে }
২। আপনার যদি মনে হয় আপনার চেহারা অনেক খারাপ এই কারন মনোকষ্টে ভুগে "কিচ্ছু ভাল্লেগা না" তৈরী হয় তাহলে আজই কম খরচে একটা রেজর কিনে এনে মাথা কামিয়ে ফেলুন ।
চুলের বোঝা হালকা হবে । নতুন একটা সমস্যা তৈরী হবে । চেহারা নিয়ে দু:চিন্তা করার কিছুই থাকবে না।
৩। ৪ বছর বয়সীদের সমস্ত খেলনা তার বন্ধুদের দান করে দিতে হবে।
খেলনার শোকে তার কিচ্ছু ভাল্লাগে না সেরে যাবে।
সম্প্রদান কারকে কিছু দান করা সববয়সীদের জন্যই উপকারী।
৪। আপনি ফেসবুক/নেট এ্যাডিক্ট হলে -- ফেসবুকের পাসওয়ার্ড অন্য সব পাসওয়ার্ড শত্রু বা প্রেমিক-প্রেমিকা / স্বামী-স্ত্রী কে দিয়ে দিতে পারেন।
মাথা নাই মাথা ব্যাথাও নাই।
৫। ব্লগে লিখার কোন টপিক খুজে না পেলে কিচ্ছু ভাল্লাগে না রোগ মাথা চারা দিতে পারে।
এই ক্ষেত্রে আমি মডুদের নিয়ে তৈলাক্ত কোন পোষ্ট দিতে পারেন,
জনপ্রিয় কোন ব্লগার/লেখকের লেখা কপিপেষ্ট করে দিতে পারেন,
কুখ্যাত কোন ব্যক্তির নামে গুন কীর্তন করতে পারে না।
এসব করতে এ্যানার্জি না পেলে "কিচ্ছু ভাল্লাগে না " শিরোনামে কোন পোস্ট দিতে পারেন।
আম-জাম-কাঠাল ব্লগার বস্তা ভরে ফল ফ্রুট নিয়ে এসে আপনার তবীয়ত দেখে যাবে।
৬। আপনার চাকরী/ব্যবসা/ডিগ্রী নিয়ে মনোকষ্টে থাকলে উর্দ্ধতন কর্তপক্ষ কে
একটা ইমেইল করতে পারেন সৎ ভাবে তাদের কিভাবে মূল্যায়ন করেন , কিভাবে তাদের কাজ কর্মে আপনাকে তাদেরকে বিশেষ একটা প্রানীর সাথে তুলনা করতে ইচ্ছে করে।
এতে যদি চাকরী/ ব্যবসা/ডিগ্রী চলেও যায় আপনার নতুন সমস্যা কারনে আপনি অনেক দিন ব্যস্ত থাকবেন।
৭। গবেষনায় দেখা যায় ভেজিটেরিয়ানরা এই রোগে কম আক্রান্ত হয় ।
আজই বাসায় গিয়ে ফার্মের মুরগীর গুলোকে ডাষ্টবিনে ফেলুন ।
মনে রাখবেন আমরা যা খাই -- সেসব আমাদের আচরনে প্রভাব ফেলে।
একটা ফার্মের মুরগীর কিচ্ছু আসলে না ভালো লাগারই কথা।
৮। আপনি নারীগোত্রীয় আর সন্ধ্যায় হিন্দি সিরিয়াল ভক্ত হিসাবে কিচ্ছু ভালো না লাগায় আক্রান্ত হয়ে থাকলে ।অবিলম্বে স্যুটকেস গুছিয়ে বাপের বাড়ী চলে যেতে পারেন। যে কোন সমস্যা সমাধান করা টিভির চে বাস্তবে অনেক বেশী চ্যালেন্জিং।
এসব কিছুতেও যদি কাজ না হয় -- আপনার পরিস্থিতি অনুযায়ী কোন একটা সমস্যা তৈরী করুন ।
মনে রাখবেন ভূত বলে কিছুর অস্তিত্ব না থাকলেও সুখে থাকলে ভূতের কিল খেতেই হয়।
ভূতের কিল খাবার আগেই নিজেই কিল মেরে নিরাপদ থাকুন।
ঠ্যাংনোট:
আর যাদের এসবেও কোন কাজ হবে না তারা>
প্যান্ট ঢিলা করে পরুন।





লেখক বলেছেন: আর যাদের এসবেও কোন কাজ হবে না তারা>

প্যান্ট ঢিলা করে পরুন।
আর যারা লুঙ্গি পরে??
এ্যাঁ !
লুংগি পড়ার অভ্যাস থাকলে জনসমক্ষে কাছা মেরে চলা উচিত ।
মানুষের নজরের গুনে কিচ্ছু ভালো লাগতেও পারে।
ভাই, লেখাটা ফান মুডে লেখা হৈলেও, ঘটনা কিন্তু চরম সত্য....চিকিৎসাডা কতটা ফলপ্রসু, সেডা বুঝা না গেলেও, সিম্পটমগুলা আদতেই মারাত্মক....বিশেষত ২ আর ৩ নম্বরটা...
এইডা তো এবিতে বিশিষ্ট সমাজ সেবক, সেলিব্রেটি ব্লগার, কুটি ব্লগারের জানের কুলবড়ই অরণ্যক(মাঝে মাঝে ০ ওয়ালা) ভাইয়ের স্বাতম পোষ্ট...
বাচ্চালোগ, ড্রাম নিয়া আসো, আম্রা ঢোল বাজাবো...স্বাগতম ভাই
।নালায়েক !
চিকিৎসা সবই ফলপ্রসু ইউনানী হাকেমী চিকিৎসা অব্যর্থ !
দেশে
এতো ইউনানী দাওয়াখআনা কি মনে করো খআলী নানীদের চিকিৎসা করে ?!
ড্রাম নিয়া আসার কথায় ভয় পাইসি - আমারে আবার চুবাটুবা দেয়া হৈবো না তো
?
এডাতো আমার বিলাই আমারে ম্যাও কওয়ার মত হৈলো, মোডে মোডেই সোন্দোর শব্দটা শিখাইলাম, আর আমারেই আমার অষুধ খাওয়াইলেন?
আরে নাহ, এডা সেই ড্রাম না, এডা ভ্যান্ডের ডিড়াম আছে না? ঐ সেইডা...বাজাবো...
।নাদাখ।স্ত শব্দটার মতো এই শব্দটাও ব্যবহার করে ভালো লাগতাসে ।
আমাদের
ভাষায় কত শক্ত শক্ত গুল্লি মার্কা শব্দ আছে ।
আমাদের এইগুলা
ব্যবহার করা উচিত । আরেকটা নতুন শব্দ পাইলাম >
হারমাদ !
যারা সত্যিকারের সমস্যায় আক্রান্ত, ঝামেলায় যাদের ভালো লাগে না, দুঃশ্চিন্তায় যাদের ঘুম আসে না তাদের কি করা দরকার যদি বস একটু আলো দেখাইতেন
।
অইসবের জন্য "স্বপ্নে পাওয়া সর্বরোগের মহাওষুধ" প্রস্তুত কারী হেমায়েতপুরীবাবা আরন্যক ফার্মাসিউটিক্যাল কম্পানীর বিজ্ঞাপন অচিরে পোষ্ট আকারে আসছে ।
ষ্টে টিউনড !
আপনি কি সামহয়ারের শুন্য আরণ্যক না?
কেনু ? হঠাৎ ইনকোয়ারী কমেটি গঠন করার কারন কি ?
না জাস্ট কৌতুহল কারন সামুর শুন্যআরণ্যকের চার বছর এর কন্যা থাকতে পারে ভাবিনি আর কি
কি জানি -- তেমন কোন অবিশ্বাস্য ব্যাপার না যদিও ।
আমিও ব্লগে তেমন ভাবে বলিনি কখনো । খুচরা কোন মন্তব্যে বলেছিলাম মনে পড়ে।
সোজা প্রিয়তে।
তোমারে তো পোলাপাইন ভাবতাম। এখন দেখি কয়দিন (কয়দিন্ মানে ১৮-২০ বছর) পর শ্বশুর হবা।
আপনার পোলাপান ভাবার অভ্যাসটা কমান ।
অনেকের কাছে আপনেও পোলাপান হতে পারেন
কমেন্ট খেকো ডেভু মামারে কি গাইল দেয়া যায়?
দেন ইচ্ছা মতো -- আমি প্রতিটা মন্তব্য কপি কইরা রাখি ।
এক চান্সে কোন মন্তব্য গেলে আল্লাহ শুক্কুর ।
http://lazarus.interclue.com/
আপনি মজিলা ইউজ করলে এই এ্যাড অন টা লাগাইতে পারেন -- কোন ফর্ম থেকে কোন তথ্য আর হারাবে না ।
খুবই কাজের জিনিস ।
এবি র জন্য খুবই কাজের ।
এ্যাড অন লাগাইতে হবে কেন??

মন্তব্য না আসলে খালি bacKএ গেলেই তো হবে, মন্তব্যের ঘরে সেই মন্তব্যটা save থাকে। আবার নতুন করে "মন্তব্য করুন" বাটনে খালি টিপি দিতে হবে, এই যা!!!
কতো কায়দা !
আমার মেয়ের বয়স যখন আড়াই বছর। তখন সে একদিন সোফায় গা এলায়া দিয়া বিরস মুখে বললো "আমার কিছু ভালো লাগে না"
সেদিন ব্যাপক তব্দা খাইছিলাম।
আপনের লেখাটা পইড়া মজা পাইছি।
হাহাহা ।
পোলাপান যা দেখে তাই কপি করে ।
ধইন্যা পাতা কমেন্তের জন্য ।
birat gobeshona, tobe onektai shotto....ami dekhesi jokhon porikkha ba project er chape thaki tokhon esob "kicchu bhalo lagena" marka feelings er kotha monei porena, jokhon arame thaki tokhoni mone hoi ki jeno nai, porano kore hai hai!! jader du bela khawa jutaite onek koshto korte hoi tader ei feelings ta kokhono ashena, majhe majhei mone hoi ashole amar gramer mia mamu name ek lok asen, tini khub khub komi gari choren, bhoi paan, sob milie Ctg. shohore eshesen sara jeebone 3/4 bar, tar jeeboner 45 yrs kete gese sei 2/3 miles jaigar moddhe, Juddhporadhir bichar nie tar kono chinta nei, America kar picone bansh dicche tar esob dharona nei, Israle koijon Palestine i shishuk boma marlo esob tar gunai nei..BD army pahareeder ghor purie dicche kina chinta nei....tini sobcheye sukhee manush....amra jeebontak unnecessarily complicated kore feltesei....keno kortesi setao janina.
মানুষের ডিজাইনটা এমন করে করা হয়েছে মানুষ ভেজাল ছাড়া থাকতে পারে না ।
যখন মানুষ পরিপূর্ন সুখই থাকে তখন তার চুলকায় কোন ঝামেলা করার জন্য -- এই কারনে বিরাট বড় ঝামেলায় পড়ে
তাই চিন্তা করে দেখলাম ছোট খআট অনেক ভেজালে থাকলে এসব ফালতু সমস্যআ মাথা চারা দেয় না।
---
আসলেই ্যাদের কম আছে ,্যারা কম জানে তারা অনেক সুখএর অসুখ থেকে মুক্ত ।
আমার ৪/৫ বয়সি ভাতিজা একবার মুখ বেজার কৈরা কৈলো, "আমার ভাল্লাগেনা"।
জিগাইলাম, ক্যান ?
ভাতিজা কয়, "মনের অসুখ"।
দলছুট এর আহ এলবামের গান "আমার ভাল্লাগে না ভাল্লাগেনা মনের অসুখ"
ইদানিং কালে বাচ্চাদের মাঝে এটা বেশ ছড়ায় গেসে দেখআ যায় ।
আমরা যখন ছোট ছিলাম -- দৌড় ঝাপ লাফালাফি কইরা এইসব চিন্তা করার কোন টাইমই থাকতো না ।
ঠ্যাংনোট:
আর যাদের এসবেও কোন কাজ হবে না তারা>
প্যান্ট ঢিলা করে পরুন..... বিয়াপক হৈছে
তঃ
থ্যাংকুস !
I'm a creep I'm a weirdo what the hell i'm doing here :( ভাল্লাগেনা ফ্রেন্ডো :#(
আহ দোস্ত -- রেডিওহেড -- আমার ফেব গানটার কথা বল্লি !!
আহ কি সব দিন ছিল
মূলত ব্যস্ত না থাকলেই এই রোগ দেখা দেয়। কায়িক পরিশ্রম করলে এতো ভাবাভাবির টাইমই পাবে না, ক্লান্ত হইয়া ঘুমায় পড়বে। সব ভাল্লাগবে। এটা ভালু ঔষধ। প্যান্ট ঢিলা কইরা পড়ার মতোই আর কি... ব্যস্ত থাকতে হবে
আমি তো চরম ব্যস্ত, সারারাত জাইগা কাজ করতেছি, আইজকা ঘুম নাই - তারপরও তো আমার ভাল্লাগে না ... আমি কি করুম
রাতজাগা খুব খারাপ অভ্যাস । বই এর কথা বল্লাম না -- ১০ বছরের রাতজাগার এক্সপেরিয়েন্স থেকে বল্লাম । রাত জাগা ছেড়ে দেন -- অনেক সমস্যা এমনিতেই সলভ হয়ে যাবে ।
আজকা এই রোগ দেখা দিব মনে হইতাছে
আপনারে আমার দাওয়াখআনার সম্মানিত ডাক্তার হিসাবে নিয়োগ দিলাম !
রোগের নিরাময়তো জানিনা ।
তাইলে কেম্নে কি ??
ভাংগা পেন্সিলরে বলছিলাম --
আপনে চাইলে কম্পাউন্ডায় হৈতে পারেন Laughing
আমি ডাক্তার বাড়ির পোলা
আমি তো জানতাম আপনি ইন্জিনিয়ার !
ঠ্যাংনোট:
আর যাদের এসবেও কোন কাজ হবে না তারা>
প্যান্ট ঢিলা করে পরুন.....
হা হা হা, দারুন লাগছে পোষ্ট। পয়লা পোষ্টে স্বাগতম জানাইলাম।
থ্যাংকুস
কি অবস্থা।
ভালো -- আপনি কেমন আছেন ?
কিচ্ছু ভাল্লাগে না
আপনা।রা যা বল্লবেন সেটাই শিরোধার্য !
সত্যিই কিছু ভালো না লাগলে আজকে এক মাইল দৌড়াইয়া আসেন --
এক গ্লাস পানিরেও তখন ইষ্টারেষ্টিং জিনিস বলে মনে হবে ।
কন কি?দৌড়ামু কেন? এখন অনেক রাইত।মাইনসে কি কইব?
কি জানি একটা কপিতা পড়ছিলাম ছুটু কালে
"করিতে পারি না কাজ সদা ভয় সদা লাজ
সংশয়ে সংকল্প সদা টলে -- পাছে লোকে কিছু বলে"
লোকের কথায় চিন্তা করে জীবনে কেউ মহৎ কাজ করতে পারে নাই !
তয় আমি শুনছি ৬০ এর পরেও (আই মিন চুল পাঁকিলেও) নাকি এই 'কিছুই ভাল্লাগেনা' রোগ হইতে পারে। তাগো জন্য কোন সু-ব্যবস্থা নাই?
আমি শুন্ছি ৪০ এর উপরে গেলেই মানুষের মৃত্যু চিন্তা শুরু হয় -- এই ধরনের ফাউল অসুখ তখন আর কাবু করতে পারে না ।
তাছাড়া ৬০ হৈলে ডায়াবেটিস, বাতের ব্যাথা -- নানান ব্যাথা সমূহ তাদের এমনিতেই কাবু রাখে।
এইযুগের বিধান রায়ের সাথে পরিচিত হয়ে ভাল লাগল।
আমারে কইলেন ?
স্বাগতম। ব্লগে দাওয়াখানার অভাব ছিল। আশা করি রোগীর অভাব হবে না।
শালগমোতম ।
দাওয়াখানায় কম্পাউন্ডার নিয়োগ চলতেসে । দলে দলে
এ্যাপ্লাই করুন ।
কথাগুলা খুবই সত্যি জিরোদা। যে প্রবলেমগুলা দেখাইসেন সেগুলা যেমন সত্যি, যে সলিউশনগুলা দিসেন সেগুলাও তেমনই ঠিক (বিশেষ করে ৮ নাম্বারটা, খিক খিক!)। আমি সাধারণতঃ একটা ফর্মুলা অ্যাপ্লাই করে করে চলি, তা হলো কখনও খুব বেশি খারাপ লাগলে যেসব মানুষ আমার চেয়েও আরো অনেক বেশি কষ্টে আছে তাদের কথা ভাবি, তখন নিজের কষ্টটা অনেক কম মনে হয়। ইট রিয়ালি ওয়ার্কস!
আরও একটা কাজ করি, কোনও একটা নির্দিষ্ট মুহূর্তে খুব কষ্ট হলে চিন্তা করি, এই সময়টা তো চিরস্থায়ী না, এরপরেও আরও অনেক সময় আসবে। পৃথিবীতে তো ঐ অর্থে চিরস্থায়ী না কিছুই, তাহলে এই সময়টুকুরই বা দৈর্ঘ্য কতটুকু? সামনে কি অপেক্ষা করে আছি আমরা তার কতটা জানি? ব্যাস, এই কথা চিন্তা করতে গেলেই এমন বোকা হয়ে যাই যে আর কোনও 'ভাল্লাগেনা' টাইপ চিন্তা মাথায় থাকে না।
ভেবু আসলেই ভাবুক প্রাণী ।
হেহে!! এখন যদি খোমাখাতায় সার্চ মারি "ভাল্লাগে না", দেখা যাবে ৪/৫ টা হিট হবে!!!
এই রোগ ব্যাপক ছোঁয়াচে ।
টিপস জাইনা রাখলাম । আমার প্যান্ট বেশ ঢিলাই
এবিতে স্বাগতম ।
ঠ্যাংনোট ঃ কিচ্ছু ভালু লাগে না!! দুনিয়া জোড়া গিয়াঞ্জাম!!

ঠিক ঠিক ব্যাপক ছোয়াচে
ভাল্লাগেনা
"কিচ্ছু ভাল্লাগেনা' শিরোনামে দেইখায় ভাবলাম মন্তব্য দিমু জলদি শাদি করেন, যদিও পরমর্শদাতা স্বয়ং আজ অবধি সে লাড্ডুর স্বাদ নিতে ব্যর্থ বলিয়া 'স্বীকার্য' হয় !
দ্বিতীয় লাইনেই দেখি, ৪বছরের বাচ্চার বাপ ।
ঔষধগুলান ফলপ্রসূ হইবেক ধারণা করা যায় ।
দুর্দান্ত সমাধান!
মন্তব্য করুন