বেহাল মুজিবনগরে এক চক্কর
১৭ এপ্রিল মুজিবনগর দিবস পালিত হয়ে গেল। কয়েকদিন আগে আমরা কয়েকজন লালনমেলায় যাওয়ার সুযোগে মুজিবনগর দেখে এলাম। তো, দেখতে গিয়ে মেজাজ খারাপ হয়ে গেল। আমার লেন্সটা শেষ সময়ে বিগড়ে যাওয়ায় ৫০ মিলি/১.৮ দিয়েই ক্যামেরা চালাচ্ছিলাম। ভেবেছিলাম বাউলদের প্রোফাইল তুলতে এই লেন্সই যথেষ্ঠ। কিন্তু অবস্থা দেখে সেই লেন্স দিয়েই কিছু ছবি তুলে আনলাম। আসল পরিকল্পনা ছিল এই ছবিগুলো দিয়ে রাজকূটে একটা ফটোফিচার করব ১৭ এপ্রিলের আগে আগে। কিন্তু পরিকল্পনার পরী উড়ে গেল আগেই, রাজকূট অকালে নিহত হয়ে গেল।
তো, ব্লগই ভরসা। আসুন, মুজিব নগর দেখে আসি।
১. জ্বি, এটাই সেই সৌধ। খুব নীরব নিঝুম দেখে ভাববেন না এখানে লোকজন নেই:
২. লোকজন আছে মানে আছে, সংরক্ষিত এলাকার মধ্যে বসে গেছে গোটা একটা বাজার:
৩. মোটরসাইকেলের বাজার নয় এটি, বখাটেদের ভিড়:
৪. এই তরুণি তার সন্তানকে নিয়ে যাচ্ছিলেন ডিসপ্লে দেখাতে। পিছু নিয়েছে ৩ বখাটে। ডানপাশের জন শীলাকি জোয়ানি গাচ্ছিল যখন আমি ছবিটা তুলি:
৫. পাবলিক টয়লেটের অবস্থা কল্পনা করলেও ভয় পাবেন। সুতরাং দেয়াল ঘেষেই মুত্রত্যাগ:
৬. মুত্রত্যাগ করলেই কি চলে, দেয়ালে তো দাজ্জালের উপস্থিতি জানাতেই হয়:
৭. জনতা ব্যস্ত পিকনিকে:
৮. পিকনিকের ভুড়িভোজের পরে পড়ে থাকে আবর্জনা। স্মৃতিসৌধের আশেপাশে, চারপাশে:
৯. এসব দেখে ভাবছেন কোনো নিরাপত্তাই নেই সেখানে। ভুল! আমাদের সদা জাগ্রত বর্ডার গার্ড নাকি পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা সেখানে নিয়োজিত আছেন। তাঁদের কাজ হচ্ছে শুধু এই মূর্তিগুলো পাহারা দেয়া, যাতে করে মূর্তির পাশে লেখা যুদ্ধের ইতিহাসটুকু কেউ কাছে গিয়ে পড়তে না পারে। ইতিহাস তো সংরক্ষনেরই বিষয়, ব্রাত্যজন সেটা পড়বেই বা কেন?
দুনিয়ার সব জায়গাই পিকনিক স্পট বানায়ে ফেললো বাঙ্গালী ।
এই হলো আমাদের দেশ।
আরিফ ভাইকে অনেক ধন্যবাদ ছবিগুলো শেযার কার জন্য। কেউ যদি দূর থেকে এই ঐতিহাসিক জায়গা দেখতে যায় তাহলে তাকে পুরোটাই হতাশা নিয়ে ফিরে আসতে হবে।
হ!
বাহ, সুন্দর ফটোব্লগ!
মুজিবনগর গেছি একবারই ২০০৫ সালে।সেই সময় এতটা জাকঁজমক ছিলো না।নিরিবিলি শান্ত পরিবেশ ছিলো।
=================================
বস আপনার বাকী লেখা গুলা কই??
বাকি লেখা আলমারিতে।
কয় দিন পর টুঙিপাড়াও পিকনিক স্পট হবে
হায়রে দেশ!
তাইলে বিএনপির আমলে এইখানে কী হয়?
আপনের পোস্টের আলোচনা আর ছবিতে বহুদিন পর মুজিবনগরে হালহকিকত দেখলাম। ভালো লাগলো...
জায়গাটার জন্য বড় দরদ লাগে।
আরো ছবি আসতে পারতো।
আরে আরিফ যে !
ভাগ্যিস রাজকূট বন্ধ হৈছে (বড়ই আফসোসের বিষয়, ম্যাগাজিনটারে আমি বালা পাইতাম), নৈলে
এই ছবি আর লেখা সবাই পাইতো কৈ ?
আমার মততো সবাই বাসায় কালের কন্ঠ রাখে না !
আছো কিরাম ভ্রাতঃ ?
এই অবস্থা? তাও লীগের সময়ে?
যারা ভাবছেন লীগের সময় এই এলাকার এই অবস্থা, তাঁদের বলছি, লীগের সময়ই তো এই অবস্থা হওয়ার কথা, তাই না?
ফাটোস্টোরি ভালো লাগসে। আরিফ ভাইএর আর একটা জিনিসও ভাল্লাগসে, কিন্তু সেটা বলা গেল না।
সবচেয়ে শেষের ছবিটার ক্যাপশনটা মারাত্বক হয়েছে
মন্তব্য করুন