ক্ষমা করো হে নারী
আজ আন্তর্জাতিক নারী দিবস । এদিনে তোমাদের নিয়ে টিভিমিডিয়া টক শো করবে,পত্রিকায় বিশেষ পাতা বেরুবে , ব্লগাস্ফিয়ারে প্রচুর পোস্ট আসবে (নারীর সম্মানে পোস্ট স্টিকি হবে কোথাও ), ফেসবুকে ষ্ট্যাটাসের বন্যা বইবে কিন্তু তুমি নারীই থেকে যাবে বেলা শেষে । বস্তুত:দুনিয়ার সমস্ত আবিস্কারে
ইতিহাস বিনির্মানে
অধিকার আদায়ের সংগ্রামে তথা মুক্তির লড়াইয়ে
সাহিত্যে ধর্ম দর্শনে বিজ্ঞানে সংস্কৃতিতে
যুগে যুগে তোমরা রেখেছে অবদান
কিন্তু পুরুষতান্ত্রিক ইতিহাস তোমাদের কথা চেপে গেছে
সমাজ তোমাদের কথা ভুলিয়ে দিতে চেয়েছে
আর শিশ্নকেন্দ্রীক সাহিত্য সমালোচনা তোমাদের অস্বীকার করেছে ।
আজ আমাদের এ দীনতা ও অপরাধ ক্ষমা করো হে নারী ।
Ntozake Shange'র একটি ইংরেজি কবিতা শেয়ার করে শেষ করছি
With No Immediate Cause
every 3 minutes a woman is beaten
every five minutes a
woman is raped/every ten minutes
a lil girl is molested
yet i rode the subway today
i sat next to an old man who
may have beaten his old wife
3 minutes ago or 3 days/30 years ago
he might have sodomized his
daughter but i sat there
cuz the young men on the train
might beat some young women
later in the day or tomorrow
i might not shut my door fast
every 3 minutes it happens
some woman’s innocence
rushes to her cheeks/pours from her mouth
like the betsy wetsy dolls have been torn
apart/their mouths
menses red & split/every
three minutes a shoulder
is jammed through plaster and the oven door/
chairs push thru the rib cage/hot water or
boiling sperm decorate her body
i rode the subway today
& bought a paper from a
man who might
have held his old lady onto
a hot pressing iron/i don’t know
maybe he catches lil girls in the
park & rips open their behinds
with steel rods/i can’t decide
what he might have done i only
know every 3 minutes
every 5 minutes every 10 minutes/so
i bought the paper
looking for the announcement
the discovery/of the dismembered
woman’s body/the
victims have not all been
identified/today they are
naked and dead/refuse to
testify/one girl out of 10′s not
coherent/i took the coffee
& spit it up/i found an
announcement/not the woman’s
bloated body in the river/floating
not the child bleeding in the
59th street corridor/not the baby
broken on the floor/
there is some concern
that alleged battered women
might start to murder their
husbands & lovers with no
immediate cause”
i spit up i vomit i am screaming
we all have immediate cause
every 3 minutes
every 5 minutes
every 10 minutes
every day
women’s bodies are found
in alleys & bedrooms/at the top of the stairs
before i ride the subway/buy a paper/drink
coffee/i must know/
have you hurt a woman today
did you beat a woman today
throw a child across a room
are the lil girl’s panties
in yr pocket
did you hurt a woman today
i have to ask these obscene questions
the authorities require me to
establish
immediate cause
every three minutes
every five minutes
every ten minutes
every day.
আমরাও কিন্তু ব্যানার দিছি
আজকে আমি যে মানুষটা আছি, যা কিছু হয়েছি; তার পেছনে আধডজনেরও ওপর নারীর অবদান আছে। সে হিসাবে আমার মা-তো আছেনই সাথে আমার বোনেরা, আমার স্ত্রী, আমার আত্মীয়ারা, আমার বান্ধবীরাও আছেন। আজ এই নারী দিবসে তাঁদের সবার প্রতি আমার জন্য তাঁদের অবদানের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। সেই সাথে অভিনন্দন পৃথিবীর সকল নারীকে তাঁদের প্রচেষ্টা, সাহস, ত্যাগ, সংগ্রাম আর সাফল্যের জন্য।
একদমই মনের কথা বলছেন ...
১৮৬৯ সালে বৃটিশ পার্লামেন্টে তৎকালীন সংসদ সদস্য জন স্ট্রুয়াট মিল মহিলাদের ভোটাধিকার প্রদানের পক্ষে সর্বপ্রথম মত প্রকাশ করেন। ১৮৯৩ সালের ১৯সেপ্টেম্বর নিউজিল্যান্ড বিশ্বের প্রথম রাষ্ট্র হিসেবে নারীদের ভোটাধিকার অনুমোদন করে। তবে বিশ্বের অন্যান্য দেশে মহিলাদের সমঅধিকার আন্দোলন বহুবছর পর্যন্ত থেমে থাকে। ১৯১০ সালে কর্মজীবি নারীদের দ্বিতীয় বিশ্ব সম্মেলন ডেনমার্কের রাজধানী কোপেন হেগেনে অনুষ্ঠিত হয়। ক্লারা জেটকিন নামে এক নারী নেত্রী (যিনি জার্মানীর সোশাল ডেমোক্রেটিক পার্টির সদস্য ছিলেন) বিশ্ব নারী দিবস নামে এক নতুন মতবাদ উত্থাপন করেন। তিনি প্রস্তাব করেন যে, মহিলাদের দাবী দাওয়া প্রকাশের জন্য প্রত্যেক বছর বিশ্ব নারী দিবস নামে একটি সম্মেলন হওয়া দরকার। ১৭টি দেশের ১০০ জন নারী নেত্রী এবং বিভিন্ন সংঘ, সমাজতান্ত্রিক দল, কর্মজীবি নারী এবং ফিনল্যান্ডের তিন জন পার্লামেন্ট সদস্য স্বতস্ফূর্ত ও সর্বসম্মত ভাবে জেটকিনের প্রস্তাবনা সমর্থন করেন, যার ফলশ্রুতিই-বিশ্ব নারী দিবস।
নারী নেত্রী ক্লারা জেটকিনের উদ্যোগে ১৯১১ সালের ১৯ মার্চ প্রথম বিশ্ব নারী দিবস পালিত হয়। এই তারিখটি এই জন্যই নির্বচিত হয় যে, ১৮৪৮ সালের সংঘটিত বিদ্রোহে প্রুশিয়ার তৎকালীন রাজা উপলব্ধী করেছিলেন যে, ঐ সময়ে তার রাজ্যের সংখ্যাগরিষ্ঠ শ্রমজীবি, বিত্তহীনদের তুলনায় রাজ্যের সৈন্য-সামন্ত ছিল খুবই কম। এ অবস্থায় জনসাধারনের নানাবিধ দাবী-দাওয়া তিনি মেনে নিলেন। এবং একই কারনে মহিলাদের ভোটাধিকারের স্বীকৃতি দিলেন।
১৯১৩ সাল থেকে প্রতিবছর ৮ মার্চ বিশ্বনারীদিবস পালিত হয়ে আসছে। ১৯৭৫ সালে জাতিসংঘ আনুষ্ঠানিক ভাবে এই দিনটিকে আন্তর্জাতিক নারী দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। এই দিনকে সম্মান জানিয়ে বিশ্বের অনেক দেশ এই দিনটিতে সরকারী ছুটি ঘোষণা করেছে। যেমন, চীন, আর্মেনিয়া, রাশিয়া, আজারবাইজান, বেলারুশ, বুলগেরিয়া, কাজাখস্তান, কিরগিজস্তান, ম্যাকদোনিয়া, মালদোভা, মঙ্গোলিয়া, তাজিকিস্তান, ইউক্রেন, উজবেকিস্তান এবং ভিয়েতনাম।
এর পর থেকে পুরো মার্চ মাস জুড়ে মহিলাদের অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক এবং সামাজিক নানা সাফল্যের ঘটনা বিশেষ ভাবে তুলে ধরা হয়। এই দিনকে সম্মান জানিয়ে বিশেষ ভাবে একটি থিম দেয়া রীতি হয়ে দাঁড়ায়। অনেকে যদিও ভাবে যে, প্রতিবছর একটিই বৈশ্বিক থিম থাকে এটি আসলে সত্যি নয়। কোন থিমটি নির্বাচিত হবে সেটি নির্ভর করে বিভিন্ন দেশের ওপর। এ পর্যন্ত আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে জাতিসংঘ যে সমস্ত থিম ব্যবহার করেছে তার মধ্যে কয়েকটি-
২০১১- Equal access to education, training and science and technology ; Pathway to decent work for women.
(শিক্ষা, প্রশিক্ষণ, বিজ্ঞোন এবং প্রযুক্তিতে সম অংশগ্রহণ ; নারীর কর্মক্ষেত্রকে সুন্দর করার অন্যতম পথ)
২০১০-Equal rights, equal opportunities; progress for all
(সম অধিকার এবং সুযোগ; সবার জন্য উন্নতির পূর্বশর্ত)
২০০৯-Women and men united to end violence against women and girls
(নারী ও মেয়েশিশুদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অবসান ঘটাতে পুরুষ ও নারী একতাবদ্ধ)
২০০৮- Investing in Women and Girls
(নারী ও মেয়েশিশুদের পেছনে সম্পদ বিনিয়োগ করুন)
২০০৭- Ending Impunity for Violence against Women and Girls
(নারী ও মেয়েশিশুদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের বিচার নিশ্চিত করা)
২০০৬- Women in decision-making
(সিদ্ধান্ত গ্রহণে নারী)
২০০৫- ২০০৫ Gender Equality Beyond 2005: Building a More Secure Future
(২০০৫ পরবর্তী সময়ে লিঙ্গ সমতা; অধিকতর নিরাপদ ভবিষ্যতের বিনির্মান)
২০০৪- Women and HIV/AIDS
(নারী এবং এইচআইভি/ এইডস)
২০০৩- Gender Equality and the Millennium Development Goals
(সহস্রাব্ধ উন্নয়ন লক্ষ্য এবং লৈঙ্গিক সমতা)
২০০২-Afghan Women Today: Realities and Opportunities
(বর্তমান সময়ে আফগান নারীরা; বাস্তবতা ও সুযোগ)
২০০১-Women and Peace: Women Managing Conflicts
(নারী ও শান্তি; দ্বন্দ্ব ব্যবস্থাপনায় নারী সমাজ)
২০০০- Women Uniting for Peace
(শান্তির জন্য ঐক্যবদ্ধ নারী)
১৯৯৯- World Free of Violence against Women
(নারীর বিরুদ্ধে সন্ত্রাসমুক্ত পৃথিবী)
১৯৯৮-Women and Human Rights
(নারী ও মানবাধিকার)
১৯৯৭-Women at the Peace Table
(শান্তি বৈঠকে নারী)
১৯৯৬-Celebrating the Past, Planning for the Future
(অতীত উৎযাপন, ভবিষ্যতের জন্য পরিকল্পনা)
(২০০৯ এর ৮ মার্চ এটি সামুতে পোষ্ট আকারে দিয়েছিলাম। নতুন করে ২০১০ আর ২০১১'র থিম জুড়ে দিলাম)
সবাইকে বিশ্ব নারী দিবসের শুভেচ্ছা
ধন্যবাদ
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের মত নারীদের জয়গান আর কোন কবি করেন নাই।
তাঁর ভাষায় বলি - যাহা কিছু সুন্দর কল্যাণকর , অর্ধেক তাঁর করিয়াছে নারী অর্ধেক তাঁর নর ।
এ ফাজলামিগুলো অসহ্য। সুশীল ফাজলামি। নারী দিবস মানে কি? বাকিগুলা পুরুষ দিবস? নারীরা কি আলাদা প্রজাতি? মানুষ না? আলাদা দিবস লাগবে কেন? মানুষ দিবস আছে কিছু? সেটা উদযাপন করন যায় না। পুরুষতান্ত্রিক মনোভাবই কি ফুটে এগুলো দিয়ে। আমি উদার দেখো আমি তোমারে দিবস দিছি, কতো ক্ষ্যামতা আমার।
হ
তুই কি সুশীল হচ্ছিস ?
না
কিছুই বলার নেই।
পুরো লেখাটার সাথেই সহমত।
কিন্তু, ক্ষমা চেয়েই বা কি লাভ? দুদিন পরেই তো সব পুরুষ আবার নারীদের সব অবদান অস্বীকার করবে, জীবনের সকল জটিলতার জন্য নারীদেরই দায়ী করবে।
এছাড়া, এ অধম আর কিইবা করতে পারে
Excellent
ধন্যবাদ
নারী তার অধিকার, নিরপত্তা আদৌ পাবে কিনা কে জানে!
অধিকার পাওয়া যায় না , আদায় করতে হয় । নারীরা আজ এতদুর এসেছে অধিকার আদায়ের সংগ্রাম ও মুক্তির লড়াই করে এবং নিজেদের শ্রম মেধা বুদ্ধি যোগ্যতা ও কর্মদক্ষতায় তবে এখনও তাকে অনেক পথ দিতে হবে পারি ।
অধিকার নিরাপত্তা ক্ষমতা ইত্যাদি কেউ কাউকে দেয় না, আদায় করে নিতে হয়! নারীকে নারী হিসেবে মানে অন্য কিছু হিসেবে দেখাটাই হচ্ছে সবচেয়ে বড় অন্যায় । এ অন্যায় পুরুষ- নারী নির্বিশেষে সবাই করে।
ক্ষমা করো হে নারী।
আমাদের ক্ষমা করার খুব একটা কারন নাই!
ক্ষমা করো হে নারী।
ক্ষমা করো হে নারী।
টিভিমিডিয়া টক শো করবে,পত্রিকায় বিশেষ পাতা বেরুবে , ব্লগাস্ফিয়ারে প্রচুর পোস্ট আসবে (নারীর সম্মানে পোস্ট স্টিকি হবে কোথাও ), ফেসবুকে ষ্ট্যাটাসের বন্যা বইবে কিন্তু তুমি নারীই থেকে যাবে বেলা শেষে।
এটাই বাস্তব।অন্ততঃ এখন পর্যন্ত।কিন্তু আমি জানি একদিন আমাদের মেয়ে সন্তানেরা এই নিগড়টাকে পুরোপুরিই ভেঙ্গে দেবে।আমরা যেন আমাদের মেয়ে সন্তানদের সেভাবেই গড়ে তুলি ।
আগে বলা হত -তুমি নারী তুমি পারবে না আর এখন বলা হয় দেখছ মেয়ে হয়েও পেরেছে ।
৮ই মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে আমি একটা উপহার পেয়েছি। সেদিন এ পৃথিবীর নারীর সংখ্যা একজন বেড়েছে। ফলে আমি দ্বিতীয়বারের মত দাদা হলাম সেদিন। জানিনা সে নারী হয়েই থাকবে, না কি মানুষ হবে ?
congrats
আপনাকে অনেক অনেক

‘নারী’ হচ্ছে সম্পূর্ণই পুরুষ-সৃষ্ট এক সাংস্কৃতিক সত্তা,
যার মধ্যে লুকিয়ে আছে পুরুষতন্ত্রের ভয়. লোভ, শঠতা, আর
ভোগবাদী প্রতারণার আগ্রাসী চিহ্ন।
মন্তব্য করুন