ইউজার লগইন

নুরুজ্জামান মানিক'এর ব্লগ

পুনশ্চঃ কাজী নজরুল ইসলাম

গতকাল ব্লগার সাঈদ ভাইয়ের পোষ্টে আমি নিচের মন্তব্য করি এবং পোষ্টটি ফেসবুকে শেয়ার করি ।
nazrul.jpg
এ প্রেক্ষিতে অনেকে আমাকে অনুরোধ করেছেন আরেকটু বিস্তারিত জানাতে । এই মুহুর্তে বিস্তারিত লেখার সুযোগ নেই (অফিসে বসে ব্লগিং করলে চাকুরী কি থাকবে ? ) তবে, জরুরি কিছু কথা না বললেই নয় ।

প্রথমেই বলে নেই , সাঈদ ভাইয়ের পোষ্টটি গতকাল দৌড়ের উপর নজর দিয়ে আমি মন্তব্য করি । আজ পুরোটা পড়লাম । মাফ চাইছি সাঈদ ভাই, আপনি এটি কোথায় পেয়েছেন বা কোথা থেকে কপি করেছেন আমার জানা নেই কিন্তু দুঃখের সাথে বলতে হচ্ছে , এটি নজরুলের মূল অভিভাষণ নয় । কারণ আমি আপনার পোষ্টের টেক্সটে একাধিক ভাষণের মিশ্রন দেখছি । যেমন নিচের টেক্সটগুলি (যা দেখে আমি কমেন্ট করেছিলাম ) তা' ১৯২৯ সালে সংবর্ধনায় দেয়া -

ফ্রয়েডজীর জন্মদিনে শ্রদ্ধাঞ্জলি

গ্রামের এক কৃষক একবার হালচাষের সময় একটি মাথার খুলি পায় । কি মনে করে সে খুলিটি ভাল করে মুছে আলমারিতে রেখে দেয় । তার স্ত্রী একদিন আলমারি খুলে দেখে ভিতরে একটা খুলি । স্ত্রীর মনে সন্দেহ দানা বাঁধে । নিশ্চয় এটি স্বামীর বিয়ের আগের কোন প্রেমিকার খুলি । দাঁড়া দেখাচ্ছি মজা ! কৃষকের স্ত্রী পাটার মধ্যে খুলিটি রেখে শিল দিয়ে ছেঁচা শুরু করল এবং এরই মাঝে লক্ষ্য করল খুলির কপালে লেখা-‘কপালে আরো দুঃখ আছে !'

: এটা জানতাম যে, 'কপালের লিখন না যায় খন্ডন' কিন্তু আপনার এই গল্পের তাৎপর্য কি?

আমি একটুও কাঁদতে পারিনি

হাসপাতালের বেডে শুয়ে আছে আমার ছোট আপা (পিঠাপিঠি বোন ) নাসিমা । ডাক্তার আমাকে একটা প্রেসক্রিপশন দিয়ে বললেন ,ইনজেকশন গুলি আনুন । আমি এক দৌঁড়ে ইনজেকশন নিয়ে এসে দেখি ছোট আপাকে ডাক্তার বুকে পাম্প করছে , তারপর সাদা চাঁদরে ঢেকে দিল তার নিথর শরীর । আমার পাশে অচেতন হয়ে মেঝেতে পড়ে গেলেন আম্মা ।

একুশের চেতনা বিনির্মানে নারী

”জগতের যত বড় বড় জয় বড়বড় অভিযান
মাতা ভগ্মী ও বধূদের ত্যাগে হইয়াছে মহীয়ান।
কতমাতা দিল হৃদয় উপাড়ি ত বোন দিল সেবা,
বীরের স্মতিস্তম্ভের গায়ে লিখিয়া রেখেছে কেবা?”(নারী, কাজী নজরুল ইসলাম )

এই উদ্ধৃতিটি বিশ্বের ইতিহাসেও যেমন সত্য তেমনি সত্য আমাদের দীর্ঘ
সংগ্রামের ইতিহাসেও। আমরা ক'জন জানি, ২১শে ফেব্রয়ারী,৫২ সালে যখন পুলিশ