একজন ইন্তারনেত ইউজার ও অক্ষর জ্ঞান :)
আমার ৪ বছরের ভাগনীর জালাতনে অতিষ্ট প্রায়।ওয়ালেট,কলম,কাগজ,ইলেক্ট্রনিক্সের জিনিস পত্র,পারফিউম...সব তার একটু না একটু পরীক্ষা নিরীক্ষা করে দেখা চাই
তেমন কিছু বলতেও পারি না, উল্টা আমাকে ঝাড়ির উপর রাখে
ভাত খেতে গেলে বলে "এই শোন, সব ভাত খেয়ে ফেলবে, না খেলে কিন্তু মার খাবে।আমার হাতে এটা কি দেখছ? খাও তাড়াতাড়ি :("
সেইদিন উনি আমাকে এসে বললেন, আমি ইন্তারনেত ইউজ করব
আমি বললাম "কি ইউজ করবি?"
"ইন্তারনেত"
আর কি বলব...আচ্ছা ঠিক আছে।
ভাবলাম এই সুযোগে, এবিসির একটা জ্ঞান দিয়ে দি।
সে অবশ্য এবিসি মুখস্হ বলতে পারে,ঠিক মত চিনতে পারে না কোনটা কি। বড় হাতের অক্ষর,কিংবা ছোট হাতের অক্ষর সম্পর্কে তেমন ধারনা নাই। বড় হাতের অক্ষর জ্ঞান যেটা আছে সেটা দিয়ে ছবি গুগল করা শিখিয়ে দিলাম।ফাইয়ার ফক্স চালু করার পর ডিফল্ট গুগল চলে আসে,সার্চ বারে লিখতে বললাম সি এ টি...
ক্যাট লিখে ইমেজ সার্চ দেয়ার পর, সে যখন দেখল লক্ষ লক্ষ বিড়াল মনিটরে হুটপুটি খাচ্ছে, খেয়াল করলাম বিশাল মজা পেয়ে গেছে সে।
তারপরের তাকে যেটা বললাম, যদি বানর দেখতে চায় তাহলে মান্কি স্পেলিং জানতে হবে, যদি টাইগার দেখতে চায় তাহলে টাইগার বানান জানতে হবে...এবিসি ভালো করে শিখতে হবে।
সে কি করল, দৌড়ে তার বই নিয়ে এসে পড়তে বসে গেল, একরাতেই তার শিক্ষিত হওয়া চাই
আমাকে বলল, পড়াও।
কি আর করা। আমিও আসলে কৌতুহলী হয়ে উঠেছি, কত তাড়াতাড়ি সে আসলে শিখতে পারে।কারন এই এবিসির বড় হাতের লেখা আর ছোট হাতের লেখার মধ্যে পার্থক্য বুঝতে অনেক বছর চলে গিয়েছিল আমার ,যার মূল কারন ছিল হোম টিউটরের আচরন গত সমস্যা। হোম টিউটরটাকে দুই চক্ষে দেখতে পারতামন না। কত বার যে মনে মনে কিল ঘুষি দিয়েছি হোম টিউটরকে
কিছুক্ষন পড়িয়ে দেয়ার পর দেখি রাত ১১-১টার মধ্যে অক্ষর জ্ঞান মুটামুটি রপ্তকরে ফেলেছে! আমি টেস্ট করে দেখলাম,সত্যি সত্যি পড়তে পারছে সে, যেখানে বড় হাতের অক্ষর আর ছোট হাতের অক্ষরের কম্বিনেশন আছে।
শেখার ব্যাপারটা মনে হয় কৌতুহল আর প্রয়োগের।একটা জিনিস শিখে সেটা কোন কাজে লাগবে সেটা জানা গেল না তাতো শেখা বলা যায় না। বাচ্চারা অক্ষর শেখার সময় আসলে নিশ্চিত থাকে না অর্থহীন প্রতীক গুলো পড়ে কি হবে ।আর কৌতুহল তৈরির করতে না পারলে যে কোন বিষয়ই বিরক্তিকর।
ভালো আইডিয়া ... এরম আরো কিছু ছাইরেন
ধন্যবাদ টুটুল ভাই। চেষ্টা থাকবে আরো কিছু লেখার।
ছোটদের বিষয় সব সময়ই চমৎকার লাগে।
...অবশ্যই চমৎকার

আর ইদানিং বাচ্চাদের যা বুদ্ধি
হুমমম
হুমমমমমম
হুমম গুরুত্বপূর্ন কথা
হুমমমমম...গুরুত্ব দেয়ার জন্য ধন্যবাদ
বুদ্ধি তো ভালোই!
হা হা হা...

এক ঢিলে দুই পাখি...ডিজিটাল শিক্ষিত ও এনালগ শিক্ষিত
ভালো লাগল
ধন্যবাদ...ভালো থাকুন।
দারুন আইডিয়া ভাই।
সমস্যা কিন্তু আছে
ভালো বুদ্ধি।
আপনি অ্যাপ্লাই করবেন নাকি?
অবশ্যই।
....যেনে খুশি হলাম
পিচ্চিটা একটু ইন্তারনেত চালাতে চাচ্ছিলো, আপনি তাকে পড়াশোনায় লাগিয়ে দিলেন। হৈল কিছু? ওকে একটু আদর করে দিয়েন। আমার পক্ষ থেকে।
তা অবশ্য খারাপ বলেন নাই। পড়ালেখার মত খারাপ কিছু আর নাই
একটা স্পেলিং শিখলে সে তার রিওয়ার্ডস পাবে অনেক গুলো ছবি, একটা গেমের মতই তো 
তবে এটা তো আর পড়ালেখা না
হ্যাঁ আদর তাকে দেয়া হয়ছে, আপনার প্রোফাইল পিক টা দেখিয়ে ওকে বললাম, দেখ উনি তোকে আদর দিসে।সে বলে, "এ কে?" আমি বললাম "এটা মানুষ"। ও কি বুঝল ঠিক বুঝলাম না, বিজ্ঞের মত বলল "ও...একটা মানুষ? "

হে হে হে... ইন্তারনেত ব্যবহারকারীকে আদর।
সময় পেলে এই দুটো লিঙ্কে একটু ঢু মারবেন।
শিশুকে কীভাবে বর্ণ শেখাবেন?
শিশুকে কীভাবে মাত্রা শেখাবেন?
অনেক ধন্যবাদ
আপনার লিংক গুলো দেখলাম। ভালো লাগল।সময় পেলে আপুকে প্রিন্ট করে দিয়ে দেব লেখা গুলো।ভালো থাকুন।
শিক্ষার সাথে আনন্দ একটা অপরিহার্য উপাদান। আপনার পদ্ধতিটা অভিনব আনন্দের উৎস। যদিও সব বাচ্চার এই সুযোগ নেই, কিন্তু শিশুর জন্য যে কোন রকম আনন্দ যুক্ত থাকা জরুরী।
তবে শিশুকে শিক্ষাদান পদ্ধতির ব্যাপারে আমি গৌতমকে গুরু মান্য করি। উপরের লিংকে গেলেই দেখবেন
অবশ্যই আনন্দ অপরিহার্য একটি উপাদান।এত এত আবিস্কার গবেষনা সবই তো এই আনন্দকে স্পর্স করার জন্যই।কিন্তু বেশির ভাগ সময় শিক্ষার শুরু হয় বিরক্তি কিংবা ভয় ভীতির মধ্য দিয়ে। সব বাচ্চার এই সুযোগ নাই এটা ঠিক, কিন্তু চাইলে এই ধরনরে কিছু করা যায়।সব স্কুলে তো কম্পিউটার দেয়ার কাজটা চলছে,হয়ত কিছু ইন্টারএক্টিভ সফটওয়্যার ডিজাইন করা যায়।সম্ভবত বাজারে এই ধরনের সফটওয়্যার আছেও।বাইরের বিশ্বে তো ওএলপিসি( ওয়ান ল্যাপটপ পার চাইল্ড) নামে একটা অর্গানাইজেশনও চালু আছে মনে হয়।
জ্বি, গৌতম ভাইয়ের লেখা গুলো অসাধারন।যাক এই লেখার মাধ্যমে একজন শিশু শিক্ষা বিশেষজ্ঞের সাথে পরিচিত হওয়া গেল
ধন্যবাদ নীড় ভাই।
হায় হায়! নীড় ভাই আর আপনার কমেন্ত পড়ে বেশ লজ্জ্বা পেলাম। আমি জাস্ত এই ফিল্ডে কাজ করি বলে দু-চারতা কতা বলি। এর বেশি কিছু না।
লেখাপড়া বোঝা মনে হয় যখন তখন তা চাপিয়ে দেওয়ায় মনে হয় । যে কাজ আনন্দ দেয়, সে কাজ সম্পন্ন হয় ভাল ভাবে । লেখাপড়া আনন্দের হলে অবশ্যই তা দ্রুত করায়ত্ব হয় তা শিশুদের মত বড়দের বেলায়ও । সুন্দরভাবে বক্তব্যটি প্রমাণিত হয়েছে এ লেখায় ।
আপনার সাথে ১০০% একমত
ধন্যবাদ।
বাহ চমতকার!
ভাগ্নিকে অনেক আদর। তার সংখ্যাপরিচিতির গল্পও পড়তে চাই
আপনি শিশু বিষয়ক লেখা গুলো লেখার জন্য বলেছিলেন একবার...


এই লেখাটা কিন্তু আপনার উৎসাহে লেখা
...কি করে বুঝলেন সংখ্যা পরিচিতির গল্প ও আছে?
ওটা তেমন কিছু ছিল না। প্লেয়িং কার্ড গুনতে দিয়েছিলাম
...বইয়ের সংখ্যা গুলোর সাথে বাস্তবের একটা সম্পর্ক আছে সেটা বুঝানোর জন্য তাকে ৯/১০ কার্ড দিতাম, তারপর বলতাম এখন সবার কাছে জিজ্ঞেস করে আসো কয়টা কার্ড।
কার্ড গোনে সবাই যখন একই এনসার দিচ্ছিল,সে হয়ত মুটামুটি বুঝতে শুরু করছে সংখ্যার মহর্ত্য কি...
আমি আসলে তাকে পড়াই না...বেশির ভাগ সময় দুষ্টমিই করা হয়
ধন্যবাদ নুশেরাপু। ভালো থাকুন।
এই হাসির মানে কি ?

ধন্যবাদ।
ভার আইডিয়া
ধন্যবাদ মাসুম ভাই...
ভালো কাজ হইছে তো..। আমার অংক শিখাটা হয়নাই খালিো এই কারণে যে এইগুলার ব্যাভার টা কি সেইটা স্যার রা কইতে পারত না .। লগের অংক শিইখা কি কাজে লোাগব এইটা দিয়া কি করে তা স্যার রাই জানতো না.. আমারো শিখা হয়নাই.।
আজকাল ম্যাভেরিক দেখলাম এই লাইনে কামেল পুস্ট দিচ্ছেন.। ঠিক করছি বুড়া বয়েসে উনারে গুরু গ্যানে উনার কাছ থিকা গণিত বাবদে দীক্ষা গ্রহণ করুম.। অফিশিয়ালি দাখিল হমু কিছদিনের মইধ্যেই
হাহাহা...জি শিখে ফেলুন ম্যাথ,শেখার কোন বয়স নাই
শুভ কামনা আপনার জন্য। ভালো থাকুন।
কৌতুহল তৈরির করতে না পারলে যে কোন বিষয়ই বিরক্তিকর
এটা ভাল বলেছ । আমার ম্যানেজার যদি এইটা বুঝত
ম্যানেজার মনে হয় আপনার জীবনের একটা অংশ হয়ে দাড়িঁয়েছে
মন্তব্য করুন