কতটুকুন আলো বুনে এনেছি রোদেলা সকাল
প্রিয় ঘাস!
পায়ের নীচে পিষ্ঠ হওয়া শেষে
তোমার মাথা তুলে দাঁড়াবার ঔদ্ধত্য ভঙ্গি,
কিংবা আবার সবুজ হয়ে ওঠার পালা,
তোমার মুখর হওয়া শিশিরকণা,
প্রতিবাদী হয়ে ছাপিয়ে ওঠার মহড়া;
আমাকে কুঞ্চিত করে!
আমি কুঞ্চিত হই সকালের সূর্যোদয়ে,
আঁধার রুখে যে প্রলয়োল্লাস করে।
কুঞ্চিত হই শহরতলীর শিউলী ফুলের কাছে,
গেঁয়ো দস্যি বালকের ঘুড়ি বাকাট্টা দিয়ে-
মাঞ্জামারা সুতার কাছে।
বালিকার বুনে রাখা নকশীকাঁথার কারুকার্যের,
রুমালের ভাঁজের কাছে।
আমাকে তৃষ্ণার্ত করে রাখা কবিতার কাছে,
নীলরঙে মোড়া বিক্ষুব্ধ প্রতীক্ষার খামের কাছে.
হলুদ ফুলে ভরা সর্ষেক্ষেতের মানচিত্রের
বা মায়ের যাদুর বাক্সে ভরে রাখা পিঠাপুলির কাছে
আমি কুঞ্চিত হই, হয়ে থাকি।
কুঞ্চিত হতে চাইনা প্রতিবাদী মুখরতায়।
০৬/১০/২০১০: রাত
ব্লগে স্বাগতম।
অনেক ধন্যবাদ তানবীরা।
আপনার মন্তব্যেই আমার শুরু।
স্বাগতম
চমৎকার কবিতা... লেখালেখির আপডেট জানাও
.হ্যালো!!!!!!!!!
এইতো ভায়া চলছে আরকি। তেমন লেখার সুযোগ পাচ্ছিনা। ব্যস্ততার ভীড়ে তবু মাঝে মধ্যে চেষ্টায় থাকি ।
তবে আমরা বন্ধু'র একজন গর্বিত সদস্য হতে পেরে ভাল লাগছে:)
দুর্দান্ত।
মীর,প্রেরণাদায়ক মন্তব্যের জন্য আপনাকে বিনীত ধন্যবাদ
কবিতা মাথার ম্যালা উপর দিয়ে যায়।মানে যেখান দিয়ে প্লেন যায় আর কি?
তয় আপনার টা পড়তে ভাল লাগছে।
ব্লগে স্বাগতম।
হা হা হা

রাসেল আশরাফ, আপনাকে ধন্যবাদ।
ভাঙ্গন ভাই, স্বাগতম।
মনে কিছু নিবেন না। কেন জানি মনে হচ্ছে এ কবিতাটা আমি অন্য কোন ব্লগে পড়েছি।
আশা করি জানাবেন।
ধন্যবাদ শাহাদাত ভাই।
এই কবিতা গতকাল রাতে রচিত। এর পূর্বে কোথাও প্রকাশ পায়নি।
আমরা বন্ধু'তে মৌলিক লেখাই পোস্ট করার ই্চ্ছা রাখি।
..........
অনেক ভাল থাকবেন।
"আমাকে তৃষ্ণার্ত করে রাখা কবিতার কাছে,
নীলরঙে মোড়া বিক্ষুব্ধ প্রতীক্ষার খামের কাছে.
হলুদ ফুলে ভরা সর্ষেক্ষেতের মানচিত্রের
বা মায়ের যাদুর বাক্সে ভরে রাখা পিঠাপুলির কাছে
আমি কুঞ্চিত হই, হয়ে থাকি।
কুঞ্চিত হতে চাইনা প্রতিবাদী মুখরতায়।"
চমৎকার !
আমরাবন্ধুতে স্বা গ ত ম !
হ্যালো শিপন ভাই।
আমরা বন্ধু' নামটাতেই সব সমাধান হয়ে যায়। সর্ম্পকের নতুন কোন ব্যাখ্যা দাঁড় করাতে হয়না।
ভীষণ ভাল লাগছে এখানে এসে।
ভাঙ্গনকে দেখে ভাল লাগলো। নিয়মিত থাকেন
মাসুম ভাই,অনেক ধন্যবাদ। পার্ফেক্ট টিমের সাথে আছি।
অনেক ভাল লাগছে।
কুঞ্চিত হই শহরতলীর শিউলী ফুলের কাছে,
গেঁয়ো দস্যি বালকের ঘুড়ি বাকাট্টা দিয়ে-
মাঞ্জামারা সুতার কাছে।
প্রিয় তারার হাসি, আমি জানি,এত সুন্দর ফুলগুলোর ছবি আপনারই তোলা।
অনেক শুভ কামনা।
কখনোই তুলে নেইনি শিউলিফুল হাতের তালুতে, অথচ আজ ভারী ইচ্ছে করছে একটু ছুঁয়ে দেই..সে বুঝি ছবির ভীষণ রকম জীবন পাওয়াতেই!
শুভ কামনা দ্য লাইট হাউজ Smile
এই শিউলী ফুল যেন আমার পুরোনো বাড়ীর সামনের গাছটি। আহ সেই দিন......।
আহ সেই দিন......।
প্রথমেই শুভেচ্ছা স্বাগতম ভাঙনভাইয়ের আগমন

মখমলি কবিতা আরো আসুক। ভালো থাকা হোক।
এরকম চমৎকার কবিতার শিরোনাম দেখে আমি কুঞ্চিত নই, আপ্লুত হই! অসাধারণ লাগলো ভাইটি কবিতার শিরোনাম!!! কবিরা ভীষণরকম অভিমানী হন, তাই তাদের লিখা নিয়ে এটা কী, ওটা কেনো নয়' বলাটা খুব সমীচীন নয়..কিন্তু আমার মতো মানুষ, যার শরীরময় প্রশ্ন কেবল খলবলিয়ে উঠে সে কেম্নে কি করে বলেন দেখি! শুধুমাত্র 'চ্রম' বলেই আমি তাই ক্ষান্ত হইনা
প্রশ্ন করতেই হবে নইলে পেটের ভাত সব মুড়ি হবার জন্য উঠে পড়ে লাগে..অভয় দিন কবি, প্রশ্ন করলে অভিমান কিংবা রাগ হবেন না? নইলে সুন্দর মিথস্ক্রিয়া গড়ে উঠবে কিভাবে বলেন দেখি? ..... 'আমাকে তৃষ্ণার্ত করে রাখা কবিতার কাছে' লাইনটা অন্যভাবে ভাবা যায় কী?
বেশিকথায় বেয়াদপি নেবেন না, আমি ভালুমানুষ
না বাতিঘর,রাগ করার কিছু নেই। তবে আপনার উল্লেখিত লাইনটি এখানে আমি যে অর্থে ব্যবহার করতে চেয়েছে,আমার ক্ষুদ্র কবিমন বলে সেটা যথার্থ।
কেননা, আমি সব সুন্দর আর শুভ'র কাছে কুঞ্চিত হতে রাজি আছি। শহরতলীর শিউলি ফুলের কাছে,দস্যি ছেলের মাঞ্জামারা সুতার কাছে,বালিকার বুননে গড়া নকশীকাঁথার কাছে অথবা সর্ষে ক্ষেতের হলুদ ফুলের কাছে!
কিন্তু আমি কখনো কুঞ্চিত হতে চাইনা ন্যায়ের পক্ষে মুখরতায়,প্রতিবাদে।
সেটাই কবিতার মূখ্য বিষয়।
তাই আমাকে তৃষিত করে রাখা কবিতা,যে কবিতা আদতে এখনো আমার কাগজে-কলমে,মানসে জন্ম নেয়নি,বেড়ে ওঠেনি,রচিত হয়নি, সেই তৃষ্ণার্ত কবিতার কাছে,কবিতার জন্মের জন্য আমি কুঞ্চিত হতে পারি।
কিন্তু প্রতিবাদী মুখরতায় কুঞ্চিত হতে চাইনা।
,,,,,,,,,,,,,,,,,
আমার ভীষণ জানতে ইচ্ছে হচ্ছে, আপনাকে আমি কীভাবে চিনবো। এবং
'আমাকে তৃষ্ণার্ত করে রাখা কবিতার কাছে-লাইনটির অযথার্থ দিক কোনটি!
হ্যাপী ব্লগিং
মুগ্ধ হয়ে পড়লাম চমৎকার কটি লাইন
অনেক বিনীত ধন্যবাদ রইল নীড় সন্ধানী |
ইশশশশ আপনি পড়েই ফেলেছেন আমার করা এই উদ্ভট মন্তব্যটা!!! কৌতুকের সেই ছোট্ট ছেলেটা যে কিনা পরীক্ষার খাতায়, আমেরিকার রাজধানী লন্ডন লিখে এসে ঈশ্বরের কাছে কাতর হয়ে প্রার্থনা করেছিলো, 'ঈশ্বর অন্ততঃ একদিনের জন্য হলেও লন্ডনকে আমেরিকার রাজধানী করে দাও!' ঠিক সেভাবে না হলেও, কালরাতে এই অসাধারণ কবিতায় মন্তব্য শেষে ঘুমোতে যাবার সময় আমিও মনে মনে প্রার্থনা করেছিলাম, 'খোদা মন্তব্যটা গায়েব করে দাও প্লিজ!'
(
( ....একারণেই ব্লগে এসেই আপনার পোষ্টে সবার আগে এলাম ক্ষমা চাইতে। .........আর আমাকে চেনা তেমন কঠিন নয়, যেখানে দেখবেন কেউ একজন 'সব জানি ভাব নিয়ে' ফাউল বকে চলেছে, বুঝে নিবেন আমি সেই চিরচেনা, বাতিঘর যার নিক। আপনার মঙ্গলময় জীবন কামনা করছি( এর পর, চুপচাপ পড়ে গেলাম' বলেই ক্ষান্ত হবো পোমিজ
)। শুভেচ্ছা নিরন্তর।
ক্ষমা প্রার্থনা করছি কবি...যথার্থতা নিয়ে আর কিছু বলবার সাহস করলাম না। মাথায় কিছু একটা পেজগী লাগায় এহেন আচড়ণ করে ফেলেছি- আপনার ক্ষমাসুন্দর মনের প্রতি বিনীত অনুরোধ, ক্ষমা করা হোক এই কাব্য প্রতিবন্ধীকে।
হাহাহা আপনার মন্তব্যগুলো অনেক সুন্দর এবং মজার ! :party:আপনি যে অনেক ফ্রেন্ডলি,আপনার মন্তব্য পড়েই বুঝে নিয়েছি!
লেখা বিষয়ে অবশ্যই যে কোন মন্তব্য এবং পরামর্শ স্বাগতম জানাই। তার বাইরে আপনি মানুষ হিসেবে চমৎকার।
অতএব,'পড়ে নিয়েছি' বলে চলে গেলে দু:খ পাবো।
বাহ, চমৎকার কবিতা। শিরোনামটাও দারুন।
ব্লগে স্বাগতম।
হেই নরাধম! কেমন আছেন আপনি:)?
শুভ কামনা থাকল।
মন্তব্য করুন