পথে পথে যেতে যেতে
ঘুরে এলাম শেরপুর
প্রথম কথা
দেখা হয় নাই চক্ষু মেলিয়া
ঘর হইতে শুধু দুই পা ফেলিয়া
একটি ধানের শীষের উপর
একটি শিশির বিন্দু।।
ছোটবেলায় দেখা স্বপ্ন বা ইচ্ছাগুলোর মাঝে যেই স্বপ্নটা এখন মরে যায়নি সেটা হলো বাংলাদেশের ৬৪ টা জেলায় ঘুরার ইচ্ছা। যদিও এই স্বপ্নটা মৃতপ্রায় ছিল।
কিছুদিন আগে হঠাৎ করে শুনলাম সাঈদ ভাই নিঝুম দ্বীপ ঘুরে এসেছেন। তখন সাঈদ ভাইকে বললাম পরেরবার কোথাও গেলে যেন আমাকে জানানো হয়।
প্রস্তুতিপর্বঃ
গত ২রা ফ্রেব্রুয়ারী মুখবই(Facebook) অনলাইন হইতেই সাঈদ ভাইয়ের বার্তা ।
“ওই মিয়া মোবাইল বন্ধ কেনো?”
সাঈদ ভাইয়ের এই বার্তা দেখে মনে হইলো ভুল দেখলাম ।
কারণ এই এক ক্ষেত্রে সাঈদ ভাইয়ের চুল্কানি আছে । মোবাইল এ কল করা বা মোবাইল এর কল গ্রহন করার ক্ষেত্রে সাঈদ ভাই এর যতো অলসতা। সেই সাঈদ ভাই আমাকে কল করছিলো , তাইলে বিশাল কিছু ঘটছে নিশ্চয়।
মোবাইল চালু করতেই সাঈদ ভাইয়ের বার্তা পেলাম ।
আমরা শেরপুর গজিনী অবকাশ যাপন কেন্দ্রে যাচ্ছি। তুমি যাইবা?
সাথে সাথেই বললাম যাবো।
আমার একটা স্বপ্ন অন্ততপক্ষে শুরু করতে পারব।
বললাম আমরা কে কে যাচ্ছি?
আমি, রায়হান ভাই, ইকবাল ভাই, শুভ(রায়েহাত শুভ) আর নাহিদ। যদি তুমি যাও তাহলে আমরা ৬ জন হইবো। সকালে মহাখালি থেকে বাসে যাব।
আমি একটু দ্বিধায় পড়ে গেলাম। সাঈদ ভাই ছাড়া আর কাওকে চিনিনা । তার উপর সবাই নাকি সিনিয়র ।
তারপরও ইচ্ছা পুরনের কাছে এইসব দ্বিধা নস্যি মনে হইলো।
পরবর্তীতে নাহিদ ভাই আর শুভ ভাই না যাওয়াতে আমাদের দলের সদস্য দাড়ালো ৪ এ । তাই আমাদের বাসে না গিয়ে , কারে যাবার সিদ্ধান্ত হইল।
আমাদের পানিহাটি, গজিনী, মধুটিলা, নয়াবাড়ির টিলা আর লাউয়াপাড়া যাবার সিদ্ধান্ত হলো।
আমাদের গাইডঃ
প্রাইভেট কার নিয়ে যাচ্ছি বটে, কিন্তু আমরা কেউই শেরপুর এর রাস্তা চিনিনা। তবে চলতি পথে আমাদের গাইড হিসেবে কাজ করলো ইকবাল ভাইয়ের মোবাইল ফোন । গুগল এর লাইভ GPRS Tracking এর সুবাধে আমরা আমাদের পথ চিনে চলতে লাগলাম। যদিও একবার আমরা পথ ভুলে হালুয়াঘাট এর দিকে ছুটে ছিলাম। তারপর আর কোন বাধা বিঘ্ন ছাড়াই আমরা পৌছালাম শেরপুর এর নকলা পর্যন্ত। এরপর শুরু হল আমাদের স্থানীয় লোকদের সহযোগীতা।
১৩ এর চক্করঃ
নকলা থেকে পানিহাটি যেতে হলে প্রথমে আমাদের যেতে হবে নালিতাবাড়ি। নকলা থেকে নালিতাবাড়ি পর্যন্ত মাত্র ১৩ কিলোমিটার। কিন্তু এই তের কিলোমিটার যেতে আমাদের সময় লাগল প্রায় ৪০ মিনিট । রাস্তার বেহাল দশায় আমাদের দশাও কিছুটা বেহাল হয়ে উঠেছিলো। মনে হচ্ছিলো তের নাম্বারটা আসলেই আনলাকি ।
অনেক কষ্ট করে অবশেষে আমরা নালিতাবাড়ি উপজেলাতে পৌছালাম। এবার আমরা যাব পানিহাটি। যখন শুনলাম পানিহাটি আরও ১৩ কিলোমিটার দূরে। এবার প্রমাদ গুনলাম। সামনে কি বিপদ জানি অপেক্ষা করছে। রাস্তার বেহাল দশা পেরিয়ে অবশেষে আমরা পৌছালাম পানিহাটি।
প্রথম গাধা দর্শনঃ
স্কুলে থাকা অবস্থায় সবচেয়ে বেশী যে শব্দটি শুনেছি, তা হলো গাধা। নিজেও কম শুনিনি। তাই ভেবেছিলাম গাধা মনে হয় দেখতে মানুষ এর মতো ।
পরে অবশ্য বিভিন্ন চ্যানেলে গাধা দেখলেও এই প্রথম নিজ চোখে গাধা দেখলাম । আরেকবার মিলিয়ে নিলাম “আমি আসলেই গাধা কিনা?”
মনে মনে ভাবলাম যাক ভালই হয়েছে ছোট কালে গাধা রচনা কখন লিখতে হয়নি।
তাহলে হয়তো আমি লিখতাম “গাধা মানুষের মত। গাধার ২টি হাত আছে............... ”
পানিহাটি গিয়ে আমার আর কোন অভিজ্ঞতা নাই হোক গাধা তো দেখেছি। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় একটা গাধাই দেখলাম । আর কোথাও চোখে পড়েনি।
প্রথম......... দেখাঃ
প্রথম পাহাড় দেখা,
প্রথম সাগরে স্নান.........
আমার প্রিয় গান গুলোর একটি।
আসলেই যে কোনো ক্ষেত্রেই প্রথম ......... অনুভুতিটা অন্যরকম। পাহাড় আমার আগেই দেখা হয়েছে। , সাগরেও স্নান করেছি।।
কিন্তু এবারই প্রথম দেখলাম সীমান্তের কাটাতাঁর এর বেড়া।। এতো স্পষ্টভাবে সীমান্ত দেখা আর কখনোই হয়ে উঠেনি।
পাহাড়ের গাঁ বেয়ে উঠা সরু পথ
বাংলাদেশের সীমান্ত থেকে দেখা ভারতের একটি সীমান্ত সংলগ্ন সেতু।
ভারত কতৃক নির্মিত কাঁটাতারের বেড়া। ।
পাহাড়ী খালে নীল জলের স্রোত।
পাহাড় আর সূর্যের লুকোচুরি।।
পাহাড়ি ঘর।
পাহাড়ি রাস্তা।
পাহাড়ি মেয়ে নাথুলা।
পানিহাটি থেকে ফেরার পথে ভোগাই ব্রীজ।
ভোগাই ব্রীজ থেকে তোলা সূর্যাস্তের দৃশ্য।
ভোগাই ব্রীজ থেকে তোলা সূর্যাস্তের দৃশ্য।
পাহাড়িদের ধর্ম দীক্ষার জন্য চার্চ।।
(চলবে)
ফটো বাদে এইটাইপের হাও ফাও গপ ছাড়বেন আর আমরা বিশ্বাস যামু না ।
ফটো দেন মিয়া!! দরকার পড়লে জাভেদ চুরারে কন।সাঈদভাইয়ের কাছ থেকে ফটো আইনা দিবো।
জাভেদ চোরারে কওনের কুনো দরকার নাই।
আমার নোকিয়াতে ধরা পড়া কিছু ছবি দিলাম।
ছবির মান দেইখ্যা মাইন্ড খাইয়েন না।
মানুষ এত ঘুরতে যায় কেন? অসহ্য। রায়হান ভাই, সাঈদ ভাই এর সাথে বেশী ঘুরলে ভাদাইম্যা হবেন। সাধু সাবধান।
ফটুক সৌন্দর্য্য হ্ইছে।
ভাদাইম্যা মানে কি?
যে বাদাম বেচে?
ভালইতো ভাদাইম্যা হবার মজা অনেক।।
চলেন ভাদাইম্যা এর দলে যোগ দেন।
ফটুক পছন্দ করছেন এই জন্য
দারুণ ঘুরলেন...
হুম।
আপনাদের আড্ডানোর খবর পাইয়াতো মনে হইতাছে অনেক মজা করতেছেন।
মুবাইল ফটুকগ্রাফি ভালো হইছে।
তা আমারে প্যাচানোর দরকার কি ?
ছবি দিয়া পোষ্ট দিলেই তো হইতো ।
কুনো সুতা বা দড়ি তো দেখবার পাইতাছিনা?
তয় এইভাবে গুলি করা দেইখ্যা্তো ভয় পাইতাছি।
ছবি গুলান দেইখা নানির বাড়ি ব্যাপক মিসাইতেছি

গাধা দেখেন নাই জীবনে এই কিছু কইলেন? আজ কাল তো গাধাই বেশী দেখা যায় ঘোড়ার জায়গাতে
মনে হইতাছে আরেকটা দেখবার পাইছি।
মনে হইতাছে আরেকটা দেখবার পাইছি।
১০০ ভাগ নিশ্চিত করার জইন্য জোনাকিপুকে ঃধইন্যাপাতাঃ
এখন কুনো সন্দেহ নাই।
আপনের ছবি তোলার হাত তো বেশ। ক্যমেরা কিনে ফেলেন।
এই কথা বলিয়া লজ্জা দিবেন না ভাইজান।

তয় ক্যামেরা কিনতে আপত্তি নাই। খালি যদি একটু নেক নজরে তাকান।
মানে..........
কইতেছিলাম বই মেলায়তো বই বের হইতেছে । ঐখান থেইকা যদি এট্টু.......
বইমেলায় আমার কোনো বই বের হইতেসে। আমারে কেন নেক নজরে তাকাইতে বলেন? বই বের হচ্ছে মাসুম ভাইয়ের। আর কামাল ভাইয়ের। এই দুইজনের সঙ্গে খাতির জমান। দুইজনেরই দয়ার শরীর।
হুনলাম আপনার ও নাকি একখান বাইর করার প্লান আছে।
তয় মাসুম আর কামাল ভাইয়ের কাছে আমার নামের লিস্ট খান পাঠাইয়া দিয়েন।
বুঝেনইতো ভায়া ছাড়া এই দেশে কিছু হয়
নাহ্। আমার কিছু বাইর করার প্লান নাই। বরং কখনোই কিছু বাইর না করার প্লান আছে।
লিস্ট পাঠাইতে পারুম না। খাইটা খান। ইহ্ বইতে দিলে শুইতে চায়। কার কাছে গেলে পাবেন দেখায় দিসি। এরপর বাকিটা আপনের হাতে।
হুম বুঝলাম।
তয় ঈমানে কইলাম একখান ছোটগল্পের বই বের করতে পারেন।
আমি ছাপার মেশিন সাপ্লাই দিলাম।
বাকিটা
আর্রে, ধনিয়াজ ভ্রাতঃ। ইহাই চাচ্ছিলুম
৫ নং ছবিটা দেখে মনে হচ্ছে যেন, এটা আমাদের গ্রামের বাড়ির রাস্তাটা!
ছবিগুলো সুন্দর হয়েছে!
৩ নং ছবিটা খুব ভালো লেগেছে!
ধইন্যবাদ।
৫ নং ছবিটা আপ্নারে উৎসর্গ করলাম।
একটা ক্লোজ আপ হাসি মারেনতো দেহি।
আমার কপাল বরাবরই খারাপ হইয়া যায়
আপনাদের ঘুরান্টিসে ঈর্ষিত...
হ ঠিকই কইছেন।
তয় রায়হান ভাই আপনারে মিস করতেছিলো।
বারবার আপনার দুর্ভাগ্যের কথাই কইছে.........
আশা করি পরবর্তী টাইমে............
হ সেইটাই আশা করি। বাট কী হয় কে জানে...
হ ঠিকই কইছেন।
তয় রায়হান ভাই আপনারে মিস করতেছিলো।
বারবার আপনার দুর্ভাগ্যের কথাই কইছে.........
আশা করি পরবর্তী টাইমে............
জামালপুরে আমার বাড়ি আর ঘুরে আসলেন তার পাশের জেলা শেরপুর থেকে!
সাবাশ ও মোবারকবাদ!
তয় টেনশন লইয়েন না।
দাওয়াত গ্রহণ করলাম, পরেরবার আপনার বাড়িতে যামুনে।
রেডি থাইক্কেন কইলাম।
ভালো লাগল, ছবি ও লেখা।
ঐ ফসসা আফায় উনিগো দিকে চাইয়া কি দ্যাহে?
ফরসা আফায় কইতে ছিল.............
গোপন কথা কেমুনে আপনারে কই?
তয় কাহিনী হইলো ছবি দেইখ্যা টেনশন লাগতাছে।
আল্লায় জানে কপালে কি আছে?
কপালে
লেখা ভালো লাগছে, ছবিও। বাচ্চাটা যেন পোজ দিতে বলায় স্টিফ হয়ে গেছে।
তয় জেবীন খালাম্মা , এই বাচ্চাটারে একটু পোজ দেয়া শিখাইয়া দিয়েন ।
লেখা ও ছবি বালা লাগছে জেনে ধইন্য হইলাম।।
চলুক.।
জি জনাব।
চালাইবার ইচ্ছা আছে।
বাহ !
@বিমাঃ বাহ !
কিসের জন্য?
তয় কিছু না বুইঝ্যাই আপ্নারে
দারুণ ঘুরলেন..
ছবি চার সবচেয়ে ভালো লেগেছে। পাঁচ আর ভোগাই ব্রীজ থেকে সূর্যাস্ত
চলুক
এতোদিন পরে হলেও ধন্যবাদ।
মন্তব্য করুন