প্রাগৈতিহাসিক অভী'এর ব্লগ
টাপুর টুপুর
টাপুর টুপুর সকাল দুপুর,
পায়ে যেনো খেলছে নূপুর,
কালো আকাশ গোমড়া মুখ
প্রেয়সীর মনের কিছু দুখ।
দুঃখ সব ঝরিয়ে দেবো,
পথে ঘাটে প্রান্তরে
, চোখের সব পানি দিয়ে,
ঠাঁই নেবো ঐ অন্তরে।
শীত শীত ঠান্ডা বাতাস,
একটুখানি ওম,
মনে মনে ঝড় ওঠেছে,
কাঁপছে বুধের সোম।
টাপুর টুপুর সকাল দুপুর,
পায়ে যেনো খেলছে নূপুর,
কালো আকাশ গোমড়া মুখ
প্রেয়সীর মনের কিছু দুখ।
দুঃখ সব ঝরিয়ে দেবো,
পথে ঘাটে প্রান্তরে
, চোখের সব পানি দিয়ে,
ঠাঁই নেবো ঐ অন্তরে।
শীত শীত ঠান্ডা বাতাস,
একটুখানি ওম,
মনে মনে ঝড় ওঠেছে,
কাঁপছে বুধের সোম।
৫০ শব্দ চায়।আমি দিমু কই থাইকা।আর তো মাথায় আসে না। কি করি,আমি কি করি
:
নন্সেন্স গল্প
ননসেন্স গল্প
by oviking on 12:36 PM, 20-Oct-13
প্ থিবীর সবচেয়ে ছোট,সুখী হওয়ার গল্প।
একদেশে ছিলো এক ছেলে আরেক মেয়ে।ছেলেটি একদিন মেয়েটিকে বললো,তুমি কি আমাকে বিয়ে করবে?মেয়েটি বললো,না।
অতঃপর ছেলেটি সুখে শান্তিতে দিন কাটাতে লাগালো।
ইংরেজিতে কিছু ছড়া আছে যেগুলোকে ননসেন্স রাইম বলে।হাম্পটি ডাম্পটি,ব্যা ব্যা ব্ল্যাক শিপ এই টাইপ আর কি!আমাদের বাংলাতেও ননসেন্স রাইম আছে।হাট্টি মা টিম টিম এই টাইপের একটা ছড়া।
ননসেন্স রাইমের মতো ননসেন্স গল্প কি লেখা যায় না?যেগুলো পড়লে কোন টেনশন বা বিরক্তি বা রাগ কিছুই থাকবে না।নির্মল আনন্দই যার উপাদান।
উপরের গল্পটা একটা ননসেন্স গল্প।হাসি না আসলে করার কিছু নাই।
নন্সেন্স গল্পএর ধারণাটা আসে হুমায়ুন আহমেদ এর একটা বই পড়ার সময়। ঐ বইটাতে নন্সেন্স রাইম সম্পর্কে বলা হয়েছিলো । রম্য গল্পগুলোর সাথে নন্সেন্স গল্পের একটা তফাত আছে। রম্য গল্পগুলোতে হাসি মশকরার মাধ্যমে একটা মেসেজ দেয়ার চেষ্টা থাকে।কিন্তু নন্সেন্স গল্প গুলো পুরোপুরি নন্সেন্স। এর কোন সাহিত্য মূল্য নেই। শুধু নির্মল আনন্দের উপাদান থাকবে এতে।
জানোয়ার !!!!!
বাইরে বেশ জোরেশোরেই ব্ ষ্টি পড়ছে।কোন কুক্ষণে যে আজকে বের হতে গিয়েছিলো শোয়েব।সব দোষ নিশাতের।সকাল থেকেই গুড়ি গুড়ি ব্ ষ্টি পড়ছে।তার উপর দুপুরের দিকে কালো মেঘের গুড়ুম গুড়ুম বেড়ে গিয়েছিলো।ভেবেছিলো আপার খালি বাসাটাতে সারাটাদিন ঘুমিয়ে আর সিনেমা দেখেই কাটিয়ে দিবে ও।না!তা আর হলো কই?
দুপুরের খাবার পর একটা মুভি চালিয়ে মাত্র বিছানায় পিঠটা ছোয়ালো এমন সময়ই ফোনটা বেজে ওঠলো।ডিসপ্লেতে নিশাতের নাম দেখে তাড়াতাড়ি রিসিভ করলো শোয়েব।
এই শোন,বিকেলবেলা কি তোর কোন কাজ আছে?
না,নেই।আর থাকলেও তোর জ্বালায় কি আর কাজ করা সম্ভব।এখন বল কি করতে হবে?
রিকশায় ঘুরতে ইচ্ছা করছে খুব।বিকেলে একটা রিকশা নিয়ে আমার বাসার সামনে এসে পড়িস।
আমি রিকশা আনতে পারবো না।টাকা নাই।রিকশা ভাড়া তুই দিলে আনতে পারি।
এহ।এমনভাবে বললি যেনো আমি রিকশাভাড়া দেই না।ক্যাম্পাস থেকে তোর বাসায় যাওয়ার ভাড়া কে দেয়?
আচ্ছা আচ্ছা ।ঠিক আছে।এখন অফ যা।বিকেল কয়টায় আসতে হবে?
চারটা সাড়ে চারটার দিকে এসে পড়িস।
ওকে।আসবো।
শিরোনাম পাই নাই গল্পের...কেউ একজন একটা নাম দিবেন প্লিজ ।
রাস্তায় বের হয়ে হন্তদন্ত করে হাটছি।হল থেকে বেরোনোর পর সামনে অন্যদিনের চেয়ে বেশি বন্ধুদের দেখা পাচ্ছি।আজ যেনো সব শালা একসাথে বাইরে বেড়িয়েছে।তড়িঘড়ি করে হাটার কারণ জিজ্ঞেস করছে সবাই আর উত্তর দিতে দিতে আমার অবস্থা খারাপ।সবাইকে, "দোস্ত পরে কথা বলতাছি।একটু দৌড়ের উপর আছি"এই কথা বলতে বলতে ছুট লাগাচ্ছি।সামনে কোন খালি রিকশাও পাচ্ছি না।ধুরর!!!
এতো হন্তদন্ত হয়ে ছোটার কারণ আর কিছু না,একটা ফোনকল।তানির ফোন!!!এই ফোনকল প্রধানমন্ত্রীর ফোনের থেকেও বেশী জরুরি আমার কাছে।ফোন রিসিভ করতেই ও বললো তাড়াতাড়ি চলে আয়?আমি বললাম কৈ আসমু?ওপাশ থেকে উত্তর আরে গাধা ক্যাম্পাসে আয়।
সামনে একটা খালি রিকশা!লাফ দিয়ে রিকশায় চড়েই বললাম,মামু চলেন!রিকশাওয়ালাও বেশ উৎসাহের সাথে সাথে পেডেল মারতে লাগলেন।ক্যাম্পাসের মেইন গেটের কাছে আসতেই তানিও ঐ রিকশায় চড়ে বসলো।রিকশাওয়ালার প্রতি নির্দেশ ,ঐ রিকশা কাজী অফিস চলো।
আরে একটু আগে এই লোকটারে মামু ডাকছি।একটু সম্মান দেখা লোকটার প্রতি।
তোর মামু,সম্মান তুই দেখা গাধা।
তা কাজী অফিসে যামু কেন?
বিয়ের জন্য।
কি কস।এতো তাড়াতাড়ি বিয়া করার দরকার কী?আমার তো এখনো চাকরি হয় নাই।
স্বাধীনতার খোঁজ
স্বাধীনতাতেই জীবনের স্পন্দন অনুভব করা যায়।স্বাধীনতাতেই উন্নতি।নির্মল শুদ্ধ বাতাসকে কোন জায়গায় আবদ্ধ করে রাখলে তা দূষিত হতে বাধ্য।স্বচ্ছ বয়ে চলা পানিকে আটকে ফেলুন পানি দূর্গন্ধযুক্ত হয়ে যাবে।যারা যতো স্বাধীন তারা তত উন্নত।কারো স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করা উচিত না।তাকে নিজের মতো বেড়ে উঠতে উৎসাহিত করুন।
যারা শৈশব বা বাল্যকালে ভালবাসা কম পায় তারা বড় হয়ে ভীতু ও পরাজিত মানসিকতার হয়।বাল্যকালে স্নেহ ভালবাসা পেলে মানুষ মানুষকে বিশ্বাস করতে শেখে।যে সব পরিবারের পিতা মাতারা নিজেদের সন্তানকে নিজের পথ চিনে নিতে বলে ,নিজের খেয়ালখুশি মতো গড়ে ওঠতে প্রেরণা দেন,প্রতিযোগিতামূলক মনোভাব তৈরি করতে সাহায্য করেন সে সব ছেলে মেয়েরা বড় হয়ে অনেক কিছু জয় করতে শেখে।এডিসনকে তার অভিভাবকরা জোর করে স্কুলে পাঠাতে চাইলেন কিন্তু এডিসন অন্য কাজে ব্যস্ত রইলেন।নিজের স্বাধীন ইচ্ছায় কাজ করতে থাকলেন।অভিভাবকের পীড়াপীড়িতে তিনি যদি স্কুলে যেতেন তাহলে হয়তোবা বড় একজন ডক্টরেট হতেন কিন্তু বড় বৈজ্ঞানিক হতে পারতেন না।
প্রেম!!!প্রেম!!!
আমার এক বন্ধু এক মেয়েকে ভালবাসতো ,মেয়েটিও তাকে ভালবাসত কিন্তু সামনে আসলে খুব বিরক্ত এমন একটা ভাব নিতো। ঐ ঘটনা মনে করে লিখা.।.।.।.।.।
চোখ পাকিয়ে ঠোঁট ফুলিয়ে,
এড়িয়ে ঠিকই যাচ্ছিস,
এড়িয়ে যাওয়ার ছলেও কি তুই,
এড়িয়ে যেতে পারছিস?
সামনে এসে দাড়াই যখন,
দেখিস না চোখ মেলে,
বইয়ের পাতায় রোদ খেলে যায়,
আমার দেখা পেলে।
চোখের পাতায় চোখ মেলে না,
মনের পাতায় মন,
এই অভিনয়,বল তুই আর চালাবি কতক্ষণ?
চলে আয় তুই,বলে দে সব,
না বলা যতো কথা,
ভালবাসার গল্প দিয়ে
লিখে যা গল্পগাথা।
আপনজন
১৭বার ফোন দেয়ার পরও রিসিভ না করার পর মেসেজ দিলো রবি।
"তমা, একটু ফোনটা রিসিভ করো।শুধুমাত্র ভয়েসটা শুনবো,তারপর কেটে দিও।"
তমা বড় বেশি বাস্তববাদী।স্বার্থপরতা তার রক্তে রক্তে।বাস্তবতাকে খুব ভালোভাবে উপলব্ধি করে পারে ও।একই ভার্সিটিতে পড়ে ওরা কিন্তু ডিপার্টমেন্ট আলাদা।আলাদা ডিপার্টমেন্ট হওয়া সত্ত্বেও ফেসবুক,স্কাইপিরএই যুগে বন্ধুত্ব তৈরি হতে সময় লাগেনি।
ফেসবুকে ঘন্টার পর ঘন্টা চ্যাট করার পর মোবাইল নাম্বার আদান প্রদান হতেও দেরি হয়নি দুজনের।বেশ কয়েকদিন কথা বলার পর হঠাৎই রবি টের পায় তমার প্রতি তার নিজস্ব কিছু অনুভূতি আছে।তমার সাথে কথা বলতে বড় বেশি ভালো লাগে ওর।মোবাইলে কথা বলাতে তমার চরম বিরক্তি থাকা সত্ত্বেও রবির অনুরোধে কথা চালিয়ে যায় ও।
মজার ছড়া
বিকেলবেলা দুই বন্ধুতে
যাচ্ছিনু বৌবাজার,
উদ্দেশ্য আর কিছুই না,
নাশতা,পান-আহার।
হাঁটতে হাঁটতে একটু দূরে,
গিয়েই চমকে ওঠি,
চোখে পড়লো কথা বলছে,
নরনারীর এক জুটি।
প্রথমে ভাবলাম ঈভ টিজিং,
কিছু করা দরকার,
বন্ধু বলে,বাদ দে,
এসব দেখতে আছে সরকার।
আমি এখন তারুণ্যে ঠাসা,
মনেতে বারুদ গুলি,
আমাকে কি আটকাতে পারে,
বন্ধুর ও ক'টা বুলি।
বীরদর্পে যেই না আমি,
এগিয়ে গেলাম কাছে,
দেখিলাম নর ধরে আছে হাত,
নারী যদি হারায় পাছে।
বুঝতে পারলাম ভিজছে দুজন
শীতল প্রেমের জলে,
আমি তখন সটকে আসি,
কোন কথা না বলে।
তিথি- শুধুই একটি গল্প
সারাদিন অনেক ধকল গেছে আজ তিথির।সেই ভোরবেলা ওঠে নাশতা তৈরি করে বাচ্চাটাকে স্কুলে আর স্বামীকে অফিসে পাঠিয়ে ঘরদোর গোছগাছ করতে করতেই পুরো সকালটা শেষ ওর।আজকে আবার ব্যাংকে গিয়েছিলো টাকা তুলতে।ব্যাংকের ক্যাশিয়ার পরিচিত থাকায় টাকা তুলতে বিশেষ বেগ পোহাতে হয়নি।তারপরও বাসায় আসতে আসতে অনেক দেরি হয়ে গেছে ওর।দুপুরের রান্নাবান্না শেষ হতে হতেই বাচ্চাটা স্কুল থেকে এসে পড়ে।ওকে গোসল করিয়ে,খাইয়ে ঘুম পাড়ানোর সময় নিজেও একটু ঘুমিয়ে নেয়।
সারাদিন কাজ করতে করতে নিজের জন্য একটুও সময় বের করতে পারে না ও।তাই বলে কি ও অসুখী?না বেশ সুখেই আছে ও।তিনজন মিলে বেশ ছিমছাম,গোছানো সংসার।এটাই কি চেয়েছিলো ও?হয়তোবা হ্যা,হয়তোবা না।স্বামীর ভালোবাসা পাচ্ছে,নিজের সংসার নিজের মতো চালাচ্ছে এইতো বেশ ভালো আছে ও।একটা মেয়ে জীবনে এর থেকে আর বেশি কি চায়?তিথিও আর কিছু চায় না।
তবুও মাঝে মাঝে একটু খচখচানি লাগে মনে।একটা শ্যামলা মুখ,আর দশটা সাধারণ মুখের মতই একটা মুখ যা সবসময় হাসিতে উদ্ভাসিত থাকতো।মাঝে মাঝে রাতের বেলা ঐ মুখটার কথা ভেবেই বুকটা খচ করে ওঠে ওর।কেমন আছে ও?এখন কোথায়?
আমি একজন খাঁটি বেকার।তাই বেকারদের নিয়ে একটা ছড়া পোস্ট দিলাম
উস্কোখুস্কো চুলের বাহার,
কপালের ঘাম মুখেতে,
ছিড়ছে জুতার শুকতলি,
আর পয়সা নাই যে পকেটে।
ঘরে ঢুকলে আব্বার কের্ত্তন,
আম্মার লাই দেয়া হাসি,
সমাজের আর সকলের কাছে,
আমি খোদার খাসি।
কি করছেন?কিছুই না।
উত্তর দিবো কতো,
বেকার টাইটেল নিয়ে আজ,
ঘুরছি অবিরত।
বেকার পোলার মত বালাই,
এই দুনিয়ায় নাই,
সাধ করে কি আমরা সব,
বেকার থাকতে চাই?
চাকরির আশায় পার করি দিন,
ঘুরে ঘুরে হতাশ,
চাকরি করা দোস্ত দেখলে,
অপমান লাগে চটাস।
সকালে যাই রাতে ফিরি,
শান্তি নাই কপালে,
ঘরের সকল কাজে থাকি,
হয়ে সাক্ষী গোপালে।