ভালোবাসা, ডিমান্ড এবং অতঃপর
মাথার চুল একটা একটা করে ছিঁড়তে মন চায় সোহাগের।
-তুমি এত ডিমান্ডিং......
-হ্যাঁ, আমার প্রচুর ডিমান্ড। এর একটাও না হলে আমার চলবে না।
রুমের দেয়ালে ঝোলানো সাদা বোর্ডটার দিকে তাকায় সোহাগ।
আজও রাতে চলছে। পুরো দমে। প্রতিদিনের মতই আগের দিনের চেয়ে একটু বেশি তেজে।
বোর্ড ভর্তি এক গাদা কাজের তালিকা। এই করবে, সেই করবে, এত তারিখে এইখানে, ঐখানে।
মনের ভেতর থেকে কেউ একজন বলে ওঠে , "আমি কই?"
এই কণ্ঠস্বরটাকে ভয় পায় সোহাগ।
প্রচণ্ড ভয়।
ইদানীং প্রতিনিয়ত এমন হচ্ছে তার। কোন কিছু করতে গেলেই সেই কণ্ঠস্বর বাধা দেয়।
-তোমার জন্য আমি প্রতিদিন বাসায় ফিরে বকা খেতাম। তোমার জন্য আমি সেজে বের হতাম, কোই একবারও তো তাকিয়ে বলনি দেখতে সুন্দর লাগছে। তোর জন্য কুত্তার বাচ্চা আমি কত কি করছি, আর তুই কিনা বলিস তুই এতটুকু করতে পারবি না? আমি তোর কাছ থেকে ম্যাটেরিয়ালিস্টিক কিছু চাইছি?বল তুই?তোকে শুয়োরের বাচ্চা শুধু বলি আমার সাথে একটু কথা বলতে, তাতেও তোর এত সমস্যা? এটাই তোর কাছে আমাকে ডিমান্ডিং বানায়?
সোহাগ বোর্ড দেখে আর হাসে। উপরের দিক থেকে জমতে জমতে নিচে এসে পরেছে, তালিকা সেই রকম লম্বা।
-আর দশটা ছেলেকে দেখ। আমি কি কোন কিছু লুকাই তোমার কাছ থেকে? যা চেয়েছো আমি তাই করেছি। খালি আমি পারিনি ঘণ্টায় ঘণ্টায় তোমার খবর নিতে, পারিনি কাজ বাদ দিয়ে তোমাকে বাসায় পৌছে দিতে, এই আমার দোষ???এতেই তুমি বলে দিলে কত উপায়ে তুমি আমার জন্য কি কি করেছো?আগে বলি, ধন্যবাদ তোমাকে এত মহানুভবতার জন্য। কিন্তু এর কোনটাই আমি তোমাকে কখনও করতে বলিনি। আমি যা করেছি সজ্ঞানে ভালবেসে করেছি তোমার জন্য। ভাবিনি কোন প্রতিদান দরকার। তাহলে আমিও লিস্ট করে রাখতাম।
সোহাগের দম ধরে যায়। ভাল লাগে না ওর। একদমই না।
ভাবনাগুলো এত এলেমেলো কেন?আগে তো এমন ছিল না।
বুঝতে পারে ও- রেগে যাচ্ছে।
-আসলে মিলি, আমি এখন তোমাকে ভয় পাই। আমার ধারণা এভাবে চলতে থাকলে আমার নিজের সত্তা বলে কিছু থাকবে না। তোমার সামনে তুমি যেভাবে চাইবে আমাকে সেভাবে থাকতে হবে। তুমি যা শুনতে চাইবে আমাকে তাই বলতে হবে। আমি এমন হলে মারা যাব। আমি এভাবে বাঁচতে পারবো না।
-কুত্তার বাচ্চা, শুয়োরের বাচ্চা, ভালোবাসার আগে মনে ছি...ল...না.আআ.........
সারারাত ধরে ফোনে চেষ্টা করে মিলি। বারে বারে উত্তর আসে,"এই মুহূর্তে নম্বরটি বন্ধ আছে।"
কেন জানি মনে হয় মিলির কিছু একটা হারিয়ে ফেলছে সে।
যা তার ছিল না। যা আসলে তার নয়।
ঘুম ভাঙ্গে হঠাৎ করেই। কোন কারণ ছাড়াই, অন্যদিনের মত ফোনের শব্দে না।
একটু চোখ খুলে চারপাশ দেখে সোহাগ।
তারপর নিজেকে বলে-
"আর একটু ঘুমানো যাক।
গল্প ভাল লেগেছে। হোয়াইট বোর্ডের ব্যাপারটা ইন্টারেস্টিং।
বাপরে! 'বিয়ের আগে মনে ছিল না'-- বলতে হলে মিলির সংলাপ কেমন দাঁড়াতো ভাবতেই আতঙ্ক হচ্ছে
ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগলো
হোয়াইট বোর্ডের কাহিনী পরের পর্বে।
ধন্যবাদ।
খাইছে।
এটা ভালাবাসা ট্যাগ কেমনে পাইলো।ভাবতেছি।

এগুলো না থাকলে কি ভালোবাসা হয়!!!
ভালো লেগেছে। শেষ পর্যন্ত আগ্রহ ধরে রাখতে পেরেছে।
নিয়মিত লিখুন।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
আশা করি নিয়মিত লিখতে পারবো।
ভালোই, টিভি নাটকের সংস্করণ লিক্সিস।
বেটা টিভি নাটক নাহ। চিনবার পারলি না কিডা এইডা??
বাহ ! বেশ লাগলো ।
=======
অফটপিক প্রশ্ন - আপনি কি উদয়ন স্কুল ?
ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
আহারে এত্ত ছাড়ি দেয় মাইনষে!
না ছাড়ি দিলে কেমবায় চলত? নতুন লাগিবেন নাহ?
ছাড়ি = ঝাড়ি হইবেক।
নাকি রিমান্ড, ডিমান্ড এবং কমান্ড
ভালো বলেছেন । আসলেই তাই।
টাইপো গুলো ঠিক করে দিলে আরো আরাম হবে পড়তে।
এবিতে স্বাগতম
ধন্যবাদ।
এত ছোট ক্যান? মনে হইতাছে আমরা একটা ডিজুস কাহিনি পাইতেছি
এবিতে স্বাগতম।
গল্প পইড়া ভয় পাইছি। খাইছে......
ভাল ... ! গুন্ডিকে একা ছাড়াই ভালো .! মানসিক ভাবে বিকারগ্রস্থ আরকি..!! পড়ে যা মনে হল .. টিপিকালিটি.. সহ্য তো করা লাগেই .. বাস্তবতা পরিস্ফুটিত.!
মন্তব্য করুন