ইউজার লগইন

পাপন বড়ুয়া শাকিল'এর ব্লগ

বাবার জন্য কয়েক ছত্র...

পিতৃশোক কি মৃত্যর চেয়ে ভারী ? জানি না,তবে বাবাকে স্মরণ করলে মনে মনে সাহস পাই।শক্তি অনুভব করি।মনে হয় মাথার উপর একটা শীতল হাত অহর্নিশ ছায়া দিয়ে যাচ্ছে।না হয় এতো প্রতিকূলতা সামলে উঠি কিভাবে ?

২০০৬ সালের ২৭জানুয়ারী যেন আমাদের মাথার উপর থেকে যেন আকাশ সরে গিয়েছিল।
বাবাকে নিয়ে লিখা হয়নি কখনো।আমার বাবাও বিখ্যাত কোন ব্যক্তি নন তবে আমার বাবা ছিলেন সাধারণের ভিড়ে অসাধারণ একজন মানুষ।আত্মকেন্দ্রীকতা কখনো বাবাকে স্পর্শ করতে পারেনি।কারো জন্য কিছু করে বাবা কখনো প্রতিদান আশা করতো না।বলতো কারো জন্য কিছু করতে পারার আত্মতৃপ্তি টুকুই আসল।বাবাকে দেখে আমি বুঝতে শিখেছিলাম –মানুষ মানুষের জন্যে।
.পরজন্ম বিশ্বাস করি না;না হয় বলতাম-বাবা বার বার যেন তোমার ঔরসে জন্মাই।।

শাহাবাজ সাহেবের ঘটকালি

শাহাবাজ সাহেব আমার নতুন সহকর্মী।মাসখানেক আগে আমাদের সাথে জয়েন্ট করেছেন।নিস্পাপ চেহারার দারুণ স্মার্ট একটাছেলে।মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এম এস করা ছাত্র।কথায় কথায় হাসেন।কর্ম জীবনে নতুন হলেও একদুপুরে জানতে পারলাম তিনি বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী।এই বয়সে তিনি সাত-সাতটি বিয়ের ঘটকালি করেছেন।অথাৎ তিনি একজন সফল(?)ঘটক।শুনে টাসকি খেয়ে গেলাম।এই ছেলে বলে কী?আমি এই বুড়ো বয়সে একটা ঘটকালি করতে গিয়ে কত নাকানি-চুবানি খাচ্ছি।আর শাহাবাজ সাহেব কিনা সাত-সাতটা ঘটনা ঘটিয়ে ফেলেছেন(কোন এক বিখ্যাত দার্শনিক বলেছেন যিনি ঘটনা ঘটান তিনি হলেন ঘটক !)সব বিয়েতে তিনি খেয়ে-ধেয়ে তৃপ্তির ঢেঁকুর তুললেও বিপপ্তি ঘটল ৫ম বিয়েতে।সেবার পাত্রী ছিল শাহাবাজ সাহেবের বন্ধুর ছোট বোন।বন্ধুমানে একেবারে ঘনিষ্ট বন্ধু।স্কুল থেকে ভার্সিটি এক সাথে পড়ালেখা ।এক সাথে নাওয়া খাওয়া।একেবারে হরিহর আত্মা।দু’জনের বাড়ীও একই এলাকায়।উল্লেখ্য উনার বন্ধুটি ছিলেন হিন্দু ধর্মালম্বী।ঘটক সাহেব একদিন যথারীতি প্রস্তাব নিয়ে পাত্রীর বাড়ীতে হাজির হলেন।পাত্রও বেশ ভাল।একেবারে উপযুক্ত পাত্রীর উপযুক্ত পাত্র।সবাই খুশী।এদিকে ঘটক সাহেব এবং পাত্রীর পরিবা

একজন সুইপারের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা।

২০০২ সালের দিকে আমি কাজ করতাম কালুরঘাটস্হ রিজেন্ট টেক্সটাইল মিলে।সেখানে ৩০/৩৫ বছরের বোকা-সোকা ধরনের একজন লোক কাজ করতো।তার নাম রাজু।রাজ বিহারী জলদাস(রাজু)।তত
তার সাথে আমার দারুণ ভাব ছিল।আমাদের ভাবের মূল কারণ আমরা দুজনেই একটু বেকুব(বোকা)টাইপের মানুষ।আমি কাজ করতাম যন্ত্রিক বিভাগে আর সে ছিল সুইপার মানে টয়লেট পরিস্কার
করতো।সেজন্য অনেকে আমাদের ভাবটাকে একটু বাঁকা চোখে দেখতো।সময়ে অসময়ে রাজু আমার কানের কাছে এসে ঘ্যান ঘ্যান করতো তাকে যেন আমি উপর থেকে নিচে নামিয়ে আনি অথাৎ
অফিসের টয়লেটগুলো ছিল দোতালায়।তার এই কাজ করতে ভাল লাগেনা।নাকে সব সময় গন্ধ লেগে থাকে।ঠিকমত খেতে পারেনা।তাছাড়া তার পূর্বপুরুষরা কেউ এই পেশায় ছিলনা।রাজুরা
বংশ পরিক্রমায় সবাই মৎস্যজীবি।আমি তাকে উল্টো প্রশ্ন করতাম তহলে এই লাইনে এলি কেন ? তার সোজা সাপ্টা জবাব পেটের দায়ে।আমি চুপ করে থাকতাম। রাজুকে আমি বোঝাতে
পারতামনা ছাপোষা একজন জুনিয়র অফিসারের পক্ষে একজন সুইপারকে প্রমোশন দিয়ে জেনারেল লেবার করার ক্ষমতা আমার নেই।