ভালোবাসার এক অদ্ভুত কাহিনী!
-কাল বিকেলে আমার সাথে যেতে পারবি?
-কোথায় ?
-আগে বল পারবি কিনা ?
-হ্যা পারবো ।
ভার্সিটি থেকে ফেরার পথে সাবিহা প্রায়ই এমন বায়না ঘরে ।তানিম কখনো না বলতে পারে না হয়ত পারবেও না ।সাবিহাকে সে ভালবাসে তবে বলতে পারে না ।সেই কলেজ থেকে তারা একে অপরের বন্ধু ।
.
তানিম জানে কোথায় দেখা করতে হবে ।তাই পরদিন সেই বকুল গাছের নিচে সাবিহার সাথে দেখা করে ।
.
সাজলে তাকে বেশ সুন্দর লাগে, কিন্তু মুখ ফুটে প্রশংসাটা করতে পারেনা তানিম ।
তারা যখন একসাথে থাকে তখন সাবিহার হাসিখুশি মুখের দিকে অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে তানিম।
এভাবে যেন হাজার বছর কাটিয়ে দেয়া যায় ।
তবে আজ পরিবেশটা কেমন যেন থমথমে ।দেশের পরিস্থিতি ভালো না তাই তারা দুজন সেদিন বাড়ি ফিরে যায় ।
.
.
.
বেশ কিছুদিন হল ভার্সিটি বন্ধ, সেই রাতের পর থেকে দেশটা যেন কেমন হয়ে গেছে ।সন্ধ্যা হলেই মিছিলের আওয়াজ শোনে সাবিহা ।অনেকদিন তানিমের সাথেও দেখা নেই ।
.
পাগলটাকে না দেখে সে থাকতে পারে না ।সে জানে তানিম তাকে ভালবাসে তবে বলতে পারেনা ।তাই তানিমের জন্মদিনে সে এই কথাটা বলবে ।
.
তবে তার আগে দেখা করা দরকার ,তাই পরদিন সাবিহা তানিমের খোজে তার বাড়ি যায় ।
সেখানে সে জানতে পারে তানিম সেই রাতের পর ২৬শে মার্চ ভোরে বাড়ি থেকে বেরিয় যায় ।
তার আর কোন খোজ পাওয়া যায়নি ।
.
সাবিহা এমন একটা ঘটনার জন্য প্রস্তুত ছিল না ।সব কিছুই কেমন যেন জট পাকিয়ে যায় ।তবে তানিমের একটা আধলেখা চিঠি সাবিহা পায় ।
.
তাতে সাবিহাকে লেখা কিছু সাদামাটা ছন্দবিহীন কথা ........
.
পাগলাটা আজো তার মনের কথা বলে যেতে পারেনি........
.
.
৪৩ বছরে সাবিহা বহুবার চিঠিটা পরেছে ,প্রত্যেকবারই মনে হয়েছে এই বুঝি তানিম চিঠিটার শেষাংশ পরে শোনাবে.........
পোষ্টটি ভালো লাগলে আমাদের সঙ্গেই থাকুন ৷
বেশ ভাল লেগেছে লেখাটা কিন্তু খুব ছোট ------------- আর একটু বড় হওয়া দরকার ছিলো
শেষের লাইনটা অপ্রয়োজনীয়
পোস্ট ভাল লেগেছে
সুন্দর লেখা...
ধন্যবাদ সবাইকে
ভাল লাগল
মন্তব্য করুন