ফুলের বাগান
আমাদের এক স্যার আছিলেন রেসিডেন্সিয়াল মডেলে, তার নাম নাহয় নাই বল্লাম, ধরে নেন তার নাম নিব, জীববিদ্যা পড়াইতেন, জীববিদ্যা পড়াইতে পড়াইতে উনি মনে হয় একটু বেশি উত্তেজিত হয়ে গিয়েছিলেন, তাই পড়ানোর পাশাপাশি যাবতীয় জীববিদ্যার ব্যাপার স্যাপার দেখতে শুরু করলেন। সমস্যা হয়ে দাড়ালো যখন সেই সব গোপন কথা ফাঁস হয়ে গেল। আমাদের ক্লাসে আবার ৩ জন বন্ধু ছিল যাদের বাবা আমাদের শিক্ষক, তাই তারাও ক্যাম্পাসে থাকত, একই কারণে তারা একই ভিডিও ক্লাবে যাইত। সেই ৩ জনের একজনের নাম নাসের, সে গেল পাড়ার ভিডিও ক্লাবে ৩ বা ৩ এর গুনিতক চলচ্চিত্র আনতে, সেদিন তার মাথায় আসল ফিরিঙ্গি সিনেমা তো কম দেখলাম না, আজকে একটা সদেশি পণ্য যাচাই করে দেখি। সেখানে গিয়ে 'ফুলের বাগান' নামে চলচ্চিত্রের কার্ডে সই করতে গিয়ে দেখে উপরে নিবের নাম।
এরকম গরম খবর আমার বন্ধুটি বেশিদিন চেপে রাখতে পারে নাই, কথা প্রসঙ্গে আমরা যেনে যাই নিবের এই অনুসন্ধিতসা মনের কথা, তাই তারপর থেকে স্যার ক্লাসে আসার আগে ভাগেই আমরা ব্ল্যাক-বোর্ডের কোণায় বড় করে লিখে রাখতাম "ফুলের বাগান"। প্রথমদিন স্যার এসে কোণায় এই ম্যাজিক ওয়ার্ড দেখে প্রায় রক্তশূন্য অবস্থা। এর পরেও অনেকবার এহেন কুকর্ম আমরা করেছি, উনিও দেখে না দেখার ভাণ করে গেছেন। আজ অনেক দিন পরে এক আপুর ফুলের বাগানের ছবি তুলতে গিয়ে আমার সেই মধুর দিনগুলোর কথা মনে পড়ে গেল। জানিনা নিব এখনো নতুন ফুলের বাগানের সন্ধানে ঘুরে বেড়াচ্ছেন কিনা!
আমার ঐ বন্ধুর আরেকটা ঘটনা বলে যাই, আমার নাসেরের আরো ২ বোন এবং বড় এক ভাই ছিল। ওর বড় বোন ছিল দারুণ সুন্দরী, আমরা কেবলে দশম শ্রেণীতেপড়ি। আমাদের আরেক বন্ধু এক বিকালে আমার সেই বন্ধুর সাথে এক স্যারের বাসায় পড়ে হলের দিকে যাচ্ছে আড্ডা দিতে। পথে নাসেরের বাসা পড়ে, আমার অন্য বন্ধুটি জানত না যে নাসেরের বড় বোন আছে, এদিকে ঐ আপু ছাদে বিকালের হাওয়া খেতে বের হয়েছেন। আমার অন্য বন্ধুটি আপুকে দেখে মাথা খারাপ হবার যোগাড়। সে আর থাকতে না পেরে নাসেরকে বলে, ঐ দেখ দেখ, কঠিন সুন্দরী, এরে চিনিস নাকি? চিনলে আমার সাথে পরিচয় করায় দিবি, এর সাথে টাংকি না মারলেই না। নাসের দাঁত কিড়মিড় করে বলে, ঐ হারামজাদা, ঐটা আমার বড় বোন!
আসেন হুদা প্যাচাল অনেক পাড়লাম, এর চেয়ে আসল ফুলের বাগানের কিছু ছবি দেখি। জানি না কেমন লাগবে, ভালো ছবি তুলতে পারি না, তাই বলে থেমে থাকতেও পারি না, যেখানেই কিছু পাই, ক্যামেরা নিয়ে ঝাপিয়ে পড়ি, আর ধুনফুন ছবি তুলে সবাইকে দেখিয়ে বেড়াই।
আমেরিকা আইসাও গেন্দা ফুল, কিন্তু খুব ভালো লেগেছে, আমার এই ছবিটা দিতে গিয়ে মনে পড়ে গেল চতুর্থ শ্রেণীতে পড়তে সময় স্কুলের গেটে ঝুলতে থাকা এক ছোট ভাইয়ের হাতে চিপা দিয়ে ৩ টা আঙ্গুলের নখ উলটে দেবার পর স্যারের বকা খেয়ে গেন্দা ফুলের পাতা চিপে রস দেবার কথা।





সুন্দর, সুন্দর!!
ধন্যবাদ!
ফুলের বাগানের গল্পের মোরাল কি? ছাত্ররা দেখেলে ঠিক আছে আর শিক্ষকরা দেখলেই দোষ? মনে রেখ সাইফ আজকের ছাত্র, আগামীর শিক্ষক = আজকের সাইফ কালকের নিব
ফটুক সৌর্ন্দয হয়েছে
হে হে হে, তাতাপু, আমার ব্লগে মোরাল খোঁজা একটু বেশি হইয়া গেল না
? আমার ব্লগ সাধারণত অন্তঃসারশূন্যই হয়, আর এখানে দোষগুনের কথা না, আর দেখতেই পাইতেছেন, আমরা উপযুক্ত শিক্ষকের প্রশিক্ষনে আরো বেশি কইরা উনার পথ ধইরা হাটতেছি
, আর বুঝেন আমরা কত বেহায়া, গোপন ঘটনা যানার পর সেইটা নিয়া উলটা স্যারদের অপ্রস্তুত কইরা মজা নিতে একটুও পিছুপা হইতাম না 
আর স্যাররাও মানুষ, কিন্তু তারা যখন আমাগো বইখাতা কাইড়া নিতেন, তখন খুব হাসি পাইত, আমাগো ধর্মের স্যার মাসুদ রানা থিক্কা শুরু কইরা রসময় কোন কিছুই কাইড়া নিয়া জমা দিতেন না, কারণ নিজেরাই দেখতাম ব্যাপক আগ্রহ নিয়া পড়তেন সেই বইগুলা
এতে দুই পক্ষই খুশি থাকত, উনাদেরও অপ্রিয় আনকম্ফোর্টেবল অবস্থায় পড়তে হইত না, বিনিময়ে আমরাও গ্যাঞ্জামে পড়তাম না।
ফটুক ভালু লাগছে যাইনা বিয়াপক আনুন্দু পাইলাম।
মোরাল বলতে কি বুঝাইছি আশাকরি বুঝতে পারছো
তুমি এখানে এতো কম লেখো যে তোমার লেগপুল করার কোন চান্স পাই নাতো
বুঝতাম পারছি, মাগার আপনার লগে একটু রঙ তামাশা করি আরকি, কতদিন পায়ে পা লাগায়া ব্লগিং করি না। গত ২ মাসে কিছুই লিখি নাই
আমজাদ স্যার

নিবের জোড়া হাতে থাপ্পর
হে হে হে, সকল রহস্য ফাঁস কৈরা দিবেন দেখি, যাক, এসব কাহিনী অন্য কেউ জানে দেইখা আরো মজা পাইলাম।
অসুবিধা না থাকলে কইয়েন আপনার ইন্টার কবে? আমার ৯৭-৯৮ সেশন
৯৫
বাহ্ দারুণ সব ছবি সাইফ। মন ভালো করে দেবার মতো ।
তবে তোমার বিটলামির গল্প আরও শুনতাম চাই
জবাব দিতে অনেক দেরী হইয়া গেলগা! আমার একটা ছবি আপনার মন ভালো করতে পারসে জাইনা আসলেই আমার মন ভালো হইয়া গেছে, এইখানে আমার ব্লগিং সার্থক হইছে! বিটলামির গফ শুরু করুম, কুনু সমেস্যা নাই। আমাগো বাঘ মামারে ইহানে টানেন না কেন?
ব্যাপক সুন্দর ফুল ।
ধন্যবাদ বস! আপনার নামকরনের সার্থকতা জানতে মন্চায়, অসুবিধা না থাকলে একদিন হেই গফ পাড়েন
মান্না, গেন্দাফুল দেখে তো ল্যাব এর কথা মনে পড়ে গেল রে। মনে আছে রব্বেনি সারের ক্লাসে যে একবার পেপার কাটিং নিয়ে ধরা খেতে খেতে বেঁচেছিলাম?
দোস্ত ভুলি কেমনে? তোর সেই ইনকিলাব এর "ছোট জিনিস বড় করুন, বর্ধিত করুন" এর কাটিং। আর সেই ভারতীয় বানিজ্যমন্ত্রী চিদাম্বারাম না '_দাম্ভারাম" কি যেন নাম, হে হে হে, স্বর্ণযুগ আছিল সেই দিন গুলানদোস্ত। আমাগো সেই রাতুলের পোঁদে চুইংগাম লাগায়া মাইর খাওনের কাহিনী লিখছিলাম আরেক পারায়, হে হে হে। দেখি এইখানেই মাইর গভ: ল্যাবের কিছু ঘটনা লিখা ফালামু, বিশেষ কইরা হক ব্যাটারি, নাইমুল ভাই (
) আর আজরাইল রে নিয়া!
আমরা তিন বন্ধু এক রিকসায়... সামনে রিকসায় তিন তরুনী... রিকসার উপরে বসা বন্ধু পেছন থেকে সিটি বাজাচ্ছে... সামনের রিকসার উপরে বসা তরুনী যখন সিটি শুনে পেছনে তাকালো তখনতো আমার সিটি বাজানো বন্ধুর অবস্থা হইছে... "মাটি তুমি ফাকা হও ... আমি লুকাই"
কারন ওইটা সিটি বাজানো বন্ধুর ছোট বোন ছিল
ইয়ে মানে...সব কাহিনী বন্ধুর বইলা চালায় দেয়া ঠিক না
>)
এমনে গুপন কতা ফাঁস কইরা দিলেন, 
হে হে হে, ঢিলটা মারলে পাটকেলটা মাথাতই পড়ব, হে হে হে, ব্যাপক মজা পাইছি টুটুল ভাই, তয় এরাম সৌভাগ্য আমার হয় নাই, তয় আমার এক দুস্ত একবার ডায়লগ মারতাম গিয়া হেবি ধরা কাইছিল, মাইয়াটা ছিল কাঁচামরিচের লাহান, এমন জবাব দিছিল, হে হে হে, পারলে ঐ মাইয়ার পায়ে ধইরা সালাম কইরা আসতে ইচ্ছা করছিল।
আমিও একটা ফুলের ছবি দিলাম , কারো বাগান না , সহরোয়ার্দি উদ্যান থেকে নেয়া
এইটা আর নিচেরটা কি এক বস? নাকি এইখানে আরেকটা দিছিলেন?
http://www.flickr.com/photos/raihan_sayeed/4647247270/
This photo is private.
any one can see now
থেন্কু
দারুণ, আরেকটু কাছে থিকা তুলা শট থাকলে দিয়েন বস!
পুলগুলোতো ব্যাপক ছুন্দর বাইয়া...বালু পাইসি
ওরে দুষ্ট, বালু পাইসো, কিছকিস করে নাইতো
অনেক ধইন্যাপাতা!
সবগুলো ফুল অসম্ভব সুন্দর। কিন্তু ৬ নম্বর ফুলটা সবচেয়ে মারাত্মক। মনের মানুষের জন্য এর চেয়ে ভালো গোলাপ হয় না। আহা রে....আগে যদি পাইতাম
গুরু, এই জন্যই এইখানে দিয়া গেলাম গোলাপগুলান, কারো লাগলে ধার করন লাগপ না, ইচ্ছামতন নিয়া দিয়া দিব। আপনে ভালু পাইছেন জাইনা আমার ফটুক তুলন সার্থক হইল বস! অনেক অনেক ধন্যবাদ! আপাতত মনের মানুষ না হোক ঘরের মানুষরে দিয়া নাহয় কাম চালান
সবগুলি ছবি সুন্দর হয়েছে।
আমিও একটা ফুলের ছবি দিই।

ব্যাপক প্রীত হইলাম, আপনার ফোকাস দেইখা দারুণ মজা পাইছি, আপনে মনে হয়না ক্লোজাপ ফিল্টার লটকাইছেন, ক্লোজাপ লটকাইলে আমার ফোকাসের জায়গা কইমা যায়, একটা পুরা ফুল পুরা ফোকাসে আনতে পারি না। ক্লোজাপ ফিল্টার ব্যবহার কইরা থাকলে ২-১টা টিপস্ দিয়েন
এই ছবিটার ফোকাস দেইখা আমি নিজেই অবাক। ছবিটা তুলছিলাম সাধারণ পয়েন্ট এন্ড শ্যুট দিয়ে।
গত দুইদিন ধরে আমি খালি লেন্সের ছবি দেখি। গরীব মানুষ অনেক কষ্টে একটা ডিএসএলআর কিনছি। জুম লেন্স কিনার পয়সা নাই। কিন্তু শখ তো আর বুঝে না। ক্যাননের এল সিরিজের লেন্স এর দিকে চাইয়া থাকি তৃষিত নয়নে। এখন অবশ্য বাদ দিছি যে এই জিনিস আমার জন্য না। তবে গত দুই দিন ধরে প্ল্যান করছি একটা ইএফএস ৫৫-২৫০ কিনুম সাথে ক্লোজআপ লেন্স যাতে ম্যাক্রো বানাইতে পারি। কবে কিনতারুম কইতারিনা ।
সবগুলো ছবি সুন্দর হয়েছে। আমিও একটা দিলাম
এইডা বেশি বড় হইয়া গেছেগা, পিকাসা দিয়া লটকাইছেন নি? তাইলে ৪০০ এর বেশি দিয়েন না, আটে না। তয় নিচে আইসে ঠিকমত, দারুন আইছে
আগেরটা হয় নাই। তাই ভেরী সরি। ট্রাইং এগেইন
ওরে খাইছে বিশাল সাইজের গুলাব দেখি, সাইজ দেইখা ডরায় গেছি
রক্ত গোলাপটা দেইখা প্রেম করতে মন চাইলো
আহারে, আমারো মন্চাইছিল, মাগার পাশে বউ থাকায় আর সেইডা করতাম পারি নাইকা, খালি টাংকি মাইরাই দুধের সাধ ঘোলে মিটাইছি
বিটলামির গল্প আরো শুনতে চাই
ফুলগুলা সুন্দর
বিটলামি তো শুরুই করি নাই, এইগুলা সমষ্টিগত বাঁদরামী কইতাম পারেন, তয় বিটলামি গফ শুনতাম চাইলে হেইডাও শুনামু, অসুবিধা নাইকা
ফুলগুলা সুন্দর। বানরামীর গপ আরো বেশি সুন্দর। সিরিজ করে ফেলেন বানরামীর
গুরু কইতাছেন, তাইলে নামায়া দিমু, কুনু সমেস্যা নাইকা
আপনার কি দেশে আসার কথানি?
আপনার মুখে ফুল চন্দন পড়ুক, কিন্তু বিলাইয়ের ভাগ্যে যেমন শিকা ছিড়ে না তেমনি আমারো ভাগ্যে দেশে যাওয়া হইতেছে না, তবে আশাকরি আগামী ১ বছরের মধ্যেই দেশে যেতে পারব, তখন ব্যাপক আড্ডাবাজি কইরা সবার মাথা খারাপ কইরা দিমু
এইখানে দেখি পুরা ফুলের বাগান। আগে জানতাম বান্দর চিড়িয়াখায় থাকে, এখন দেখি ফুল বাগানে বান্দর।
ভালু কইছেন, আসলেই এইবার "বান্দর কেন বাগানে" নামে একটা নাটক করতে হবে, যেখানে হিরু - ডিরেক্টর - প্রডিউসার হবেন আমার নজুদা, আর বান্দরের চরিত্র আলো করব আমি
লাল শাড়ি পইড়া আপনেও আইতে পারেন, ব্যাকগ্রাউন্ডে নাহয়, "নিশি রাইতে যায় ফুলবনে ঐ লাল শাড়িরে" বাজানো যাবে
, তয় বিশিষ্ট লুল নজুদা মনে হয় আরো ঝাকানাকা হিরুঈন চাইবো 
খাইছে..সাইফ !!!! তোর লেখা দেখে এবং ফুলের ছবি দেখে বিশাল প্রীত হৈলাম.
@ টুটুল ভাই- এই তবে আপনার আসল রুপ??
যাক, ফুল খাইয়া ফেলিস না দোস্ত, পরে পার অপারেটিভ বাওয়েল ইভ্যাক করতে হইতে পারে
তারপরেও থেঙ্কু। আর বাংলা লিখতে সমস্যা হইলে কইস, আমারে জি-মেইলে পাইব অনলাইন বেশির ভাগ সময়ই।
আর টুটুল ভাইয়ের কি দোষ? এইটা তো উনি না, উনার টেস্টোস্টেরন কথা বলতেছে। সুন্দরী দেইখা যদি বুকের মধ্যে আনচান না করে তাইলে তো কইতে হইব, ঐ জন সবজি হইয়া গেছে
মন্তব্য করুন